লিভারে ফ্যাট কমানোর উপায় - লিভারের চর্বি কমানোর খাবার

আজ আমরা আলোচনা করব লিভারে ফ্যাট কমানোর উপায় - লিভারের চর্বি কমানোর খাবার সম্পর্কে।  এছাড়া ফ্যাটি লিভার মাথাব্যথা মন খারাপ ডিপ্রেশন আশঙ্কা কাপুরুষ সহ নানা উপসর্গ নিয়ে সৃষ্টি হয়। আমাদের অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন লিভারে ফ্যাট কমানোর উপায় - লিভারের চর্বি কমানোর খাবার সম্পর্কে। তাহলে চলুন জেনে আসি লিভারে ফ্যাট কমানোর উপায় - লিভারের চর্বি কমানোর খাবার সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
লিভারে ফ্যাট কমানোর উপায় - লিভারের চর্বি কমানোর খাবার
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে লিভারে ফ্যাট কমানোর উপায় - লিভারের চর্বি কমানোর খাবার সম্পর্কে জানতে পারবেন। চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে আসি লিভারে ফ্যাট কমানোর উপায় - লিভারের চর্বি কমানোর খাবার সম্পর্কে।

পেজ সূচিপত্রঃ লিভারে ফ্যাট কমানোর উপায় - লিভারের চর্বি কমানোর খাবার

লিভারে চর্বি জমার কারণ ও প্রতিকার

আজ আমরা আলোচনা করব লিভারে ফ্যাট কমানোর উপায় সম্পর্কে। অনেকেই আমাদের রিকোয়েস্ট করে থাকেন লিভারে ফ্যাট কমানোর উপায় সম্পর্কে একটি আর্টিকেল লেখার জন্য। তাই আজকের আর্টিকেলের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো লিভারে ফ্যাট কমানোর উপায়। বর্তমান সময়ে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা খুব স্বাভাবিক অনেকে আছেন যারা মদ্যপান করেন তাদের এই সমস্যা বেশি দেখা যায় তবে যারা মদ্যপান করেন না তাদের মধ্যেও এ রোগটি বর্তমানে দেখা যাচ্ছে এর মূল কারণ হচ্ছে রোগী নিয়মিত ব্যায়াম করে না ওজন বেশি এছাড়া ভাজাপোড়া খাবার বা তেলযুক্ত খাবার অতিরিক্ত গ্রহণ করেন।
আমাদের শরীরে এই সমস্যা দেখা দিক বা না দিক প্রতিটি মানুষেরই উচিত নিজের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন থাকা এবার আপনার মতে প্রশ্ন আসতেই পারে যে লিভার ফ্যাট জমলে কি আর সমস্যা তাই ভুল একেবারেই করা যাবে না এটি আমাদের শরীরের একটি বড় ক্ষতি করে দিতে পারে। লিভারে ফ্যাট বা চর্বি জমলে সেখানে প্রদাহ বা যন্ত্রণার মত সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে এবার সেই প্রদাহ থেকে বাঁচার জন্য আমাদের অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
এক্ষেত্রে যদি আপনি এই বিষয়টি অঙ্গরাজ্য করেন তাহলে এর সিরোসিস অফ লিভার হতে পারে আপনার তাই প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই এই বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত মানুষের শরীরে ইনসুলিন রেজিস্টেন্সি বেশি যার ফলে এর ডাইবেটিসের মতো সমস্যাও সৃষ্টি হতে পারে।

লিভারে চর্বি হলে কি সমস্যা হয়

আজ আমরা আলোচনা করব যেভাবে আমরা বুঝবো যে ফ্যাটি লিভার আমাদের শরীরে হয়েছে কিনা এছাড়া লিভারের চর্বি জমলে কি কি সমস্যা হয় এ সম্পর্কে আলোচনা করব। অনেক সময় আমাদের নিজের অজান্তেই লিভারের কাজ করার ক্ষমতা কিছুটা কমে আসে তখন বিলম্ব না করে সাথে সাথে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে আবার অনেক ক্ষেত্রে এর লিবরুণ বেড়ে গেলে অথবা বছরে একবার নিয়ম করে চেক আপ করার সময় লিভার এনজাইম দেখে নিলে ভালো হয় সবথেকে বড় লক্ষণ স্বাভাবিকের থেকে বেশি কোমরের মাপ বা ভুরি।

