সিজারের পর গোসল করার নিয়ম - সিজারের কতদিন পর গোসল করা যায়
প্রিয় পাঠক আজকের এই পোস্টে আমরা সিজারের পর গোসল করার নিয়ম - সিজারের কতদিন পর গোসল করা যায় সেই বিষয়ে জানব। আমরা সকলেই জানি যে সিজার একটি গুরুত্বপূর্ণ অপারেশন। এখান থেকে সুস্থ হতে অনেক সময় লেগে যায়। তার সাথে অনেক সর্তকতা অবলম্বন করে চলাফেরা করতে হয়। অনেকেই সিজারের পর গোসল করার নিয়ম সম্পর্কে জানেনা। আজকের পোষ্টে আমরা আপনাদের সেই বিষয়ে জানানোর চেষ্টা করব।
আপনি যদি সিজারের পর গোসল করার নিয়ম - সিজারের কতদিন পর গোসল করা যায় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে সম্পুর্ন পোস্ট টি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে চলুন সিজারের পর গোসল করার নিয়ম - সিজারের কতদিন পর গোসল করা যায় সেই সম্পর্কে জেনে নেই।
পেজ সূচিপত্রঃ সিজারের পর গোসল করার নিয়ম - সিজারের কতদিন পর গোসল করা যায়
সিজার কাকে বলে?
আপনারা যারা এই পোস্টটি পড়ছেন তাদের নিশ্চয়ই সিজার হয়েছে তাই সিজারের পর গোসল করার নিয়ম - সিজারের কতদিন পর গোসল করা যায় তা জানতে চেয়ে গুগলের সার্চ করে আমাদের এই পোস্টটি ওপেন করেছেন। আজকের এই পোস্টে আমরা সিজারের পর গোসল করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। তার আগে চলুন জেনে নিই সিজার কাকে বলে।
আরো পড়ুনঃ কুরবানী করা কি - কুরবানী করা কি ফরজ না ওয়াজিব
সিজার একপ্রকার শল্যচিকিৎসা যা এক বা একাধিক শিশুর জন্মদানের জন্য মায়ের উদর ও জরায়ুতে করা হয়। এটি সাধারণত করা হয় তখন যখন প্রাকৃতিক নিয়মে জন্মনালীর মাধ্যমে যৌনি প্রসব সম্ভব হয় না বা সম্ভব করতে গেলে মায়ের এবং শিশুর উভয়ের ই জীবন ঝুঁকি বেড়ে যায়। সিজার সাধারণত করা হয় তখন যখন প্রাকৃতিক নিয়মে জন্মনালীর মাধ্যমে যৌনি প্রসব সম্ভব হয় না বা সম্ভব করতে গেলে মায়ের এবং শিশুর উভয়ের জীবন ঝুঁকি বেড়ে যায়।
আমরা দেখতে পাই কিছু সময় রোগীর ডেলিভারি সম্ভাব্য তারিখ পার হয়ে যায় কিন্তু প্রসবের ব্যথা হয়না। তখন সময় ওষুধ দিয়ে প্রসবব্যথা উঠানো জন্য অপেক্ষা করা যায় না। পেটের ভিতর বাচ্চা যে পানির ভেতরে থাকে সে পানির পরিমাণ অনেক কমে যায়। যার ফলে বাচ্চা কে সুস্থ রাখার জন্য ডাক্তাররা সিজারের করে থাকে।
সিজারের কতদিন পর গোসল করা যায়
সিজার একটি গুরুত্বপূর্ণ অপারেশন। যার মাধ্যমে মায়ের পেট কেটে বাচ্চাকে বের করা হয়। এটি অনেক জটিল এবং কঠিন একটি অপারেশন। এইজন্য সিজার করার পর মাকে অনেক সতর্ক থাকতে হয়। সব বিষয়ে সতর্ক থেকে যতদিন পর্যন্ত না ঠিকমতো সুস্থ হয়েছে ততদিন বিভিন্ন রকম কাজ এড়িয়ে চলতে হয়। এখন আমরা সিজারের কতদিন পর গোসল করা যায় সে বিষয়ে জানব। ডাক্তারগণ সিজারের কতদিন পর গোসল করা যায় এ বিষয়ে বলেছেন।
সিজারের পরে ডাক্তার ১-২ দিন ব্যাড দিয়ে গোসল করানোর কথা বলে থাকেন। যার ফলে বিভিন্ন রকম সংক্রামক ঝুঁকি এবং ইনফেকশন এর হাত থেকে রক্ষা করা যায়। কিন্তু সিজারের সেলাইতে আঘাত করা বা সাবান লাগানো একেবারেই নিষিদ্ধ।
সিজার করার পর কখনোই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া গোসল করতে যাবেন না। কারণ আপনি যখন পানি শরীরে দিবেন তখন যদি পানি কাটা জায়গায় চলে যাই তাহলে সংক্রামন বা ঘা হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। যা আপনাকে অনেক বেশি কষ্ট দেবে। তাই সবথেকে বেশি ভালো হবে যে সিজারের পর অন্তত ১০-১৫ দিন পর গোসল করতে হবে।
সিজারের পর গোসল করার নিয়ম
