ত্বক ফর্সা করার ঘরোয়া উপায়

প্রিয় পাঠক আপনি কি ত্বক ফর্সা করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কেননা এ আর্টিকেলে আমি আপনাদের জানাবো ত্বক ফর্সা করার ঘরোয়া উপায় সমূহ। তাই ত্বক ফর্সা করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
ত্বক ফর্সা করার ঘরোয়া উপায়
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত এই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে ত্বক ফর্সা করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে ত্বক ফর্সা করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জেনে নিই।

পেইজ সূচিপত্রঃত্বক ফর্সা করার ঘরোয়া উপায়

কোন ফল খেলে গায়ের রং ফর্সা হয়

ত্বক ফর্সা করার ঘরোয়া উপায় হিসেবে ফল হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। অনেকে অনেক চেষ্টা করে যে ত্বক আগের চেয়ে একটু উজ্জ্বল করতে পারলে হয়তো ভালো হতো। হয়তো আপনিও সেরকমই চেষ্টা করে যাচ্ছেন কিন্তু কিভাবে কি করবেন বুঝতে পারছেন না।

তাহলে আপনাকে বলি শুনুন, আপনি যদি ত্বক আগের চেয়ে উজ্জ্বল করতে চান তাহলে আপনার খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে। আপনি যদি বেশি বেশি ফাস্টফুড জাংক ফুড বা তৈলাক্ত জাতীয় এবং চর্বি জাতীয় খাবার খেয়ে থাকেন তাহলে সেগুলো পরিহার করতে হবে।

প্রাকৃতিক ভাবে ত্বক সুন্দর করতে আপনাকে বেশি বেশি শাকসবজি ও ফলমূল খেতে হবে। প্রতিদিন খাবারের সাথে এক বাটি শাক সবজি, মাছ, মাংস খেতে হবে। শাকসবজি ও ফলমূল ত্বককে নরম ও মসৃণ রাখে।
ত্বক ফর্সা করার ঘরোয়া উপায় হিসেবে আপনি যে ফলগুলো খাবেন তা হচ্ছে-আপেল, কমলা, আম, জাম, পেপে, কলা, গাজর, বরই অর্থাৎ যত রকমের ফল রয়েছে সবগুলোই ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। তাই আপনি যদি ঘরোয়া উপায়ে ত্বক ফর্সা করতে চান তাহলে এসব ফলমূল অবশ্যই খেতে হবে।

আশা করি এই সেকশনটি পাঠ করে কোন কোন ফল খেলে ত্বক ফর্সা করা যায় অর্থাৎ ত্বক ফর্সা করার ঘরোয়া উপায় হিসেবে ফলের গুরুত্ব যে কতটুকু তা আপনারা পূর্ণাঙ্গ ধারণা পেলেন। এবার আমরা দেখব মধু দিয়ে ত্বক ফর্সা করার উপায়সমূহ কি কি।

মধু দিয়ে ত্বক ফর্সা করার উপায়

প্রাচীনকাল থেকেই মধুর জনপ্রিয়তা ব্যাপক। বিশ্বব্যাপী মধুর ব্যবহার হয়ে থাকে। আয়ুর্বেদমতে, একটি ফুলের মধুর চেয়ে বিভিন্ন ফুলের মধুর উপকারিতে বেশি কারণ এতে বিভিন্ন ফুলের উপাদান সংমিশ্রিত থাকে। তাই মধু ত্বকের জন্যেও খুবই উপকারী।

আপনি যদি ১০০ টি ফুলের মিশ্রিত মধু খেতে পারেন বা ত্বকে মাখতে পারেন তাহলে যেমন ত্বকের জন্য উপকারী ঠিক তেমনি পুষ্টির দিক থেকেও খুবই উপকার হবে। তাই ত্বক ভালো রাখতে এবং শরীরে পুষ্টি বৃদ্ধিতে মধু খাবেন বেশি বেশি।

