দোল পূর্ণিমা পূজার নিয়ম - দোল পূর্ণিমা ২০২৩
আজ আমরা জানবো দোল পূর্ণিমা পূজার নিয়ম - দোল পূর্ণিমা ২০২৩ সম্পর্কে। হিন্দু ধর্ম অনুসারে শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু জন্মগ্রহণ করেন ১৪৮৬ সালের এই
পূর্ণিমা তিথিতে। আমাদের অনেকেই জিজ্ঞাসা করে থাকেন দোল পূর্ণিমা
পূজার নিয়ম - দোল পূর্ণিমা ২০২৩ সম্পর্কে। চলুন জেনে আসি দোল পূর্ণিমা
পূজার নিয়ম - দোল পূর্ণিমা ২০২৩ সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে দোল পূর্ণিমা পূজার নিয়ম - দোল
পূর্ণিমা ২০২৩ সম্পর্কে জানতে পারবেন। চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে আসি দোল পূর্ণিমা
পূজার নিয়ম - দোল পূর্ণিমা ২০২৩ সম্পর্কে।
পেজ সূচিপত্রঃ দোল পূর্ণিমা পূজার নিয়ম - দোল পূর্ণিমা ২০২৩
দোল রঙের উৎসব - দোল পূর্ণিমা ২০২৩
-
দোল পূর্ণিমা ২০২৩ সালের ৮ তারিখ বুধবার এ অনুষ্ঠিত হবে।
বৈষ্ণদেবের কথামতো দোল পূর্ণিমার দিনে কৃষ্ণ আবেগ নিয়ে শ্রীরাধা ও অন্যান্য
গোপিদের সঙ্গে রং খেলায় মেতেছিল। সেই সময় থেকেই দোল খেলার যাত্রা শুরু
হয়েছিল ১৪৮৭ সালের ১৮ই ফেব্রুয়ারি দোল পূর্ণিমা তিথিতে এর শ্রীচৈতন্য
মহাপ্রভুর জন্মগ্রহণ কে কেন্দ্র করেও এই মহা উৎসব পালন করা হয়।
এই তিথিতাকে গৌণ পূর্ণিমা বলা হয় এছাড়া শ্রীকৃষ্ণ ও তার সঙ্গী সাথীরা
গোপীদের সঙ্গে রং খেলার অনুষ্ঠানে দোলযাত্রা মূল কেন্দ্রবিন্দু। শ্রীকৃষ্ণের
মহান দিলাম কবে থেকে শুরু হয়েছে তাকেও না জানলেও বিভিন্ন গ্রন্থে মধুর রঙিন
কাহিনী উল্লেখিত রয়েছে। হিন্দু ধর্মের বিভিন্ন পুরাতন বইয়ে প্রায় দুই
হাজার বছর আগে ইন্দ্রদ্যুম্নের দ্বারা গোকুলধামে হোলি খেলার প্রচলন চালু
হয়েছে বলে জানা যায় তবে ইতিহাস বলছে প্রাচীন ভারতে ইন্দ্রদ্যুম্নর নাম
একাধিক বার রয়েছে।
এই ইন্দ্রদ্যুম্ন নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে। এছাড়া বসন্ত পূর্ণিমার এই বিশেষ
দিনে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ঐশী নামে একজন অসুর কে বধ করেছিলেন যিনি ছিলেন একজন
অত্যাচারী নিষ্ঠুর ও সুর। অত্যাচারী অসুরকে দমন করার জন্য এবং অত্যাচারী
শত্রুকে ধ্বংস করার জন্য আনন্দ উৎসব হিসেবে এই দিনটি বিশেষভাবে পালিত হয়ে
আসছে হিন্দুদের মাঝে।
এছাড়া ছিল খুব ধার্মিক তাই তাকে হত্যা করা খুব একটা সহজ ছিল না কোনভাবেই
তাকে হত্যা করা যাচ্ছিল না। হিরণ্য কলসিপু তখন তার ছেলেকে পুড়িয়ে মারার
নির্দেশ দিয়েছিল অন্যদিকে ও হোলি কা আগুনে কোনদিন ক্ষতি হবে না এবার
পেয়েছিল বলে জানা যায় বিভিন্ন গ্রন্থ থেকে। তাই প্রহ্লাদকে হত্যা করার জন্য
ও হোলিকা সিদ্ধান্ত নেয় সে প্রহ্লাদকে নিয়ে আগুনে ঝাঁপ দেবে এবং সে
প্রহ্লাদকে কোলে নিয়ে একদিন আগুনে ভাব দিয়ে দেয়।
দোল উৎসবের তাৎপর্য - দোল পূর্ণিমা পূজার নিয়ম
আজ আমরা জানবো দোল পূর্ণিমা পূজার নিয়ম সম্পর্কে। হিন্দু হিসাবে প্রতিটি
হিন্দুর জানা উচিত দোল পূর্ণিমা পূজার নিয়ম সম্পর্কে দোল পূর্ণিমা পূজার
নিয়ম আজ আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব। দোল উৎসবের জন্য ফাল্গুনী পূর্ণিমাকে
দোল পূর্ণিমা বলা হয় এছাড়া এই পূর্ণিমা তিথিতে এই চৈতন্য এবং জন্ম বলে
