হার্ট অ্যাটাক থেকে বাচার উপায় - হার্ট অ্যাটাক এর লক্ষন

আজ আমাদের আলোচনার বিষয় হল হার্ট অ্যাটাক থেকে বাচার উপায় - হার্ট অ্যাটাক এর লক্ষন।  আমাদেরকে অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন হার্ট অ্যাটাক থেকে বাচার উপায় - হার্ট অ্যাটাক এর লক্ষন সম্পর্কে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক হার্ট অ্যাটাক থেকে বাচার উপায় - হার্ট অ্যাটাক এর লক্ষন সম্পর্কে।
হার্ট অ্যাটাক থেকে বাচার উপায় - হার্ট অ্যাটাক এর লক্ষন
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে হার্ট অ্যাটাক থেকে বাচার উপায় - হার্ট অ্যাটাক এর লক্ষন সম্পর্কে জানতে পারবেন। চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে আসি হার্ট অ্যাটাক থেকে বাচার উপায় - হার্ট অ্যাটাক এর লক্ষন সম্পর্কে।

পেজ সূচিপত্রঃ হার্ট অ্যাটাক থেকে বাচার উপায় - হার্ট অ্যাটাক এর লক্ষন 

হার্ট অ্যাটাক থেকে বাচার উপায়

আমাদের এই পোস্টের মেইন বিষয় হলো হার্ট অ্যাটাক থেকে বাচার উপায়। পুরো পোস্টটি পড়লে আপনি হার্ট অ্যাটাক থেকে বাচার উপায় সম্পর্কে অনেক তথ্য জানতে পারবেন তাহলে চলুন শুরু করা যাক হার্ড এটাক থেকে বাচার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ে আসি। প্রতিদিন সর্বনিম্ন 7 ঘণ্টা ঘুম সুস্থ থাকার জন্য খুব প্রয়োজন আমাদের শরীরের। এই নিয়মিত 7 ঘণ্টা ঘুম আপনার শরীরের জন্য এতটাই প্রয়োজন যে এটা না হলে আপনি মানসিক চাপে থাকবেন আর যদি সাত ঘণ্টা ঘুম আপনার শরীর পায় তাহলে মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। নিয়মিত শরীরচর্চা করলে শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে যার কারণে রাতে ঘুম ভালো হয়।
এছাড়া নিয়মিত ব্যায়াম করার কারণে রক্তকণিকা সুস্থ থাকে শরীরে অ্যান্টিবডি বৃদ্ধি পায় শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এছাড়া নিয়মিত এক্সারসাইজ করার কারণে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব খুব সহজে। এছাড়া নিয়মিত যোগ ব্যায়াম করার মাধ্যমে হার্ট সুস্থ থাকে। এছাড়া নিয়মিত সর্বনিম্ন 30 মিনিট হাঁটতে হবে এবং সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন শরীরচর্চা করতে হবে তাহলে শরীর সুস্থ থাকবে। ধূমপান ও মদ্যপান শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর এই জন্য ধূমপান ও মদ্যপান ছেড়ে দিতে হবে।

এছাড়া প্রতিদিনের খাবারে প্রোটিন কার্বোহাইড্রেট আর ফ্যাটের পরিমাণ যেন পরিমাণমতো থাকে তাহলে শরীর সুস্থ থাকবে এবং এই খাবার গুলো কি স্বাস্থ্যকর খাবার বলা হয়। নিয়মিত সতেজ ফল ও শাকসবজি খেতে হবে। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড রয়েছে এমন মাছ প্রতিদিনের খাবারে রাখতে হবে। এছাড়া লবণ মিষ্টি ও লাল মাংস অর্থাৎ গরু খাসি মহিষ এর মাংস খাওয়া হতে বিরত থাকুন।

হার্ট ব্লক থেকে বাঁচার উপায় 

এছাড়া খাদ্যাভ্যাস ও অনিয়মিত শরীরচর্চার ফলে দেহের কোলেস্টেরলের মাত্রা স্বাভাবিক থাকে। এছাড়া আম আহাটে কোলেস্ট্রল জমলে স্ট্রোকের সম্ভাবনা অনেক শতাংশ বেড়ে যায় এজন্য খাদ্যাভ্যাসের স্বাভাবিক খাদ্য গ্রহণ করা উচিত। হৃদযন্ত্রে অতিরিক্ত মাত্রায় ফ্যাট জমলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা অনেকগুণ বেড়ে যায়।এই অবস্থায় ডায়েটে নিয়মিত এই খাবারগুলো রাখলে হার্ট ব্লকেজ এর সমস্যা অনেকাংশে দূর করা সম্ভব।