আপনি যদি ত্বক ফর্সা করার ঘরোয়া উপায় খুঁজে থাকেন তাহলে অন্যতম প্রধান উপায় হচ্ছে মধু। আপনি যদি প্রতিদিন এক গ্লাস গরম দুধের সাথে দুই থেকে তিন চামচ মধু এবং ৩-৪ টি জাফরান গুলে নিয়ে খান তাহলে আপনার ত্বক তিন থেকে চার মাসের মধ্যে উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।

এছাড়াও প্রতিদিন সকালবেলা ভরা পেটে এক চামচ মধুর সাথে সমপরিমাণ লেবুর রস মিশিয়ে খাবেন। এটিও শরীর ও ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। আয়ুর্বেদ মতে, এই দুটি উপায় ফলো করে আপনি যদি ছয় মাস অতিবাহিত করেন তাহলে দেখা যাবে আপনার শরীর ও ত্বক আগের চেয়ে তুলনামূলক উজ্জ্বল হয়েছে।
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য মধু খুবই উপকারী। আপনি যদি আপনার তৈলাক্ত ত্বক মসৃণ ও সুন্দর করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই এই কাজগুলো সপ্তাহে একদিন করতে হবে। গোসলের পূর্বে বা যে কোন সময় আপনি ১ টেবিল চামচ তুলসীপাতার রস এবং এর সাথে সমপরিমাণ মধু নিয়ে মিশ্রিত করে ১৫ থেকে ২০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন। তারপরে ১৫-২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এভাবে প্রতি সপ্তাহে একদিন মধুর সাথে তুলসী পাতার রস মুখে মাখুন অনেক কাজে আসবে।

আবার মিশ্রিত ত্বকের জন্য আপনি মধু ব্যবহার করতে পারেন। প্রতি সপ্তাহে একবার পুদিনা পাতার সাথে মধু মিশিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রাখার পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে অন্তত ছয় মাস টানা ব্যবহার করতে থাকুন তাহলে দেখবেন এক সময় আপনার ত্বক আগের থেকে অনেকখানি উজ্জ্বল হয়ে গেছে।

কোন ভিটামিন খেলে চেহারা সুন্দর হয়

ত্বক ফর্সা করার ঘরোয়া উপায় হিসেবে ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খাবার অন্যতম মাধ্যম। তাই আপনি যদি আপনার চেহারা বা ত্বক আগের তুলনায় বেশি উজ্জ্বল করতে চান তাহলে অবশ্যই বেশি বেশি ভিটামিনযুক্ত খাবার খেতে হবে এর বিকল্প নেই।

তবে সবার মধ্যেই একটি কমন প্রশ্ন থাকে যে সব ধরনের ভিটামিন কি চেহারা সুন্দর করার জন্য উপকারী? যদি না হয় তাহলে কোন কোন ভিটামিন ত্বক ফর্সা করার জন্য উপকারী বা বেশি প্রয়োজনীয়। আপনারা আজকে আমার এই আর্টিকেলের মাধ্যমে এই সেকশনে তা জেনে যাবেন।

ত্বকের জন্য উপকারী ভিটামিন সমূহ হচ্ছে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ই। তাই আপনি আপনার ত্বক ফর্সা করতে বা চেহারার উজ্জলতা আনতে বেশি বেশি ভিটামিন সি, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ই জাতীয় খাবার গ্রহণ করুন।

ত্বক ভালো রাখতে আপনি টমেটোর জুস খেতে পারেন কারণ এতে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ এবং লাইকোপেন নামক উপাদান যা ত্বকের সুরক্ষা ও মসৃণ এবং উজ্জ্বল করতে সহায়তা করে। এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা পাশাপাশি ত্বককে বিবর্ণতা, দাগ ও ব্রণের হাত থেকে রক্ষা করে।

আশা করি সেকশনটি পাঠ করে ত্বক ফর্সা করার ঘরোয়া উপায় হিসেবে ভিটামিনের উপকারিতা বা কোন কোন ভিটামিন খেলে চেহারা ভালো হয় সে বিষয় সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা পেলেন। এখন চলুন দেখে নিই পানি খেলে কি ত্বক ফর্সা হয় কি না।

