কান পাকলে করণীয় কি - কান পাকা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা

কান এমন এক জিনিস যার মাধ্যমে আমরা বাইরের শব্দ শুনতে পাই। কান হচ্ছে মানবদেহের মাথার দুইপাশের একটি অঙ্গ যার মাধ্যমে কথা শুনে মস্তিষ্ক কাজ করে থাকে। কান চোখ মাথার সাথে সংযুক্ত থাকে। কান পাকা রোগ সাধারণ বিষয় নয়। কান পাকা রোগ প্রায় সবার হয়ে থাকে। কান পাকার কারণ মাথার যন্ত্রণা বেড়ে যায়। যার কানে শুনতে পায় না সে বুঝতে পারে কান নষ্ট হওয়ার কি কষ্ট তাই আমরা কানের যত্ন নিব। চলুন আজকে আমরা কান পাকলে করণীয় কি ও কান পাকা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে আলোচনা করিব।

কান পাকলে করণীয় কি - কান পাকা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকেন তাহলে কান পাকলে করণীয় কি ও কান পাকা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে পারবেন। এছাড়াও জানতে পারবেন কান পাকলে করণীয় কি ও কান পাকা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে জেনে নিন শুরু থেকে অনেক বিষয় সম্পর্কে। চলুন কথা না বাড়িয়ে কান পাকলে করণীয় কি ও কান পাকা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে জেনে নিন বিস্তারিত আলোচনা।

পেজ সূচিপত্রঃকান পাকলে করণীয় কি - কান পাকা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা

কান পাকা রোগের এন্টিবায়োটিক

কান পাকা রোগের এন্টিবায়োটিক কি এবংকান পাকলে করণীয় কি ও কান পাকা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে আলোচনা করব। কান পাকা রোগ প্রায় সবার হয়ে থাকে। কান পাকা রোগ থেকে বাঁচার জন্য এনটিবেটিক ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে। তাহলে কান পাকা রোগ থেকে নিরাময় পাওয়া যাবে।কানে প্রচুর পরিমাণ পুঁজ পড়াসহ যেসব কানের সমস্যা আছে সেসব রোগের জন্য খাওয়ার জন্য এন্টিবায়োটিক এবং কানের দেওয়ার জন্য এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করতে হবে।

কান পাকা রোগীর দের বয়সভেদে অ্যান্টিহিস্টামিন দিয়ে থাকে। এসব রোগীদের কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। যেমন পুকুর বা নদীতে ডুব মেরে গোসল করা যাবে না বা সাঁতার কাটা। গোসল করার সময় কানে তুলা বা তেল ব্যবহার করতে হবে যাতে পানি না ঢুকে যায়। ফিরিজের পানি ধরে রাখতে হবে এবং নিজেকে ঠান্ডা থেকে দূরে রাখতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় ঠান্ডা লাগার কারণে কান দিয়ে পুঁজ বের হয়। সব সময় কান পরিষ্কার না করা।কান পাকলে করণীয় কি - কান পাকা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা জন্য আপনাকে ডক্টরের কাছে যেতে হবে।
ঝাঁটার খিল, মুরগির পালক, তার বা কাটা, ঘাস, ম্যাচের কাঠি ও কলম এর নিপ দিয়ে কোনভাবে কান পরিষ্কার করা যাবে না। কটনবার দিয়ে কান পরিষ্কার করতে হবে। এগুলো ব্যবহার ফলে কানের ছিদ্র বন্ধ হয়ে যেতে পারে এর ফলে আমরা কানে শুনতে পাবনা। এরপর মাথা থেকে কান দিয়ে রক্ত বা পুজ বেড়ে যেতে পারে। যাদের কানের পর্দা ছিদ্র বড় হয় এবং কান দিয়ে অতিরিক্ত পুঁজ বের হয় তাহলে অনেক সময় ড্রপ ব্যবহার করেও ভালো করা সম্ভব হয় না।

অনেক ক্ষেত্রে তিন থেকে ছয় মাস কান ভালো করার জন্য অপেক্ষা করতে হয়। যদি কানের রোগ বা ছিদ্র ছয় মাসে ভালো না হয় তাহলে ছোট একটা অস্ত্রপ্রচারের মাধ্যমে গান জোড়া লাগানো সম্ভব হবে। তবে সেক্ষেত্রে কান সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে। যদি কানের সমস্যা দেখা দেয় তাহলে অতি দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।কান পাকলে করণীয় কি ও কান পাকা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কেও ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করছি।

