জন্ডিস হলে করনীয় - জন্ডিস হলে কি খেতে হয়

আজ আমরা জানব জন্ডিস হলে করনীয় - জন্ডিস হলে কি খেতে হয় এ সম্পর্কে। জন্ডিস ইংরেজি শব্দ যার অর্থ হল একটেরাস এটি কোন রোগ নয় এটি শুধু একটি রোগের লক্ষণ জন্ডিস হলে আমাদের ত্বক চোখের সাদা অংশ হলুদ হয়ে যায়। আমাদের অনেকেই প্রশ্ন করেন জন্ডিস হলে করনীয় - জন্ডিস হলে কি খেতে হয় এ সম্পর্কে। তাহলে চলুন জেনে আসি জন্ডিস হলে করনীয় - জন্ডিস হলে কি খেতে হয় এ সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
জন্ডিস হলে করনীয় - জন্ডিস হলে কি খেতে হয়
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে জন্ডিস হলে করনীয় - জন্ডিস হলে কি খেতে হয় এ সম্পর্কে জানতে পারবেন। চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে আসি জন্ডিস হলে করনীয় - জন্ডিস হলে কি খেতে হয় এ সম্পর্কে।

পেজ সূচিপত্রঃ জন্ডিস হলে করনীয় - জন্ডিস হলে কি খেতে হয় 

জন্ডিস হলে কি কি সমস্যা হয় - বিলিরুবিনের মাত্রা কত হলে জন্ডিস হয়

প্রতিটি স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের জন্ডিস হলে করনীয় কী এ সম্পর্কে অবগত থাকা প্রয়োজন। জন্ডিসের সিমটমস খুব স্বাভাবিক কারণ এই জন্ডিস শরীরে প্রবেশ করলে জ্বর ঠান্ডা লাগা বা তলপেট ব্যথা এছাড়া এর মত বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে প্রবেশ করে এর জীবাণু তাকে ত্বকের রং বদলে যাওয়া প্রস্রাবের রং বদলে যাওয়া এবং পায়খানার রং বদলে যাওয়া এ সমস্ত উপসর্গ যদি কোন ব্যক্তির শরীরে দেখা দেয় সে ক্ষেত্রে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত কারণ জন্ডিস মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে গুরুত্ব সহকারে এর ট্রিটমেন্ট না করলে।
ডাক্তারদের পরামর্শ মত জন্ডিস হলে ওষুধ সেবন করা উত্তম গবেষকরা বলেন জন্ডিসের চিকিৎসা চলাকালীন বিভিন্ন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে শরীরে যেমন কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা পাকস্থলীতে যন্ত্রণা পেটে ব্যথা করা গ্যাসের সমস্যার ডায়রিয়া ইত্যাদি। প্রতিটি ক্ষেত্রে এই শরীরে সমস্যা সৃষ্টি হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করা উচিত অল্প উপসর্গ দেখা দিলেই চিকিৎসকের সঙ্গে দ্রুত পরামর্শ করে।

সেই অনুযায়ী ঔষধ সেবন করা উত্তম কারণ বিশেষজ্ঞদের মধ্যে জন্ডিস যদি শরীরে প্রবেশ করে তাহলে নিয়ন্ত্রান্ত্রিকভাবে চিকিৎসার মাধ্যমে এটি যেমন ভালো করা সম্ভব তেমনি অবহেলা করে ফেলে রাখলে এটি মৃত্যুরও কারণ হতে পারে। আমাদের শরীরে যখন জন্ডিস বাসা বাদে তখন আমাদের স্কিন চোখের সাদা অংশ হলদে হয়ে ওঠে।
রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে গেলে জন্ডিস দেখা দিতে পারে শরীরে আমাদের রক্তে লোহিত রক্তকণিকা একটা সময় স্বাভাবিক নিয়ম ভেঙ্গে গিয়ে বিলিরুবিন তৈরি করে যা পরবর্তীতে লিভারে প্রক্রিয়াজাত হয়ে পিত্তরসের সাথে পিত্ত নালির মধ্যে দিয়ে পাকস্থলীর সাথে যুক্ত হয়ে পরিপাকতন্ত্রের প্রবেশ করে।