নিয়মিত লাউ খেলে মোটা হওয়া থেকে শরীরকে রক্ষা করে এছাড়াও হার্ট ব্লকেজ এর সমস্যাও দূর করে থাকে। লাউ সেদ্ধ করে তার সঙ্গে ধনে গুঁড়ো হলুদ ও ধনেপাতা মিশিয়ে সপ্তাহে অন্তত দুইবার খেলে হার্ট ভালো থাকে বলে একটি দৃশ্যে দেখা গেছে।দুধ আমলকি এবং আমলা চূর্ণ ও দুধের সঙ্গে মিশিয়ে প্রতিদিন এক গ্লাস করে খেলে হার্টের সমস্যা দূর হয়ে যায়।

রসুন শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ দূর করে শরীরকে সুস্থ রাখে এজন্য রসুনের আচার ভার্সন যেকোনো ভাবে খেতে পারেন এতে শরীর সুস্থ থাকবে। এছাড়া নিয়মিত রসুন খেলে মানুষের কোলেস্টরেলের লেভেল অনেকাংশে কমে যায়।নিয়মিতভাবে জলের সঙ্গে এক বা দুই কোয়া রসুন খাওয়া যায় তাহলে এটি হার্ট এর জন্য খুবই উপকারী একটি প্রাকৃতিক রেমেডি বা মহা ঔষধি। রসুনে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হার্টের সমস্যা দূর করে থাকে।
এছাড়া নিয়মিত লেবু পানি পান করলে কোলেস্টরলের বিভিন্ন সমস্যা দূর হয়ে যায় এবং শরীর থাকে কোলেস্টরেল ফ্রী। লেবুতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হার্ট ব্লকেজ এর অনেক অংশ কমিয়ে দেয় যার ফলে শরীর থাকে ফ্রি এবং ফিট এছাড়া যদি প্রতিদিন সকালে গরম পানির সঙ্গে লেবু মিশিয়ে খাওয়া যায় সেক্ষেত্রে শরীর খুব অসুস্থ থাকে।

হার্ট অ্যাটাক এর লক্ষন

চিকিৎসকদের মতে হঠাৎ বুকে ব্যথা করা আচমকা হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ। এছাড়া বুকে যদি ব্যথা না হয় সে ক্ষেত্রে অস্বস্তি বোধ হওয়া এটির অন্যতম লক্ষণ বলে বিবেচিত। হার্ট অ্যাটাকের কিছু লক্ষণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো বুকে কাঁপুনির মত অনুভূতি হওয়া হার্টবিট বেড়ে যাওয়া বুকে হাল্কা কিছু হয়ে যাওয়ার মতো অনুভূতি শ্বাসকষ্টের সমস্যা অজ্ঞান হয়ে যাওয়া হার্ট অ্যাটাকের কারন গুলোর মধ্যে অন্যতম।

যারা অতিরিক্ত ওজন সম্পন্ন ব্যক্তি তাদের এবং যাদের একবার হার্ট অ্যাটাক হয়ে গেছে তাদের এ বিষয়ে খুবই সচেতন থাকতে হবে। এছাড়া যে সকল ব্যক্তির সতর্ক থাকা উচিত যাদের করোনারি ধমনী প্রথম থেকেই সমস্যা রয়েছে। এছাড়া যাদের ডায়াবেটিস হাইপারটেনশন ঘুমানোর সমস্যা রয়েছে তাদের অবশ্যই এই ভাবে সতর্ক থাকা উচিত। এছাড়াও মদ্যপান ধূমপান খাওয়া থেকে দূরে থাকা উচিত কারণ এইগুলো শরীরের জন্য ক্ষতিকর শারীরিক কসরত এর পরিমাণ বাড়িয়ে নিতে হবে যদি শরীর সুস্থ রাখতে হয়।

