আমের উপকারিতা - আমের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা
আজ আমরা জানব আমের উপকারিতা - আমের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে। যেকোনো আমি
আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এটি আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে বিশেষভাবে
ভূমিকা পালন করে থাকে। আমি প্রচুর পরিমাণে রয়েছে খনিজ লবণ ভিটামিন এ ভিটামিন সি
ভিটামিন b6 যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। আমাদেরকে অনেকেই প্রশ্ন
করেন আমের উপকারিতা - আমের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে। জেনে আসি
আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আমের উপকারিতা - আমের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা
সম্পর্কে।
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে আমের উপকারিতা - আমের পুষ্টিগুণ ও
উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারবেন। চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে আমের উপকারিতা - আমের
পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে।
পেজ সূচিপত্রঃ আমের উপকারিতা - আমের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা
আমের উপকারিতা
আজ আমাদের আর্টিকেলের মূল বিষয়বস্তু হলো আমের উপকারিতা সম্পর্কে জানা। আমি প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম বিদ্যমান থাকে যা আমাদের শরীরের রক্তস্বল্পতা
কমাতে সাহায্য করে এছাড়া রক্তের মাত্রা এর সঠিক টাকে এবং হার্ট সুস্থ রাখতে
বিশেষভাবে কার্যকারী ভূমিকা পালন করে। এজন্য যারা রক্তস্বল্পতা সমস্যা ভুগছেন
তাদের নিয়মিত আম খাওয়া উচিত। যাদের হাড় ক্ষয় রোগ রয়েছে তাদের জন্য এটি
একটি উপকারী প্রাকৃতিক রেমেদি কারণ আমের এমন কিছু ভিটামিন রয়েছে এবং
ক্যালসিয়াম রয়েছে যা হার মজবুত করে এবং হাড়ের ক্ষয় পূরণ করতে সাহায্য করে।
এছাড়া প্রোস্টেট ক্যান্সার দমনে আম বিশেষভাবে কার্যকরী ভূমিকা পালন করেন যারা
অতিরিক্ত মেয়েদের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য উপযুক্ত একটি আদর্শ খাবার হল আম
কারণ এটি আমাদের শরীরের মেদকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত সুস্থ
থাকতে এবং কোলেস্টেরলকে স্বাভাবিক রাখতে আমের বিকল্প নেই কারণ এতে এমন কিছু
প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে যা কোলেস্টেরলের মতো মারাত্মক সমস্যা নিয়ন্ত্রণের
সহায়তা করে।
আরো পড়ুনঃ শবে বরাতের নামাজের নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিন
এইজন্য প্রতিদিন খাবার তালিকায় আম সংযুক্ত করা উচিত এতে আমাদের রক্ত ও
পরিষ্কার রাখবে রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণ রাখবে ডায়াবেটিকের সমস্যা থাকলে তা
নিয়ন্ত্রণ করবে এছাড়া হাড়ের ক্ষয় রোগ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ কার্যকর ভূমিকা
পালন করবে। পাকা আম এমন এক প্রাকৃতিক মহা ঔষধি যা শুধুমাত্র একটি ফল নয় এটি
একটি মহা ঔষধিও বলা চলে কারণ এটি শারীরিক ও মানসিক বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করে
থাকে।
পাকা আমে কি কি ভিটামিন আছে
