শবে মেরাজের গুরুত্ব ও ফজিলত - শবে মেরাজ কি ও কেন

আজ আমরা জানবো শবে মেরাজের গুরুত্ব ও ফজিলত - শবে মেরাজ কি ও কেন এ সম্পর্কে। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর জীবনের যতগুলো অলৌকিক ঘটনা সম্বলিত কার্যসম্পাদন হয়েছে তার মধ্যে শবে মেরাজ অন্যতম। এই শবে মেরাজ কুরআনুল কারীম দ্বারা স্বীকৃত যা অস্বীকার করলে কুফরী হিসেবে গণ্য করা হবে। আমাদেরকে অনেক মানুষ কমেন্ট করে জিজ্ঞেস করেন শবে মেরাজের গুরুত্ব ও ফজিলত - শবে মেরাজ কি ও কেন এ সম্পর্কে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক আজকের বিষয়বস্তু শবে মেরাজের গুরুত্ব ও ফজিলত - শবে মেরাজ কি ও কেন।
শবে মেরাজের গুরুত্ব ও ফজিলত - শবে মেরাজ কি ও কেন
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে শবে মেরাজের গুরুত্ব ও ফজিলত - শবে মেরাজ কি ও কেন এ সম্পর্কে জানতে পারবেন। চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে আসি শবে মেরাজের গুরুত্ব ও ফজিলত - শবে মেরাজ কি ও কেন এ সম্পর্কে।

পেজ সূচিপত্রঃ শবে মেরাজের গুরুত্ব ও ফজিলত - শবে মেরাজ কি ও কেন

শবে মেরাজের গুরুত্ব ও ফজিলত - শবে মেরাজ কি ও কেন

আমাদের এই আর্টিকেলটি এর মূল বিষয়বস্তু হলো শবে মেরাজের গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে। তাহলে চলুন জেনে আসি শবে মেরাজের গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে কিছু বিস্তারিত তথ্য। বিশ্ব মানবতার মুক্তিদূত সর্বশেষ নবী মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জীবদ্দশায় অলৌকিক ঘটনা গুলোর মধ্যে অন্যতম ঘটনা হলো মেরাজ বা শবে মেরাজ। এই শবে মেরাজ এর ঘটনা পবিত্র কুরআনুল কারীমে উল্লেখিত রয়েছে এবং এটি স্বীকৃত যার ফলে যারা এ বিষয় সম্পর্কে অবিশ্বাস প্রকাশ করবে তারা কুফুরি করবে। সূরা ইসরা এবং সূরা নাজম এই দুইটি সূরা মহান রাব্বুল আলামিন শবে মেরাজ এর কথা তুলে ধরার জন্য পবিত্র গ্রন্থ কোরআন শরীফে উল্লেখ করেছেন।
শবে মেরাজ সম্পর্কে মহান আল্লাহ তা'আলা বলেন পরম পবিত্র এবং মহিমান্বিত সত্তা যিনি স্বীয় বান্দাকে রাতেরবেলা মহান আল্লাহতালা মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যন্ত ভ্রমণ করেছেন এবং আমি তার চারপাশে বরকত দান করেছি অফুরন্ত যেন আমি তাকে আমার নিদর্শনাবলী বা কুদরত দেখাতে পারি। নিশ্চয়ই তিনি অধিক দর্শনশীল এবং শ্রবণকারী (সূরা বনী ইসরাইলের আয়াত নম্বর 1)।

পবিত্র হাদীসের ভাষায় উচ্চারণ শব্দ দ্বারা শবে মেরাজ ঘটনার বর্ণনা করা হয়েছে অপরদিকে মহাগ্রন্থ আল-কুরআনের পরিভাষায় ইসরা শব্দ দ্বারা মেরাজের ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে। ইসরা শব্দটি ফারসি শব্দ থেকে উৎসারিত। ইসরা এর আভিধানিক অর্থ হলো রাতে নিয়ে যাওয়া অপরদিকে সফরটি রাতের একটি নির্দিষ্ট অংশে ঘটে ছিল বিধায় একে ইসরা বলা হয়ে থাকে। 
এছাড়া অর্জুন থেকে মেরা শব্দ আগত হয়েছে যার পূর্ণাঙ্গ অর্থ হলো সিঁড়ি বা স্টেপ। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে আকসার থেকে সিঁড়ি এর মাধ্যমে আরোহন করে বায়তুল মামুর এবং সিদরাতুল মুনতাহা পর্যন্ত গিয়ে ছিলেন বিধায় উক্ত সফরকে শবে মেরাজ বলা হয়।মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বয়স যখন 50 বছর তখন আরবি মাস রজবের 27 তারিখে তিনি এই পবিত্র শবে মেরাজ এ গিয়েছিলেন।

