গণঅভ্যুত্থান দিবস কবে পালিত হয় - ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান
আজ আমরা জানবো গণঅভ্যুত্থান দিবস কবে পালিত হয় - ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কে। আমাদের
অনেকের কমেন্টের মাধ্যমে প্রশ্ন করে থাকেন গণঅভ্যুত্থান দিবস কবে পালিত হয় - ৬৯
এর গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কে । চলুন জেনে আসি গণঅভ্যুত্থান দিবস কবে পালিত হয় - ৬৯
এর গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কে।
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে গণঅভ্যুত্থান দিবস কবে পালিত হয়
- ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কে জানতে পারবেন। চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে
গণঅভ্যুত্থান দিবস কবে পালিত হয় - ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কে।
পেজ সূচিপত্রঃ গণঅভ্যুত্থান দিবস কবে পালিত হয় - ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান
গণঅভ্যুত্থান কত সালে হয় - গণঅভ্যুত্থান দিবস কত তারিখ
আজ আমরা জানবো গণঅভ্যুত্থান দিবস কবে পালিত হয় এর সম্পর্কে। গণঅভ্যুত্থান দিবস কবে পালিত হয় এটি অনেকেরই প্রশ্ন জেগে থাকে এবং ছোটদের এটি জেনে রাখা উচিত। প্রতিবছর 24 জানুয়ারি পালিত হয় জাতীয়ভাবে গণঅভ্যুত্থান দিবস। এছাড়া পূর্ব
পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার আগে স্বায়ত্তশাসনের ১৯৬৯ সালের
গণঅভ্যুত্থান হয়েছিল যাতে অনেকেই শহীদ হন এই শহীদদের স্মরণে এই দিনটি প্রতিবছর
সরকারি ভাবে পালিত হয়।
গণঅভ্যুত্থান দিবস হলো বাংলাদেশে ২৪ জানুয়ারি উদযাপিত
একটি জাতীয় দিবস।১৯৬৯ সালের 24 শে জানুয়ারি আন্দোলনের বিরুদ্ধে পুলিশের
ছোঁড়া গুলিতে নবকুমার ইনস্টিটিউশন এর একাদশ শ্রেণির ছাত্র মতিউর রহমান মল্লিক
ও রিকশাচালক নিহত হয়েছিলেন । এই হত্যাকাণ্ডের পর এর পুরো দেশে আন্দোলন ছড়িয়ে
পড়ে যার ফলে স্বায়ত্তশাসক আইয়ুব খান এর পতন হয়।
গণঅভ্যুত্থান দিবস কবে পালিত হয় - ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান
চলুন শুরু করা যাক গণঅভ্যুত্থান দিবস কবে পালিত হয় এ সম্পর্কে। ১৯৬৯ সালের 24 শে জানুয়ারি বাংলার ছাত্র-জনতা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে মানুষের
অধিকার আদায়ের সংগ্রাম করে এক নতুন দিগন্তের সূচনা করে গেছে। শহর থেকে গ্রাম
সব স্থানেই মানুষের একটাই যাবি আমাদের 11 দফা মানতে হবে পথে পথে বের হয় মিছিল।
17 থেকে 24 জানুয়ারি পর্যন্ত পুরো দেশে বিভিন্ন জায়গায় এলোপাতাড়ি পুলিশ
গুলি চালায় এতে অনেকে মারা যান তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো মনির মতিউর অনেকে।
এই দিনে আইয়ুব খানের পতন এর জন্য ছাত্র-জনতা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল
বের করে এবং যৌক্তিক পরিণতি এই দিনে মেলে। পুরো এক সপ্তাহের দীর্ঘ আন্দোলনের পর
24 জানুয়ারি স্বৈরাচারী সরকার পিছু হটতে শুরু করে সেই দিনের স্মৃতি স্মরণে 970
সাল থেকে আজ পর্যন্ত 24 জানুয়ারি গণঅভ্যুত্থান দিবস হিসাবে পালন হয়ে আসছে।
বাংলার ইতিহাসে ১৯৬৯সালের গণঅভ্যুত্থান এক তাৎপর্যপূর্ণ মাইলফলক হয়ে থাকবে
সারা জীবন। 52 সালের ভাষা আন্দোলন বাঙালির মুক্তির সনদ 6 দফা আন্দোলন পরবর্তীতে
11 দফা আন্দোলন ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতায় বাঙালি জাতির মুক্তির
স্বাদ গ্রহণ করেছে।
এই আন্দোলন দমন করার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ আরো অনেকের নামে
ষড়যন্ত্র করে আগরতলা মামলা করা হয়েছিল। এই মামলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর
রহমানকে আটক করা হয় 69 সালের গণঅভ্যুত্থানে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে তথা
স্বাধীন বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিক মুক্তিসংগ্রামের এক গুরুত্বপূর্ণ
অধ্যায় শুরু হয়েছিল সেই সময় থেকে। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় ছিলেন
আইয়ুব খান এই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে তিনি ক্ষমতাচ্যুত হন।
গণঅভ্যুত্থান মানে কি -গণঅভ্যুত্থান কেন হয়েছিল
এক কথায় বলতে গেলে অভ্যুত্থান বলতে ক্ষমতাচ্যুত করা কে বোঝায় অর্থাৎ অবৈধভাবে
রাষ্ট্রপ্রধান এর বিরুদ্ধে কোনো গোষ্ঠী বা একটি সমাজকে জাগিয়ে তুলে জোরপূর্বক
