সিজারের পর পেট কমানোর উপায় - সিজারের পর পেটের মেদ কমানোর উপায়

প্রিয় পাঠক আজকের এই পোস্টে আমরা সিজারের পর পেট কমানোর উপায় - সিজারের পর পেটের মেদ কমানোর উপায় সম্পর্কে আলোচনা করব। আমরা সকলেই জানি যে মেয়েদের বাচ্চা জন্ম দেওয়ার পর পেট আগের তুলনায় অনেকটা বড় হয়ে যায়। পেটে মেদ তৈরি হয়। আজকের এই পোস্টে আমরা সিজারের পর পেট কমানোর উপায় সম্পর্কে জানব।

আপনি যদি সিজারের পর পেট কমানোর উপায় - সিজারের পর পেটের মেদ কমানোর উপায় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে চলুন সিজারের পর পেট কমানোর উপায় - সিজারের পর পেটের মেদ কমানোর উপায় সম্পর্কে জেনে নেই।

পেজ সূচিপত্রঃ সিজারের পর পেট কমানোর উপায় - সিজারের পর পেটের মেদ কমানোর উপায়

সিজারের পর পেট কমানোর উপায় - সিজারের পর পেটের মেদ কমানোর উপায়

আপনারা যারা এই পোস্টটি পড়ছেন তারা নিশ্চয়ই সিজারের পর পেট কমানোর উপায় - সিজারের পর পেটের মেদ কমানোর উপায় সম্পর্কে জানতে চান। আমরা সকলেই জানি যে একজন মেয়ে বাচ্চা জন্ম দেওয়ার পর তার শরীরের গঠন আগের মত থাকে না পেট আগের তুলনায় হালকা বড় হয়ে যায়। পেটে দাগ হয়ে যাই। কারো আবার বাচ্চা জন্ম দেওয়ার পর পেট অনেক বড় হয়ে যায়। আজকে আমরা সিজারের পর পেট কমানোর উপায় সম্পর্কে আলোচনা করব।

সিজারের পর মেদ কমানোর উপায়ঃ

  • সিজারের পর শরীরের ওজন এবং পেট কমানোর সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ উপায় হচ্ছে শিশুকে বুকের দুধ পান করানো। আপনি যদি আপনার বাচ্চাকে 6 মাস আপনার বুকের দুধ খাওয়াতে পারেন তাহলে দেখবেন আপনার পেটের অতিরিক্ত মেদ কমে গিয়েছে।
  • শিশু জন্ম হওয়ার ছয় সপ্তাহ পর থেকে নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। যেহেতু সিজার করে বাচ্চা হয়েছে তাই 6 সপ্তাহ আগে ব্যায়াম করা যাবে না। যখন আপনার স্বাভাবিক কাজ করার ক্ষমতা তৈরি হবে তখন নিয়মিত ব্যায়াম করা শুরু করবেন।
  • বাচ্চা জন্ম হওয়ার ছয় মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এইসময় কোনরকমে ভারী কাজ করা যাবে না এবং ভারী ব্যায়াম করা যাবে না। তবে আপনি সাধারন ব্যায়ামগুলো করতে পারেন। প্রতিদিন ৩০-৪০ মিনিট করে হাঁটাহাঁটি করলে দেখবেন পেটের মেদ অনেকটা কমে গিয়েছে।
  • ইয়োগা পেটের মেদ কমানোর ভালো উপায়। কিন্তু সিজার করার পর ইয়োগা করা ঠিক নয়। এটা করার জন্য আপনাকে অবশ্যই ৭-৮ মাস অপেক্ষা করতে হবে। তার আগে হালকা-পাতলা ব্যায়াম গুলো চালিয়ে যাবেন।
  • গোসল খাওয়া-দাওয়া এবং ঘুম ব্যতীত সব সময় পেটে বেল্ট বেঁধে রাখুন। এটি আপনার জন্য অত্যন্ত উপকারী হবে।
  • পানি শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই আপনাকে এই সময় অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে এতে ক্ষুধা কম লাগবে এবং পেট ভরা থাকবে।
  • ভাত মিষ্টি সহ শর্করা জাতীয় খাবার অতিরিক্ত পরিমাণে খাবেন না।

সিজারের পর পেটের দাগ কমানোর উপায়

আমরা সকলেই জানি যে বাচ্চা হওয়ার পরে মেয়েদের শরীর আগের মত থাকে না। তাদের শরীরের বিভিন্ন রকম পরিবর্তন আসে। যেমন বাচ্চা হওয়ার পরে মেয়েদের পেটে দাগ সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে যদি সিজার করে বাচ্চা হয় তাহলে সেই দাগটি দেখতে আরো বেশি খারাপ লাগে। অনেকেই আছে যারা সিজারের পর পেটের দাগ কমানোর উপায় সম্পর্কে জানতে চাই। আজকে আমরা সিজারের পর পেটের দাগ কমানোর ঘরোয়া উপায় নিয়ে আলোচনা করব।

