পেঁয়াজের উপকারিতা ও অপকারিতা - পেঁয়াজ খেলে কি হয়

আজ আমরা জানবোপেঁয়াজের উপকারিতা ও অপকারিতা - পেঁয়াজ খেলে কি হয় সম্পর্কে। পেঁয়াজে এমন কিছু উপাদান বিদ্যমান থাকে যা ক্যানসার প্রতিরোধে বিশেষভাবে কার্যকর ভূমিকা প্রদান করে। আমাদের কাছে অনেকে প্রশ্ন করে থাকেন পেঁয়াজের উপকারিতা ও অপকারিতা - পেঁয়াজ খেলে কি হয় সম্পর্কে। কাঁচা পেঁয়াজ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে অনেক উপকারী একটি ঔষধি বলা চলে। চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে আসি পেঁয়াজের উপকারিতা ও অপকারিতা - পেঁয়াজ খেলে কি হয় সম্পর্কে।
পেঁয়াজের উপকারিতা ও অপকারিতা - পেঁয়াজ খেলে কি হয়
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে পেঁয়াজের উপকারিতা ও অপকারিতা - পেঁয়াজ খেলে কি হয় সম্পর্কে জানতে পারবেন। চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে আসি পেঁয়াজের উপকারিতা ও অপকারিতা - পেঁয়াজ খেলে কি হয় সম্পর্কে।

পেজ সূচিপত্রঃ পেঁয়াজের উপকারিতা ও অপকারিতা - পেঁয়াজ খেলে কি হয়

পেঁয়াজের তেল বানানোর উপায় - পেঁয়াজের উপকারিতা ও অপকারিতা

বিস্তারিত আলোচনা করা হবে এই পোস্টে পেঁয়াজের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।পেঁয়াজে এমন এক বিশেষ ধরনের উপাদান রয়েছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। পেঁয়াজের মধ্যে অবস্থিত ভিটামিন সি এবং ক্যালসিয়াম মুখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী তবে কাঁচা পেঁয়াজ খেলে মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। আজ আমরা শিখব পেঁয়াজের তেল বানানোর উপায় সর্বপ্রথম আমাদের পেজটি মোটামুটি করে কেটে নিতে হবে। এরপরে সেই কাটা পেঁয়াজের সঙ্গে কারিপাতা যোগ করতে হবে পাশাপাশি দুইটি কে একসঙ্গে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিতে হবে।
আপনি ইচ্ছা করলে আলাদাভাবে ব্লেন্ড করে নিতে পারেন তবে এক্ষেত্রে আপনাকে একটু পানি ব্যবহার করা যাবে না। এরপরে যে সে কড়াই বসিয়ে তার ওপরে কিছু পরিমাণ নারকেল তেল দিয়ে দেন। এরপরে সেই নারকেল তেলের মধ্যে ব্লেন্ড করা পেঁয়াজ এবং কারিপাতা ঢেলে দিন। মিশ্রণটি ভালোভাবে তেলের মধ্যে নাড়াচাড়া করে হাই পাওয়ারে গরম করে নিন ততক্ষণ পর্যন্ত যতক্ষণ পর্যন্ত তেল না ফুটতে শুরু করে। এরপরে আজ কমিয়ে দিন এবং 10 মিনিটের জন্য রান্না করুন।

তবে বলে রাখা ভাল পেঁয়াজের উপকারিতা ও অপকারিতা দুটি রয়েছে। এখন চুলা বন্ধ করে দিন। চুলা বন্ধ করে দেওয়ার পরে লক্ষ করুন তেল কালো বর্ণের হয়ে গেছে। এরপরে তিলগুলো 8 থেকে 10 ঘণ্টা থান্ডা হওয়ার জন্য রেখে দিতে হবে। এরপরে ছাঁকনির সাহায্যে সেকে বোতলজাত করা যেতে পারে। এরপরে আপনার অর্গানিক পেঁয়াজের তেল প্রস্তুত হয়ে যাবে। সপ্তাহে অন্তত দুইবার এটি ব্যবহার করুন। পেঁয়াজে এমন অনেক উপাদান বিদ্যমান থাকে যা ক্যানসার প্রতিরোধে বিশেষ কার্যকরী ভূমিকা রাখে। কাঁচা পেঁয়াজের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এই জন্য কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়ার পরামর্শ দেন ডাক্তাররা।
এমন কিছু বিশেষ উপাদান রয়েছে পেঁয়াজের মধ্যে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকাংশে বৃদ্ধি করে। পেঁয়াজে বিদ্যমান ভিটামিন-সি ক্যালসিয়াম যা মুখের স্বাস্থ্য রক্ষায় অনেক কাজ করে থাকে। অপরদিকে কাঁচা পেঁয়াজ অতিরিক্ত খেলে আপনার স্বাস্থ্য নষ্ট হতে পারে। কাঁচা পেঁয়াজ এ প্রচুর পরিমাণ গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ বিদ্যমান থাকে। এছাড়া পেঁয়াজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা অনেকেই ভালোভাবে হজম করতে পারে না। এমন সময় অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। এই জন্য কোন কিছুই প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাওয়া ঠিক নয় পেঁয়াজ শরীরের জন্য উপকারী যদি তা প্রয়োজনমাফিক গ্রহণ করা যায়।

