আধুনিক কম্পিউটার কে আবিষ্কার করেন - কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কি

আজ আমাদের আলোচনার বিষয় আধুনিক কম্পিউটার কে আবিষ্কার করেন - কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কি । কম্পিউটারের জনক হলেন বিশ্ব বিখ্যাত জিনিয়াস চার্লস ব্যাবেজ। তিনি কম্পিউটার আবিষ্কার করেন ১৯৪২ সালে। বিজ্ঞানী চার্লস ব্যাবেজ সর্বপ্রথম মেকানিক্যাল কম্পিউটার আবিষ্কার করেছিলেন। আমাদেরকে অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন আধুনিক কম্পিউটার কে আবিষ্কার করেন - কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কি এ বিষয়ে। চলুন জানা যাক আধুনিক কম্পিউটার কে আবিষ্কার করেন - কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কি এ বিষয়ে কিছু তথ্য।
আধুনিক কম্পিউটার কে আবিষ্কার করেন - কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কি
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে আধুনিক কম্পিউটার কে আবিষ্কার করেন - কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কি এ সম্পর্কে জানতে পারবেন। চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে আসি আধুনিক কম্পিউটার কে আবিষ্কার করেন - কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কি এ সম্পর্কে।

পেজ সূচিপত্রঃ আধুনিক কম্পিউটার কে আবিষ্কার করেন - কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কি

কম্পিউটার কে আবিষ্কার করেন - কম্পিউটার কাজ করে কোন পদ্ধতিতে

আধুনিক কম্পিউটার কে আবিষ্কার করেন এসম্পর্কে আজ আমরা বিস্তারিত জানব। আধুনিক কম্পিউটার কে আবিষ্কার করেন এ বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এ পোস্টে উল্লেখ করা হয়েছে। চার্লস ব্যাবেজ হলেন আধুনিক কম্পিউটারের জনক বা আবিষ্কারক। এই কথাটি পুরোপুরিভাবে সত্য নয়। কিন্তু বিজ্ঞানী চার্লস ব্যাবেজ আধুনিক কম্পিউটারের করার জন্য এনালিটিক্যাল ইঞ্জিন নামে একটি বিশেষ ধরনের ইঞ্জিন আবিষ্কার করেছিলেন। এই ইঞ্জিনের মাধ্যমে সম্পূর্ণভাবে একটি আধুনিক কম্পিউটার তৈরি করা সম্ভব ছিল কিন্তু তিনি মারা যান যার কারণে এটি আর সম্ভব হয়নি।
পরবর্তীতে জর্জ হাওয়ার্ড আইকন নামে এক বিজ্ঞানী চার্লস ব্যাবেজের তৈরি এনালিটিক্যাল ইঞ্জিন ব্যবহার করে একটি বিশেষ ধরনের ইলেকট্রিক্যাল কম্পিউটার আবিষ্কার করেন যার নাম দেন মার্ক ওয়ান। এই কারণেই জজ হাওয়ার্ড আইকন নামক বিজ্ঞানীকে ইলেকট্রিক্যাল কম্পিউটারের আবিষ্কারক হিসেবে গণ্য করা হয় এবং চার্লস ব্যাবেজ আধুনিক কম্পিউটারের জনক বলা হয়ে থাকে।

কম্পিউটার সাধারণত বাইনারি সংখ্যা (0,1) পদ্ধতি ব্যবহার করে কাজ করে থাকে। এই বাইনারি সংখ্যার bage 2 এখানে বেশ বলতে বোঝানো হয়েছে দুইটি সংখ্যাকে দুইটি সংখ্যা ব্যবহার করে সকল অংকের সমাধান করা হয়। সাধারণত বাইনারি ল্যাঙ্গুয়েজ নিম্নস্তরের বা লো লেভেল ল্যাঙ্গুয়েজের একে মেশিন ল্যাংগুয়েজ বলা হয়ে থাকে। আমরা সাধারণত কম্পিউটারকে হাই লেভেল ল্যাংগুয়েজ এ ডাটা সাপ্লাই করে যেমন কিছু হাই লেভেল ল্যাংগুয়েজ হলো সি সি প্লাস প্লাস সি শার্প পাইথন জাভা ইত্যাদি।
এই হাই লেভেল ল্যাংগুয়েজ কম্পিউটার কম্পাইলেশন এর মাধ্যমে মেশিন ল্যাঙ্গুয়েজে রূপান্তর করে বা বাইনারি সংখ্যায় রূপান্তর করে এর পরে এটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ফলাফল প্রকাশ করে পুনরায় হাই লেভেল ল্যাংগুয়েজ এ কনভার্ট করে আউটপুট মনিটরের মাধ্যমে প্রকাশ করেন।

