গ্রাফটিং বলতে কি বুঝায় - গ্রাফটিং করার নিয়ম

প্রিয় পাঠক আজকের এই পোস্টে আমরা গ্রাফটিং বলতে কি বুঝায় - গ্রাফটিং করার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করব। গ্রাফটিং একটি কৌশল উদ্ভিদবিজ্ঞান দুটি গাছের এক যোগদান করে। দুইটি উদ্ভিদকে ক্রস পলিং করা এবং একটি বীজ উৎপন্ন করার পরিবর্তে, গাঢ় গাছগুলি শিকড় এবং একটি উদ্ভিদ এর উপরের অংশ থেকে টেন্ডার আস্কুর এটিকে সংযুক্ত করে। এই পোস্টে আমরা গ্রাফটিং বলতে কি বুঝায় তা সম্পর্কে জানব।

আপনি যদি গ্রাফটিং বলতে কি বুঝায় - গ্রাফটিং করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে চলুন দেরি না করে গ্রাফটিং বলতে কি বুঝায় - গ্রাফটিং করার নিয়ম সম্পর্কে জেনে আসি।

পেজ সূচিপত্রঃ গ্রাফটিং বলতে কি বুঝায় - গ্রাফটিং করার নিয়ম

গ্রাফটিং বলতে কি বুঝায়

আপনারা যারা এই পোস্টটি পড়ছেন তারা নিশ্চয়ই গ্রাফটিং বলতে কি বুঝায় - গ্রাফটিং করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চেয়ে গুগলের সার্চ করে আমাদের এই পোস্টটি ওপেন করেছেন। তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন আজকের এই পোস্টে আমরা গ্রাফটিং সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করব। তার আগে চলুন জেনে নেই গ্রাফটিং বলতে কি বুঝায়?

আরো পড়ুনঃ লেখালেখি করেকুরবানী করা কি - কুরবানী করা কি ফরজ না ওয়াজিব আয় মাসে ১৫০০০ পেমেন্ট বিকাশে

গ্রাফটিং একটি কৌশল উদ্ভিদবিজ্ঞান দুটি গাছের এক যোগদান করে। দুইটি উদ্ভিদকে ক্রস পলিং করা এবং একটি বীজ উৎপন্ন করার পরিবর্তে, গাঢ় গাছগুলি শিকড় এবং একটি উদ্ভিদ এর উপরের অংশ থেকে টেন্ডার আস্কুর এটিকে সংযুক্ত করে। এই প্রায় দুইটি গাছপালা সেরা বৈশিষ্ট্য একত্রিত করার জন্য এটি করা হয়।

গ্রাফটিং কত প্রকার

গ্রাফটিং বাংলায় বলতে গেলে যাক কলম করাকে বুঝায়। একই প্রজাতির দুইটি গাছকে বিভিন্নভাবে জোড়া দিয়ে বা কখনো গাছের কিছুটা বা কল কেটে অথবা শুধু ডাল পুঁতে গাছের চারা তৈরি করা হয় এই পদ্ধতিকে বলা হয় কলম করা বা গ্রাফটিং। গ্রাফটিং কলম পদ্ধতি অনেক রকম রয়েছে তার মধ্যে প্রচলিত পদ্ধতি তিনটি তা হলঃ

জোড় কলমঃ জোড় কলম করার জন্য দরকার একটি চারা গাছ। আরো দরকার গাছের কান্ডের অংশ। একটি পরিণত অসুস্থ গাছের ফলের বীজ থেকে প্রথম স্টক তৈরি করে নিতে হবে। বীজ বপনের আগে আগাছা পরিষ্কার করে মাটি ভালোভাবে কুপিয়ে নিতে হবে জৈব সার মিশিয়ে বেড তৈরি করতে হবে। জোড় কলম করা যায় একাধিক পদ্ধতিতে তারমধ্যে সফলভাবে করা যায় ফাটল জোড়। এটি অনেক টেকসই এবং খরচ কম। এ পদ্ধতিতে সাধারণত স্টকের গোড়া থেকে 15 থেকে 20 সেন্টিমিটার ওপর গ্রাফটিং করা হয়।

আরো পড়ুনঃ লিচুর উপকারিতা ও অপকারিতা - লিচুর পুষ্টিগুণ

গুটি কলমঃ বাতাবি লেবু ডালিম জলপাই এবং ফুলের মধ্যে গোলাপ কামিনী গুটি কলম এ ভালো হয়। গুটি কলম পদ্ধতি অনেক সহজ। গুটি কলম এর জন্য প্রয়োজন এক থেকে দুই বয়সের গাছের সতেজ পেন্সিলের মত মোটা ডাল। এই ডালের আগা থেকে ৪০-৫০ সেন্টিমিটার করে তিন থেকে চার সেন্টিমিটার মাপের ছাল ছুরি দিয়ে গোল করে কেটে উঠিয়ে নিতে হবে। পরের জৈব সার সঙ্গে পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে কাটা অংশে লাগিয়ে দিতে হবে। এরপর পলিথিন দিয়ে গুটি টা বেঁধে দিতে হবে।