আমরা সকলেই জানি আমের উপকারিতা অনেক পাকা আমি কি কি ভিটামিন আছে এ সম্পর্কে আজ আমরা আলোচনা করব।পাকা আমে আমাদের শরীরের মাত্রা কমায় কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে থাকে ভিটামিন সি
প্রেকটিন ও আস। তরতাজা আম আমাদের শরীরের জন্য খুব উপকারী কারণ এটিতে পটাশিয়াম
থাকে যা আমাদের শরীরের কোন বজায় রাখতে সাহায্য করে এছাড়া উচ্চ রক্তচাপ
নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। আম শুধুমাত্র একটি ফলনায় একটি প্রাকৃতিক ঔষধ বলা চলে এজন্য
বাংলাদেশের অধিকাংশ জেলাতে প্রচুর পরিমাণে আম চাষ করা হয়।
কোন ব্যক্তি যদি প্রতিদিন ১০০ গ্রাম করে পাকা আম খান তাহলে তিনি 15 গ্রাম
কার্বোহাইড্রেট শরীরের মধ্যে প্রবেশ করাচ্ছেন যার শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি
ঔষধি বলা চলে এছাড়া ১০০ গ্রাম পাকা আমি রয়েছে ৩৮ গ্রাম ফ্যাট ৬২ গ্রাম প্রোটিন
২২৮ মিলিগ্রাম থায়ামিন ৩৮ মিলিগ্রাম রিভিউ ফ্লাক বিন ৬৫৯ মিলিগ্রাম মেশিন ১১৯
মিলিগ্রাম ভিটামিন বি সিক্স 43 মিলিগ্রাম হল এবং 76 মিলিগ্রাম কোলিন এছাড়া
মিলিগ্রাম ভিটামিন সি।
আরো নিখুঁতভাবে বলতে গেলে নয় মিলিগ্রাম ভিটামিন ই ১১ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম ১৬
মিলিগ্রাম আয়রন ১০ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম ৬৩ মিলিগ্রাম ম্যাঙ্গানিজ ১৪
মিলিগ্রাম ফসফরাস ১৬৮ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম ১ মিলিগ্রাম সোডিয়াম এবং ৯ মিলিগ্রাম
জিংক পাওয়া যায় ১০০ গ্রাম পাকা আম থেকে। এই জন্য আগের দিনে বৈদ্যরা সুস্থ থাকার
জন্য পাকা ফল খেতে বেশি বলতেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু ফলের নাম হলো আম জাম
কাঁঠাল লিচু পেয়ারা ইত্যাদি।
পাকা আমের জেলি রেসিপি
বর্তমানে বাজারে এ উঠে গেছে পাকা আম এখন সারা বছর খাওয়ার জন্য কিছু পাকা আম
বিভিন্নভাবে সংরক্ষণ করে রাখা যেতে পারে সেটা জেলই বানানোর মাধ্যমে হোক বা অন্য
কোন মাধ্যমে। জেলি বানানোর জন্য সর্বপ্রথম আমাদের কিছু আমের প্রয়োজন একদম
পূর্ণ পাকা আম না ব্যবহার করে একটু ও শক্ত আম ব্যবহার করতে হবে এতে জেলিটা
দীর্ঘদিন ভালো থাকবে।
আরো পড়ুনঃ শবে মেরাজের গুরুত্ব ফজিলত সম্পর্কে জেনে নিন
জেলি বানানোর জন্য বেশ কিছু উপকরণ প্রয়োজন হবে তা হলো আমের পিউরি তিন কাপ
লেবুর রস এক টেবিল চামচ চিনি সাদ মত। এখন আমাদের কাজ হল আম ছোট ছোট টুকরো করে
এই ব্লেন্ড করে নিতে হবে এবং এর সঙ্গে চিনি মিশিয়ে চুলায় মাঝারি আজ দিয়ে ১৫
মিনিট ভালোভাবে জাল করতে হবে।
এরপরের ১৫ মিনিট হয়ে গেলে লেবুর রস দিয়ে ১০ মিনিট আরো জাল দিতে হবে এবং
মিশ্রণটি ঘন হয়ে এলে এটি চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করতে হবে এবং কাচের
ব্যায়ামে দীর্ঘদিন যাবত সংরক্ষণ করতে পারবেন এর সেল টাইম সর্বনিম্ন এক বছর
হয়ে থাকে তবে ভিটামিন সি এড করতে পারেন এর সঙ্গে বাজার থেকে কিনে।
আমের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা
আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী একটি প্রাকৃতিক রেমেডি তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে
পাকা আমের চেয়ে কাঁচা আমের উপকারিতা আমাদের শরীরের জন্য একটু বেশি। আমাদের
