ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার - আঁশযুক্ত খাবার গুরুত্বপূর্ণ কেন
আজ আমরা জানবো ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার এবং আঁশযুক্ত খাবার গুরুত্বপূর্ণ কেন এ
সম্পর্কে কিছু তথ্য। আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে অনেকেই প্রশ্ন করেন ফাইবার সমৃদ্ধ
খাবার - আঁশযুক্ত খাবার গুরুত্বপূর্ণ কেন এ সম্পর্কে। দ্রবণীয় আঁশযুক্ত খাবারের
মধ্যে রয়েছে টমেটো সিম মোতাছিম বার্লি ফল সবজি ইত্যাদি এগুলো শরীরের বিভিন্ন
ধরনের সমস্যা দূর করে থাকে যেমন ডায়াবেটিকস কলেজ ট্রল ব্লাড প্রেসার ইত্যাদি।
চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে আসি ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার - আঁশযুক্ত খাবার
গুরুত্বপূর্ণ কেন সম্পর্কে।
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার - আঁশযুক্ত
খাবার গুরুত্বপূর্ণ কেন এ সম্পর্কে জানতে পারবেন। চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার - আঁশযুক্ত খাবার গুরুত্বপূর্ণ কেন এ সম্পর্কে।
পেজ সূচিপত্রঃ ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার - আঁশযুক্ত খাবার গুরুত্বপূর্ণ কেন
- আঁশযুক্ত খাবারের উপকারিতা - প্রতিদিন কি পরিমাণ আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করা উচিত
- আঁশযুক্ত খাবার গুরুত্বপূর্ণ কেন - আঁশযুক্ত শাক কি কি
- আঁশযুক্ত খাবার কাকে বলে - হজম হয় না এমন আঁশযুক্ত খাবারের প্রয়োজনীয়তা
- আঁশযুক্ত খাবারের তালিকা - ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার
- আঁশযুক্ত ফল কি কি - আমাদের শরীরে কেন ফাইবার প্রয়োজন
আঁশযুক্ত খাবারের উপকারিতা - প্রতিদিন কি পরিমাণ আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করা উচিত
প্রায় সকলেরই জানা যে ফাইবার কতটা গুরুত্বপূর্ণ আমাদের জন্য। ডাক্তাররা ওজন
কমাতে রক্তের শর্করা বা চর্বি কমাতে হৃদযন্ত্র অথবা হাটের ক্যান্সার সমস্যা দূর
করার জন্য আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। উদ্ভিদ থেকে প্রচুর
পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায়। সাধারণত ফাইবার দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় এই দুই ভাবে
শরীরে প্রবেশ করে থাকে। এটি আমাদের শরীরের অতিরিক্ত চর্বি নিষ্কাশনে রক্ত
পরিষ্কার রাখায় বিশেষভাবে ভূমিকা পালন করে থাকে। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার ওজন কমাতে বিশেষভাবে ভূমিকা পালন করে থাকে।
নিয়মিত ফাইবারের গ্রহণের মাধ্যমে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর হয় মৌলের পরিমান
বৃদ্ধি হয় কোলন ক্যান্সার সহ জটিল বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া
যায়।এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে বিশেষভাবে ভূমিকা পালন করে থাকে।বর্তমান সময়ে ক্যান্সার শব্দটি মানুষের একটি আতঙ্কের কারণ এই ক্যান্সার
সাধারণত ফাইবার জাতীয় খাদ্য গ্রহণ না করার কারণে হয়ে থাকে।
এছাড়া খাদ্যের আঁশ যুক্ত থাকলে স্তন ক্যান্সারের মতো রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া
যায়। শরীর সুস্থ রাখার জন্য নিয়মিত পরিমিতভাবে আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করা
উচিত।একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে 40 গ্রাম আর যুক্ত