শাখা কলমঃ দেশী গোলাপের জন্য সবথেকে আদর্শ হলো শাখা কলম। ভালো গোলাপ গাছের ডাল কেটে তাতে মধু-দারুচিনি পেস্ট করে কাটা অংশে লাগিয়ে মাটিতে পুতে দিন। কিছুদিন পর শিকড় জন্মালে তবে অন্য জায়গায় ভালো করে লাগিয়ে দিন।

গ্রাফটিং করার নিয়ম

এই পোস্টটি আমরা গ্রাফটিং নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। ইতিমধ্যে গ্রাফটিং কাকে বলে গ্রাফটিং বলতে কী বোঝায় গ্রাফটিং কত প্রকার সবকিছু নিয়ে আলোচনা করেছি। এখন আমরা গ্রাফটিং করার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করব। অনেকেই আছে যারা গ্রাফটিং শিখতে চাই কিন্তু গ্রাফটিং করার নিয়ম সম্পর্কে জানেনা। তাহলে চলুন গ্রাফটিং করার নিয়ম গুলো জেনে নেই।

গ্রাফটিং করতে যেসব উপকরণ প্রয়োজন হবেঃ

  • গ্রাফটিং চাকু
  • ব্লেড
  • সিকেচার
  • পলিথিন
  • ক্যাপ
  • পলিথিন
  • সুতলি
  • পরিবেশ সহনশীল একটি স্টক গাছের চারা

গ্রাফটিং করার নিয়ম সম্পর্কে জানবঃ

  • সাধারণত স্টক গাছের গোড়া হতে ১৫-২০ সেন্টিমিটার ওপরে গ্রাফটিং করতে হবে।
  • খেয়াল রাখতে হবে যেন জোড়া স্থানটির নিচে অবশ্যই কিছু কথা থাকে। এটি বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে।
  • সিকেচার দিয়ে নির্দিষ্ট উচ্চতায় স্টক গাছের মাটি কেটে অপসারণ করে নিতে হবে।
  • এবার চাকু দিয়ে স্টক গাছের মাটি ২-৩ সেন্টিমিটার লম্বালম্বিভাবে চিড়ে দিতে হবে। সায়নের উভয় পাশ একইভাবে ২-৩ সেন্টিমিটার তিলকের মতো করে কেটে নিতে হবে।
  • স্টক গাছের কাটা অংশে সায়নের কাটা অংশ ভালোভাবে প্রবিষ্ট করতে হবে।
  • এবার জোড়া লাগানো জায়গাটি পলিথিন ফিতা দিয়ে ভালোমতো শক্তভাবে বেঁধে দিতে হবে।
  • একটি পলিথিন ক্যাপ টুপি দিয়ে সায়নের মাথা হতে নিচ পর্যন্ত ঢেকে বেঁধে দিতে হবে।

গ্রাফটিং করার উপযুক্ত সময়

আপনি যদি গ্রাফটিং সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে চান তাহলে সম্পূর্ন পোস্ট টি মনোযোগ সহকারে পড়ুন আশা করি আপনি গ্রাফটিং সম্পর্কে পুরোপুরি ধারণা পেয়ে যাবেন। ইতিমধ্যেই আমরা গ্রাফটিং সম্পর্কে অনেক কিছু আলোচনা করেছি। অনেকে আছে যারা জানতে চাই গ্রাফটিং করার উপযুক্ত সময় কোনটি? তাহলে চলুন গ্রাফটিং করার উপযুক্ত সময় জেনে নেই।

গ্রাফটিং করার উপযুক্ত সময় হল মে থেকে জুন মাস পর্যন্ত। কারণ এ সময় বাতাসের আদ্রতা ও গাছের কোষের কার্যকারিতা বেশি থাকে তাই এই সময়কে গ্রাফটিং করার উপযুক্ত সময় বলা হয়। এসময় গ্রাফটিং করলে তাড়াতাড়ি জোড়া লাগে এবং সফলতার হার কোন সময় থেকে বেশি। তাই এই সময়কে গ্রাফটিং করার উপযুক্ত সময় বলা হয়।

শেষ কথাঃ গ্রাফটিং বলতে কি বুঝায় - গ্রাফটিং করার নিয়ম

আপনারা যারা গ্রাফটিং বলতে কি বুঝায় - গ্রাফটিং করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চেয়ে ছিলেন তাদের জন্য এই পোস্টটি খুবই উপকারী। কারণ এই পোস্টে আমরা গ্রাফটিং সম্পর্কে পুরোপুরি ধারণা দিয়েছি। তার জন্য আপনাকে সম্পূর্ণ পোস্ট টি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। তাহলে গ্রাফটিং বলতে কি বুঝায়, গ্রাফটিং করার নিয়ম গ্রাফটিং করার উপযুক্ত সময় সম্পর্কে ধারণা পেয়ে যাবেন।

এতক্ষন আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম পোস্ট আরও পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Rajrafi.com এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url