আলসার হলে করণীয় - গ্যাস্ট্রিক আলসার কেন হয়

আজ আমরা জানবো আলসার হলে করণীয় - গ্যাস্ট্রিক আলসার কেন হয় সম্পর্কে। পরিপাকতন্ত্রে যদি অতিরিক্ত এসিড হয় সেক্ষেত্রে এই সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে অপরদিকে এসিড সৃষ্টি না হলেও অনেক সময় এ সমস্যা দেখা দেয়। আমাদের অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন আলসার হলে করণীয় - গ্যাস্ট্রিক আলসার কেন হয় সম্পর্কে। চলুন জেনে আসি আলসার হলে করণীয় - গ্যাস্ট্রিক আলসার কেন হয় কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
আলসার হলে করণীয় - গ্যাস্ট্রিক আলসার কেন হয়
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে আলসার হলে করণীয় - গ্যাস্ট্রিক আলসার কেন হয় সম্পর্কে জানতে পারবেন। চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে আসি আলসার হলে করণীয় - গ্যাস্ট্রিক আলসার কেন হয় সম্পর্কে।

পেজ সূচিপত্রঃ আলসার হলে করণীয় - গ্যাস্ট্রিক আলসার কেন হয়

গ্যাস্ট্রিক আলসার থেকে মুক্তির উপায় - গ্যাস্ট্রিক আলসারের ঔষধ

আজ আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব আলসার হলে করণীয় কি। স্বাস্থ্য সচেতন প্রতিটি মানুষেরই আলসার হলে করণীয় কি এটি জেনে থাকা প্রয়োজন। চলুন জেনে আসি আলসার হলে করণীয় কি কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিস্তারিত তথ্য। ঘোল দই এমন এক ধরনের খাবার যার মধ্যে প্রোবায়োটিক থাকে যা জীবনতো ব্যাকটেরিয়ার সৃষ্টি করে এবং পাচন কার্জে এই ব্যাকটেরিয়া বিশেষভাবে কার্যকারী ভূমিকা পালন করে। আমাদের শরীরের অত্যন্ত মারাত্মক এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া হলো এইচ ফাইলারি এই ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে প্রোবায়োটিক এর উপকারিতা অনেক বেশি।
তাই আলসার থেকে দ্রুত মুক্তি পেতে প্রোবায়োটিক জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে পারেন অর্থাৎ নিয়মিত এক কাপ পরিমাণ ঘোল বা দই খেতে পারে। নারকেলের গুণগতমান অনেক বেশি নারকেলের দুধ ও পানিতে ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধকারী বিশেষ ধরনের এর উপকারিতা রয়েছে প্রতিদিন এক কাপ কচি নারকেলের দুধ বা পানি খেতে পারেন আরো বেশি উপকার হয়।

কচি নারকেলের শ্বাস খেলে এছাড়া আমাদের মধ্যে অনেকেই বলে থাকেন ভাজাপোড়া কিংবা ঝাল জাতীয় খাবার খেলে পেটে পেপটিক আলসার হয়। ভাজাপোড়া খেলে আলসার হয় এমন কোন সুস্পষ্ট প্রমাণ মেলেনি তবে যারা নিয়মিত খাবার খান না বা দীর্ঘ সময় পর্যন্ত অনাহার করে থাকেন তাদের এ ধরনের সমস্যা শরীরের সৃষ্টি হতে পারে।

পেপটিক আলসার থেকে বাঁচতে হলে অবশ্যই রোগীকে ধূমপান থেকে বিরত থাকতে হবে। ব্যাথার আসুক ওষুধ থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে এবং নিয়মিত পরিমিত ভাবে সময়মতো খাবার গ্রহণ করতে হবে। পেপটিক আলসারের জন্য এন্টাসিড, রেনিটিডিন, ফেমোটিডিন, ওমিপ্রাজল, লেনসো এই সকল ওষুধ সবচেয়ে ভালো কার্যকর। পেপটিক আলসার যদি বিভিন্ন জীবাণুর কারণে হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে বিভিন্ন ঔষধ এর সংমিশ্রণে এর চিকিৎসা দেওয়া হয়ে থাকে।