জন্ডিস হলে করনীয় - জন্ডিস হলে কি খেতে হয়

যেহেতু জন্ডিস কোন রোগ নয় তাই এর কোন ঔষধ আইডেন্টিফাই করা সম্ভব নয় সাত থেকে ২৮ দিনের মধ্যে রক্তে বিলিরুবিন এর  পরিমাণ স্বাভাবিক হয়ে গেলে জন্ডিস এমনিতেই সেরে যায় কিন্তু এ সময় পর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং চিকিৎসা দিতে হয় শরীরকে। জন্ডিস হওয়া অবস্থায় কোন ধরনের ব্যথার ওষুধ কোন কবিরাজি ওষুধ বা অন্য কোন অপ্রয়োজনীয় ঔষধ খাওয়ার প্রয়োজন নেই।
তবে সবজির ক্ষেত্রে মিষ্টি কুমড়া মিষ্টি আলো মূলা বিট গাজর টমেটো ব্রকলি ফুলকপি বাঁধাকপি পালং শাক খেতে পারেন এটি জন্ডিস ভালো করতে বিশেষভাবে কার্যকারী ভূমিকা পালন করে এবং এটি একটি প্রাকৃতিক রেমিডিয়েও বলা চলে। জন্ডিস আক্রান্ত রোগী ফলের মধ্যে বেরি পেঁপে তরমুজ আনারস পাকা আম কলা কমলা জলপাইনের মত সহজ পাঠ্য ফল প্রতিদিনে এর তালিকায় রাখতে পারেন দুগ্ধ জাতীয় খাবার জন্ডিস হলে ফল ক্রিম দুধ বা দই এই পানি খাবার ঠিক নয়।
যকৃতের জন্য ক্ষতিকর এগুলো। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যুক্ত খাবার অর্থাৎ লেবু বাতাবি লেবু শরবত জন্ডিস রোগীর জনক খুবই ভালো হিসেবে গণ্য করা হয় এগুলো শরীরের পানির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। এছাড়া প্রতিদিন বাদাম পরিমাণ মতো খেলে খুব ভালো হয় সামান্য আদা কুচি রসুন কুচি আদার রস খাওয়া যেতে পারে আদা দিয়ে চাও খেতে পারেন এটি যকৃতের জন্য খুব ভালো।

লিভার জন্ডিস হলে কি করনীয় - বাচ্চাদের জন্ডিস হলে করনীয়

যেহেতু জন্ডিস কোন রোগ নয় সেহেতু এ রোগের ঔষধ নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা নেই কোন ডাক্তারি বইয়ে সাত থেকে ২৮ দিনের মধ্যে যদি স্বাভাবিক জন্ডিস হয় তাহলে এমনিতেই কমে যাবে এ সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেতে হবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে এবং বিভিন্ন ধরনের খাদ্য গ্রহণ করতে হবে তবে ফল গ্রহণ করা সব উত্তম ব্যথা নাশক বিভিন্ন ঔষধ প্যারাসিটামল বিভিন্ন কবিরাজি ঔষধ এগুলো এভোয়েড করে চলতে হবে এই সময় গুলিতে।

শিশু যদি জন্ডিসের আক্রান্ত হয় তবুও তাকে বুকের দুধ খাওয়ানো থেকে বিরত রাখা যাবে না প্রতি দুই থেকে তিন ঘন্টা পর পর শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে ফিজিওলজিক্যাল বা স্বাভাবিক জন্ডিসের মূল চিকিৎসায় হচ্ছে ঠিকমতো বুকের দুধ প্রদান করা শিশুকে। বিলি ইউরোবিন এর মাত্রা বেড়ে গেলে সাধারণত শিশুকে ফটো থেরাপি বা আলো ও চিকিৎসা দেওয়া হয়ে থাকে।
এর উপকারিতা ও কার্যকারিতা নিয়ে মতভেদ থাকলেও এখন পর্যন্ত এ পদ্ধতি ব্যবহার হয়ে আসছে। এছাড়া প্রতিদিন সকালের মিষ্টি রোধে নবজাতককে আধা ঘন্টা করে রাখতে হবে তবে সূর্য করা রোদ ও অতি বেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা করে রাখতে হবে বেবিকে।

