চন্দন গাছ চেনার উপায় - রক্ত চন্দন গাছ চেনার উপায়

প্রিয় পাঠক আসিফের বেস্ট আমরা চন্দন গাছ চেনার উপায় - রক্ত চন্দন গাছ চেনার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করব। আপনারা যারা আমাদের এই পোস্টটি পড়ছেন তারা চন্দন গাছ চেনার উপায় জানার জন্য আমাদের পোস্ট টি ওপেন করেছেন।

তাহলে চলুন দেরি না করে চন্দন গাছ চেনার উপায় - রক্ত চন্দন গাছ চেনার উপায় সম্পর্কে জেনে নেই। শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকুন।

পেজ সূচিপত্রঃ চন্দন গাছ চেনার উপায় - রক্ত চন্দন গাছ চেনার উপায়

রক্ত চন্দন গাছ চেনার উপায়

আজকের এই পোস্টে আমরা চন্দন গাছ চেনার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। আপনি যদি চন্দন গাছ চেনার উপায় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। আমরা সকলেই জানি যে হিন্দু ধর্মে পূজা আর্চনা চন্দন ফোটা দেওয়া পবিত্র বলে মনে করা হয়। এছাড়াও সুগন্ধি এবং রং তৈরিতে চন্দন ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও চন্দন গাছের আরো অনেক উপকারিতা রয়েছে। এখন আমরা রক্ত চন্দন গাছ চেনার উপায় সম্পর্কে জানব। তাহলে চলুন রক্ত চন্দন গাছ চেনার উপায় জেনে নেই।

আরো পড়ুনঃ ফজরের নামাজের ফজিলত ও গুরুত্ব - ফজরের নামাজের উপকারিতা

রক্ত চন্দন গাছ চেনার উপায়ঃ রক্তচন্দন চিরসবুজ একটি বৃক্ষ। রক্ত চন্দন এর কাজ ৪০ - ৫০ মিটার লম্বা হয়ে থাকে।

রক্ত চন্দন গাছ চেনার উপায়ঃ রক্ত চন্দন গাছের ছাল কাল আভাযুক্ত ধূসর বর্ণের হয়ে থাকে।

রক্ত চন্দন গাছ চেনার উপায়ঃ এর কাঠ গুলো অনেক শক্ত বাইরের দিক থেকে সাদা কিন্তু ভেতরে রক্তবর্ণ।

রক্ত চন্দন গাছ চেনার উপায়ঃ রক্ত চন্দন গাছের পাতার মাথা কিছুটা চাপা ও চামড়া মত শক্ত এবং উভয় দিক গোলাকার হয়ে থাকে।

রক্ত চন্দন গাছ চেনার উপায়ঃ পুষ্পদন্ড লম্বা এবং চারদিকে ফুল হয় গ্রীষ্মকালের ফুল ও ফল হয় না।

লাল চন্দন গাছ চেনার উপায়

লাল চন্দন এর বৈজ্ঞানিক নাম হল Adenanthera Pavonina। বাংলায় লাল চন্দন রঞ্জনা নামে অনেক মানুষ চিনে থাকে। এছাড়া আরো অনেক পরিচিত আছে এই গাছের। এই গাছটি প্রাকৃতিকভাবেই জন্ম নেয়। লাল চন্দন গাছ চাষ করা যায় না চাষ করলেও এটি হয়না। লাল চন্দন এর একটি গাছ পরিপক্ক হতে সময় লাগে কয়েকশো বছর। পৃথিবীতে যতগুলো দামি কাঠ রয়েছে তার মধ্যে লাল চন্দন অন্যতম একটি। প্রতি কেজি চন্দন কাঠ বিক্রি হয় প্রায়ই ১০ হাজার টাকার বেশি দামে।

এখন আমরা লাল চন্দন গাছ চেনার উপায় সম্পর্কে জানব। এত দাম হওয়ার কারণে লাল চন্দন আদিকাল থেকে লাল সোনা নামে পরিচিত হয়ে আসছে। লাল চন্দন এর কাঠ সচরাচর পাওয়া খুবই কঠিন। তাহলে চলুন আপনি লাল চন্দন গাছ কিভাবে চিনবেন সে বিষয়ে আলোচনা করি।

লাল চন্দন গাছ চেনার উপায়ঃ লাল চন্দন গাছ সাধারণত ৮-১০ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে।

লাল চন্দন গাছ চেনার উপায়ঃ লাল চন্দন গাছের পাতাগুলো দেখতে সম্পূর্ণ জাম পাতার মতো হয়ে থাকে।

