মেয়েদের জরায়ুতে টিউমার কেন হয়
মহিলাদের সন্তান উৎপাদনের প্রাকৃতিক ক্ষমতা বয়সে মেয়েদের জরায়ুতে টিউমার অনেক
বেশি দেখা যায় তা হলো মায়োমা বা ফাইব্রয়েড।মেয়েদের জরায়ুতে টিউমার কেন হয় তা
হলে মেয়েদের জরায়ুতে অতিরিক্ত মাংসপেশির স্বাভাবিক বৃদ্ধি পেলে টিউমার হতে
পারে।তফাইব্রয়েড এক ধরনের স্বাভাবিক টিউমার, এডি ক্যানসার এবং
বিপদজনক কিছু না হতে পারে। তাই চলুন জেনে আসি মেয়েদের জরায়ুতে টিউমার কেন হয়
সম্পর্কে।
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে মেয়েদের জরায়ুতে টিউমার কেন হয় সে সম্পর্কে জানতে পারবেন। চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে আসি মেয়েদের জরায়ুতে টিউমার কেন হয় তার প্রতিকার সম্পর্কে।
পেইজ সূচিপত্রঃমেয়েদের জরায়ুতে টিউমার কেন হয়
- জরায়ুতে টিউমার এর লক্ষণ
- জরায়ুতে মাংস বৃদ্ধি
- জরায়ুতে টিউমার হলে করণীয়
- জরায়ুতে সিস্ট হলে কি হয়
- সিস্ট হওয়ার লক্ষণ
- শেষ কথা
জরায়ুতে টিউমার এর লক্ষণ
জরায়ুতে টিউমার এর লক্ষণ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো টিউমার সাধারণত কোনো লক্ষণ
ছাড়াই প্রকাশ হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে অন্য সমস্যা নিয়ে আল্ট্রাসাউন্ড করতে
গেলে এটি দেখা যায়। মেয়েদের তলপেটে ব্যথা হয় টিউমার এর কারণে। মেয়েদের
জরায়ুতে টিউমার কেন হয় তা হল টিউমার যদি বড় হয় তাহলে অবশ্যই ভালো ডাক্তারের
পরামর্শ নিতে হবে।জরায়ুতে টিউমার এর ফলে অতিরিক্ত মাসিক এবং ব্যথা হয় এবং শরীরে
রক্তশূন্যতা দেখা দেয়।
মেয়েদের জরায়ুতে টিউমার কেন হয় তা হল মাসিক এবং রক্তশূন্যতার কারণ এই দুইটি
বন্ধ্যাত্বের একটি সর্বতম কারণ হিসেবে ধারা হয়।এ ধরনের টিউমার সাধারণত সবার
ক্ষেত্রে প্রযোজ্য না-ও হতে পারে এবং কষ্টসাধ্য নয়। কেননা ২৫ শতাংশ ফাইব্রয়েড
টিউমার সারাজীবন আপনার কোন সমস্যা না করতে পারে। অনেক সময় বেশিরভাগ কোন দেশে
অতিরিক্ত মাসিক এবং অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তলপেট ব্যথা করে এর ফলে উপসর্গ
দেখা দিতে পারে।
জরায়ুতে মাংস বৃদ্ধি
জরায়ু হচ্ছে মেয়েদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। জরায়ুকে আমরা ইউটেরাস বলি। একটি
মেয়ে যখন প্রাপ্তবয়স্ক হয় এবং মেয়েদের প্রতিমাসে যে ঋতুস্রাব হয় । একটি
মেয়ের নির্দিষ্ট সময়ের পর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় ও স্বামী এবং স্ত্রী একসঙ্গে
