স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস - ১০ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
আজ আমাদের আর্টিকেল এর মূল বিষয়বস্তু স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস - ১০ জানুয়ারি
স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। প্রত্যাবর্তন শব্দের অর্থ হলো ফিরে আসা। আজ আমাদের
মূল বিষয়টি হলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
সম্পর্কে। আমাদেরকে অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন বাংলাদেশের ইতিহাস সম্পর্কে তখন
আমরা একটি বিষয় তুলে ধরে সেটি হলস্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস - ১০ জানুয়ারি
স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। তাহলে চলুন যেন আসি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস - ১০
জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস সম্পর্কে।
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস - ১০
জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস সম্পর্কে জানতে পারবেন। চলুন কথা না
বাড়িয়ে জেনে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস - ১০ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন
দিবস সম্পর্কে।
পেজ সূচিপত্রঃ স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস - ১০ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস কবে
স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস জানুয়ারি মাসের 10 তারিখ। মুক্তিযুদ্ধের পর
বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতা মুক্তিযুদ্ধের অগ্রদূত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর
রহমান 1972 সালে পাকিস্তানের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে এই দিনের বেলা
1:41 মিনিটে স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে প্রত্যাবর্তন করেন। ১৯৭১ সালের 16
ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীদের পরাজিত করে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়
এবং 10 ই জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন এর
মাধ্যমে দেশ তার মর্যাদা ফিরে পায় এবং বিজোড় পূর্ণ আনন্দ গ্রহণ করে।
আরো পড়ুনঃ জিলহজ মাসের ফজিলত সম্পর্কে জেনে নিন
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে ১৯৭১
সালের 7 জানুয়ারি ভোর রাতের দিকে ছাড়া পান। এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিবুর রহমান এবং ডঃ কামাল হোসেনকে বিমানে তুলে দেওয়া হয়েছিল এরপরে সকাল
সাড়ে ছয়টার সময় তারা লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে আহরণ করেন। এছাড়া তারা
সকাল দশটার সময় কথা বলেন বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথ তাজউদ্দিন
আহমেদ এবং ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী সহ অনেক
গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের সাথে।
পরবর্তীতে বৃটেনের বিমানবাহিনীর একটি ভিআইপি বিমানে 9 জানুয়ারি দেশের পথে
যাত্রা শুরু করেন এবং বেশি পৌঁছান 10 জানুয়ারি তে।
স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
১৯৭১ সালের 9 মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর মুক্তিযুদ্ধের যখন ফলাফল
বাঙ্গালীদের দিকে চলে আসলো তার 24 দিন পরে পাকিস্তানের কারাগার থেকে বাংলার
অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের 10 ই জানুয়ারি
দেশে ফিরেছিলেন। দিনটি জাতির জনকের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস হিসেবে পালিত
হয়ে আসছে।
এই দিনটি বিশেষ ভাবে পালনের জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয়
কার্যালয় এবং বঙ্গবন্ধু ভবন সহ সারাদেশে এর বিভিন্ন আওয়ামী লীগের
কার্যালয়ে বাংলাদেশের স্বাধীন পতাকার পাশাপাশি দলীয় পতাকা উত্তোলন করা
হয়ে থাকে। এই দিনটি শুরু হয়ে থাকে ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে
শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে।
প্রতিবছর বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
ধানমন্ডির 32 নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান
পরবর্তীতে তিনি মোনাজাতে অংশ নিয়ে থাকেন। স্বাধীন সার্বভৌমত্ব বা স্বাধীন
বাংলাদেশে পা রাখার পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তেজগাঁও বিমানবন্দর
থেকে বের হয়ে আসেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭১ সালের 25 মার্চ
রাতে ধানমন্ডির 32 নম্বর সড়কের বাসভবন থেকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরা
আটক করে পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যায়।
25 শে মার্চ রাতকে কাল রাতে বলা হয়ে থাকে কারণ সেই রাতে নিরস্ত্র নিরীহ
বাঙালীর উপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর এলোপাতাড়ি হামলা চালায় যার কারণে
প্রচুর মানুষ প্রাণ হারায়। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী দের হাতে আটক হওয়ার