আধুনিক কম্পিউটার কে আবিষ্কার করেন - কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কি

আমাদের এই পোস্টের প্রতিপাদ্য বিষয় আধুনিক কম্পিউটার কে আবিষ্কার করেন। চার্লস ব্যাবেজ এর মৃত্যুর পর জর্জ হাওয়ার্ড আইকন নামে বিজ্ঞানী চার্লস ব্যাবেজ এর সকল সূত্র এপ্লাই করে এবং এনালিটিক্যাল ইঞ্জিন ব্যবহার করে একটি ইলেকট্রিক্যাল কম্পিউটার আবিষ্কার করেছিলেন যার নাম তিনি দেন মার্ক ওয়ান। কম্পিউটার নেটওয়ার্ক হচ্ছে এমন একটি ব্যবস্থা যেখানে দুই বা ততোধিক কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এক সঙ্গে যুক্ত হয়ে থাকে। এই নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত কম্পিউটার গুলো একে অপরের ফাইল প্রিন্টার ও অন্যান্য তথ্য ভাগাভাগি করে ব্যবহার করে থাকে।
একটি কম্পিউটার হতে অন্য কম্পিউটারে বার্তা পাঠানো যায় একজনের ফাইল অন্যজন অ্যাক্সেস করতে পারে এছাড়া একজনের প্রোগ্রাম অন্য জন চালাতে পারে। কম্পিউটার নেটওয়ার্কে চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে যেমনঃ
  • LAN (লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক)
  • MAN (মেট্রোপলিটান এরিয়া নেটওয়ার্ক )
  • WAN (ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক)
  • PAN (ব্যাক্তিগত এরিয়া নেটওয়ার্ক)

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক এর সুবিধা - কম্পিউটার ভাইরাস কি

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক এমন এক ধরনের নেটওয়ার্ক যার মাধ্যমে একটি কম্পিউটার হতে অন্য কম্পিউটারের ফাইল অ্যাক্সেস করা যায় প্রোগ্রাম ব্যবহার করা যায় এছাড়া প্রিন্টার ব্যবহার করা যায় একটি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে একাধিক কম্পিউটারের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা সম্ভব এবং তথ্য আদান-প্রদান করা সম্ভব। কম্পিউটার নেটওয়ার্কের বিশেষ সুবিধা গুলোর মধ্যে একটি হলো এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার দুইটাই শেয়ার করা যায়।
উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে প্রিন্টার নেটওয়ার্ক সংযুক্ত কম্পিউটারের সঙ্গে যুক্ত থাকলে একাধিক ব্যক্তি এটি ব্যবহার করতে পারবে। অপরদিকে নেটওয়ার্কে ডাটা বা তথ্য স্থানান্তর গতি অনেক দ্রুত যার কারণে কাজের গতি ও অনেকবৃদ্ধি পায়। অপরদিকে পাসওয়ার্ডের মাধ্যমে যেকোনো সংবেদনশীল গুরুত্বপূর্ণ ফাইল আমরা নেটওয়ার্কের আওতায় রাখার পরেও রক্ষা করতে পারি।

কম্পিউটার ভাইরাস হল এমন এক ধরনের প্রোগ্রাম যা কম্পিউটারের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি কে নষ্ট করে দিতে পারে এবং নিজে নিজেই প্রতিরোধ তৈরি করতে পারে এইজন্যই কম্পিউটার কে রক্ষা করার জন্য বিভিন্ন ধরনের এন্টিভাইরাস বাজারে এসেছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো অ্যাভাস্ট। একটি কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে ভাইরাস যেতে পারে যদি আক্রান্ত কম্পিউটারের কাছে স্বাভাবিক কম্পিউটার নিয়ে যাওয়া হয়। এখানে উল্লেখ করা হয়েছে ব্যবহারকারী নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতে পারে বা কোন ফাইলের মাধ্যমে ইন্টারনেট এর মাধ্যমেও ছড়িয়ে দিতে পারে।
যদি নেটওয়ার্কের আওতায় কোন ভাইরাস আক্রান্ত কম্পিউটার থাকে এবং সে কম্পিউটার থেকে স্বাভাবিক কম্পিউটার প্রোফাইল ওপেন করে সে ফাইলের কাজ করে সেক্ষেত্রে ভালো কম্পিউটার ও ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। এই জন্য কম্পিউটারে এন্টিভাইরাস ব্যবহার করা উত্তম।

কম্পিউটার প্রোগ্রামিং কি - কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ

একটি নির্দিষ্ট কার্য করার জন্য এক্সিকিউটেবল কম্পিউটার প্রোগ্রাম ডিজাইন প্রক্রিয়াকেই কম্পিউটার প্রোগ্রামিং বলে। এছাড়া সোর্সকোড হলো কম্পিউটার প্রোগ্রামের একটি লিখিত রূপ। যেকোন প্রোগ্রাম তৈরি করার জন্য যিনি প্রোগ্রাম লিখলেন তাকে ডেভলপার বা প্রোগ্রামার বলে গণ্য করা হয়। যেকোনো বই লেখার সময় যেমন বিভিন্ন ভাষা ব্যবহার করা হয় যেমন বাংলা ইংরেজি জাপানি চাইনিজ ইত্যাদি তেমনি কম্পিউটারের প্রোগ্রাম তৈরির জন্য একটি নির্দিষ্ট ভাষা ব্যবহার করা হয় যেমন সি সি প্লাস প্লাস জাভা পাইথন সি সার্ফ ইত্যাদি।
প্রোগ্রামার প্রোগ্রাম রচনা করা বা লেখার সময় একটি নির্দিষ্ট ভাষা ব্যবহার করে সেই অনুযায়ী কিছু পদক্ষেপ ব্যবহার করে প্রোগ্রাম তৈরি করেন। প্রোগ্রামিং এর ভাষা ব্যবহার করে কম্পিউটারের আচার আচরণ নিয়ন্ত্রণ করা হয়ে থাকে মানুষের মুখের যেমন ভাষা রয়েছে তেমনি কম্পিউটারের ভাষা হল প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ ভাষার এক ধরনের বিশেষ ব্যাকরণ রয়েছে।ডেটাকে সুবিন্যাস্ত প্রক্রিয়া করার জন্য প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করা হয়ে থাকে এখানে বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করা যেতে পারে কম্পিউটারে।
শুধুমাত্র অ্যালগরিদম প্রকাশ করতে সক্ষম এমন ভাষাকেই কম্পিউটার ল্যাঙ্গুয়েজ বা কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ বলা যেতে পারে না সাধারণ কৃত্তিম ভাষাকেও প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ বলে বিবেচিত করা হয়।

কম্পিউটারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশের পারস্পরিক সম্পর্ক - কম্পিউটার ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা

মাদারবোর্ড কে কম্পিউটারের মা বা কম্পিউটারের প্রধান অংশ বলা হয়ে থাকে কারণ এর সঙ্গে সকল কম্পনেন্ট সংযুক্ত হয়। বর্তমান সময়ে অনেক পাওয়ারফুল মাদারবোর্ড বাজারে এসেছে মাদারবোর্ডের ক্ষমতা যত বেশি হবে হার্ডওয়ার থেকে ততো বেশি সাপোর্ট পাবে মাদার্বোর্ড এবং দ্রুত কাজ সম্পন্ন হবে৷ মূলত এ কারণেই কম্পিউটারের ভিতরে অবস্থিত মাদারবোর্ডকে কম্পিউটারের মা বলা হয়।
কম্পিউটারের যেমন সুবিধা রয়েছে তেমনি অসুবিধা রয়েছে তবে সুবিধা সবচেয়ে বেশি একটি কম্পিউটারের সুবিধার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ইন্টারনেট ইন্টারনেট ব্যবহার করে 75 শতাংশ কার্য সম্পাদন করা হয়ে থাকে পুরো বিশ্বে কম্পিউটার ব্যবহার করে অনায়াসে এসকল কার্য সম্পাদন করা যায়। ইন্টারনেট ব্যবহার করে বিশ্বের যেকোনো প্রান্তের সঙ্গে খুব সহজে যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়।
ইন্টারনেট ব্যবহার করে অনলাইন শপিং বিভিন্ন প্রান্তে থাকা বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলা চ্যাটিং গেম খেলা সিনেমা দেখা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সার্চ করা ফ্রিল্যান্সিং করা যেতে পারে কম্পিউটারের সুবিধা গুলোর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সুবিধা হলো ইন্টারনেট।

শেষ কথা

আধুনিক কম্পিউটার কে আবিষ্কার করেন - কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কি এই সম্পর্কে এই আর্টিকেলটিতে লেখা হয়েছে। এছাড়া আপনার যদি কোন আধুনিক কম্পিউটার কে আবিষ্কার করেন - কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কি এ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পোষ্ট টি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আধুনিক কম্পিউটার কে আবিষ্কার করেন - কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কি এ সম্পর্কে কারো কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমিটির মাধ্যমে সেই প্রশ্ন করতে পারেন আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন এবং নতুন আপডেট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Rajrafi.com এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url