পূর্ণিমা নামে অভিহিত করা হয়ে থাকে।
দোল উৎসবটির মধ্যে একটি ধর্মনিরপেক্ষ দিক রয়েছে এই দিনে সকাল থেকে নারী
পুরুষ নির্বিশেষে আবির ও বিভিন্ন প্রকার রং নিয়ে খেলা করেন। শান্তিনিকেতনে
বিশেষ নৃত্য সংগীতের মাধ্যমে বসন্তের উৎসব পালনের রীতি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর
সময়কাল থেকেই হয়ে আসছে দোলের পূর্ব দিন খট বাস ইত্যাদি জ্বালিয়ে এক বিশেষ
উৎসবের আয়োজন করা হয়ে থাকে।
এই বড় উৎসবটি হোলিকা দহন বা ন্যাড়া পোড়া নামে পরিচিত উত্তর ভারতে হোলি
উৎসবটি বাংলা দোলযাত্রার পর দিন পালিত হয়ে থাকে এছাড়া বৈষ্ণব দিবস অনুযায়ী
ফাল্গুনী পূর্ণিমা বা দোল পূর্ণিমার দিন এর বৃন্দ বানে শ্রীকৃষ্ণের রাধিকার
সঙ্গে এবং অন্যান্য গোপিদের সঙ্গে হোলি খেলায় মেতে ছিলেন। সেই সময় থেকে সেই
ঘটনা থেকে দোল খেলার উৎপত্তি হয় দোলযাত্রার দিন সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে
উঠতে হয় তাই রাধা ও কৃষ্ণর বিগ্রহ আবির ও গোলালে করে দোলায় চড়িয়ে কীর্তন
গান সহকারে শোভাযাত্রা বের করা হয়।
এরপর ভক্তগণ আবির ও গুলাল নিয়ে পরস্পর রং খেলেন দোল উৎসবের সঙ্গে ফাল্গুনী
পূর্ণিমা কে দোল পূর্ণিমাও বলা হয়ে থাকে। এই পূর্ণিমার তিথিতে মহাপ্রভুর
জন্ম বলে কি গৌর পূর্ণিমা বলা হয়ে থাকে।
দোল উৎসবের ইতিহাস - হোলি খেলা
বৈষ্ণবদের বিশ্বাস অনুযায়ী ফাল্গুনী পূর্ণিমা বা দোল পূর্ণিমার দিন বৃন্দাবনে
শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব ঘটে এবং আবির ও গুলাল নিয়ে রাধিকা ও অন্যান্য কবিদের
সঙ্গে তিনি রং খেলায় মেরেছিলেন সেই ঘটনা থেকে দোল খেলার উৎপত্তি হয় বসন্ত এসে
গেছে আর বসন্ত মানেই হলো দোলযাত্রা। সাধারণত দোলযাত্রা মূলত একটি হিন্দু বৈষ্ণব
উৎসব হিসাবে বিবেচিত হয়ে থাকে তাহলেও সর্ব ধর্মের মানুষ বেশি এর মধ্য দিয়ে
উৎসবের আসল প্রাপ্তি ঘটে থাকে এই উৎসবে অপর নাম বসন্ত উৎসব।
ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে দোলযাত্রা অনুষ্ঠিত হয় এটি সকলেরই জানা আবিরে
ভেসে যাওয়া রঙের খেলা বাঙালির ঐতিহ্য ইতিহাস ইতিহাসে শ্রীকৃষ্ণ শ্রীচৈতন্য এর
জন্ম হিসাবে পালিত হয়। মূলত দোল উৎসবের প্রাণকেন্দ্র হল রাধা কৃষ্ণের জুটি
তাদের দোলনায় বসিয়ে পূজা করা হয় উত্তর ভারতের যেটি হলি নামে পরিচিত বঙ্গ
দেশে তার পরিচিতি নাম হল দল।
আমরা ইতিহাস থেকে জানতে পারি ভারতবর্ষের পূর্বাঞ্চলে প্রাচীন এরাবিয়ান জাতির
কাছ থেকে এই উৎসবের জন্ম ও হলে উদযাপনের ইতিহাস ঘটেলে জানা যায় এই
খ্রিস্টানদের কয়েকশো বছর আগ থেকে হোলি উদযাপন হয়ে আসছে। এই উৎসবের নমুনা
পাওয়া যায় খ্রীষ্ট জন্মেরও প্রায় ৩০০ বছর আগে পাথরের খোদাই করা একটি
ভাস্কর্য থেকে এই উৎসবের উল্লেখ রয়েছে হিন্দু, পবিত্র গ্রন্থ বেদ এবং পুরানেও
৭০০ শতকে দিকে রাজা হর্ষবর্ধনের সময়ে সংস্কৃত ভাষা লেখা একটি প্রেমের
নাটিকাতেও হোলি উৎসবের বর্ণনা রয়েছে।
বর্তমান সময়ে বিভিন্ন প্রাচীন মন্দিরের গায়ে হোলি খেলার বিভিন্ন ধরনের প্রমাণ
পাওয়া যায় ইংরেজরা প্রথম দিকে এই উৎসবকে রোমান উৎসব ও ল্যাপের কারিয়া হিসেবে
মনে করেছিল অনেকে আবার একে গ্রিকদের উৎসব ব্যাকা নালিয়া এর সঙ্গে তুলনা করতেন
