চন্দন গাছের উপকারিতা - চন্দনের উপকারিতা
প্রিয় পাঠক আজকের পোস্টে আমরা চন্দন গাছের উপকারিতা - চন্দনের উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করব। আমরা সকলেই জানি যে চন্দন কাঠ হল অনেক দামী একটি কাঠ। যার অনেক গুণ রয়েছে। এটি বিভিন্ন রকমের রোগ প্রতিরোধ করতে সক্ষম। তাই আজকে আমরা চন্দন গাছের উপকারিতা সম্পর্কে জানব।
আপনি যদি চন্দন গাছের উপকারিতা - চন্দনের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে চলুন দেরি না করে চন্দন গাছের উপকারিতা - চন্দনের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেই।
পেজ সূচিপত্রঃ চন্দন গাছের উপকারিতা - চন্দনের উপকারিতা
চন্দন কি
চন্দন হল একটি ভেষজ উদ্ভিদ। এটি সুগন্ধ এবং সৌন্দর্যের কারণে মানুষকে তার দিকে আকর্ষণ করে তাই একে চন্দন বলা হয়। চন্দন গাছ সবুজ রঙের এবং তার জাত অনুযায়ী লম্বা হয়ে থাকে। চন্দন গাছের বাকল লাল, বাদামে, বাদামি কালো হয়ে থাকে। চন্দন গাছের ফুল বাদামি বেগুনি যা গন্ধহীন হয়ে থাকে।
আরো পড়ুনঃ কিডনির পাথরের সমস্যা দূর করার 20 টি উপায় - কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ
চন্দন গাছ বিশেষ করে হিন্দুদের কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য। তারা চন্দন গাছের বিভিন্ন রকম ব্যবহার করে থাকে। যেমন তাদের পূজার সময় তারা চন্দন কাঠ ব্যবহার করে থাকে। চন্দন কাঠের অনেক উপকারিতা রয়েছে এর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও রয়েছে। চন্দন কাঠ দিয়ে বিভিন্ন রকম সাবান তৈরি করা হয়।
চন্দন গাছের উপকারিতা
চন্দন গাছের সাথে সাধারন মানুষ খুব একটা পরিচিত নাহলে ও। চন্দন গাছ এরকম নাম অনেকেই শুনেছে। বিশেষ করে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে চন্দন গাছের গুরুত্ব একটু বেশি। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা বিভিন্ন রকম পূজার কাজে চন্দন কাঠ ব্যবহার করে থাকে। এই গাছগুলো সাধারণত ১৫-২০ মিটার উঁচু হয়ে থাকে। সাধারণত চন্দন গাছ যেখানে সেখানে দেখা যায় না। এবং এগুলো যেখানে-সেখানে হয় না। এখন আমরা চন্দন গাছের উপকারিতা সম্পর্কে জানব।
প্রসাবের সমস্যা দূর করতেঃ প্রসাবের বিভিন্ন রকম সমস্যা দূর করতে চন্দন বেশ উপকারী। ঢেঁকিতে ছাটা চাল ধুয়ে সেই পানি চন্দন ঘষে নিয়ে এর সাথে মধু মিশিয়ে খেলে প্রসাবের বিভিন্ন রকম সমস্যা যেমন জ্বালাপোড়া করা প্রস্রাব আটকে যাওয়া ইত্যাদি রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
জ্বর ভালো করতেঃ জ্বর হওয়ার কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই যেকোনো সময় জ্বর হতে পারে। তাই জ্বর ভালো করতে হলে আপনি আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা হিসেবে চন্দন ঘষে ডাবের পানির সাথে খেলে শরীরের বিভিন্ন রকম সমস্যা দূর হয়।
হৃদরোগের সমস্যা দূর করতেঃ আপনি যদি হৃদরোগের সমস্যা দূর করতে চান তাহলে চন্দন গাছ হৃদরোগের বিশেষ কার্যকরী।
আরো পড়ুনঃ কোরবানির নিয়ম - কোরবানির নিয়ত
পিপাসা কমাতেঃ সাধারণত বসন্ত রোগ হলে রোগীর পিপাসা বেড়ে যায়। এসময় বিশুদ্ধ পানিতে শ্বেত চন্দন ভিজিয়ে খেলে পিপাসা কমে যাবে।
মাথা ধরা ও ব্রংকাইটিস থেকে মুক্তিঃ আধুনিক ভেষজ শাস্ত্রে রক্তচাপ ও মাথা ধরা কমাতে ব্রংকাইটিস ভালো করতে মূলত শ্বেত চন্দন ব্যবহার করা হয়। প্রতিদিন সকালে তুলসী পাতা খেয়ে তার কিছুক্ষণ পর আধা কাপ দুধের সঙ্গে শ্বেত চন্দন ঘষা পানি খেলে এ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
ত্বকের জন্যঃ এছাড়া ত্বকের জন্য চন্দন গাছ দিয়ে বিভিন্ন রকম সাবান ফেসপ্যাক তৈরি করা হয়। যা ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জলতা আরো বৃদ্ধি পায় এবং ত্বক ভালো থাকে।
চন্দনের উপকারিতা
চন্দনের উপকারিতা এবং গুণাগুণ অনেক। চন্দন হল একপ্রকার সুগন্ধি গাছ। ভারতের দক্ষিণ অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি চন্দন গাছ পাওয়া যায়। এর অনেকগুলো উপকারিতা রয়েছে তার সাথে এর অনেক পুষ্টি গুণ রয়েছে। আদিকালে এটি দিয়ে অনেক ধরনের রোগের চিকিৎসা করা হতো। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা চন্দনের ব্যবহার প্রচুর। তাহলে চলুন চন্দনের উপকারিতা গুলো জেনে নেই। নিচে চন্দনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা উল্লেখ করা হলোঃ