লাল চন্দন গাছ চেনার উপায়ঃ সাদা চন্দন সুঘ্রাণ থাকলেও লাল চন্দন কোন রকম গন্ধ থাকে না।

লাল চন্দন গাছ চেনার উপায়ঃ লাল চন্দন এর দাম আকাশচুম্বী। প্রতি কেজি চন্দন কাঠ বিক্রি হয় প্রায়ই ১০ হাজার টাকার বেশি দামে।

লাল চন্দন গাছ চেনার উপায়ঃ পৃথিবীতে যত দামি কাঠ রয়েছে তার মধ্যে লাল চন্দন কাঠ অন্যতম একটি।

শ্বেত চন্দন গাছ চেনার উপায়

সব ধরনের চন্দন গাছ এর উপকারিতা রয়েছে। কিন্তু শ্বেত চন্দন গাছের যেমন উপকারিতা রয়েছে যেমন এর দাম। শ্বেত চন্দন মানব স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। শ্বেত চন্দন সুগন্ধি হিসেবে পরিচিত। কিন্তু শ্বেত চন্দন দিয়ে সাবান পাউডার আতর দাঁত মাজার পেস্ট ইত্যাদি তৈরি করা হয়। শ্বেত চন্দন বিভিন্ন রকম রোগ প্রতিরোধ করতে ব্যবহার করা হয়। শ্বেত চন্দন রূপচর্চায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এবং জাদুর মত কাজ করে।

আরো পড়ুনঃ মস্তিষ্ক শান্ত রাখার উপায় - মস্তিষ্ক ঠান্ডা রাখার উপায়

শ্বেত চন্দন গাছের বয়স ২০ বছর হলেই এটি পরিণত হয়ে যায় এবং এই সময় এই কাজ থেকে প্রায় ৩০০-৩৫০ কেজি কাঠ পাওয়া যায়। চন্দন কাঠের দাম দিন দিন বাড়ছে এবং ভবিষ্যতে এর দাম আরো বাড়বে বলে ধারণা করা হয়। এটি বিভিন্ন রকম রোগের ওষুধ হিসেবে কাজ করে যেমন হজম, ডায়রিয়া, আমাশয়, ঘামাচি ও বসন্ত বিভিন্ন রকম রোগের ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

চন্দন গাছের চারা কোথায় পাওয়া যায়

আমরা সকলেই জানি যে চন্দন গাছ হল একটি অনেক দামি গাছ। বিশেষ করে এই গাছের কাঠ বিভিন্ন রকম কাজে ব্যবহার করা হয়। এর অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্ত করে। চন্দন গাছের কাঠ অনেক দামি। পৃথিবীতে যতগুলো দামি কাঠ রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম একটি। চন্দন গাছের চাষ করার প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। অনেকে আছে যারা চন্দন গাছের চারা কোথায় পাওয়া যায় জানেন। আজকে আমরা চন্দন গাছের চারা কোথায় পাওয়া যাবে তা জানব।

চন্দন গাছ ভারতের দক্ষিনে কর্ণাটক তামিলনাড়ুতে ভালো জন্মায়। তবে ভারতের উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ চন্দন দেখা যায়। বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলে বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়। চন্দন গাছের চারা আপনি যে কোন নার্সারিতে পেয়ে যাবেন। যদিও অনেক নার্সারিতে পাওয়া যায় না তবুও আপনার নিকটস্থ নার্সারিগুলোতে খোঁজ নিতে পারেন আশা করি পেয়ে যাবেন।

চন্দন গাছ চাষ পদ্ধতি

চন্দন গাছ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ গাছ। বিশেষ করে চন্দন গাছের কাঠ বিভিন্ন রকম কাজে ব্যবহার করা হয়। এটি হিন্দুদের কাছে পবিত্র একটি জিনিস। চন্দন ছোট থেকে মাঝারি সব ধরনের গাছ হয়ে থাকে। সাধারণত চন্দন গাছ ১৫-১৮ মিটার লম্বা হয়ে থাকে। চন্দন গাছ সবথেকে বেশি পাওয়া যায় ভারতে। বিশেষ করে শ্বেতচন্দন। এখন আমরা চন্দন গাছ চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করব। তাহলে চলুন চন্দন গাছ চাষ পদ্ধতি জেনে নেই।

