নারী দিবসের তাৎপর্য - আন্তর্জাতিক নারী বর্ষ প্রথম পালিত হয়

আজ আমরা জানবো নারী দিবসের তাৎপর্য - আন্তর্জাতিক নারী বর্ষ প্রথম পালিত হয় সম্পর্কে। ১৮৬০ সালের ৮ই মার্চ নারী শ্রমিকদের ১ মিছিলে গুলিবর্ষণ এর প্রতিবাদে যে ইউনিয়ন গঠিত হয়েছিল তা নারী শ্রমিকদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে আজ পর্যন্ত এছাড়া ১৯১০ সালে কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলনে জার্মান নারী নেত্রী ক্লারা জ্যাটকিন ৮ই মার্চ কে নারী দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন।

আমাদের অনেকে প্রশ্ন করেন নারী দিবসের তাৎপর্য - আন্তর্জাতিক নারী বর্ষ প্রথম পালিত হয় সম্পর্কে। তাহলে চলুন জেনে আসি কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নারী দিবসের তাৎপর্য - আন্তর্জাতিক নারী বর্ষ প্রথম পালিত হয় সম্পর্কে।
নারী দিবসের তাৎপর্য - আন্তর্জাতিক নারী বর্ষ প্রথম পালিত হয়
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে নারী দিবসের তাৎপর্য - আন্তর্জাতিক নারী বর্ষ প্রথম পালিত হয় সম্পর্কে জানতে পারবেন। চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে আসি নারী দিবসের তাৎপর্য - আন্তর্জাতিক নারী বর্ষ প্রথম পালিত হয় সম্পর্কে।

সূচিপত্রঃ নারী দিবসের তাৎপর্য - আন্তর্জাতিক নারী বর্ষ প্রথম পালিত হয়

আন্তর্জাতিক নারী দিবস - নারী দিবসের তাৎপর্য

  • ২০২৩ সালের ৮ই মার্চ বুধবার আন্তর্জাতিক নারী দিবস
আজ আমরা জানবো নারী দিবসের তাৎপর্য আমাদের অনেকেই কমেন্টের মাধ্যমে প্রশ্ন করে থাকেন নারী দিবসের তাৎপর্য সম্পর্কে কিছু বলার জন্য তাহলে চলুন আজকের আর্টিকেলটি শুরু করা যাক নারী দিবসের তাৎপর্য নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে।
বিশ্ব নারী দিবস উদযাপনের পেছনের মূল কারণ হলো নারীর শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের ইতিহাস ১৮৫৭ সালে মজুরি বৈষম্য কর্মকান্ডার নির্দিষ্ট করা কাজের অমানবিক পরিবেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের রাস্তায় নেমেছিল কারখানার নারী শ্রমিকগণ সেই মিছিলে সরকার কর্তৃক বাহিনীদের গুলি করার পারমিশন দেওয়া হয় যার কারণে অনেক নারী শ্রমিক মারা যায়।

 ১৮৫৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি নিউইয়র্কের সোশ্যাল ডেমোকৃতি নারী সংগঠনের পক্ষ থেকে আয়োজিত নারী সমাবেশের জার্মান এর সমাজতান্ত্রিক নেত্রী  ক্লারা জ্যাটকিন নেতৃত্বে সর্বপ্রথম নারী আন্তর্জাতিক নারী এর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে ১৯১০ খ্রিস্টাব্দে ডেমোক্রেন ইনকম অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন বিভিন্ন দেশ থেকে ১০০ জন নারী প্রতিনিধি এতে যোগ দিয়েছিলেন বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে জানা যায়।

সম্মেলনের ক্লারা প্রতিবছর ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালন করার প্রস্তাবদা দেন সিদ্ধান্ত পরবর্তীতে ধার্য করা হয় ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে থেকে নারীর সমাধিকার আদায়ের দিবস হিসাবে ৮ মার্চকে নারী দিবস হিসাবে গণ্য করা হয়।

৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস - আন্তর্জাতিক নারী বর্ষ প্রথম পালিত হয়

