ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ - ব্লাড ক্যান্সার থেকে বাচার ১৫ টি উপাই
আজ আমরা আলোচনা করব ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ - ব্লাড ক্যান্সার থেকে বাচার ১৫ টি
উপাই সম্পর্কে। সম্ভাব্য 30 বছর বয়সের
মধ্যেই নারী-পুরুষ যেকোনো কারো ব্লাড ক্যান্সার হতে পারে। আমাদের অনেকেই প্রশ্ন
করেন ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ - ব্লাড ক্যান্সার থেকে বাচার ১৫ টি উপাই সম্পর্কে।
তাহলে জেনে আসি ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ - ব্লাড ক্যান্সার থেকে বাচার ১৫ টি উপাই
সম্পর্কে।
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ - ব্লাড
ক্যান্সার থেকে বাচার ১৫ টি উপাই সম্পর্কে জানতে পারবেন। চলুন কথা না বাড়িয়ে
জেনে আসি ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ - ব্লাড ক্যান্সার থেকে বাচার ১৫ টি উপাই
সম্পর্কে।
পেজ সূচিপত্রঃ ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ - ১৫ টি ব্লাড ক্যান্সার থেকে বাচার উপাই
ব্লাড ক্যান্সার এর লক্ষণ
আজ আমাদের আলোচনার বিষয় হল ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ সম্পর্কে। অনেকেই জানেন না ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ সকলের জেনে রাখা উচিত কারণ এটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের জন্য অতি প্রয়োজনীয়। চলুন শুরু করা যাক আজকের বিষয়বস্তু ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ এবং ব্লাড ক্যান্সার থেকে বাঁচার 15 টি উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা।
ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ঘাড় ও পুরো শরীর ক্রমাগত
অনেক ব্যথা হওয়া ও নাক দিয়ে বা মলত্যাগের সময় প্রচুর পরিমাণে রক্ত বের হয়
এছাড়া রাতে প্রচুর পরিমাণে ঘাম ও মাথা ব্যথা ইনফেকশন হয়। ব্লাড ক্যান্সারের
বিশেষ লক্ষণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো অতিরিক্তভাবে ওজন কমে যাওয়া। উপরে
উল্লেখিত উপসর্গের মধ্যে যদি কোন উপসর্গের সঙ্গে আপনার শরীরের কোন কার্যে
মিলে যায় সে ক্ষেত্রে দ্রুত রক্ত পরীক্ষা করে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করেন।
কোন ব্যক্তির যদি ব্লাড ক্যান্সার হয় তাহলে সর্বপ্রথম কিছু সিমটমস হল মুখ
গলা টক ফুসফুসের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হওয়া। হাড় বা পেশিতে ব্যথা
অনুভব করা ব্লাড ক্যান্সারের প্রথম লক্ষণগুলোর মধ্যে অন্যতম। উল্লেখিত আয়াতে
ক্যানসারের কোষ এর ভর অস্থি তৈরি হতে পারে যার ফলে হাত পা পিঠে যন্ত্রণার মতো
সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের হাট-বাজারের
ব্যথা হতে পারে ক্যান্সারের চিকিৎসার পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার কারণে।
উল্লেখিত বিকিরণ বা কেমোথেরাপির জন্য এই সমস্যাগুলো হতে পারে। এখানে বিকিরণ
শব্দটি এক্সরে এর কথা নির্দেশ করে।
ক্যান্সার থেকে বাচার ১৫ টি উপাই
সাধারণত অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় বংশগত কারণে শরীরে ক্যান্সারের সৃষ্টি হতে
পারে। এছাড়া জীবনযাত্রার প্রক্রিয়া ও নিয়ন্ত্রণের কারণে ক্যান্সার হতে
পারে শরীরে। এছাড়া আমাদের শরীরে নিয়মিত ও সময়মতো খাদ্য অভ্যাস এর মাধ্যমে
ও পরিমাণমতো ঘুম প্রদানের মাধ্যমে শরীরকে ভালো রাখা সম্ভব কিন্তু
অনিয়ন্ত্রিতভাবে ওজন বৃদ্ধি পেলে খাবারে রোডসাইড খাদ্য বেশি গ্রহণ করলে বা
ফাস্টফুড বেশি খেলে শরীরে ক্যান্সার দেখা দিতে পারে।
ডাক্তারদের মতে নিরাপদ খাদ্য গ্রহণ না করলে এ সমস্যা বৃদ্ধি পায়। যে সকল
খাবারে বিভিন্ন ধরনের রং বা ফরমালিন ব্যবহার করা হয় সে সকল খাদ্য গ্রহণের