নবজাতকের জন্ডিস কত প্রকার - নবজাতকের জন্ডিসের প্রতিকার

একটি নবজাতকের শরীরের লোহিত রক্তকণিকায় যে হিমোগ্লোবিন থাকে তা বড়দের থেকে গুণগতভাবে অনেকটাই আলাদা এছাড়া এই হিমোগ্লোবিনের আইশ-কালো খুব কম তাই এগুলো খুব দ্রুত ভেঙে বিলিরুবিন তৈরি করে। অতিরিক্ত বিলিরুবিন নবজাতকের অপরিণত ও অপরিপক্ক লিভার দ্রুত নিষ্কাশন করতে পারেনা।
এতে রক্তে একই মাত্রা বেড়ে যায় আবার লিভার এর কার্যক্ষমতা বাড়ার পাশাপাশি কমেও আসে এবং সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে সম্পূর্ণ মিলিয়ে যায় এগুলো। কোন অবস্থাতেই নবজাতক কে দুগ্ধ খাওয়া হতে বিরত রাখা যাবে না শিশুকে নিয়মিত দুই থেকে তিন ঘন্টা পর পর আর বুকের দুধ খাওয়াতে হবে বিশেষজ্ঞদের মতে ফিজিকেল বা স্বাভাবিক জন্ডিসের মূল চিকিৎসা হচ্ছে শিশুকে ঠিকমতো বুকের দুধ খাওয়ানো। বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে গেলে সাধারণত শিশুকে ফটো থেরাপি বা আলো চিকিৎসা দেওয়া হয়।

লিভার জন্ডিস কেন হয় - লিভার জন্ডিসের লক্ষণ

রক্তে যদি অত্যাধিক পরিমাণ বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে যায় সে ক্ষেত্রে জন্ডিস দেখা দেয় আমাদের রক্তে লোহিত রক্ত কণিকা একটা সময়ে স্বাভাবিক নিয়মেই ভেঙে গিয়ে বিলিরুবিন তৈরি করে যা পরবর্তীতে লিভারের প্রক্রিয়াজাত হয়ে পিত্তরসের সঙ্গে নারীর মধ্যে পরিপাকতন্ত্রে প্রবেশ করে।
অন্তর থেকে বিলিরুবিন পায়খানার মাধ্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে যায় জন্ডিস বলতে আমরা বুঝে লিভারের যে কোন জটিলতার কারণে চোখ হলুদ হওয়া প্রস্রাব হলুদ হওয়া খাওয়ায় অরুচি মুখগহ্বর হলুদ হওয়া এবং কারো কারো ক্ষেত্রে চামড়া পর্যন্ত হলুদ হয়ে যায় এটাকে আমরা জন্ডিসের লক্ষণ হিসেবে ধরে থাকি।

শেষ কথা

আপনারা যদি জন্ডিস হলে করনীয় - জন্ডিস হলে কি খেতে হয় এ সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তাদের জন্য উপরের পোস্ট টি লেখা হয়েছে। এছাড়া জন্ডিস হলে করনীয় - জন্ডিস হলে কি খেতে হয় এ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পোষ্ট টি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জন্ডিস হলে করনীয় - জন্ডিস হলে কি খেতে হয় এ সম্পর্কে কারো কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমিটির মাধ্যমে সেই প্রশ্ন করতে পারেন আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন এবং নতুন আপডেট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Rajrafi.com এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url