পূর্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান 7 ই মার্চ ভাষণ দিয়ে পুরো বাঙালি
জাতিকে মুক্তিযুদ্ধে আহ্বান জানান পরবর্তীতে 25 শে মার্চ রাতের ঘটনার পরে
বাঙালি জাতির সকল প্রেসার বাঙালি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
পুরো নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের 16 ডিসেম্বর পাকিস্তানি
বাহিনীর বাঙালি মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আত্মসমর্পণ এর মাধ্যমে অর্জিত হয়
বাংলার স্বাধীন পতাকা।মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পড়ে পুরো বিশ্বের মানুষের চাপে
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় পাকিস্তান সরকার।
মুক্তির পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বপ্রথম লন্ডনে যান সেখান থেকে
তিনি 10 জানুয়ারি দিল্লি হয়ে ঢাকায় ফিরে আসেন।
10 ই জানুয়ারি লাখো জনতা তেজগাঁও বিমানবন্দরে সামনে ভিড় জমিয়েছিল এক নজর
তাদের প্রিয় নেতা এবং মুক্তিযুদ্ধের আহ্বানকারীকে দেখার জন্য।বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমান বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে আসার পরে কুড়ি মিনিটের একটি
আবেগ ঘন ভাষণ দেন তিনি বলেন পশ্চিম পাকিস্তানে যখন তিনি ছিলেন তখন তিনি
ফাঁসির মঞ্চে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলেন কিন্তু তিনি জানতেন বাঙ্গালীদের
কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না।
স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের ইতিহাস
বাংলার অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে
পাকিস্থানীদের সাথে নয় মাস যুদ্ধের পর অর্জন করে বাঙালি এই মুক্তি এরপর ১৯৭২
সালের 10 ই জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু কে ফিরে পাওয়ার মাধ্যমে পুনরায় অর্জিত হয়
পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা। এইদিন স্বাধীন বাংলার আকাশে সূর্যোদয়ের মতো
চিরভাস্বর-উজ্জ্বল মহান নেতা ইতিহাসের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
ফিরে আসেন তার প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশে।
১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন এর মধ্য দিয়ে
বাঙালি জাতি অন্ধকার থেকে আলোর দিকে যাত্রা শুরু করেন তিনি ছিলেন বাঙালি
জাতির জন্য প্রেরণা। অনেক ত্যাগ তিতিক্ষা সংগ্রাম আন্দোলন ও আত্মত্যাগের
মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পর বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার
জন্য বাঙালি জাতিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমান।
১০ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
১৯৭১ সালের 25 মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পাকিস্তানের হানাদার
বাহিনী আটক করে পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যায় সেখানে তার ওপর পাশবিক নির্যাতন
চালানো হয় এবং ১৯৭১ সালের 26 শে মার্চ থেকে পুরনিমার যুদ্ধের পরে যখন বাংলার
আকাশে বিজয়ের পতাকা উত্তোলন করা হলো তখন বিভিন্ন দেশের চাপের কারণে পশ্চিম
পাকিস্তান বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মুক্তি
দিতে বাধ্য হন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কারাগার থেকে মুক্ত করে দেওয়ার পরে ১৯৭২
সালের 10 ই জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলার স্বাধীন মাটিতে
আরোহন করেন। পুরো বাঙালি জাতির কাছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক সূর্যের
ন্যায় যিনি আমাদের আলোর পথ দেখিয়েছেন মুক্তির পথ দেখিয়েছেন এবং বাঙালি
জাতি সেই পথে অগ্রসর হয় মুক্তির স্বাদ গ্রহণ করেছেন।
স্বদেশ প্রত্যাবর্তন কি
১৯২০ সালে 22 সুপ্তি নামে এক বিশেষ চুক্তি কার্যকর করা হয় এটি শান্তিচুক্তি
যা প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ও সংশ্লিষ্ট শক্তিগুলো সকল স্বাধীন দেশকে সাপোর্ট
করবে এই বিষয়ে।১৯৭২ সালের 10 ই জানুয়ারি বাংলার অবিসংবাদিত নেতা সংগ্রামী
নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন তিনি
সর্বপ্রথম সেখান থেকে জার্মানি জার্মানি থেকে ভারত এবং ভারত থেকে বাংলাদেশে
আরোহন করেন।
শেষ কথা
আপনারা যদি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস - ১০ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন
দিবস সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তাদের জন্য উপরের পোস্ট টি লেখা হয়েছে। এছাড়া
আপনার যদি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস - ১০ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পোষ্ট টি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্বদেশ
প্রত্যাবর্তন দিবস - ১০ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস সম্পর্কে কারো
কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমিটির মাধ্যমে সেই প্রশ্ন করতে পারেন আমাদের
ওয়েবসাইট ফলো করুন এবং নতুন আপডেট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।
Rajrafi.com এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url