আলসার হলে করণীয় - গ্যাস্ট্রিক আলসার কেন হয়

অনেকেই মনে করে থাকেন ঝাল মসলা বা ভাজাপোড়া খাবার বেশি খেলে আলসার হয়ে থাকে কিন্তু এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল শিক্ষকদের মতে অনিয়ম তান্ত্রিকভাবে খাবার গ্রহণের ফলে আলসারের মতো রোগ হতে পারে। ভাজাপোড়া বা ঝাল খাবার শুধুমাত্র আলসার যুক্ত ব্যক্তির আলসার মারাত্মক আকার ধারণ করে দিতে পারে।

কিন্তু এটি আলসার সৃষ্টি করে না আপনি যদি পরিপাকতন্ত্র ভালো রাখতে চান  সেক্ষেত্রে পরিমিতভাবে খাদ্য গ্রহণ করতে হবে এছাড়া রুটিন মাফিক স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে পরিপাকতন্ত্র ভালো রাখতে হবে একেবারে অতিরিক্ত খাবার না খেয়ে পরিমিতভাবে খাদ্য গ্রহণ করতে হবে এবং খালি পেটে থাকা যাবে না। আলসার থেকে বাঁচতে হলে সর্বপ্রথম ধূমপান এবং মাদকদ্রব্য সেবন থেকে বিরত থাকতে হবে।
দীর্ঘদিন যাবত কোন ব্যাথা নাশক ওষুধ খাওয়া যাবে না ব্যথার ওষুধ খেলেও ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে হবে দীর্ঘদিন ব্যথার ওষুধ খাওয়ার ফলে আলসারের মতো মারাত্মক মরণব্যাধির সৃষ্টি হতে পারে পেটে। এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া এই আলসার রোগে সৃষ্টি করে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে খাদ্য গ্রহণ মদ ও ধূমপান খাবারে অতিরিক্ত তেল মসলা ব্যবহার আলসারের মতো রোগ সৃষ্টি করতে পারে।

কী খেলে আলসার ভালো হয় - আলসার হলে কি লেবু খাওয়া যাবে

আমরা অনেকেই জানিনা মধু একপ্রকার এনজাইম মধুর মধ্যে যে এনজাইম থাকে তা ভেঙে হাইড্রোজেন পার অক্সাইড তৈরি করা হয়ে থাকে যা পেপটিক আলসারের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে কার্যকারী ভূমিকা পালন করে এবং পেপটিক আলসারের এনজাইম এর সঙ্গে লড়াই করে আলসার ভালো করে প্রতিদিন গরম জলে দারচিনির গুঁড়ো ও মধু মিশিয়ে খেলে ভালো উপকার পাওয়া যাবে।

আলসারের জন্য আদা খুবই ভালো আদা গ্যাসের সমস্যা ভালো করতে সক্ষম একটি প্রাকৃতিক রেমেডি এক কাপ জলের মধ্যে এই এক চা চামচ আদা কুচি মিশিয়ে ভালোভাবে পাঁচ মিনিট ধরে ফুটিয়ে নিন এবার আদা কুচি পানি থেকে ভালোভাবে ছেঁকে নিয়ে পানির মধ্যে মধু মিশিয়ে দিনে তিনবার খেতে পারলে আলসারের সমস্যা ভালো করা সম্ভব।

ঈশানী বজ্ঞাই বলেন অনেকের পেটে আলসারের সমস্যা রয়েছে খুব বেশি এসিডিটির কারণে ও আলসার হয়ে যায় এই এমন পরিস্থিতিতে লেবু খাওয়া যাবেনা কারণ লেবু গ্যাসের সৃষ্টি করে বা আলসারের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। লেবুর মধ্যে রয়েছে সাইটিক অ্যাসিড যা আলসারের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে এছাড়া খাবার খাওয়ার সময় সতর্ক থাকতে হবে এমন ধরনের খাবার খাওয়া যাবে না।
যা এসিডিটির সৃষ্টি করে এমন খাবার গ্রহণে আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সমস্যাগুলো হলো আলসার এসিডিটি ইত্যাদি। শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য বনস্পতি থেকে শুরু করে পাম তেল বিভিন্ন ধরনের অতিরিক্ত মসলা বা মাসালাযুক্ত খাবার থেকে শরীরকে বিরত রাখতে হবে।

