রমজান মাসের ফজিলত - রমজান মাসের ক্যালেন্ডার 2023

পবিত্র মাহে রমজান 22 মার্চ 2023 থেকে শুরু হবে। আজ আমরা আলোচনা করব রমজান মাসের ফজিলত - রমজান মাসের ক্যালেন্ডার 2023 সম্পর্কে। সুবেসাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার খাবার থেকে বিরত থাকা সকল প্রকার খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকার নামই হলো। আমাদের অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন রমজান মাসের ফজিলত - রমজান মাসের ক্যালেন্ডার 2023 সম্পর্কে। চলুন জেনে আসি কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রমজান মাসের ফজিলত - রমজান মাসের ক্যালেন্ডার 2023 সম্পর্কে।
রমজান মাসের ফজিলত - রমজান মাসের ক্যালেন্ডার 2023
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে রমজান মাসের ফজিলত - রমজান মাসের ক্যালেন্ডার 2023 জানতে পারবেন। চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে রমজান মাসের ফজিলত - রমজান মাসের ক্যালেন্ডার 2023 সম্পর্কে।

পেজ সূচিপত্রঃ রমজান মাসের ফজিলত - রমজান মাসের ক্যালেন্ডার 2023

রমজান মাসের রোজার ফজিলত - রমজান মাসের ক্যালেন্ডার 2023

আজ আমরা জানবো রমজান মাসের ফজিলত সম্পর্কে। প্রতিটি মুসলমানের রমজান মাসের ফজিলত সম্পর্কে অবগত থাকা জরুরী। তাহলে চলুন জেনে আসি রমজান মাসের ফজিলত। পবিত্র গ্রন্থ ও হাদিসে উল্লেখিত আছে মহানবী সাঃ এরশাদ করেন মহান আল্লাহ তা'আলা বলেন রোজা আমার জন্য এবং আমি তার পুরস্কার দেব রোজা জাহান্নামের ঢাল হিসাবে তোমাদের হেফাজত করবে রোজা থেকে তোমরা কেউ গালমন্দ ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত হয় না কেউ যদি তোমাকে রোজা অবস্থায় গালমন্দ করে শুধু তুমি তাকে বলবে তুমি রোজাদার।
বুখারী মুসলিম।অপর একটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে আব্দুল্লাহ ইবনে আমার রাঃ হতে বর্ণিত হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন রোজা এবং কোরআন কেয়ামতের সেই কঠিন দিনে আল্লাহর কাছে বান্দার জন্য সুপারিশ করবে রোজা বলবে তার ব্যাপারে হে আমার মাবুদ আমি তাকে পানাহার এবং সকল খারাপ কাজ থেকে বাধা দিয়েছি সুতরাং আপনি আমার সুপারিশ কবুল করে নিন অপরদিকে কোরআন বলবে আমি তাকে রাতের বেলা নিদ্রা হতে বাধা দিয়েছি সুতরাং আপনি আমার সুপারিশ কবুল করুন অতএব মহান আল্লাহতালা দুজনের সুপারিশ কবুল করবে এবং ওই ব্যক্তিকে জান্নাতে দেবে।বায়হাকী। 

এছাড়া হাদীস শরীফে উল্লেখ রয়েছে আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু হতে বর্ণিত রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন রোজার প্রথম রাত থেকেই শয়তান এবং অবাধ্য জিনদের সিঙ্গেল দিয়ে বাধা রাখা হয় এবং দোজখের সকল দরজা বন্ধ করা হয় এই দরজা খোলা হয় না বেহেস্তের সকল দরজা খুলে দেওয়া হয় এবং এই দরজা বন্ধ করা হয় না এ মাসে অনাহারকারী আহার করতে থাকে আর হে ভালো কন্ডিশনকারী অগ্রসর হও হে মন্দ অন্বেষণকারী আল্লাহতালা এ মাসে বহু ব্যাক্তিকে দোযখ থেকে মুক্তি দেন আর রমজান মাসে এমন প্রতি রাতই হয়ে থাকে। তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ। রমজান মাসের সময়সূচী নিচে দেওয়া হলঃ
রমজান মাসের ফজিলত - রমজান মাসের ক্যালেন্ডার 2023