অনেকেই আছে যারা সিজার করার কিছুদিন পর গোসল করতে চাই। কিন্তু এটা উচিত নয় কারণ সিজার করার পর অন্তত ১০-১৫ দিন পর গোসল করতে হবে। যদি খুব তাড়াতাড়ি গোসল করেন তাহলে ক্ষতিটা আপনার হবে এতে ইনফেকশন হয়ে যেতে পারে সেখান থেকে ঘা হতে পারে। যা আপনাকে অনেক বেশি কষ্ট দেবে। তাই এখন আমরা সিজারের পর গোসল করার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করব। তাহলে চলুন সিজারের পর গোসল করার নিয়ম গুলো জেনে আসি।
- গোসল করার সময় আপনার সেলাইয়ের স্থানে বেশি আঘাত লাগে এমন কাজ করবেন না। বেশি ঘষাঘষি করবেন না। যদি প্রয়োজন হয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নেবেন।
- গোসল করার পানি হালকা ফুঁটিয়ে তারপর গোসল করবেন। এতে বিভিন্ন রকম সংক্রমণ এড়ানোর যায় এবং আপনায় আরাম বোধ হবে।
- যে পাত্রে পানি রেখে গোসল করবেন সে পাত্রটি গোসল শুরু করার আগে ভালোভাবে ধুয়ে তারপর গোসল করবেন।
সিজারের রোগীর খাবার
সিজারের সময় প্রচুর পরিমাণে রক্ত শরীর থেকে বের হয়ে যায়। এবং স্বাভাবিকভাবে শরীর অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই সিজারের পর রোগীর খাবার তালিকা কেমন হওয়া দরকার সেই বিষয়ে সকলের জানা প্রয়োজন। আজকের এই পোস্টে আমরা সিজারের পর গোসল করার নিয়ম সম্পর্কে জেনেছি। এখন আমরা সিজারের রোগীর খাবার তালিকা সম্পর্কে আলোচনা করব।
প্রোটিন, খনিজ এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। প্রোটিন নতুন টিস্যু কোষগুলো বিকাশে সহায়তা করে। অন্যদিকে ক্যালসিয়াম হাড় এবং শক্তিশালী করে রক্ত জমাট বাঁধতে সহায়তা করে এবং বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় ২৫০-৩৫০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম নবজাতকের কাছে হস্তান্তর হয়। তাহলে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে ডাল খেতে পারেন। তিলের বীজে প্রচুর পরিমাণে আয়রন ক্যালসিয়াম ফসফরাস এবং ম্যাগনেসিয়াম থাকে।
গোটা শস্য জাতীয় খাবার সিজারের রোগীর খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন। এগুলো শর্করা সমৃদ্ধ শক্তি মাত্রা এবং বুকের দুধের উৎপাদন বজায় রাখতে সহযোগিতা করে। তাই গোটা শস্য জাতীয় খাবার খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন।
ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। ভিটামিন অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এবং টিস্যু মেরামতের সহায়তা করে। তাই সিজারের রোগীকে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ সবজি পালংশাক মেথি খাওয়াতে হবে। কমলা লেবু পেয়ারা তরমুজ স্ট্রবেরি মিষ্টি আলু জাতীয় ফল হল ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এগুলো খাওয়াতে হবে।
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে যেমন কাঁচা ফল এবং শাকসবজি কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্ত রাখে। মসুর ডাল সবুজ কলাই ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে এগুলো খেতে হবে। সহজে হজম জাতীয় খাবার খেতে হবে। এই সময় বাইরের খাবার না করা উচিত।
শেষ কথাঃ সিজারের পর গোসল করার নিয়ম - সিজারের কতদিন পর গোসল করা যায়
আপনারা যারা সিজারের পর গোসল করার নিয়ম - সিজারের কতদিন পর গোসল করা যায় সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তাদের জন্যও করে এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আপনাদের জেনে থাকা ভালো যে সিজারের পর অন্তত ১০-১৫ দিন পর গোসল করতে হবে। এর আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিতে হবে। তাহলে আপনি বিভিন্ন ঝুঁকির হাত থেকে বেঁচে যাবেন।
এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম পোস্ট আরও পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন।
Rajrafi.com এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url