থাকে তখন জরায়ুর সর্বতম কাজ হচ্ছে গর্ভধারণ করা। মেয়েদের এই নিয়ম একটি
নির্দিষ্ট বয়সের পর স্বাভাবিক ভাবে চলে আসে।মেয়েদের জরায়ুতে টিউমার কেন হয় বিস্তারিত জানতে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
মেয়েদের জরায়ুতে যখন নতুন কোন কিছু মাংস বৃদ্ধি পায় এবং কোন মাংস পিণ্ড তৈরি
হয় তখন তাকে বলে টিউমার।মেয়েদের এই টিউমার সাধারণত খারাপ ভালো দুই ধরনের হয়ে
থাকে। যখনই টিউমার ভাল বা কষ্ট কম হয়, তখন আমরা এটি মারকে বলে থাকি বিনাইন
টিউমার। আর খারাপ টিউমারকে আমরা সাধারণত ক্যানসার বলে থাকি। টিউমার গুলো সাধারণত
জরায়ুতে হয়ে থাকে সেসব টিউমার হলো, এর মধ্যে লিউমায়োমা , ইউটেরাস, ফাইব্রয়েড বা
হলোও অনেক পরিচিত।
মেয়েদের জরায়ুতে মাংস বৃদ্ধি জীবনের মধ্যে সবচেয়ে যেটা বেশি হয়ে থাকেজরায়ু টিউমার বা ফাইব্রয়েড ইউটেরাস মেয়েদের বেশি হয়ে থাকে।প্রতি তিনজনের একজন মহিলার ফাইব্রয়েডে অতিরিক্ত পেট ব্যথা, রক্তক্ষর, কোমর ব্যথ,
মাসিকের ব্যথা অতিরিক্তপ্রস্রাব ও সহবাসের সময় ব্যথা অনুভব করে থাকে এবং এর
উপসর্গ দেখা দেয়।মেয়েদের জরায়ুতে টিউমার কেন হয় নারীদের স্বাস্থ্য কারণে টিউমার হয়ে থাকে। জরায়ুতে মাংস বৃদ্ধির ফলে।
সহবাসের সময় অস্বস্তি বোধ প্রকাশ করার পর নিজেকে দুর্বল মনে করা এই টিউমারের
লক্ষণ মাংসপেশি বৃদ্ধি হয়।মেয়েদের জরায়ুতে টিউমার কেন হয় কারণ মাংস বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে জরায়ু ফুলে যায় এবং অনেক
কষ্ট অনুভব হয়।মেয়েদের জরায়ুতে টিউমার কেন হয় জরায়ু পরিষ্কার না থাকার
কারণে টিউমার হয়ে থাকে। মেয়েদের জরায়ুতে টিউমার কেন হয় তা হল যাদের
দেরিতে বিয়ে বা সন্তান কম, সেসব মেয়ের ক্ষেত্রে এই জরায়ু টিউমার বেশি দেখা
দেয়। সময় মত সন্তান নেওয়া ও সন্তান গ্রহণ করা জরায়ুর জন্য গুরুত্বপূর্ণ
বিষয়।
জরায়ুতে টিউমার হলে করণীয়
মহিলাদের জরায়ুতে অনেক রকমের টিউমার হয়ে থাকে। জরায়ুর টিউমার চিকিৎসা করতে
গেলে অনেক কিছু চিন্তা ভাবনা করে করতে হয়। প্রথমত জরায়ুর টিউমার সম্পর্কে
ভালোভাবেই জানতে হয় তারপর প্রাথমিক চিকিৎসা মাধ্যমে ভালো করার চেষ্টা করে। যদি
মহিলা রক্তপাতের পরিমাণ বেশি হয় তাহলে রক্তপাত বন্ধের জন্য কারণে কিছু মেডিসিন
দেওয়া হয়। যদি রক্তক্ষরণের কারণে শরীরে রক্তশূন্যতা দেখা দেয় তাহলে
মেডিসিনের মাধ্যমে বা বাহির থেকে রক্ত সংগ্রহ করে দেহে প্রবেশ করে থাকে।
আরও পড়ুনঃ কি খেলে চোখের সমস্যা দূর হয় জেনে নিন