নতুন চুল গজাতে পেঁয়াজের রসের ব্যবহার দেখুন - কোন ভিটামিন চুল গজাতে সাহায্য করে

নতুন চুল গজাতে পেঁয়াজ যেভাবে কাজ করে তা হল পেঁয়াজের রস বের করে একটি বাটিতে সর্বপ্রথম নিতে হবে। এরপরে রস গুলোকে হাতের সাহায্যে মাথায় বা স্কাল্পে ভালোভাবে লাগান। এরপরে 30 মিনিট মাথায় রাখার পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে শ্যাম্পু করে ফেলুন। পেঁয়াজের রস একইভাবে সাতদিন যদি মাথার স্কাল্পে ব্যবহার করে থাকেন তাহলে আপনি এর কার্যকারিতা বুঝতে পারবেন।

আয়রন চুলের স্বাস্থ্য রক্ষায় বিশেষভাবে ভূমিকা রাখে আর পেঁয়াজে বিদ্যমান ভিটামিন-সি দেহের এর প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান যেমন আয়রন শোধনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আমাদের শরীরের অন্যতম একটি উপাদান হলো কোলাজেন পেঁয়াজে বিদ্যমান ভিটামিন-সি কোলাজেন তৈরিতে সাহায্য করে যা চুলকে করে মজবুত ও ঘন এবং এর ফলে চুল পড়া বন্ধ হয়।মটরশুটি খাবারগুলো উদ্ভিদ আমিষ এর একটি অংশ যা চুলের বৃদ্ধির জন্য খুবই উপকারী।
এসকল খাদ্য উপাদানের প্রচুর পরিমাণে বিদ্যমান রয়েছে চিংশা চুলের ক্ষয় পূরণ বৃদ্ধিসাধন করতে সাহায্য করে। ডাল মটর শুটি সহ ডাল জাতীয় সকল খাদ্য উপাদানের প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান রয়েছে যা চুলের সুরক্ষায় অনেকাংশেই বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

পেঁয়াজের তেলের উপকারিতা - পেঁয়াজের তেল ব্যবহারের নিয়ম

চুলের বৃদ্ধির জন্য সবচেয়ে বেশি উপকারী হলো পেঁয়াজের তেল এটি মাথার পিএইচ এর মান কে বজায় রাখতে সাহায্য করে। পেঁয়াজের তেল নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। পেঁয়াজের তেল ত্বককে সুস্থ রাখতে বা স্কাল্পকে সুস্থ রাখতে এবং মাথার বিভিন্ন শিরা-উপশিরায় রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখতে সাহায্য করে।  পেতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে এবং চুলকে ঘন করে।
এছাড়া চুলকে কন্ডিশন ইন করতে এটি অনেক বড় ভূমিকা রাখে।পিয়াজের তেলে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা এন্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে যা ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করে থাকে এবং খুশকি হওয়ার প্রবণতা অনেকাংশে কমিয়ে দেয়নিয়মিত পেঁয়াজের তেল মাথায় মালিশ করলে মাথার ত্বক আর্দ্র এবং কন্ডিশনিং হয়ে থাকে যা মাথার চুল কে ধীরেধীরে ঘন করে তোলে।