মহান আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেন আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দৃষ্টিভ্রম হয়নি এবং তিনি কোন সীমালংঘন করেননি। নিশ্চয়ই মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর পালনকর্তা মহান নিদর্শনাবলী অবলম্বন করেছিলেন(সূরা নজম আয়াত নম্বর 1718)। 
ইসলামে ধর্ম এবং কোরআন শরীফ অনুযায়ী মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শবে মেরাজের এই পবিত্র রাতে ঐশ্বরিক উপায় আকাশে আরোহণ করেছিলেন মহান আল্লাহর সাথে সাক্ষাত করার জন্য। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নবুওয়াত প্রাপ্তির 11 তম বছর অর্থাৎ 620 খ্রিস্টাব্দে রজব মাসের 26 তারিখ রাতে আল্লাহর সাথে সাক্ষাত করার জন্য গিয়েছিলেন এছাড়া প্রতিদিন পাঁচবার নামাজ আদায় করার হুকুম নিয়ে পৃথিবীতে আহরণ করেছিলেন।
মিরাজ মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছাড়া অন্য কোন নবী করতে পারেননি ইসলামিক ইতিহাসে এটি একটি স্মরণীয় ঘটনা। পবিত্র শবে মেরাজ পুরো মুসলিম জাতির কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় অনুষ্ঠান পুরো পৃথিবীর ইসলাম ধর্মে নারী পুরুষ সকলেই বৃহস্পতিবার এই অনুষ্ঠানটি পালন করে থাকেন।

রজব মাসের কত তারিখে শবে মেরাজ - শবে মেরাজের নামাজের নিয়ত

সর্বপ্রথম আমাদের জানতে হবে শবে মেরাজের গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে তাহলে আমরা শবে মেরাজের নামাজ ও নিয়ত সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারব। আরবি শব্দ লায়লাতুল অর্থ হল রাত অপরদিকে মেরাজ শব্দের অর্থ হলো উর্ধ্বগমন। মুসলিমদের ধর্ম ইসলামের বিশ্বাসীরা মনে করেন 26 রজব দিবাগত রাতে তে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে মহান আল্লাহতালার সাক্ষাৎ করেন। 620 খ্রিস্টাব্দে সেই রাত পড়েছিল 22 শে মার্চ। মেরাজের রজনী মুসলমানদের কাছে বিশেষ মর্যাদা সম্পন্ন একটি মহিমান্বিত রাত ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা নফল ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে এ রাতটি পালন করে থাকেন।
অনেক মুসলমান রয়েছেন যারা এই দিনে রোজা রাখেন। শবে মেরাজের নামাজের নিয়ম গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো শবে মেরাজের নামাজ পড়ার নিয়ত করে কমপক্ষে 12 রাকাত নফল নামাজ আদায় করা যায়। একটি বিষয় লক্ষ রাখতে হবে যে এশার নামাজ আদায় করার সময় তিন রাকাত বেতের নামাজ আদায় করা যাবে না। এই তিন রাকাত নামাজ আদায় করতে হবে যখন আপনি নফল নামাজ শেষ করবেন তারপরে। আমি কিবলামুখী হইয়া আল্লাহর ওয়াস্তে দুই রাকাত মেরাজের নফল নামাজ আদায় কোর্তেসি আল্লাহু আকবার।

শবে মেরাজের নামাজ কয় রাকাত - শবে মেরাজের রোজা কয়টি

শবে মেরাজের নামাজ পড়ার নিয়ম দুই রাকাআতের নিয়ত করে কমপক্ষে 12 রাকাত নফল নামাজ আদায় করা সম্ভব তবে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে এশার নামাজ আদায় করার সময় তিন রাকাত বেতের নামাজ পড়া যাবে না যখন আপনি নফল নামায শেষ করবেন তখন এই নামাজ টা আদায় করে নিতে হবে। অর্থাৎ এই তিন রাকাত বেতের নামাজ আদায় করতে হবে সকল নফল নামাজের পরে। শবে মেরাজের রোজা কয়টি এটি সম্পর্কে অনেকেই বিভিন্ন মতামত প্রদান করেন তবে পুরো মাস জুড়ে 10 টি রোজা রাখার কথা হাদীসে উল্লেখিত রয়েছে। এই জন্য আমরা চন্দ্র মাসের 3 তারিখ 14 তারিখ 15 তারিখ 20 তারিখ এই তারিখ গুলোতে রোজা রাখতে পারি।