বলে অনেক পুরাতন গ্রন্থ হতে জানা যায়। একটি গ্রন্থ রয়েছে যার নাম বাদশা এনে
কামসূত্র যা রচিত হয়েছিল তৃতীয় চতুর্থ শতকে তাতে এই উৎসবে উল্লেখ আছে এ
কামসূত্রে দুয়া বসে আহাম্মদ প্রমোদের কথা আমরা জানতে পারি।
দোল পূর্ণিমার ইতিহাস - রাধা কৃষ্ণের হোলি খেলা
বৈষ্ণবদের বিশ্বাস অনুযায়ী ফাল্গুনী পূর্ণিমা বা দোল পূর্ণিমার দিন
বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণ ও তার রাধা এছাড়া অন্যান্য গোপিদের সঙ্গে হোলি খেলায়
মেতে ছিলেন। তখন থেকে শুরু হয় এই হোলি খেলা এরপরে ভক্তরা আবির ও গোলাল নিয়ে
পরস্পর রং খেলেন দোল উৎসবের অনুষ্ঠান নিয়ে ফাল্গুন পূর্ণিমাকে দোল পূর্ণিমা
বলা হয় আবার এই পূর্ণিমা তিথিতেই চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্ম বলে পূর্ণিমা নামেও
অভিহিত করা হয়ে থাকে অনেক গ্রন্থে।
দোল যাত্রার উৎসবের মধ্যে একটি ধর্মনিরপেক্ষ দিক রয়েছে এই দিন সকাল থেকে
নারী পুরুষ নির্বিশেষে আবির ও গোলাল বিভিন্ন প্রকার রং নিয়ে খেলায় মত্ত
হয়ে পড়ে এ শান্তিনিকেতনের বিশেষ নিত্য সংগীতের মধ্যে বসন্ত উৎসব পালনের
রীতি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সময়কাল থেকে চলে আসছে। এক বিশেষ উৎসবের আয়োজন করা
হয়ে থাকে এই উৎসব নামে পরিচিত।
উত্তর ভারতে হোলি উৎসবটি বাংলার দোলযাত্রার পর দিন পালিত হয়ে থাকে রাধা ও
কৃষ্ণের এই রং নিয়ে খেলা হলি বা দোলযাত্রা হিসেবে পালিত হয় ভারতের বাইরে
কিংবদন্তিটি কিছু আমেরিকান ভারতীয় বংশভূত সম্প্রদায় দেখা যায় যেমন গায়া
না এবং তিনি দেখা যায়।
কৃষ্ণের চরিত্র - দোল পূর্ণিমা কেন পালন করা হয়
শ্রীকৃষ্ণ বা কৃষ্ণ হলেন পরম সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পরম মহাপুরুষ বা ভগবান
পুরান অনুযায়ী তিনি ভগবান বিষ্নুর অষ্টম অবতার তাকে সর্বোচ্চ ঈশ্বর উপাধিতে
ভূষিত করা হয়ে থাকে বলে জানা যায় এবং তিনি হিন্দু গ্রন্থ ও ভগবত গীতা এর
প্রবর্তক প্রতি বছর ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে তার জন্ম উৎসব
পালন করা হয়ে থাকে।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৈষ্ণবদের কাছে জন্মাষ্টমী গুরুত্বপূর্ণ উৎসব হিসেবে
বিবেচিত এই উৎসব নানাভাবে উদযাপন করা হয়ে থাকে যেমন ভগবত পুরাণ অনুযায়ী
নৃত্য নাটক যাকে বলা হয় রাসলীলা বা কৃষ্ণলীলা মধ্যরাত্রিতে কৃষ্ণের জন্মের
মুহূর্তে ধর্মীয় গীতা গাওয়া উৎসব দই হান্ডি ইত্যাদি।
শেষ কথা
আপনারা যদি দোল পূর্ণিমা পূজার নিয়ম - দোল পূর্ণিমা ২০২৩ সম্পর্কে জানতে
চেয়েছেন তাদের জন্য উপরের পোস্ট টি লেখা হয়েছে। এছাড়া দোল পূর্ণিমা পূজার
নিয়ম - দোল পূর্ণিমা ২০২৩ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পোষ্ট টি আপনার জন্য
খুবই গুরুত্বপূর্ণ দোল পূর্ণিমা পূজার নিয়ম - দোল পূর্ণিমা ২০২৩ সম্পর্কে
কারো কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমিটির মাধ্যমে সেই প্রশ্ন করতে পারেন আমাদের
ওয়েবসাইট ফলো করুন এবং নতুন আপডেট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।
Rajrafi.com এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url