লিভারে যদি চর্বি বা ফ্যাট জমে সেক্ষেত্রে আমাদের শরীর কিছুটা অস্বাভাবিক হয়ে পড়ে খাবার ইচ্ছে কমে যায় খাবারের অরুচি দেখা দিতে শুরু করে ওজন কমে যায় বমি বমি ভাব বমি হওয়া দুর্বল লাগা এছাড়া কাজে বিরক্তি চলে আসে এছাড়া বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয় ফ্যাটি লিভার হলে মাথা ব্যথা মন খারাপ আপনি সহ নানা উপসর্গ দেখা দেয়। নক বা চোখ হলদে লাগে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে লিভার ফাংশন টেস্ট করিয়ে নিতে হবে।
যদি এরকম কোন উপসর্গ দেখা যায় হজমে সমস্যা বা এসিডিটি সমস্যা লিভারে ফ্যাট হলে সৃষ্টি হয় মদ্য পান করলে অসুখের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায় এছাড়া কিছু ব্যথার ওষুধ হরমোনের ঔষধ গ্রহণের ফলে এ সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। 

লিভারে চর্বি জমার লক্ষণ

ডক্টর ফারুক আহমেদ একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেন আমাদের লিভারে সাধারণত তিন চার পাউন্ড চর্বি বিদ্যমান থাকে লিভারের ছেলের চার পাশে কিছু চর্বি ও থাকে এর চর্বির পরিমাণ কোনভাবে বেশি হলে অর্থাৎ ১০ শতাংশের বেশি হলে সেটি ফ্যাটি লিভার হিসেবে গণ্য করা হয়।তিনি আরো বলেন বিশ্বের প্রায় ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ মানুষ ফ্যাটি লিভার সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে আছে।
বর্তমান সময়ে একসময় এটি ধনীদের রোগ বলেও গণ্য করা হতো কিন্তু এখন গ্রাম পর্যায়েও ৩০ শতাংশ মানুষ এ সমস্যায় আক্রান্ত শহরে এর হার আরো বেশি। এটি অবশ্যই আমাদের দেশের জন্য উদ্বেগের বিষয় এজন্য চিকিৎসার মাধ্যমে ফ্যাটি লিভার প্রতিরোধ করা বেশি জরুরী এজন্য সচেতনতার বিকল্প নেই।

ফ্যাটি লিভার সম্পর্কে ডাক্তার ফারুক আহমেদ আরও বলেন পশ্চিমা সমাজে চর্বি তৈরির প্রধান কারণ হলো এলকোহল এটি ছাড়াও অনেক কারণে চর্বি হতে পারে লিভারে অতিরিক্ত ওজন ডায়াবেটিস উচ্চ কোলেস্টেরল উচ্চ রক্তচাপে ভুগলে একটি তৈরি হতে পারে এই জন্য নিয়মিত শরীর চেকআপ করতে হবে প্রায় ছয় মাস পর পর।
এছাড়া বিভিন্ন ঔষধ সেবন অথবা অন্যান্য রোগের কারণে ফ্যাটি লিভার হয়ে থাকে স্বাভাবিক ওজন কিংবা ওজন কমানোর মধ্যে সুস্থতা রয়েছে বলে তিনি জানান বর্তমান সময়ে বাচ্চাদের মধ্যেও ফ্যাটি লিভার এর মত সমস্যার সৃষ্টি হয় এই জন্য ছোট থেকেই পুষ্টিকর ও পরিমিত খাদ্য গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন তিনি।