শবে মেরাজ কবে ২০২৩ - শবে বরাত কবে ২০২৩ বাংলাদেশ

2023 সালের 18 ফেব্রুয়ারি পবিত্র শবে মেরাজ অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া 2023 সালের 8 ই মার্চ শবেবরাত অনুষ্ঠিত হবে বলে বিশেষজ্ঞরা সম্ভব একটি তারিখ ঘোষণা করেছেন। এছাড়া বিশেষজ্ঞরা আরো বলেছেন সঠিক তারিখটি সাবান 1444 সালের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে বলা যাবে। শবে মেরাজের মত শবে বরাত ইসলামিক ক্যালেন্ডার একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং ফজিলতপূর্ণ রাত এই মাসটি শাবানের 14 15 তারিখের মধ্যবর্তী রাতে উদযাপিত হয়ে থাকে। এই জন্য একে 957 বলা হয়ে থাকে। এই বরকতময় রাতে শাবানের 14 তারিখ সূর্যাস্তের সময় শুরু হয় এবং 15 তারিখ সাবানের ভোরে সূর্য উঠার পরে শেষ হয়ে যায়।

মেরাজ বলতে কি বুঝায় ব্যাখ্যা কর - মেরাজের শিক্ষা

উল্লেখিত যে ইসলাম ধর্মের মূল গ্রন্থ মহাগ্রন্থ আল-কুরআন ও মেরা শব্দটি সরাসরি উল্লেখিত নেই কিন্তু যখন অবিশ্বাসীগণ মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নবুয়তের ওপর এর প্রমাণ চায় তখন কোরআন উত্তর দিয়েছে তার কাছেই অর্থাৎ স্বর্গে আহরণ করো। মুহাদ্দিসগণ কিছু কিছু বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করেন যেমন তারকা শব্দের অর্থ হলো আহরণ করো আর এই শব্দটি রাখিয়া থেকে উদ্ধৃত হয়েছে যার অর্থ হলো সে আহরণ করেছিল।

অপরদিকে আরবি মেরাজ শব্দটি আরাজা থেকে গৃহীত হয়েছে যার সঠিক অর্থ হলো সে আহরণ করেছিল। চতুর্থ নম্বরে রয়েছে বনি ইসরাইলের 14 টি নির্দেশনাপবিত্র শবে মেরাজ এর উদাহরণ সম্পর্কে বিশিষ্ট সাহাবী আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ বর্ণনা করেন যে মিরাজ রজনীতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার উম্মতের জন্য কয়েকটি জিনিস নিয়ে আসেন মহান আল্লাহ তা'আলার পক্ষ থেকে তার মধ্যে প্রথম নাম্বারে ছিল পাঁচ ওয়াক্ত সালাত বা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ।
দ্বিতীয়তঃ হল যে ব্যাক্তি মহান আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরীক করবেনা মহান আল্লাহ তাঁর পাহাড় পরিমাণ পাপ ক্ষমা করে দিবেন। কিছু নাম্বারে রয়েছে কোরআনের উৎকৃষ্ট সূরা দ্বিতীয় সূরা সূরা আল বাকারার শেষ অংশ এখানে বলে রাখা ভাল বাকারা শব্দের অর্থ হলো গাভী। চতুর্থত, সূরা বনি ইসরাইলের ১৪ দফা নির্দেশনা।

শেষ কথা

আপনারা যদি শবে মেরাজের গুরুত্ব ও ফজিলত - শবে মেরাজ কি ও কেন সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তাদের জন্য উপরের পোস্ট টি লেখা হয়েছে। এছাড়া আপনার যদি শবে মেরাজের গুরুত্ব ও ফজিলত - শবে মেরাজ কি ও কেন সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পোষ্ট টি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শবে মেরাজের গুরুত্ব ও ফজিলত - শবে মেরাজ কি ও কেন সম্পর্কে কারো কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমিটির মাধ্যমে সেই প্রশ্ন করতে পারেন আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন এবং নতুন আপডেট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Rajrafi.com এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url