ফলে ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেক পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এছাড়া মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্য
ক্যান্সারের মূল অস্ত্র হিসেবে কাজ করে এটি শরীরে অতি দ্রুত ক্যান্সার সৃষ্টি
করে এ ছাড়া আমরা যে সকল টেস্টিং সল্ট খাদ্য ব্যবহার করে থাকি খাদ্যের স্বাদ
বৃদ্ধির জন্য বিশেষজ্ঞদের মতে এটা এক প্রকার ক্যান্সারের রোগ বহনকারী
মারনাস্ত্র।
ক্যান্সার এমন এক ধরনের মরণব্যাধি যা শরীরে খুব আস্তে আস্তে ছড়ায় তবে কিছু
সচেতনতার মাধ্যমে এটি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। যদি বংশগতভাবে কারো
ক্যান্সারের সম্ভাবনা থাকে সেক্ষেত্রে তাকে প্রথম থেকেই খুব সাবধানতা অবলম্বন
করতে হবে যেমন বাইরের খাবার এড়িয়ে চলা ফাস্টফুড না খাওয়া ওজন অতিরিক্ত
মাত্রা বৃদ্ধি হতে না দেয়া এবং শরীরকে সবসময় সতেজ এবং ফরমালিন বিহীন খাদ্য
অভ্যাস অভ্যস্ত করে তোলা।
এছাড়া আমরা অনেক সময় দেখে থাকি অনেকে ফ্রিজের খাবার বা মেয়াদোত্তীর্ণ
খাবার অসচেতনতার সাথে খেয়ে থাকেন এটি শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর এবং এটি
ক্যান্সারের রোগ বহন করতে পারে।বেশিরভাগ সময় দেখা যায় যে আমরা বাজার থেকে যে কোন মসলার প্যাকেট কিনে
সেটা বাসায় নিয়ে এসে বোতল এবং জাত করি এ সময় মসলার প্যাকেট এর সঙ্গে
উল্লেখিত এক্সপায়ার ডেট এর কাগজ ফেলে দেই সে সময় আমরা বুঝতে পারি না যে
আমরা কত বড় ভুল করেছি কারণ একসময় এই মসলার মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেলে তার
পরেও আমরা তা খাবারের সঙ্গে খেতে থাকে এটি শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
এটি ক্যান্সারের সৃষ্টি করতে পারে আমাদের শরীরে কারণ একটা সময় পর্যন্ত
আমাদের শরীর ক্যান্সারের রোগ প্রতিরোধ করতে পারে নিয়মিত যদি জীবানুযুদ্ধ
খাদ্য গ্রহণ করা যায় সে ক্ষেত্রে তার এন্টি বডি খুবই দুর্বল হয়ে পড়ে সেই
কারণে শরীরে ক্যান্সার দেখা দেয়। এছাড়া বাচ্চাদের দেখা যায় বর্তমান
সময়ে মোবাইল বেশি ব্যবহার করে থাকে এটি শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
এছাড়া মহিলারা গ্রামে দিকে এটি বেশি দেখা যায় যে লাকড়ির চুলায় রান্না
করে বা কাঠ পড়ে সে ক্ষেত্রে পরিবেশে প্রচুর পরিমাণে কার্বন ডাই-অক্সাইড
সৃষ্টি হয় যা কাশির তৈরি করে এটি আসলে কোন সাধারন কোন কাশি না এটি
ক্যান্সারের রোগ বহন করে এই কারণে মহিলাদের এ বিষয়ে সচেতন থাকা উচিত।
ব্লাড ক্যান্সার থেকে বাঁচার 15 টি উপায় নিচে দেওয়া হলঃ
- ফাস্টফুড খাওয়া হতে বিরত থাকা ।
- নিয়মিত ব্যায়াম করা ।
- টাটকা এবং ফরমালিনমুক্ত শাকসবজি ফল গ্রহণ করা ।
-
অতিরিক্ত মাত্রায় ওজন বৃদ্ধি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা ।
- টেস্টিং সল্ট খাদ্যের ব্যবহার না করা ।
- রোডসাইড খাদ্য হতে বিরত থাকা।
- মদ সিগারেট গ্রহণ হতে বিরত থাকা ।
-
লাকড়ি জ্বালিয়ে মাটির চুলাতে রান্না করা হতে বিরত থাকা কারণ এটি
ক্যান্সার এর মূল কারন গুলোর মধ্যে একটি ।
- অতিরিক্ত মাত্রায় মোবাইল না চালানো ।
- শরীরে নিয়মিত সাত ঘণ্টা ঘুম প্রদান করা।
- প্রতি ছয় মাস পর পর শরীর পরীক্ষা করানো।
-
বাইরের খাবার হতে নিজেকে যতটা সম্ভব বিরত রাখার চেষ্টা করা।
- মাসে অন্তত তিন থেকে চারদিন কলিজা খাদ্য গ্রহণ করা।
- খাদ্যের মধ্যে লাউ সংযুক্ত করা।
- অন্তত 30 মিনিট করে প্রতিদিন ইয়োগা করা।
ব্লাড ক্যান্সার চিকিৎসা
গবেষকদের মতে ব্লাড ক্যান্সার বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে তবে ব্লাড
ক্যান্সারের ধরন যদি একবার নির্ণয় করা যায় সে ক্ষেত্রে এর চিকিৎসা অনেক