রূপচর্চার ক্ষেত্রেঃ চন্দনের অনেক গুণাগুণ। বহুকাল আগে থেকে রূপচর্চার ক্ষেত্রে চন্দনের খ্যাতি রয়েছে। প্রাচীনকালে রূপচর্চার জন্য অন্যতম প্রধান উপাদান ছিল চন্দন। বর্তমানে বিভিন্ন রকম কসমেটিক্স এবং সুগন্ধীতে চন্দন ব্যবহার করা হয়। আপনাদের জেনে থাকা ভালো যে চন্দন ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। এতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা ব্রণের সমস্যা এবং ত্বকের অন্যান্য সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
ব্রণের সমস্যা দূর করতেঃ আপনি যদি ব্রণের সমস্যায় ভুগে থাকেন। তাহলে আপনি নিয়মিত চন্দন ফেস প্যাক ব্যবহার করুন আপনার ব্রণের উপদ্রব কমে যাবে। চন্দন ফেস প্যাক তৈরি করতে হলে চন্দন কাঠ গুঁড়ো করে পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখুন। দুই চামচ চন্দনের গুঁড়া এবং গোলাপজল মিশিয়ে এটি বানাতে পারেন। এরপর মুখে লাগিয়ে 15 থেকে 20 মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতেঃ আপনি যদি আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে চান তাহলে চন্দন এর ব্যবহার করতে পারেন। চন্দনের গুঁড়া এবং হলুদ বাটা একসাথে মিশিয়ে ত্বকে লাগালে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে। আপনি যদি নিয়মিত এটি ব্যবহার করতে পারেন তাহলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।
তৈলাক্ত ত্বক দূর করতেঃ অনেকের আছে একটুতেই ত্বক তৈলাক্ত হয়ে পড়ে। চন্দনের ফেসপ্যাক ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করে। এর জন্য আপনি চন্দনের গুঁড়া ও টমেটোর রস মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করে সেটি মুখে ব্যবহার করতে পারেন।
হাঁচির সমস্যা দূর করতেঃ অনেক সময় দেখা যায় যে আমাদের প্রচুর পরিমাণে হাঁচি আসে। এমন অবস্থায় চন্দন ও ধনেপাতা পিষে নিন। এর গন্ধে হাঁচি বন্ধ হয়ে যাবে।
আরো পড়ুনঃ ড্রাগন ফলের উপকারিতা - ড্রাগন ফলের অপকারিতা
চুলকানি কমাতেঃ চন্দন ব্যবহার করে আপনি চুলকানি কমাতে পারেন। পানি দিয়ে চন্দন পিসে ত্বকে লাগান। এটি চুলকানির নিরাময় করতে ভূমিকা রাখে।
যৌন রোগ দূর করতেঃ যৌন রোগে চন্দন বেশ কার্যকরী। নিয়মিত চন্দন গুঁড়ো খেলে যৌন বিভিন্ন রকম রোগ উপকার পাওয়া যায়।
ঘামের গন্ধের জন্য চন্দনঃ বিশেষ করে গরমের সময় অনেকের শরীর ঘামে দুর্গন্ধ করে। ঘামের গন্ধ থেকে মুক্তি পেতে গোলাপ জল এবং চন্দন লাগান।
মাথা ব্যথা দূর করতেঃ অনেক কারণে মাথাব্যথা হতে পারে। আপনি যদি মাথাব্যথা থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে চন্দন ঘষে মাথায় লাগান। এটি মাথা ব্যথা থেকে মুক্তি দেবে।
পেটের রোগে চন্দনঃ পেটের বিভিন্ন রকম সমস্যার জন্য চন্দন উপকারী।
মলদ্বারের সমস্যা সমাধানঃ মলদ্বারের বিভিন্ন রকম সমস্যার সমাধানে চন্দন উপকারী। পায়খানা করার সময় মলদ্বারে অনেক ব্যথা করা পায়খানাতে অনেক দুর্গন্ধ বের হওয়া এ রকম সমস্যার সমাধানের জন্য চন্দন গুঁড়া মধু ও চিনি মিশিয়ে খান।
শেষ কথাঃ চন্দন গাছের উপকারিতা - চন্দনের উপকারিতা
আপনারা যারা চন্দন গাছের উপকারিতা - চন্দনের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তাদের জন্য উপরে এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। তার জন্য আপনাকে সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। তাহলে আপনি চন্দন গাছের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারবেন। পৃথিবীতে দামি কিছু কাঠ রয়েছে তার মধ্যে চন্দন গাছের কাঠ অন্যতম।
এটি ব্যবহারের ফলে মানুষ অনেক উপকৃত হয়। চন্দন গাছের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে। এতক্ষন আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম পোস্ট আরও পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন।
Rajrafi.com এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url