  • চন্দনের চারা রোপণের ক্ষেত্রে একটু উঁচু জায়গা নির্ধারণ করতে হবে। কারণ চন্দন সাধারণত একটি সৌখিন গাছ।
  • জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত কাটিং পদ্ধতিতে চারা করার উপযুক্ত সময় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
  • বাংলাদেশের প্রায় সব জায়গায় চন্দন গাছ চাষ করা সম্ভব। চন্দন কাঠের সুগন্ধ মানুষের কাছে অনেক আকর্ষনীয় হয়।
  • চন্দন কাঠের চাষ লাভজনক। গাছের বয়স ২০ হলেই প্রায় পরিণত হয়ে যায় এবং এই কাছ থেকে ৩০০-৩৫০ কেজি কাঠ পাওয়া যায়।
  • সেই প্রাচীনকাল থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত এর চাহিদা বৃদ্ধি পেতে আছে। চন্দন গাছের চাষ করলে যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে হয় তার থেকে বহু গুণ অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
  • তবে উপার্জন করার জন্য আপনাকে কমপক্ষে ১৫-২০ বছর অপেক্ষা করতে হবে। আপনার যদি এই গাছের পেছনে ব্যয় হয় ১ লক্ষ টাকা তার বিপরীতে আপনি ৬০ লক্ষ থেকে এক কোটি টাকা আয় করতে পারবেন।

চন্দন গাছের চারার দাম

আমরা এতক্ষণ জেনে গিয়েছি যে চন্দন গাছ হল একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ এবং অনেক ঔষধি গুণসম্পন্ন গাছ। এখান থেকে বিভিন্ন রকম জিনিস তৈরি করা হয়। এটি রূপচর্চার জন্য অনেক উপকারী। আদিকাল থেকে এখন পর্যন্ত চন্দন গাছের চাহিদা রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। অনেকেই আছে যারা চন্দন গাছের চাষ করতে চাই। তাই এখন আমরা চন্দন গাছের চারার দাম সম্পর্কে জানব।

চন্দন গাছের চাষ করে আপনি প্রায় কোটিপতি হতে পারবেন তার আগে আপনাকে কিছু খরচ করতে হবে। আপনি এর পেছনে যে পরিমাণ খরচ করবেন তার থেকে বেশি উপার্জন করতে পারবেন। এটি অনেক লাভজনক ব্যবসা। আপনি যদি একসাথে অনেকগুলো ছাড়া কিনেন তাহলে প্রতিটি চারার দাম পড়বে ৫০০ (আনুমানিক বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকম হতে পারে) টাকা করে।

এর জন্য আপনাকে আপনার নিকটস্থ কোন নার্সারিতে গিয়ে খোঁজ নিতে হবে। এবং আপনি সেখানে চারাগুলো পেয়ে যাবেন। এক এক জায়গায় একেক রকম দাম হতে পারে।

চন্দন গাছ কোথায় জন্মায় 

আমরা সকলেই জানি যে চন্দন গাছ বিশেষ করে হিন্দুদের কাছে বেশি পবিত্র। তারা এই কাঠের বেশি ব্যবহার করে থাকে। এই গাছ সচরাচর সব জায়গায় পাওয়া যায় না। অনেকেই জানতে চাই চন্দন গাছ কোথায় জন্মায়। এখন আমরা চন্দন গাছ কোথায় জন্মায় তা জানব।

চন্দন গাছ সাধারণত দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু প্রদেশ এ বেশি পাওয়া যায়। বিশেষ করে তামিলনাড়ুর সীমান্তবর্তী পাহাড়ি এলাকা এই গাছ বেশি জন্মায়। আবহাওয়া এবং মাটির গুণাগুণ এর তারতম্যের কারণে বিশেষ কিছু পাহাড়ি অঞ্চল ছাড়া এই গাছ অন্য কোথায় জন্মায় না।

আরো পড়ুনঃ লিচু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

চন্দন গাছ ভারতের দক্ষিনে কর্ণাটক তামিলনাড়ুতে ভালো জন্মায়। তবে ভারতের উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ চন্দন দেখা যায়। বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলে বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়।

শেষ কথাঃ চন্দন গাছ চেনার উপায় - রক্ত চন্দন গাছ চেনার উপায়

আপনারা যারা চন্দন গাছ চেনার উপায় - রক্ত চন্দন গাছ চেনার উপায় সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন তাদের জন্য এই পোস্টটি খুবই উপকারী। আজকের এই পোস্টে আমরা চন্দন গাছ চেনার উপায় - রক্ত চন্দন গাছ চেনার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। তার জন্য আপনাকে সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। তাহলে চন্দন গাছ চেনার উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন।

চন্দন গাছ অনেক দামি তাই এই গাছ সচরাচর কোথাও পাওয়া যায় না। আপনি যদি চন্দন গাছ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে ওপরে ভালোমতো পড়ুন। এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম পোস্ট আরো পড়তে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Rajrafi.com এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url