রমজানের ফজিলত সম্পর্কে হাদিস - রোজা না রাখার শাস্তি হাদিস

হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু হতে বর্ণিত হাদিসে কুদসিতে রেজাল্ট রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন আল্লাহ তা'আলা বলেন আদম সন্তানের প্রত্যেক আমল তাদের নিজস্ব কিন্তু রোজা আমার কারণ রোজা আমার জন্য এবং আমি তার প্রতিদান দেব মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এরশাদ করেন রোজাটা ঢালস্বরূপ যা আমাদের জাহান্নামের সেই ভয়ংকর আগুন থেকে রক্ষা করবে তোমাদের কেউ যেন সিয়াম পালনের দিন অশ্লীলতায় লিপ্ত না হয় এবং ঝগড়া বিবাদ না করে যদি কেউ কাউকে গালি দেয় কারো সঙ্গে ঝগড়া করে তাহলে সে যেন বলে আমি একজন রোজাদার।

যার হাতে মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রাণ তার শপথ অবশ্যই রোজাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহর কাছে মেসওয়াক করা সুগন্ধের চেয়ে উত্তম রোজাদারের জন্য দুইটি খুশির মুহূর্ত আছে যাতে তারা আনন্দিত হবে। সেই দুইটি আনন্দের মুহূর্ত হলো যখন সে ইফতার করবে এবং যখন সে তার পালনকর্তা সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে রোজার বিনিময় এ।বুখারি, হাদিস: ১৯০৪।
রোজা ছেড়ে দেওয়ার অর্থ হল আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করে চলা এই মাস হল পাপাচার থেকে মুসলমানদের দূরে রাখার মাস এই মাস জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাওয়ার মাস মাহে রমজানে নেক আমলের ফজিলত বেশি তেমনি এ মাসে গুনাহ করলে এর শাস্তিও বেশি। এজন্য সকল মুসলমান ভাইদের প্রতি অনুরোধ রইল আমরা যতটা সম্ভব আল্লাহর আইন মতো এই মাসটি চলবো এবং মহান আল্লাহতালা নারাজ না হন সে দিকে লক্ষ্য রাখবো।

রমজান মাসের ফজিলত 

রোজা হল ফারসি শব্দ যার আরবি অর্থ হচ্ছে সাও বহুবচনে সিয়াম সাউন্ড বা সিয়ামের বাংলা অর্থ হচ্ছে বিরত থাকা আর সিয়াম সাধনার অর্থ হল সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল পানাহর ও পাপাচার থেকে নিজেকে বিরত রাখার প্রক্রিয়া। এ পবিত্র মাসে মানুষকে সকল রকম অনৈতিক এবং গর্হিত কার্যকলাপ থেকে বিরত ও রাখতে এবং সকলের সাধ্যমত ইবাদত বন্দেগী করার জন্য উৎসাহিত করা হয়।

প্রকৃতপক্ষে রমজান হলো পূর্বের সকল গুনাহর জন্য ক্ষমা চেয়ে সাচ্চা মুসলমানের হয়ে জীবন যাপনের প্রতিজ্ঞা করার এক মহান মাস এ মাসের সময় গুলো খুব বেশি ইবাদত বন্দীগের মাধ্যমে অতিবাহিত করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিশিষ্ট আলেমগণ মহান আল্লাহতালা পুরো বছরের মধ্যে এই একমাত্র মানুষকে সবচেয়ে বেশি গুণান্বিত মাস হিসেবে বিবেচিত করেছেন এই মাস সকল পাপাচার থেকে মুসলিমদের বিরত রাখার মাস এই মাস মুক্তির মাস এই মাসে মহান আল্লাহর কাছ থেকে পানা চাওয়ার মাস।
এর সাথে সকল সদকা ও দান করতে হবে আশেপাশের সুবিধা বঞ্চিত মানুষের হক আদায় করতে হবে অশ্লীলতা ধোঁকাবাজি অন্যান্য খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখতে হবে নিজেকে এবং এই ফজিলতের মাসে মহান আল্লাহতালা নৈকট্য লাভের জন্য আল্লাহর ইবাদত করতে হবে। এর কারণে বরকতপূর্ণ মাসের ফজিলত পাওয়া সম্ভব হবে এছাড়া মহান আল্লাহতালা ঘোষনা করেন এই পবিত্র মাসে যে ব্যাক্তি যত বেশি আমল করবে সে ৭০ গুন বেশি সওয়াব পাবে।