লিভারে ফ্যাট কমানোর উপায়

আমেরিকার একদল রিসার্চ টিম জানান ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তির জন্য নিয়মিত কফি পান করতে পারেন নিয়মিত কফি পান্ড করার ফলে লিভার তুলনামূলকভাবে ভালো থাকে এটি লিভারের বিভিন্ন প্রদানের বিরুদ্ধেও লড়াই করতে সক্ষম এছাড়া লিভারে স্বাস্থ্যকর উৎপাদন বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে কফি।
লিভারে ফ্যাট জমা রোগীর জন্য ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডযুক্ত খাবার খাওয়া খুবই উপকারী এটি লিভারের জমে থাকা চর্বি দূর করতে সাহায্য করে বা লিভারের চর্বি অপসারণ করে বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ যেমন সালমান ফিস এস টোনা এবং টাইটের মতো ফ্যাট যুক্ত মাছের অনেক পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাট রয়েছে।

লিভারকে স্বাস্থ্যকর চর্বি মুক্ত রাখতে আখরোট খুবই উপকারী এবং কার্যকরী হিসেবে বিবেচিত এই বাদামটিতেও অনেক পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে গবেষণায় দেখা গেছে এ বাদাম খেলে ফ্যাটি লিভার আক্রান্ত লিভারের কার্যকারিতা বাড়ে। লিভারের রোগীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং আদর্শ পানীয় হচ্ছে গ্রিন টি লিভারের জমে থাকা চর্বি কমাতে এটি সাহায্য করে এছাড়া কার্যকরী ভূমিকা প্রদান করে বলে বিশেষজ্ঞরা বলেন।
আমরা সকলে জানি প্রাচীনকাল থেকে অলিভ অয়েল বা জলপাই তেল শরীরের জন্য খুবই উপকারী এতে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড বেশি পরিমাণে থাকে আর এই তেলটি অতিরিক্ত ওজন খুব দ্রুত কমাতে পারে অতিরিক্ত ওজনের কারণে লিভারের চর্বি জমে থাকে তাই জলপাইতির খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।

লিভারের চর্বি কমানোর খাবার

যেহেতু আমরা প্রতিটি আলাদা আলাদা জীবন যাপন করি সেজন্য আমাদের খাদ্য পরিকল্পনা চাটো ভিন্ন এই কারণে যারা লিভারের সমস্যায় ভুগছেন অর্থাৎ লিভারে চর্বির জমা হওয়ার সমস্যা এই ভুগছেন তাদের জন্য এমন খাবার নির্বাচন করতে হবে যা স্বাস্থ্যকর কিন্তু চর্বি কমাতে সাহায্য করে। মাছ ও সি ফুড ওর ফল আস্ত শস্য দানা বাদাম জলপাই তেল শাকসবজি অ্যাভোকাড ইত্যাদি খাবার খাদ্য তালিকায় যুক্ত করতে হবে।
ফ্যাটি লিভার আমাদের শরীরে ইনসুলিন তৈরি করে যা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বৃদ্ধি করে এটি যখন আমাদের শরীর প্রসেস করতে পারেনা তখন লিভার গ্লুকোজ কে ফ্যাট এ রূপান্তরিত করে দেয়। যখন আমরা স্বাস্থ্যকর প্রাকৃতিক চর্বি বা ফ্যাট গ্রহণ করি তখন শরীরে উৎপন্ন হওয়া গ্লুকোজ এটি শোষণ করে হজম হয়ে যায়।
যার ফলে লিভারে ফ্যাট জমে না তবে এমন কোন ফ্যাট আমাদের গ্রহণ করা উচিত না যা পরিপাক এ বাধা প্রদান করে সকলেরই মনে রাখা উচিত লিভারে ফ্যাট জমলে আমাদের পরিপাকতন্ত্রের কার্যক্ষমতা কিছুটা কমে আসে এজন্য হালকা খাদ্য গ্রহণ করা শ্রেয়।

শেষ কথা

আপনারা যদি লিভারে ফ্যাট কমানোর উপায় - লিভারের চর্বি কমানোর খাবার সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তাদের জন্য উপরের পোস্ট টি লেখা হয়েছে। এছাড়া লিভারে ফ্যাট কমানোর উপায় - লিভারের চর্বি কমানোর খাবার সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পোষ্ট টি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ লিভারে ফ্যাট কমানোর উপায় - লিভারের চর্বি কমানোর খাবার সম্পর্কে কারো কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমিটির মাধ্যমে সেই প্রশ্ন করতে পারেন আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন এবং নতুন আপডেট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Rajrafi.com এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url