শরীরের রোগ মুক্ত রাখতে কাঁচা হোক বা পাকা যেকোনো আমি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে
আর কাঁচা আমের সাকসেনিক এবং মেলামিক এসিড থাকে এছাড়া যখন আম পাকতে শুরু করে তখন
এই সাত শ্রেণীর এসিড মিশ্রিত হয়ে গ্লুকোজ এবং ফ্রুটজ সৃষ্টি করে যার কারণে
আমাদের মিষ্টি লাগে পাকা আম অপরদিকে কাঁচা আম এর যেহেতু শাকস্সেনিক এবং মেলামিক
এসিড মিশ্রণ থাকে না এটি আলাদা আলাদা ভাবেই বিদ্যমান থাকে সে কারণে টক লাগে।
টাটকা আমি প্রচুর পরিমাণ খনিজ লবণ এবং ভিটামিন উপাদান বিদ্যমান রয়েছে যেমন
ভিটামিন এ ভিটামিন সি এছাড়া উপকারী উপাদান যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন উপাদানকে
সক্রিয় করে তোলে এবং শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া আমি রয়েছি
বায়োলজিক্যাল উপাদান প্রভিতামিন এ বেটা ক্যারোটিন এবং শিয়াল অ্যাসিড যা আমাদের
শরীরের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে যেমন হাড়ের ক্ষয় রোগ তারপর
কোলেস্টেরল ইত্যাদি।
পাকা আমের পুষ্টিগুণ
কাঁচা অথবা পাকা যেকোনো আমি প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক উপাদান বিদ্যমান থাকে যা
আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে এবং রোগমুক্ত রাখতে সহায়তা করে থাকে আমি রয়েছে
প্রচুর পরিমানে খনিজ লবণ ভিটামিন এ ভিটামিন সি ইত্যাদি। পৃথিবীতে প্রায় ৩৫
প্রজাতির মত আম রয়েছে আমের বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু হল ল্যাংড়া
খেরশাপাদ আমরুপালি মল্লিকা বাড়ি ৪ ইত্যাদি।
যদি আমাদের দেশে জাতীয় ফল কাঁঠাল তবুও আম গাছকে জাতীয় গাছের উপাধি দেওয়া হয়ে
থাকে কারণ এটির পুষ্টিগুণ যেমন তেমনি এটি খেতে অনেক সুস্বাদু। পাকা আম আমাদের
শরীরের সুন্দর করতে সহায়তা করে কারণ শুধু পাকা আম ত্বকের ভেতরে ও বাইরে উভয় এর
উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে বিশেষভাবে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।
এছাড়া আম শুধুমাত্র একটি ফল নয় এটি ত্বকের লোমের গোড়া পরিষ্কার রাখে এছাড়া
ব্রণের সমস্যা সমাধান করে। খনিজ লবণ আমাদের শরীরের দাঁত নখ চুল ইত্যাদি মজবুত
করতে সহায়তা করে থাকে আমি প্রচুর পরিমাণে খনিজ লবণ বিদ্যমান রয়েছে। সাধারণত
পাকা আম নিয়মিত খেলে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর হয়ে যায় প্রতিদিন যদি পরিমাণ
মতোভাবে ১০০ গ্রাম পাকা আম খাওয়া হয় তাহলে পুরো মুখের ব্ল্যাকহেড এটি দূর করতে
সহায়তা করবে এবং এটি এ ক্লিনিক্যালি প্রমাণিত।
শেষ কথা
আপনারা যদি আমের উপকারিতা - আমের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন
তাদের জন্য উপরের পোস্ট টি লেখা হয়েছে। এছাড়া আপনার যদি আমের উপকারিতা - আমের
পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পোষ্ট টি আপনার জন্য খুবই
গুরুত্বপূর্ণ। আমের উপকারিতা - আমের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে কারো কোন
প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমিটির মাধ্যমে সেই প্রশ্ন করতে পারেন আমাদের ওয়েবসাইট
ফলো করুন এবং নতুন আপডেট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।
Rajrafi.com এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url