সাওম সম্পর্কে আলোচনা

ইসলাম ধর্মের মূল ভিত্তি তৃতীয় নাম্বারে রয়েছে সাদেক বা ভোরের সূক্ষ্ম আলো থেকে শুরু করে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার পাপাচার পানাহার ও সকল যাবতীয় খারাপ কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখার নামই হলো রোজা মহান আল্লাহ তায়ালা রোজার পূর্ণ নিজের হাতে দিবেন। ইসলামী বিধান অনুযায়ী প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানদের জন্য রমজানের মাসে প্রতিদিন রোজা রাখা ফরজ যার অর্থ অবশ্যই পালন করতে হবে বর্ণিত রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন তার পূর্ববর্তী সকল।


আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত তিনি আরো বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন শয়তান ও দুষ্ট জ্বীনদেরকে রমজান মাসের প্রথম রাতেই সিঙ্গেল বন্দি করা হয় এবং তারা যেন মুমিনদের ধোকা না দিতে পারে সেই জন্য মহান আল্লাহতালা এই ব্যবস্থা করেন।রমজানের প্রথম রাতে জাহান্নামের দরজার সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং জান্নাতের দরজা সম্পন্নরূপে খুলে দেওয়া হয়।

জাহান্নামের দরজা খোলা হয় না আর আর জান্নাতের দরজা বন্ধ করা হয় না আর তবে এখানে বলা হয়েছে পবিত্র কুরআন মাজিদে সকল জাহান্নামীদের জান্নাতের স্বাদ গ্রহণ করানোর জন্য জাহান্নামীদের মুক্তি দেন। মহান আল্লাহ যেন আমাদের সকলকে সুস্থভাবে সাওন পালনের তৌফিক দান করেন।

রোজা সম্পর্কে কুরআনের আয়াত

সিয়াম হলো নির্দিষ্ট কয়েক দিনের জন্য তোমাদের মধ্যে কেউ অসুস্থ হলে অথবা সফরে থাকলে অন্য সময় এই সংখ্যা পূরণ করবে যাদের জন্য অতি অবশ্যই কষ্টদায়ক হয় তাদের কর্তব্য হলো এর পরিবর্তে ফিরিয়া একজন অভাবগ্রস্ত কে খাদ্য দান করা। যদি কোন ব্যক্তি স্বতঃস্ফূর্তভাবে সৎ কাজ করে তবে তা তার পক্ষে অধিক কল্যাণকর আর সিয়াম পালন করাই তোমার জন্য অধিক কল্যাণকর যদি তোমারা তা জানতে। (সূরা বাকারাহ-১৮৪)
মানুষকে আলোর দিশা দেখানোর জন্য সৎ পথে আনার জন্য আইয়ামে জাহিলিয়াতের অন্ধকার যুগ থেকে ফেরানোর জন্য মহান আল্লাহ তা'আলা কোরআন মাজীদ অবতীর্ণ করেন হেরা পর্বতের গুহায় মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর। আল্লাহ তোমাদের জন্য যা সহজ তাই এবং যা তোমাদের জন্য কষ্টকর তা চান না এজন্য তোমাদের সংখ্যা অপূর্ণ করবে এবং তোমাদের সৎ পথে পরিচালিত করার কারণে তোমরা আল্লাহর মহিমা ঘোষণা করবে এবং যাতে তোমরা প্রকাশ করবে। (সূরা বাকারাহ-১৮৫)

শেষ কথা,

আপনারা যদি রমজান মাসের ফজিলত - রমজান মাসের ক্যালেন্ডার 2023 সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তাদের জন্য উপরের পোস্ট টি লেখা হয়েছে। এছাড়া রমজান মাসের ফজিলত - রমজান মাসের ক্যালেন্ডার 2023 সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পোষ্ট টি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ রমজান মাসের ফজিলত - রমজান মাসের ক্যালেন্ডার 2023 সম্পর্কে কারো কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমিটির মাধ্যমে সেই প্রশ্ন করতে পারেন আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন এবং নতুন আপডেট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Rajrafi.com এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url