উচ্চমানের করা সম্ভব। ব্লাড ক্যান্সারের চিকিৎসা হলো কেমোথেরাপি রেডিও
থেরাপি ইত্যাদি। অপরদিকে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই রোগ নির্ণয়ের জন্য
অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন করা হয়ে থাকে। চিকিৎসকরা বলেন বাচ্চাদের
লিম্ফব্লাস্টিক লিউকেমিয়া হলে 70 থেকে 80 শতাংশ ক্ষেত্রে এটি নিরাময় করা
খুবই সহজ।
এছাড়া প্রাপ্তবয়স্কদের তীব্র লিউকোমিয়ার ক্ষেত্রেও ফোরটি শতাংশ থেকে
শুরু করে ফিফটি পার্সেন্ট পর্যন্ত নিরাময় করা সম্ভব। ডাক্তারদের মতে যে
সমস্ত ক্ষেত্রে ব্লাড ক্যান্সার সম্পূর্ণভাবে নিরাময় করা যায় না সে
ক্ষেত্রে এলজে নিক বা অটো গ্লাস প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দিয়েছেন এটির
মাধ্যমে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর আয়ু আরও 15 থেকে 20 বছর বেড়ে যেতে
পারে।
ব্লাড ক্যান্সার কিভাবে হয়
মূলত লিউকেমিয়াকে আমরা ব্লাড ক্যানসার বলে থাকি। এই ক্যান্সারটি সাধারণত
সিলেট রক্তকণিকার ক্যান্সার অনেকে একে রক্তের ক্যানসার ও বলে থাকে। বন্মারও
বা অস্থিমজ্জার মাধ্যমে রক্ত কোষ তৈরি হয় এরপরে ধাপে ধাপে পরিপক্ক হয়ে
অবশেষে এটি রক্তে আসে। তাছাড়া কোনো কারণে অতিরিক্ত মাত্রায় বা অস্বাভাবিক
ভাবে যদি রক্ত কোষ তৈরি হয় তাহলে সেগুলো ভালোভাবে পরিপক্ক হতে পারে না যা
আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
এতে প্রচুর অপরিপক্ক ও অস্বাভাবিক রক্তপ্রবাহ শুরু হয়ে যায় এবং এর মধ্যে
শ্বেতকণিকা বেশি আক্রান্ত হয়ে পড়ে এই অপরিপক্কতার। বিজ্ঞানীদের কাছে
ব্লাড ক্যান্সার কেন হয় এটি আজও অজানা ও রহস্যে ঘেরা। তবে গবেষকদের মতে
বিভিন্ন ধরনের তেজস্ক্রিয় তার প্রভাব রাসায়নিক বর্জ্য ধূমপান রাসায়নিক
রং ও ভাইরাস ইত্যাদির জন্য মানবদেহে ব্লাড ক্যান্সার দেখা দেয়। এগুলোর
কারণে কোষ বিভাজনে অসাভাবিক উল্টাপাল্টা সংকেত প্রবাহিত হয়ে থাকে।
তবে একদল ডাক্তার এর মতে ব্লাড ক্যান্সার ছোঁয়াচে বা ছোঁয়ার মাধ্যমে
সংক্রমিত হতে পারে ব্লাড ক্যান্সার ছোট-বড় যেকোনো কারো হতে পারে এটি
হওয়ার কোন নির্ধারিত বয়স লিমিট নেই।
ব্লাড ক্যান্সার চিকিৎসা
সাধারণত তীব্র ক্যান্সারে আক্রান্ত ব্যক্তির ক্যান্সার নিরাময়ের জন্য রোগ
নির্ণয়ের জন্য আমরা সাধারণত অস্থিমজ্জার পরীক্ষা বা সিস্টমেটিক পরীক্ষা করে
থাকি। ভারতের প্রায় 20 হাজার শিশু প্রতি বছর এই ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত
হয়ে থাকে।ডাক্তার চক্রপাণি ক্যান্সারের চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে কথা বলতে
গিয়ে জানান ব্লাড ক্যান্সার এমন এক ধরনের রোগ যার নির্ণয় করা গেলে খুব সহজেই
এটি চিকিৎসার মাধ্যমে ভালো করা সম্ভব।
ক্যান্সার চিকিৎসা গুলোর মধ্যে চিকিৎসার মধ্যে অন্যতম হলো কেমোথেরাপি
ইমিউনোথেরাপি রেডিও থেরাপি ইত্যাদি।
শেষ কথা
আপনারা যদি ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ - ব্লাড ক্যান্সার থেকে বাচার ১৫ টি উপাই
সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তাদের জন্য উপরের পোস্ট টি লেখা হয়েছে।এছাড়া আপনার
যদি ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ - ব্লাড ক্যান্সার থেকে বাচার ১৫ টি উপাই সম্পর্কে
জানতে চান তাহলে এই পোষ্ট টি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ - ব্লাড ক্যান্সার থেকে বাচার ১৫ টি উপাই সম্পর্কে কারো কোন প্রশ্ন থাকলে
আমাদের কমিটির মাধ্যমে সেই প্রশ্ন করতে পারেন আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন এবং
নতুন আপডেট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।
Rajrafi.com এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url