ফলে চুলের রুক্ষতা শুষ্কভাব কমার পাশাপাশি চুলের বৃদ্ধি অনেকাংশে বেড়ে যায়।নিয়মিত চুলে পেঁয়াজের তেল বা পেঁয়াজের রস ব্যবহারে চুল পাকা অনেকাংশে কমে যায় এতে রয়েছে ভিটামিন খনিজ লবণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা মাথার ত্বকের পিএইচ এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং চুলের পক্ষতা ধীরে ধীরে কমিয়ে আনে।পেঁয়াজের তেল লাগানোর জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে চুলগুলো দুই ভাগে ভাগ করে নিতে হবে। এরপরে এমনভাবে তেল লাগাতে হবে যেন চুলের গোড়ায় ভালোভাবে পৌঁছায়।
এরপর হালকাভাবে স্কাল্পের গোড়ায় মেসেজ করতে হবে যেন ভালোভাবে চুল তেলুগুলো শোষণ করতে পারে। সঠিক নিয়ম মেনে এটি করলে চুল হবে ঘন এবং নরম।পেঁয়াজের তেল ব্যবহারে ত্বকের গভীরে গিয়ে এটি চুলকে কন্ডিশন করতে সাহায্য করে। শুষ্ক চুলের জন্য এটি একটি খুবই উপকারী এবং কার্যকারী রেমিডি। পেঁয়াজের তেল নিয়মিত ব্যবহারে চুলের রুক্ষভাব অনেকাংশেই কমে যায় এবং চুলের গোড়া মজবুত। পেঁয়াজের তেল নিয়মিত ব্যবহারে চুলের খুশকি অনেকাংশেই কমে যায়।

পেঁয়াজের রস মাথায় দিলে কি হয় - পিয়াজ খেলে কি হয়

একটি রিসার্চে দেখা গেছে পেঁয়াজের রস এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা চুলের গ্রোথ বাড়াতে সাহায্য করে থাকে। এছাড়া পেঁয়াজের রস আরও বিভিন্ন ধরনের গুনাগুন বিদ্যমান রয়েছে। পেঁয়াজের রস অথবা পেঁয়াজের তেল চুলে ব্যাবহার করলে চুলের পেকে যাওয়ার সমস্যা কমে যায়। পেঁয়াজের রসের রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা হাইড্রোক্সাইড এর মাত্রা থেকে কমিয়ে দেয় এবং চুলকে ঘন করতে সাহায্য করে। যার কারণে অনেকাংশেই চুল পাকা বন্ধ হয়।
এটি রক্ত চলাচল নিয়ন্ত্রণ রাখতে বিশেষভাবে কার্যকর ভূমিকা রাখে। হার্টের সমস্যা দূর হয়।হজম শক্তি বৃদ্ধির জন্য পেঁয়াজ একটি ভাল রেমিডি। খাবার হজমের জন্য এনজাইম বাড়াতে সাহায্য করে থাকে। ফলে অতি দ্রুত খাবার হজম হয় এবং এটি নিয়মিত করতে থাকলে হজম শক্তি অনেকবৃদ্ধি পায়।

চুলের জন্য পেঁয়াজের উপকারিতা ও অপকারিতা - চুলের যত্নে পেঁয়াজের তেল

চুলের জন্য পেঁয়াজের উপকারিতা অনেক। এটি নিয়মিত ব্যবহারে মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় এবং চুল অতি দ্রুত ঘন হয়ে ওঠে। চুলের গোড়া সুস্থ রাখার জন্য এবং খুশকি দূর করার জন্য বিশেষভাবে উপকারী একটি রেমেডি।  পেঁয়াজের রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা চুল ঘন করে তোলে এছাড়া এটি চুলের গোড়ায় গিয়ে চুলকে কন্ডিশন করে তোলে।এতে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ যা মাথার ত্বক সুস্থ রাখে বিভিন্ন ভাইরাসের সংক্রমণ হতে রক্ষা করে।
বিভিন্ন গবেষণায় উল্লেখিত হয়েছে যে পেঁয়াজের রস চুলকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। চুল পেকে যাওয়ার আশঙ্কা কমিয়ে দেয়। এতে রয়েছে এমন এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা হাইড্রো অক্সাইড এর পরিমাণ অনেক কমিয়ে দেয়। যার ফলে চুল পেকে যাওয়ার আশঙ্কা কমে। 

শেষ কথা

আপনারা যদি পেঁয়াজের উপকারিতা ও অপকারিতা - পেঁয়াজ খেলে কি হয় সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তাদের জন্য উপরের পোস্ট টি লেখা হয়েছে।এছাড়া আপনার যদি পেঁয়াজের উপকারিতা ও অপকারিতা - পেঁয়াজ খেলে কি হয় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পোষ্ট টি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন এবং নতুন আপডেট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Rajrafi.com এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url