খাদ্য গ্রহণ করা উচিত তবে সবকিছুই অতিরিক্ত শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর অতিরিক্ত যদি
আঁশযুক্ত খাদ্য গ্রহণ করা হয় সে ক্ষেত্রে খাদ্যের বিভিন্ন পুষ্টি যেমন
ক্যালসিয়াম আয়রন ইত্যাদি শোষণে শরীরকে বাধা প্রদান করে এই ফাইবার।
যে সকল খাদ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো
খোসাসহ নাশপাতি খোসাসহ আপেল বার্লি জরদানা মসুর ডাল মটর শুটি ফল শাকসবজি
খাদ্যশস্য ডাল ইত্যাদি প্রচুর পরিমাণে আঁশ বিদ্যমান থাকে।
আঁশযুক্ত খাবার গুরুত্বপূর্ণ কেন - আঁশযুক্ত শাক কি কি
ওজন কমাতে শর্করা চর্বি জাতীয় সকল শারীরিক সমস্যা দূর করতে এবং বৃহদান্ত্রের
ক্যান্সার-সহ ব্রেস্ট ক্যান্সার দূর করতে ফাইবার যুক্ত খাবারের জুড়ি মেলা ভার।
উদ্ভিদ থেকে প্রচুর পরিমাণে আঁশ যুক্ত খাবার গ্রহণ করা সম্ভব আমাদের একটু জানতে
হবে যে কোন কোন খাবারে ফাইবার বিদ্যমান রয়েছে। সাধারণত দুইভাবে শরীরে আঁশযুক্ত
খাবার প্রবেশ করে থাকে একটি হলো দ্রবণীয় ভাবে অপরটি হল অদ্রবণীয় ভাবে তো যে সকল
খাবারে আমরা প্রচুর পরিমাণে আঁশ পেয়ে থাকি সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো কচুশাক
মিষ্টি আলু কলমি শাক পুদিনাপাতা মুলার শাক ইত্যাদি।
অপেক্ষাকৃত বেশি পরিমাণে পাওয়া যায় যেসকল সবজিতে সেগুলো হলো শজনে ডাঁটা
বাঁধাকপি ফুলকপি ওলকপি পটল বরবটি মটরশুঁটির ইত্যাদি। আঁশ জাতীয় ফলের মধ্যে
উল্লেখযোগ্য হলো বেল পেয়ারা কদবেল আমরা আতাফল নারকেল কালোজামের মধ্যে রয়েছে
প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। আরো কিছু ফাইবার জাতীয় ফল হল গ্রাম কামরাঙ্গা পাকা টমেটো
পাকা আম পাকা কাঁঠাল আপেল ও আমলকির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আঁশ থাকে।
বিভিন্ন ধরনের ডাল যেমন মটরের ডাল মুগ ডাল ছোলার ডাল খেসারি ডালের মধ্যে প্রচুর
পরিমাণে ফাইবার বিদ্যমান রয়েছে এটি একটি পাচারের মূল উৎস।শর্করার মধ্যে রয়েছে
জব ভুট্টা কাঁচামরিচ ও সরিষা তে আশ।এসকল খাবার অতি সহজলভ্য এ সকল খাবার সাধারন
বাজারে পাওয়া যায় অপরদিকে একটু শরীরের দিকে খেয়াল রেখে আপনি ইচ্ছা করলে আপনার
শরীরকে সুস্থ রাখতে পারেন ফাইবার জাতীয় খাবার গ্রহণের মাধ্যমে গতানুগতিক আংশিক
ভুল খাদ্যাভ্যাসের কারণে শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ে। ভুল খাদ্যাভ্যাসের কারণে শরীরের
মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।
আঁশযুক্ত খাবার কাকে বলে - হজম হয় না এমন আঁশযুক্ত খাবারের প্রয়োজনীয়তা
যা আমাদের শরীর হজম করতে পারে না কিন্তু শরীরের জন্য অতি কার্যকরী ভূমিকা পালন
করে থাকে আঁশযুক্ত খাবার বলে। আমাদের শরীরের দুই ধরনের ফাইবার গ্রহণ করে থাকে
একটি হলো দ্রবণীয় আরেকটি হলো অদ্রবণীয় ফাইবার। এইসকল ফায়ার আমরা শাকসবজি
শস্যদানা বাদাম বীজ সহ বিভিন্ন ধরনের খাদ্যদ্রব্য থেকে পেয়ে থাকি।
আমিতো পরিমিতভাবে আমরা যদি আর যুক্ত খাবার গ্রহণ করি তাহলে শরীর কে বিভিন্ন ধরনের
রোগের আক্রমণ থেকে রক্ষা করা যায়। যদিও আমরা সকলেই জানি যে আর জাতীয় খাবার হজম
করতে পারে না এটি শুধুমাত্র শরীরের অভ্যন্তরীণ শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এদের
কোন ধরনের ক্যালরি থাকে না যদিও। তারপরও আমরা এগুলো পর্যাপ্ত পরিমাণে খায় কারণ
এগুলো অন্ত্রের পিসির জন্য শক্তি বৃদ্ধি করে কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে হয়েছে