তারপর ডক্টরেরা দেখে টিউমারের আকার কত বড় আছে টিউমার কি রকম হয়া আছে। যদি
জরায়ুর টিউমার ছোট আকারের সাইজ হয়ে থাকে বা মেয়ের বয়স কম হয়ে থাকে তাহলে তাকে
ডক্টরেরা বলে থাকেন এই মুহূর্তে কোন ভয়ের কারণ নেই। যদি জরায়ুর টিউমার ছোটখাটো
হয় ও মেয়েদের জরায়ুতে কোন সমস্যা কম হয়ে থাকে তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ
তাড়াতাড়ি বাচ্চা নিয়ার কথা বলে থাকেন।
যদি জরায়ুর টিউমার অনেক বড় হয় এবং মেয়ের বয়স অনেক কম হয় তাহলে টিউমারে
অস্ত্রোপচার করে থাকেন।প্রয়োজন ছাড়াই অস্ত্রোপচার করা প্রয়োজন হয় না। যাদের
বয়স ৪০ শের নিছে তাদের অস্ত্রোপচার করে থাকে।ল্যাপারোস্কোপির মাধ্যমে এবং রোগীর
পেট কেটে জরায়ুর টিউমার চিকিৎসা করা হয়।মেয়েদের জরায়ুতে টিউমার গর্ভ অবস্থাই
ধরা পরলে তবে একজন অভিজ্ঞ ডক্টরের পরামর্শ নিয়ে কাজ করতে হবে।
জরায়ুতে সিস্ট হলে কি হয়
নারীরা ডিম্বাশয়ের সিস্ট এবং ভারিয়ান সিস্ট জটিলতায় ভুগে থাকেন। নারীদের মাতৃ
স্থল বা ডিম্বাশয়ে ভারিয়ান সিস্ট হয়ে থাকে। মহিলাদের যে কোনো বয়সে এ রোগে
আক্রান্ত হয়ে থাকেন ।বেশিরভাগ মহিলারা এধরনের জরায়ুতে সিস্ট আক্রান্তে রোগী ভুগে
থাকেন।যেমন–পলিসিস্টি,ফাংশনাল, ডারময়েড,অ্যান্ডমেট্রিওটিক, ইত্যাদি সিস্ট নারিরা
রোগে আক্রান্ত হয়া থাকেন।তবে জরায়ুতে সিস্ট একাধিক সিস্টকে একসাথে পলিসিস্ট বলা
হয়।
মেয়েদের জরায়ুতে ছোটো ধরনের সিস্ট গুলো মেয়েদের জরায়ুতে ঘন আকারের ঘিরে রাখে।
এই সিস্টেড় জন্য মেয়েদের ওভারিল স্বাভাবিক কাজকর্ম ও চলাফেরা বন্ধ হয়ে যায়।
মেয়েদের অনিয়মিত মাসিক, অনিয়মিত হরমোনের সমস্যা ও সময় মত সেক্স না হওয়া বা
অল্প সময়ে বিবাহ সমস্যা হওয়ার কারণে সিস্ট সমস্যা দেখা দেয়।কিশোরী অবস্থায় এই
সমস্যা বয়সন্ধিকালে দেখা দেয়।মেয়েদের জরায়ুতে টিউমার কেন হয় তা হল একটি
নির্দিষ্ট বয়সের পর শরীরের শক্তি হারিয়ে ফেলে এবং দেরিতে বাচ্চা নেওয়ার কারণে
এ রোগ সৃষ্টি হয়।
তাছাড়া আরও অনেক সমস্যা আছে তার মধ্যে দেরিতে সন্তান নেওয়া এবং সময়মতো বিবাহ
না করা এর কারনে মেয়েদের জরায়ুতে টিউমার হয়ে থাকে বা সিস্ট হয়ে থাকে। যদি
রোগের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য শুরু করা যায় তবে তা সহজে সারিয়ে তোলা যায় এবং এ
রোগ নিরাময় করা সম্ভব হয়।ওভারি বা ডিম্বাশয় হচ্ছে মেয়েদের জরায়ুর কারণে
মহিলাদের জরায়ুর মাধ্যমে এক ধরনের হরমোন নিষ্ক্রিয় হয়। ওভারিয়ান সিস্ট দেখা