পানি খেলে কি ত্বক ফর্সা হয়

অনেকের মনে একটি প্রশ্ন সর্বদায় জাগে সেটা হচ্ছে পানি খেলে কি ত্বক ফর্সা হয়। আমি আজকে এই বিষয়টি আপনাদের মাঝে জানাবো পানি খেলে ত্বক ফর্সা হয় কি না। তাই টেনে টেনে না পড়ে এই সেকশনটি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়ুন তাহলে বুঝতে পারবেন পানি খেলে ত্বক ফর্সা হয় কি হয় না।

ত্বক ফর্সা করার ঘরোয়া উপায় গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে বেশি বেশি পানি পান করা। বেশি বেশি পানি পান করলে শরীরে পানি শূন্যতার অভাব থাকে না এবং রোগা-পাতলা দেখায় না। শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং ত্বক নরম ও মসৃণ হয়। আবার ত্বকের দাগ দূর করতে এবং ব্রণের হাত থেকে রক্ষা করে।
আশা করি এই সেকশনটি পাঠ করে আপনি বুঝতে পেরেছেন যে পানি খেলে ত্বক ফর্সা হয় কি হয় না। পানি খেলে অবশ্যই ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। ত্বক ফর্সা করার ঘরোয়া উপায় গুলোর মধ্যে এটি একটি পদ্ধতি হতে পারে। এবার চলুন দেখে নিই গরম পানি খেলে ত্বক সুন্দর হয় কিনা।

গরম পানি খেলে কি ত্বক সুন্দর হয়

অনেকের মনেই এই প্রশ্নটি জাগে তা হচ্ছে গরম পানি খেলে কি ত্বক সুন্দর হয়? অনেকে বলে থাকেন গরম পানি খেলে ত্বক সুন্দর হয় আবার অনেকে বলেন যে কিছুই হয়না। গরম পানি খেলে সত্যিই ত্বক সুন্দর হয় কিনা তা জানতে এই সেকশনটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

ত্বক ফর্সা করার ঘরোয়া উপায় হিসেবে কুসুম কুসুম গরম পানি খাওয়া বা ব্যবহার করা একটি মাধ্যম হতে পারে। কেননা কুসুম কুসুম গরম পানি খেলে অথবা মুখে ব্যবহার করলে মুখের ছোপ ছোপ দাগ থাকে সেগুলো দূর হয়। তবে অতিরিক্ত গরম পানি ব্যবহার করলে মুখের ছোপ ছোপ দাগ হয়।

আশা করি বুঝতে পেরেছেন যে অতিরিক্ত গরম পানি কখনোই মুখে ব্যবহার করা ত্বকের ক্ষেত্রে উচিত নয়। অতিরিক্ত গরম পানি ত্বককে শুষ্ক ও রুক্ষ্ম করে দেয়। তাই গরম পানির চাইতে কুসুম পানি ব্যবহার করা খুবই ভালো।

ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধোয়ার উপকারিতা

আপনি যদি নিয়মিত ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার ও ধৌত করেন তাহলে ত্বকের প্রতিটি লোমকূপ সতেজ হয়ে থাকবে। ত্বকে কখনো ময়লা জমবে না। প্রতিদিন ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করলে মুখে ব্রণ হওয়া থেকে বিরত থাকবে।
আপনি যদি প্রতিদিন নিয়মিত ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করেন তাহলে ত্বকে কোন প্রকার রোগ জীবাণু হবে না। আপনার ত্বক থাকবে সুরক্ষিত ও সুন্দর মলিন ও মসৃণ। ত্বক ফর্সা করার ঘরোয়া উপায় এর মধ্যে প্রতিদিন ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধোয়া একটি। তাই আপনার ত্বককে সুন্দর ও মসৃণ করতে প্রতিনিয়ত ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করবেন।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক আশা করি আমার এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়েছেন এবং এই আর্টিকেলটি পড়ে ত্বক ফর্সা করার ঘরোয়া উপায় জেনেছেন। ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধোয়ার উপকারিতা, কোন ভিটামিন খেলে চেহারা সুন্দর হয় এসবসহ আরো অন্যান্য উপায় সম্পর্কে জেনেছেন। আশা করি এইসব গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো আপনার অনেক উপকারে আসবে। তাই এধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বহুল আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন ,ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Rajrafi.com এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url