ফাইবার। অন্ত্রের শক্তি বৃদ্ধির ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া
যায়।
আঁশযুক্ত খাবারের তালিকা - ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার
আজ আমরা জানবো ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার সম্পর্কে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার এর গুরুত্ব আমাদের জীবনে অপরিসীম। আর সমৃদ্ধ খাবার গুলোর মধ্যে রয়েছে শাক কচু শাক মিষ্টি আলুর শাক কলমি শাক
পুদিনাপাতা পুঁইশাক মুলাশাক ডাটা শাক লাউ ও মিষ্টি কুমড়া শাকের প্রচুর পরিমাণে
আঁশ বিদ্যমান রয়েছে।প্রচুর পরিমাণে আঁশ বিদ্যমান রয়েছে বা বলা যেতে পারে
অপেক্ষাকৃত সকল কিছুর চেয়ে বেশি আঁশযুক্ত সবজির মধ্যে রয়েছে কাঁচা কলার মোচা
ডাটা বাঁধাকপি ফুলকপি ওলকপি পটল বেগুন বরবটি মটরশুঁটি সহ বিভিন্ন প্রকার ডাল
ইত্যাদি।এছাড়া বিভিন্ন ধরনের খালের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আঁশ থাকে যেমন
পেয়ারা আমড়া নারকেল ইত্যাদি। এছাড়া রয়েছে কামরাঙ্গা পাকা টমেটো পাকা আম
পাকা কাঁঠাল আপেল আমলকির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আঁশ।
অদ্রবণীয় আঁশযুক্ত খাবারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সিম জাতীয় খাবার মটরশুটি
সিম ডাল বরবটি ফল-সবজি কমলা আপেল গাজর ইত্যাদি। তবে একটি রিসার্চ দেখা গেছে
অদ্রবণীয় ফাইবারের থেকে দ্রবণীয় ফাইবারের উপকারিতা অনেক বেশি। এছাড়া নিয়মিত
ফাইবার যুক্ত খাদ্য গ্রহণের ফলে কোলেস্টরলের মাত্রা কমে যায় সীমিত থাকে ওজন
কমাতে সাহায্য করে এছাড়া ক্যান্সারের মতো মরণ ব্যাধি থেকে রক্ষা পায়।
আঁশযুক্ত ফল কি কি - আমাদের শরীরে কেন ফাইবার প্রয়োজন
আজ আমরা জানবো যুক্ত ফল কি কি এ সম্পর্কে এবং ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার সম্পর্কে।আঁশ জাতীয় ফল গুলো হল পেয়ারা কদবেল আমরা আতাফল নারকেল কালোজা ইত্যাদি। এছাড়া
গাভ কামরাঙ্গা পাকা টমেটো পাকা আম পাকা কাঁঠাল আপেল আমলকির মাঝে প্রচুর পরিমাণে
আঁশ বিদ্যমান থাকে। মটর ছোলা খেসারির ডালের মধ্যে বেশি পরিমাণে আঁশ পাওয়া যায়
বলে বিবেচিত। কার্বোহাইড্রেট প্রোটিন ফ্যাট ভিটামিন মিনারেল পর্যাপ্ত পরিমাণে
জরুরি তেমনি পেট পরিষ্কার রেখে শক্ত ও কাঠামো তৈরিতে ফাইবার জাতীয় খাদ্যের জুড়ি
মেলা ভার।
আমরা সকলেই জানি দুই ধরনের হয়ে থাকে একটি হলো দ্রবণীয় অপরটি হলো অদ্রবণীয়
ফাইবার। ফাইবার শরীরের সকল সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে এছাড়া মরণব্যাধি
ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। পায়ের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে শরীর
সুস্থ রাখার জন্য অ্যান্টিবডি করার ক্ষমতা।
শেষ কথা
আপনারা যদি ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার - আঁশযুক্ত খাবার গুরুত্বপূর্ণ কেন এ সম্পর্কে
জানতে চেয়েছেন তাদের জন্য উপরের পোস্ট টি লেখা হয়েছে।এছাড়া আপনার যদি ফাইবার
সমৃদ্ধ খাবার - আঁশযুক্ত খাবার গুরুত্বপূর্ণ কেন এ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই
পোষ্ট টি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন এবং নতুন
আপডেট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।
Rajrafi.com এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url