জাতিসংঘ ১৯৭৫ সালের ৮ ই মার্চ নারী দিবস উদযাপন শুরু করে যদিও এর আগে ১৯০৯ এর ২৮ শে ফেব্রুয়ারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথমবার এই দিবস উদযাপিত হয়েছিল বলে অনেক সংবাদমাধ্যমে জানা যায়। আমেরিকার এক সোশ্যালিস্ট পার্টি পোশাক তৈরির শ্রমিকদের সম্মান জানাতে হাজার ১৯০৮ সালে ধর্মঘট ডেকেছিল তাদের প্রতি সম্মান জানাতে এই দিনটি বেছে নেওয়া হয় অন্যদিকে রাশিয়া মহিলা শ্রমিকরা ২৮ শে ফেব্রুয়ারি নারী দিবস উদযাপনের সময় প্রথম বিশ্বযুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছিল বলে জানা যায়।
অপরদিকে ৮ ই মার্চ ইউরোপের মহিলারা শান্তি রক্ষা কমিটির কর্মীদের সমর্থনে এক সমাবেশ আয়োজন করেছিল। বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন অঞ্চলে নারীর প্রতি শ্রদ্ধা তাদের কাজের প্রশংসা এবং ভালোবাসা প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক নারী দিবসকে মহিলাদের অর্থনৈতিক রাজনৈতিক ও সামাজিক সাফল্য অর্জনের উৎসব হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে বিশ্বজোড়ে।

এছাড়া প্রথম ১৯০৯ সালে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করা হয় ওই বছর ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম আমেরিকায় নারী দিবস ন্যাশনাল ওমেন ডে উদযাপন করা হয়েছিল বলে জানা যায় ইউ নিউ ইয়র্কের ১৯০৮ সালে বস্ত্র শ্রমিকরা তাদের কাজের সম্মান আদায়ের লক্ষ্যে ধর্মঘট শুরু করেছিলেন নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী কাজ এর ছেলে ও মেয়ের অধিকার সমান এর দাবী চেয়েছিলেন।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস কবে প্রথম পালিত হয়

১৮৫৭ সালের ৮ই মার্চ নিউইয়র্ক শহরে একটি পোষা কারখানায় নারী পোশাক শ্রমিকরা ন্যায্যুমজুরি ও শ্রমের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছিলেন আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ছিল পুরুষের সমান মজুরি এবং দৈনিক আট ঘন্টা শ্রমের দাবি এই আন্দোলনে পুলিশ নির্যাতন চালায় এবং অনেকেই গ্রেফতার করেছিল।
১৯০৮ সালের এই দিনে নিউইয়র্কের পোশাক শ্রমিকদের এর বিভিন্ন ধরনের দাবিতে আরেকটি প্রতিভা সমাবেশ করেন ১৪ দিনে এই প্রতিবাদ চলে এতে প্রায় দুই হাজার থেকে শুরু করে 20000 নারী শ্রমিক অংশগ্রহণ করেছিল এবং এটি বড় একটি উদাহরণ নারীদের অধিকার আদায়ের ইতিহাস সম্পর্কে এছাড়া এটি এমন একটি মানববন্ধন ছিল যা ইতিহাসের পাতায় লেখা হয়েছে।

১৯১৩ সালে রাশিয়ায় নারীরা ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ রবিবার নারী দিবস হিসেবে পালন করার জন্য আপিল করেন ১৯৭৭ সালে জাতিসংঘ ৮ মার্চ কেন আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসাবে পালনের ঘোষণা দিয়েছিলেন বলে অনেক সংবাদ মাধ্যম থেকে জানা যায়। নারীর প্রতি সকল অবিচার বিলুপ্তর মাধ্যমে একটি সনদ তৈরি করা হয় যেটি সিডিও নামে পরিচিত ১৯৭৯ সালে ডিসেম্বর মাসে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ এটি গৃহীত করেন।

১৯৮১ সালে বিভিন্ন রাষ্ট্র সমর্থন করে এটি যার পরে এটি কার্যকর করা হয় বাংলাদেশ সহ মোট ১৩২টি দেশ বর্তমানে সনদটি সমর্থন করেছে বলে জানা যায় এটি এমন একটি সনদ যা নারীর অধিকারের একটি পূর্ণাঙ্গ দলিল এটি বিভিন্ন সময় নারীর প্রতি বৈষম্য নিরসনে গৃহীত বিভিন্ন ইস্যুকে সম্মিলিত করে।
এই সনদ নারীর প্রতি রাষ্ট্রের দায়িত্ব নিশ্চিত করে সিডিও সনদে ৩০ টি ধারা বিদ্যমান রয়েছে প্রথমে ১৬ টি ধারা নারীর প্রতি কত প্রকার বৈষম্য আছে তা বিশ্লেষণ করা এবং এ একটি বিস্তারিত ভেঙে বোঝানো হয়েছে পরের ১৪ টি ধারা ব্যাখ্যা করে এ বৈষম্য গুলো কিভাবে বিলুপ্ত করা যায় তা তুলে ধরা হয়েছে।