আলসার হলে কি কি খাওয়া যাবে না - আলসার হলে কি কি ফল খাওয়া যাবে

শরীরকে ভালো রাখতে হলে তেল চর্বিযুক্ত বা মশলাযুক্ত খাবার এছাড়া কফি এড়িয়ে চলতে হবে এ নাস্তা হিসেবে শুকনো খাবার খাওয়া সবচেয়ে বেশি ভালো যেমন ক্যাটার্স মুড়ি ইত্যাদি প্রতিদিন কিছু তাজা ফল সেবন করতে হবে এতে শরীর থাকবে সতেজ এবং কর্মক্ষম খাওয়ার পর শুয়ে পড়া যাবে না এবং পরিমিতভাবে অল্প অল্প করে খাবার গ্রহণ করতে হবে একসঙ্গে বেশি খাবার খাওয়া যাবে না।

আর অনেকক্ষণ না খেয়ে থাকা শরীরের জন্য ক্ষতিকর এই জন্য কিছু না কিছু খেতে হবে। আলসার আমাদের শরীরের এক ধরনের রোগ যা ভালো করা সম্ভব কিছু নিয়ম-কানুন ফলো করার মাধ্যমে মানসিক চাপ নেওয়া যাবে না উদ্বেগের মধ্যে থাকা যাবে না তাহলে এই সমস্যা অনেকটাই ভালো করা সহজ হয়ে ওঠে শিথিল থাকতে হবে।
যোগ ব্যায়াম করতে হবে নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীরকে সতেজ রাখতে হবে এছাড়া যদি অতিরিক্ত মানসিক চাপের মধ্যে থাকেন সে ক্ষেত্রে মনোবিজ্ঞানীদের পরামর্শ বা মনোবিদদের পরামর্শ নিতে পারেন। আলসার ভালো করার সর্ব প্রথম এবং প্রধান শর্ত হলো মদ্যপান এবং ধূমপান থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে। শুকনো আদা পেপার মিন্ট পেঁপে ভর্তা কলা ভর্তা ইত্যাদি খাদ্য গ্রহণ করতে পারেন এটি আলসারের রোগীদের জন্য অতি প্রয়োজনীয়।

গ্যাস্ট্রিক আলসারের লক্ষণ ও চিকিৎসা - গ্যাস্ট্রিক আলসারের ঘরোয়া চিকিৎসা

গ্যাস্ট্রিক আলসারের লক্ষণগুলো খুব সাধারণ একটু সচেতন থাকলে এগুলো বোঝার মাধ্যমে খুব সর্তকতার সাথে ওষুধ সেবন করে এটি ভালো কথা সম্ভব এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য লক্ষণ গুলো হল বুক জ্বালা পেটে উপরের দিকে যন্ত্রণা খাওয়ার পরে পেট ফুলে থাকা বা পেট ফেঁপে থাকা মুখ দিয়ে নুন জল ওঠা বমি ইত্যাদি হলে বুঝতে হবে যে পেটে আলসার হতে পারে বা আলসারের রোগ সৃষ্টি হচ্ছে।

আলসারের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এক সপ্তাহ প্রতিদিন এক কাপ করে প্রোবায়োটিক জাতীয় খাবার খেতে হবে অর্থাৎ ঘোল বা দই খেতে পারেন ব্যথা নাশক কোনো ওষুধ খাওয়া যাবেনা এবং নিয়মিত শ্বাসযুক্ত ডাব খেতে পারেন সবচেয়ে বেশি ভালো হয় ডাবের শ্বাস খেতে পারলে। প্রতিদিন এক কাপ কচি নারকেলের দুধ বা পানি পান করতে হবে আরো বেশি উপকার হয় কঠিন নারকেল এর শ্বাস গ্রহণ করলে।

শেষ কথা,

আপনারা যদি আলসার হলে করণীয় - গ্যাস্ট্রিক আলসার কেন হয় সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তাদের জন্য উপরের পোস্ট টি লেখা হয়েছে। এছাড়া আলসার হলে করণীয় - গ্যাস্ট্রিক আলসার কেন হয় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পোষ্ট টি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আলসার হলে করণীয় - গ্যাস্ট্রিক আলসার কেন হয় সম্পর্কে কারো কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমিটির মাধ্যমে সেই প্রশ্ন করতে পারেন আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন এবং নতুন আপডেট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Rajrafi.com এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url