কান পাকলে করণীয় কি

যদি কান দিয়ে পুঁজ বের হয় তাহলে বুঝে নিবেন আপনার কানে সমস্যা দেখা দিয়েছে। এ কানের পুঁজ তরল ও গন্ধ যুক্ত হতে পারে। কান পাকা রোগের কিছু ধরন আছে কিছুদিন থাকে আবার কিছুদিন পর কান দিয়ে রক্ত যুক্ত পানি বের হতে থাকে। অনেক সময় কানে কম শোনা যায় এবং কানের ভিতর শো শো শব্দ করে।বহিঃকর্ণ জেটি বাহিরের অংশ, মধ্যকর্ণ কানের ভিতরের অংশকে বুঝায়,অন্তঃকর্ণ যেটি থেকে কানের স্নায়ু তৈরি করে থাকে।কান পাকলে করণীয় কি ও কান পাকা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা কে অবহেলা করা উচিত নয়।
কানের কাজ প্রধানত  দুইটি হয়ে থাকে একটি হল বাইরের শব্দ শোনা যায় এ বিষয়ে আমরা সবাই জানি। কিন্তু আরো একটা বিষয় আছে সেটা আমরা অনেকেই জানিনা সে জিনিসটা হল দেহের ভারসাম্য রক্ষা করে।অন্তঃকর্ণ প্রধান ও অন্যতম জিনিস হচ্ছে কান শরীরের ভারসাম্য রক্ষা করে। ছোটবেলা থেকেই কান পাকা রোগ শুরু হয়ে থাকে। এমন কোন বাচ্চা নাই যে ছোটবেলা থেকে কানের রোগ হয়নি বা কান দিয়ে পূজ বা রক্ত বের হয়নি। এ রোগ হলে করনীয় হল সবসময় নিজেকে কয়লা মাটি ও পানি থেকে দূরে রাখতে হবে।

কানের যদি পর্দা ফেটে থাকে তাহলে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কানের পর্দা জোড়া লাগানোর চেষ্টা করতে হবে। এরপর পানি বা ঠান্ডা জিনিস জাতীয় থেকে নিজেকে সবসময় দূরে রাখতে হবে। নদীতে বা পুকুরে ডুব বা সাঁতার কেটে গোসল করা যাবে না।কান পাকলে করণীয় কি ও কান পাকা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা হল যদি কানে ইনফেকশন হয়ে থাকে তাহলে কানে অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ ব্যবহার করতে হবে। শুকনা অবস্থায় কানে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ ব্যবহার করা যাবে না। প্রায়৩ থেকে ৬ মাস অন্তর কানের হেয়ারিং টেস্ট করে স্মরণশক্তি বা শুনার  গতি পরিমাণ করা যেতে পারে।

কানের পুঁজ এর ওষুধ 

শীতকালে যখন ঠান্ডা লাগে তখন কান দিয়ে এক ধরনের তরল পদার্থ বেরিয়ে আসে। সর্বপ্রথম রোগীকে ধূমপান থেকে বিরত থাকতে হবে সকল প্রকার নেশা থেকে দূরে থাকতে হবে। ঠান্ডা জিনিস এবং আইসক্রিম, ফ্রিজের কোন কিছু খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে। তারপর যদি কান দিয়ে পুঁজ পড়ে বা তরল পদার্থ বেরিয়ে আসে তাহলে বুঝে নিতে হবে তার কান ছিদ্র হয়ে গেছে। বাংলা তখন কনজারভেটিভ ওষুধ দিতে হবে এবং কানের ড্রপ ব্যবহার করার জন্য পরামর্শ দিতে হবে।
কান দিয়ে পুঁজ বের হয়ে যাওয়ার তারপর থেকে কোন ধরনের ঠান্ডা লাগানো যাবে না। সেজন্য তাদের ধুলা বালিতে না যাই এবং আইসক্রিম না খাই সে পরামর্শ দিতে হবে। এর পর রোগির শরিলে অ্যান্টিবায়োটিক প্রবেস করাতে হবে।এই রোগ যেহেতু একটি জিবানু দারা আক্রান্ত হয়ে থাকে তাই রোগিকে অ্যান্টিবায়োটিক দিতে হবে।এর পর রোগিকে আরো একটি অ্যান্টি হিসটামিন দিতে হবে। এখন অ্যান্টি হিসটামিনগুলো অনেক রকমের হয়া থাকে।

অনেক আগে একটি হিসটাসিন খাইলে সেই দিন সব সময় ঘুম পাই।আজ কাল সেটা দেখা যাইনা বলেই চলে। যখন আই রোগের লখন দেখা জাই তখন তার কানে অ্যান্টিফাঙ্গাল নামক ক্রিমগুলো দিনে তিন বার করে ব্যাবহার করতে হবে।কান পাকলে করণীয় কি ও কান পাকা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে আরো জেনে নিন।অ্যান্টিফাঙ্গাল নামক ক্রিমটি ব্যাবহারের ফলে আস্তে আস্তে কানের ছিদ্রটি বন্ধ হয়া জাবে।সে ৬০% শুনতে পারবে আর ৪০% শুনতে অসুবিধা হবে।সে যদি সম্পুর্ন রুপে শুন্তে চাই তাহলে  অস্ত্রোপচার করে কানের পর্দা জোড়া লাগাইতে হবে।