সর্বশেষ বিশ্ব নারী সম্মেলন

বিশ্ব নারী দিবস উদযাপনের পেছনে রয়েছে নারীদের অধিকার আদায়ের বিভিন্ন ধরনের সংগ্রামের ইতিহাস ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে এ মজুরি বৈষম্য কর্ম ঘন্টা নির্ধারণ এবং পুরুষ ও মহিলার মজুরি সমান করার জন্য একটি ধর্মঘট বের হয় নিউইয়র্কের রাস্তায় যা করেছিল সুতা তৈরির কারখানার নারী শ্রমিকরা। সেই মিছিলে সরকারের নির্দেশে গুলি চালানো হয় এবং অনেককে এরেস্ট করা হয় ১৯০৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি নিউইয়র্কের সোশ্যাল ডেমোগ্রিতা আজ নারী সংগঠনের পক্ষ থেকে আয়োজিত নারী সমাবেশে জার্মান সমাজ নেত্রী ক্লারা জ্যাটকিন নেতৃত্বে সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন হয়েছিল।

লালা ছিলেন জার্মান রাজনীতিবিদ এবং জার্মান কমিউনিটিস্ট পার্টির স্থপতিদের একজন এছাড়া ১৯১০ খ্রিস্টাব্দে ডেনমার্কের এর কুপেনএ অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন। এই নারী সম্মেলনে প্রায় ১৭ টি দেশ থেকে ১০০ জন নারী প্রতিনিধি যোগ দিয়েছিলেন বলে জানা যায় এ সম্মেলনে ক্লারা প্রতিবছর আটটি মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালন করার প্রস্তাবনা দিয়েছিলেন।

পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত হয় ১৯১১ সাল থেকে নারীদের সমধিকার দিবস দিনটি পালন করা হবে ৮ ই মার্চ দিবসটি পালনের এগিয়ে আসে বিভিন্ন দেশের সমাজপতিরা। ১৯১৪ সাল থেকে বেশ কয়েকটি দেশ পালিত হতে লাগলো জাতীয় নারী দিবস হিসাবে পরবর্তীতে নারীর অধিকার আদায়ের পালন হয়ে আসছে।
পরবর্তীতে ১৯৭৫ সালের ৮ ই মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয় দিবস টি পালনের জন্য বিভিন্ন রাষ্ট্রকে আহ্বান জানানো জাতিসংঘ এরপর থেকে সারা বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে দিনটি নারী দিবস নারীদের সমান অধিকার আদায়ের একটি ভিত্তি সারা বিশ্বের সকল দেশের যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়ে থাকে এই নারী দিবস।

১ম বিশ্ব নারী সম্মেলন কোথায় হয়

সর্বপ্রথম বিশ্ব নারী সম্মেলন ১৯৭৫ সালে মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল বলে জানা যায় ১৯১৩ সালে রাশিয়ায় নারীরা ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ রবিবার নারী দিবস হিসেবে পালন করার জন্য আপিল করেছিল ১৯৭৭ সালে জাতিসংঘ ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালন করার ঘোষণা দিয়েছিলেন।

নারীর প্রতি সহিংসতা দমনে বৈষম্যতা বিলুপ্ত করার জন্য একটি সনদ পাস করানো হয় জাতিসংঘে যেটা নাম ছিল সিডিও এছাড়া ১৯৭৯ সালে ডিসেম্বর মাসে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের একটি আপিল গৃহীত হয় ১৯৮১ সালের ২০ টি দেশ সমর্থন করে এ এটি কার্যকর করে পরবর্তীতে বাংলাদেশসহ মোট ১৩২ টি দেশ বর্তমানে সমর্থন করে জাতীয় নারী দিবস হিসাবে দিনটিকে পালন করে আসছে আজ পর্যন্ত। এই সনদের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো—এটি নারীর অধিকারের একটি পূর্ণাঙ্গ দলিল।

শেষ কথা,

আপনারা যদি নারী দিবসের তাৎপর্য - আন্তর্জাতিক নারী বর্ষ প্রথম পালিত হয় সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তাদের জন্য উপরের পোস্ট টি লেখা হয়েছে। এছাড়া নারী দিবসের তাৎপর্য - আন্তর্জাতিক নারী বর্ষ প্রথম পালিত হয় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পোষ্ট টি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ নারী দিবসের তাৎপর্য - আন্তর্জাতিক নারী বর্ষ প্রথম পালিত হয় সম্পর্কে কারো কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমিটির মাধ্যমে সেই প্রশ্ন করতে পারেন আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন এবং নতুন আপডেট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Rajrafi.com এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url