সিজারের পর পেটের দাগ কমানোর উপায়ঃ

  • আপনি যে কোন ধরনের দাগ অ্যালোভেরা জেল এর মাধ্যমে কমাতে পারবেন। সেটা হোক সিজারের দাগ। তাই আপনি যদি আপনার সিজারের পর পেটের দাগ কমানোর উপায় খুঁজে থাকেন তাহলে অ্যালোভেরা জেল আপনার জন্য ভালো হবে। এটি নিয়মিত আপনার ক্ষতস্থানে দাগের ওপরে মাসাজ করবেন।
  • ত্বকের যেকোনো দাগ দূর করার জন্য লেবুর রস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবে কাজ করে লেবুর রস। আপনি যদি নিয়মিত লেবুর রস ব্যবহার করেন তাহলে সিজারের দাগ অনেকটা কমে যাবে।
  • লেবুর রস এর মত আলুর রসে ও প্রাকৃতিক ব্লিচ রয়েছেন। বিভিন্ন রকম দাগ হালকা করতে লেবুর রস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আপনি যদি সিজারের ফর কাটা দাগ দূর করতে চান তাহলে নিয়মিত লেবুর রস কাটা স্থানে মাসাজ করবেন।
  • চায়ের মধ্যে আছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এটি সিজারের দাগ দূর করতে সাহায্য করে। এই জন্য গ্রিন টির ব্যাগ গরম পানিতে চুবিয়ে তারপর সেটা হালকা ঠান্ডা করে কাটা দাগের উপর রাখুন। আপনি যদি এ পদ্ধতি প্রতিদিন তিন চারবার করতে পারেন ধীরে ধীরে দাগ হালকা হতে থাকবে।
  • কোকোয়া বাটার সিজারের দাগ দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে।
  • আমরা সকলেই জানি যে মধুর অনেক উপকারিতা রয়েছে। এর পাশাপাশি সিজারের দাগ দূর করতেও মধু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
  • ত্বকের নিচে কোলাজেন প্রোটিন এর বিভাজন ঘটে। এ বিভাজনে সাহায্য করে ভিটামিন ই। অনেকেই মনে করেন ভিটামিন ই তেল মাসাজ করলে দেরিতে হলেও কোলাজেনের ওপর একটি প্রভাব পড়ে। যার ফলে কোলাজেন এর বিভাজন শুরু হয়ে যায়। যার ফলে সিজারের দাগ ধীরে ধীরে কমাতে শুরু করে।

সিজারের পর পেট কমানোর ব্যায়াম

আমরা উপরে সিজারের পর পেট কমানোর উপায় সম্পর্কে জেনেছি। আমরা সকলেই জানি যে সিজার একটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ অপারেশন। যার কারণে অনেকদিন পর্যন্ত রেস্ট করতে হয় সুস্থ হওয়ার জন্য। তাই সিজার করার কিছুদিন পর পেট কমানোর জন্য ব্যায়াম করা উচিত নয়। প্রথমে আপনাকে হালকা-পাতলা ব্যায়ামগুলো করতে হবে। ভারী কাজ করা যাবে না এবং ভারী কোন ব্যায়াম করা যাবে না। তাহলে চলুন সিজারের পর পেট কমানোর ব্যায়াম সম্পর্কে জেনে নেই।

প্রথমে মাটিতে চিত হয়ে শুয়ে পড়বেন হাত দুইটা শরীরের দুই পাশে থাকবে হাতের তালু মাটিতে লেগে থাকবে। এবার নাক দিয়ে নিঃশ্বাস নিতে হাত ও পায়ের উপর ভর দিয়ে কোমর আস্তে আস্তে উপরে তুলতে হবে। এরপর দম ছাড়তে ছাড়তে আগের অবস্থায় ফিরে আসতে হবে এভাবে অন্তত দুইবার করতে হবে।

আরো পড়ুনঃ কুরবানী করা কি - কুরবানী করা কি ফরজ না ওয়াজিব

আবার শরীরের দুপাশে হাত রেখে প্রথমে মাটিতে চিত হয়ে শুয়ে পড়বেন। হাতের তালু মাটিতে লেগে থাকবে। এবার প্রথমে দুই পা হাটু থেকে ভাজ করে পেটের কাছে নিয়ে আসবেন।

এরপর একবার ডান পা উপরে উঠান এবং নামান আবার বাম পা উপরে উঠান এবং নামান। এভাবে দুইবার এই ব্যায়াম করতে হবে। এভাবে নিয়মিত কয়েক মাস ব্যায়াম করলে আপনার কোন ধরনের ক্ষতি হওয়া ছাড়াই শরীর কমে আসবে। এবং পেট কমে যাবে।

শেষ কথাঃ সিজারের পর পেট কমানোর উপায় - সিজারের পর পেটের মেদ কমানোর উপায়

আপনারা যারা সিজারের পর পেট কমানোর উপায় - সিজারের পর পেটের মেদ কমানোর উপায় সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন তাদের জন্য ওপরে সিজারের পর পেট কমানোর উপায় সিজারের পর পেটের দাগ কমানোর উপায়। এবং কিছু ব্যায়াম সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। যেগুলো আপনার স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী হবে। তার জন্য আপনাকে সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

তাই আপনি যদি সিজারের পর পেট কমানোর উপায় সম্পর্কে জানতে চান আমাদের এই পোস্টে পেয়ে যাবেন। এতক্ষন আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম পোস্ট আরও পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Rajrafi.com এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url