পদত্যাগ করতে বাধ্য করার প্রক্রিয়া কে গণঅভ্যুত্থান বলে। ১৯৬৯ সালের 24 শে
জানুয়ারি এক বিরাট হরতাল সৃষ্টি হয় এই দিন আইয়ুব খানের পতন এর জন্য জনগণ
তীব্রভাবে ময়দানে নেমে পড়ে যার ফলে বাধ্য হয়ে আইয়ুব খান পদত্যাগ করেন।
১৯৬৬ সালের ঐতিহাসিক 6 দফা আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর
রহমান হলে স্বাধীনতা আন্দোলনের গতি আরো তীব্র হয়ে পড়ে। পাকিস্তান শাসকেরা এটি
প্রতিহত করার জন্য আগরতলা মামলা ষড়যন্ত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে
প্রধান আসামি করেন এসময় পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ ১৯৬৯ সালে 24 শে জানুয়ারি
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তি এবং আইয়ুব খানের পদত্যাগের জন্য জোরালো
মিছিল বের করেন।
সেই মিছিলে পুলিশ এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে যার কারণে অনেকেই মারা যান এছাড়া এই
গুলি ছোড়ার কারণে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ থেকে হরতাল তীব্র আকার ধারণ করে যার ফলে
আইয়ুব খানকে পদত্যাগ করতে হয় এবং এটি বাংলার ইতিহাসে একটি মাইলফলক হিসেবে
সারা জীবন বিবেচিত হয়ে থাকবে।
গণঅভ্যুত্থান কত সালে হয় - ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের ফলাফল
গণঅভ্যুত্থান পালন করা হয় .১৯৬৯ সালের 24 শে জানুয়ারি থেকে স্বৈরশাসক আইয়ুব
খানের পদত্যাগের জন্য বাংলার মানুষ হরতাল শুরু করে যার ফলে পুলিশ সে হরতালে
গুলি চালায় এবং অনেকেই মারা যান যার ফলে বাঙালিরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে এবং
মারাত্মক আকার ধারণ করে দেশে অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল সেই সময়
সবশেষে ১৯৬৯ সালের 24 শে জানুয়ারি আইয়ুব খানের পদত্যাগ এর মধ্য দিয়ে হরতাল
সমাপ্ত হয়।
১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান ছিল একটি স্বতস্ফূর্ত গণআন্দোলন যার মধ্যে সঙ্গে যুক্ত
ছিলেন ছাত্র-শিক্ষক শ্রমিক সহ অনেক পেশার মানুষ ছয় দফা 11 দফা দাবি মানার মধ্য
দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পথ চলা শুরু হয়েছিল। স্বৈরশাসক আইয়ুব খান এই
গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে পদচ্যুত হয়েছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধে গণঅভ্যুত্থানের ভূমিকা -গণঅভ্যুত্থানের ঘটনা প্রবাহ
১৯৬৯ গণঅভ্যুত্থানের ঘটনাটি বাঙালি জাতির ইতিহাসে অন্যতম একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা
হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে । ছাত্ররা 11 দফা এবং আওয়ামী লীগের 6 দফার ভিত্তিতে
শিক্ষার সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি সংসদীয় গণতন্ত্র পরিবর্তন জরুরি আইন প্রত্যাহারের
দাবিতে ছাত্র জনতার আন্দোলন শুরু করেছিলেন।
কিন্তু সেই সময়কার তৎকালীন পাকিস্তান সরকার ছাত্রসমাজের 11 দফা এবং আওয়ামী
লীগের 6 দফা রাষ্ট্রবিরোধী দাবি হিসেবে ঘোষণা করে দিয়েছিলেন পরবর্তীতে আগরতলা
মামলা সাজিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার
করেছিলেন।
এই মামলার কারণে বাংলাদেশের ছাত্রজনতা আন্দোলন ফেটে পড়ে যার পরে ধীরে ধীরে এ
আন্দোলন গণঅভ্যুত্থানে পরিণত হয়েছিল। 11 দফা ছয় দফা দাবি পরবর্তীতে ১৯৬৯
সালের দেশব্যাপী তীব্র আন্দোলন যখন শুরু হয় তখন এটি গণঅভ্যুত্থানের আকার ধারণ
করেছিল যার পরে আইয়ুব খান পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।
শেষ কথা
আপনারা যদি গণঅভ্যুত্থান দিবস কবে পালিত হয় - ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কে
জানতে চেয়েছেন তাদের জন্য উপরের পোস্ট টি লেখা হয়েছে। এছাড়া আপনার যদি
গণঅভ্যুত্থান দিবস কবে পালিত হয় - ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কে জানতে চান
তাহলে এই পোষ্ট টি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গণঅভ্যুত্থান দিবস কবে পালিত
হয় - ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কে কারো কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমিটির
মাধ্যমে সেই প্রশ্ন করতে পারেন আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন এবং নতুন আপডেট পেতে
আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।
Rajrafi.com এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url