সার্জারি ছাড়া হার্ট ব্লক খোলার উপায়

সিএবি জি হলো ভারতের কার্ডিয়াক সার্জন দের দ্বারা ব্যবহৃত সম্প্রতি তম কৌশল গুলোর মধ্যে একটি। এটি হার্টের ভাল্ব রোগ এবং অন্যান্য জন্মগত অবস্থায় তার মতো অবস্থান নির্ণয় করতে এটি সাহায্য করে। পিটিসি এ এমন একটি প্রক্রিয়া যা সাধারণত এনেসথেসিয়া দ্বারা করা হয়। ডক্টর ত্বকের নিচে একটি সাইট তৈরী করে এবং এর বিরুদ্ধে স্থানে একটি ক্যাথেটার ঢোকানো হয়।
এটি সাইটে পৌঁছালে সার্জেন্ট বহুবার বেলুনকে স্ফীত করে এবং রিফ্লেক্ট করে যা লেকটিকে সংকুচিত করে এবং ধমনী টি খুলে দেয়। এছাড়া আন্টিও প্লাস্টিক নামক পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে স্ট্যান্ড উপস্থাপন করা যেতে পারে। এছাড়াও স্ট্যান্ডগুলি রক্তনালী অক্ষম রাখতে এবং মসৃণ রক্তপ্রবাহে সক্ষম করতে সাহায্য করে। এছাড়া এই স্ট্যান্ড কখনো কখনো ওষুধের সাথে লেফযুক্ত হতে পারে।

হাট ব্লক বুঝার উপায়

হৃদপিন্ডে যদি এর বেশি পরিমাণ ব্লক থাকে সে ক্ষেত্রে হৃৎপিণ্ডের সমস্যা দেখা দিতে পারে। লক্ষণ হল ব্যথা আস্তে আস্তে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠার সময় বুকে ব্যথা থাকলে ব্যথা কমে যায়। এছাড়া এসময় দম নিতে কষ্ট হয় যদি হাটে কোন সমস্যা থাকে। এছাড়া বুকে ধড়ফড় ও জ্বালাপোড়া শুরু হয়ে যায় গলা কপাল ও মাথায় প্রচুর পরিমাণে ঘাম বের হয়।

এছাড়া নিচের দিকে হেলে কিছু করার সময় অথবা ভারী কিছু এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে যাইতে হলে বুকে খুব কষ্ট হয়।এছাড়া সবসময় খাবার হজম না হওয়ার মতো অস্বস্তি লাগে। এছাড়া হার্ট অ্যাটাকের পূর্ব লক্ষণ হলো রক্তনালীতে চর্বি জাতীয় পদার্থ ধীরে ধীরে জমা হতে থাকে যা রক্ত প্রবাহ কমিয়ে দেয়। এছাড়া ধীরগতিতে শরীর স্ট্রোকের দিকে ধাবিত হয়। 
এছাড়া যেমন ধরুন একটি ব্লগ 10% থেকে বৃদ্ধি পেতে পেতে 80 পার্সেন্ট এর পৌঁছাতে ব্যাক্তিদের 10 থেকে 30 থেকে 40 বছর সময় লাগে তেমনি যদি নিয়মিত ব্যায়াম করা হয় তাহলে স্ট্রোকের এই ভয় থাকে না। তাই বলা যেতেই পারে সুস্থ থাকার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম ও হাট অ্যাটাকের লক্ষণ থেকে বাঁচার জন্য ফাস্টফুড ও রেড মিট খাওয়া হতে বিরত থাকা উচিত।

শেষ কথা

আপনারা যদি হার্ট অ্যাটাক থেকে বাচার উপায় - হার্ট অ্যাটাক এর লক্ষন সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তাদের জন্য উপরের পোস্ট টি লেখা হয়েছে।এছাড়া আপনার যদি হার্ট অ্যাটাক থেকে বাচার উপায় - হার্ট অ্যাটাক এর লক্ষন সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পোষ্ট টি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হার্ট অ্যাটাক থেকে বাচার উপায় - হার্ট অ্যাটাক এর লক্ষন সম্পর্কে কারো কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমিটির মাধ্যমে সেই প্রশ্ন করতে পারেন আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন এবং নতুন আপডেট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Rajrafi.com এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url