দিলে ওভারিতে পানি পরিপূর্ণ থাকে।
সিস্ট হওয়ার লক্ষণ
মেয়েদের অনিয়মিত মাসিকে, ঋতুস্রাবের কারণে তল পেট ফুলে যাওয়, ব্যথা অনুভব
করা বমিভাব অনুভব করা, সিস্ট ইনফেকশনের কারনে পেটে ব্যথার সাথে পেট ফুলে যায়
এবং ওজন বৃদ্ধি পেতে থাকে তখন এ রোগ দেখা দেয়।। তবে যদি ওজন কমে যায় তাহলে
ক্যান্সারের মতো রোগ হতে পারে। ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কারণে
ওভারিতে সিস্ট হতে পারে। তাছাড়া ওভারিয়ান সিস্টের কারণে বুক জ্বালাপোড়া করতে
পারে এবং পেট ফাঁপা অনুভব হতে পারে।
এ রোগ হলে পিঠের ব্যথা করতে পারে এবং তা থেকে ব্যাথা সৃষ্টি হয়ে থাকে।কোন
নির্দিষ্ট বয়স সীমা আছে কিনা যে এই বয়সের মধ্যে ওভারিয়ান সিস্ট বেশি দেখা
যাচ্ছে। জাতীয় সমস্যা গুলোর মর্ধে সিস্ট হওয়ার লক্ষণ আমরা বেশি দেখতে পাচ্ছি
।তাদের মধ্যে হঠাৎ করে যদি ওজন বেড়ে যায় অথবা তাদের মাসিক অনিয়মিত হয় তাদের
মধ্যে আগ্রাসনে পলিসিস্টিক ওভারি এবং আসলে আন্ডারলাইন স্পেসিফিক কোন কাজ আছে। তবে
মেয়েদের জরায়ুতে টিউমার কেন হয়।
এর কারন ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণে মেয়েদের হরমোন ইমব্যালেন্স হয় এবং জাতীয়
হরমোনের মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে এবং সেসব রুগির ক্ষেত্রে চিন্তা বা ভয় নেই।মেয়েদের
জরায়ুতে টিউমার হলে বা সিস্ট এর লক্ষণ দেখা দিলে ভালো ডাক্তারের পরামর্শ
নিতে হবে। এবং প্রথম পর্যায়ে যেগুলো চিকিৎসা আছে গুলো করে নিতে হবে ।রোগের কম
সমস্যা থাকলে বা জরায়ুর টিউমার 5 সেন্টিমিটার থাকলে রোগীকে এক থেকে 2 মাস
পর্যন্ত রেস্টে থাকতে হবে।
যদি জরায়ুর টিউমার ছোট বা কম হয়ে থাকে তাহলে ফাংশনাল
সিস্ট অপসারিত এবং ভালো হয়ে থাকবে। মেয়েদের জরায়ুতে টিউমার কেন হয় মেয়েদের জরায়ু নরমাল ডেলিভারির পর জরায়ু অবস্থা না আসতে অনেক সময় লাগে এবং ধীরে ধীরে আগের অবস্থানে ফিরে আসে।মেয়েদের জরায়ুতে টিউমার কেন হয় আজকের আটিকেল এ আলোচনা করা হয়েছে।
শেষ কথা
এতক্ষণ ধরে আমি আলোচনা করলাম মেয়েদের জরায়ুতে টিউমার কেন হয় সম্পর্কে । আশা
করি সম্পুর্ন পোস্টটি পড়ার পরে আপনি বুঝতে পেরেছেন মেয়েদের জরায়ুতে টিউমার কেন
হয় সম্পর্কে। আর এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং
আপনার মতামত বা কোন কিছু জানতে প্রয়োজন হলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন ধন্যবাদ।
Rajrafi.com এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url