কান পাকা রোগের হোমিও চিকিৎসা

  1. Belladona: কান গরম অতিরিক্ত হলে,চিরিকমারা, লাল, নেক ব্যাথা। দিনে ৩x-৬ বেল্লাদনা সেবন করুন।
  2. Arnica Mont: কানে কটনবাড বা ঝাটার খিল,ঘাস,কলম,ইত্যাদি কানে প্রবেশ করানো বা কানে কোন আঘাত লাগা থকে রোগের উৎপত্তি হলে। নতুনদের রোগিদের জন্য জন্য ৩x-৩০, পুরাতন রোগিদের অবস্থায় ২০০- ১০এম Arnica Mont ব্যাবহার করতে হবে।
  3. Tellurium: কান পাক পুরাতন রোগীদের জন্য।ভীষণ দূর্গন্ধ যুক্ত পানি,লালচে পাতলা পানি কানে দেখা দিলে। নতুনদের রোগির জন্য ৬-৩০ শক্তি, পুরনো রোগীর জন্য২০০ থেকে Tellurium উচ্চশক্তি ব্যাবহার করতে হবে।
  4. Chamomilla:খিটখিটে স্বভাব, শিশু রুক্ষ মেজাজী , অন্যথাই গালাগালি করে, অন্যথাই ঝগড়াঝাটি করে, বিনা কারোনে কান্নাকাটিকরে, তাহলে তার রোগ ক্যামোমিলার চরিত্র। এমন রোগীর কান ব্যথার জন্য ৬-২০০ ফলপ্রদ Chamomillaব্যাবহার করতে হবে।
  5. Cal.Pic: কানের মধ্যে ছোট ছোট ফোঁড়ার মত উদ্ভেদ দেখা দিলে, ব্যাথা হয়। তাহলে কল পিক ৩x-৬ শক্তি ব্যবহার করতে পারেন।
  6. Psorinum: কান পাকা যে কোন হলে,কান চুলকানি বাড়লে, দূর্গন্ধযুক্ত হলুদ বর্ণের পুঁজ, ঘামে দূর্গন্ধ,অপরিস্কার নোংরা, প্রস্রাব-পায়খানা ,শীতে কাতর রোগীদের ঔষধ Psorinum। ২০০-উচ্চক্রম রোগির রোগ বেরে গেলে।
  7. Merc.Sol:  কানে পূজ এই লক্ষন রাতে বৃদ্ধি পেলে , সবুজ পুঁজ বা হলুদ পুজ, লালচে পানি দেখা দিলে। Merc.Sol ওশুদ ২০০-১এম করে ব্যাবহার করতে হবে।

কান পাকা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা

কান পাকা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা সমূহ আলোচনা করা হলো। আমরা সবসময় কানকে পরিষ্কার রাখবে এবং গরম পানি দিয়ে যেগুলো ক্ষতস্থানের ময়লা গুলো পরিষ্কার করব। তারপর ওষুধ ব্যবহার করতে হবে। শুকনা কাপড় দিয়ে কান ভালো করে পরিষ্কার করতে হবে। কানের ভিতর যেন কোন ময়লা না থাকে। কান গলা দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। যেকোনো মুহূর্তে শরিলে ঠান্ডা লেগে যাবে না।
ফ্রীজিং করা বা ঠান্ডা জিনিস কোন কিছু খাওয়া যাবেনা ।তাহলে কান পাকা থেকে অনেক নিরাময় পাওয়া যাবে। পুকুর খাল বিল নদী এবং সমুদ্র যেখানে হকনা কান ডুব মেরে গোসল করা যাবে না।কান পাকলে করণীয় কি ও কান পাকা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা ভিটামিন যুক্ত খাবার গুলো পাঠিয়েছি এগুলো খেলে তাড়াতাড়ি এবং থেকে বাঁচা যাবে। আমার সময় নিজেকে ময়লা আবর্জনা থেকে সংরক্ষিত রাখে এবং ঠান্ডা জাতীয় খাবার দেয় দূরে থাকিব।

শেষ কথা 

এতক্ষণ ধরে আমি আলোচনা করলাম কান পাকলে করণীয় কি ও কান পাকা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে । আশা করি সম্পুর্ন পোস্টটি পড়ার পরে আপনি বুঝতে পেরেছেন কান পাকলে করণীয় কি ও কান পাকা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে। আর এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং আপনার মতামত বা কোন কিছু জানতে প্রয়োজন হলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Rajrafi.com এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url