ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা - ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা

আজ আমরা জানবো ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা - ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা সম্পর্কে। অনেকেই আমাদের প্রশ্ন করেন ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা - ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা সম্পর্কে। চলুন জেনে আসি ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা - ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা - ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা - ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা সম্পর্কে জানতে পারবেন। চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে আসি ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা - ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা লক্ষণ সম্পর্কে।

পেজ সূচিপত্রঃ ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা - ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা

ডায়াবেটিস চিরতরে নিরাময় হবে - ডায়াবেটিস কমানোর প্রাকৃতিক উপায়

আজ আমরা জানব ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা সম্পর্কে। আমাদের পাঠকদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত তাদের রিকোয়েস্টে আজকের আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে। চলুন জেনে আসি ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা সম্পর্কে। কিছু নিয়মকানুন অনুসরণের মাধ্যমে ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণ বা প্রতিরোধ করার মাধ্যমে ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়ে থাকে। ডঃ মুহাম্মদ ফজলে রাব্বি খান বলেন ডায়াবেটিস একবার যদি কোন মানুষের শরীরে আক্রমণ করে সে ক্ষেত্রে এটি চিকিৎসার মাধ্যমে পুরোপুরি নিরাময় করা সম্ভব নয় তবে ডায়াবেটিক্স এর পরিমাণ যেন কম থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখা সম্ভব।
এটি তেমন কোন রোগ নয় যেটি চিকিৎসার মাধ্যমে সম্পূর্ণরূপে সারা যায়। কিন্তু নিয়ম তান্ত্রিকভাবে কিছু ঔষধ সেবনের মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণের রাখা সম্ভব আর নিয়ন্ত্রণ করে স্বাভাবিক জীবনযাপন করা ও সম্ভব ঔষধ ও ইনসুলিন ছাড়া প্রাকৃতিক উপায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কার হয়েছে বর্তমান সময়ে।

শুধু শুনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন ব্যায়াম সঠিক খাদ্য গ্রহণ এর মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব এছাড়া আকুপেশন মেডিটেশন যোগব্যায়ামায়ও এসব ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে বিশেষভাবে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

ডায়াবেটিস এর লক্ষণ - ওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিস কমানোর উপায়

আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিকস ফেডারেশন দ্বারা ২০১৭ সালে পরিচালিত একটি সমীক্ষা অনুসারে দেখা যায় ভারতে প্রায় ৭২ কোটি মানুষ ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হয়ে আছে ২০২১ সালে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে 74 কোটিতে যার মধ্যে ৫৩.১ শতাংশ মানুষ কোন উপসর্গ ছাড়াই ধরা পড়েছে সুগারের সমস্যা।
প্রতিটি রোগের মতো ডায়াবেটিস রোগের একটি উপসর্গ রয়েছে যার মধ্যে রয়েছে ক্লান্তি দুর্বলতা ঝাপসা দৃষ্টি অত্যাধিক তৃষ্ণা পাওয়া ঘনঘন প্রস্রাব এগুলো ছাড়াও এমন কিছু লক্ষণ রয়েছে যা উপেক্ষা করা উচিত নয়। মেমো ক্লিনিকের একটি ডাক্তারের মতে রক্তে যদি শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায় তাহলে মুখের এর অংশের আশেপাশেও তার লক্ষণ দেখা যায় মূলত ডায়াবেটিস হলো এমন একটি রোগ যেটি শরীরের অন্যান্য অঙ্গের উপর প্রভাব ফেলে। 

যে সকল মানুষ ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত তাদের বেশিরভাগ সময় কিডনি স্নায়ু হার্ট ইত্যাদি নিয়ে উদ্বিগ্ন হয় কিন্তু মুখে কথা সহজে কেউ মনে করে না ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে মুখে ও তার লক্ষণ প্রকাশ পায় এক্ষেত্রে মুখ ও দাঁতের পরীক্ষা করানো আবশ্যিক।চর্বি বা ফ্যাট যুক্ত মাছের মধ্যে অন্যতম মাছগুলো হল স্যালমন, সার্ডিন, হেরিং ইত্যাদি যে সকল মাছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাট বিদ্যমান থাকে।

এছাড়া যে সকল মাছে ডিএইচএ এবং ইপিএ বিদ্যমান থাকে সে সকল মাছ গ্রহণ করলে ওজন নিয়ন্ত্রণে খুব ভালোভাবে রাখা সম্ভব। এছাড়া নিয়মিত এ সকল মাছ খেলে হৃদরোগ বা হার্টের ক্যান্সার বা হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায় এছাড়া এসব খাবারের থাকে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী।নিয়ম করে যদি নিয়মিত শাকসবজি গ্রহণ করা যায় এবং প্রয়োজনে মাছ-মাংসের পরিবর্তে সমপরিমাণ শাকসবজি এই শরীরে প্রবেশ করানো যায়।

এতে কিন্তু শরীর প্রচুর পরিমাণ এনার্জি পাবে এবং আমাদের শরীর থাকবে সতেজ এবং ভালো।শাকসবজি খাওয়ার পাশাপাশি প্রতিদিন নিয়মিত করে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করতে হবে এতে হাট ও চোখের জন্য এক্সট্রা প্রোটিন পাওয়া যাবে।শরীরের রক্ত ও শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কিন্তু ভূমিকা রয়েছে দ্বিমেরও আর এই জন্য প্রতিদিন একটা করে ডিম খাওয়া উচিত।

প্রতিটি ব্যক্তির এক্ষেত্রে ডিম সিদ্ধ খাওয়া আরও বেশি ভালো হার্টের রোগী ও নির্ভর করতে পারেন এই ডিমের উপর।পুষ্টিবিদদের মতে ডায়াবেটিসের রোগীদের উপর দারুন প্রভাব ফেলে এই ডুমুরের মধ্যে ফাইবারের পরিমাণ অত্যন্ত বেশি থাকে ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ বিশেষভাবে কার্যকারী ভূমিকা পালন করে থাকে।

ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ রিসার্চ ইন ইন ফার্মেসী অ্যান্ড বায়ো সাইন্স প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে ডুমুরের উপাদান রয়েছে যা ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে পারে গবেষণার দেখা গেছে যে ডুমুর পাতা ইনসুলিন প্রতিরোধে উপকারী।

দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায় - কি খেলে ডায়াবেটিস হবে না

নিয়মিত শরীরকে সমান রাখতে হাটা উত্তম কারণ এটি আমাদের শরীরকে এ কাঁপিয়ে তোলে বা নড়াচড়ার মাধ্যমে মডেলিং করে ফেলে যার কারণে শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ বাসা বাঁধতে পারে না একটানা অধিক সময় বসে কাজ করা উচিত নয় কম্পিউটার ব্যবহার ও কাজের ফাঁকে ফাঁকে দাঁড়ানো উচিত একটু তো পায়চারি করুন গেম খেলা কমিয়ে দিন এটি আমাদের শরীরের জন্য খুবই বিপদজনক গেম একটি অ্যাডিকশন এর মত টিভি দেখতে দেখতে চিপস খাবেন না অথবা শসা খান।
ধূমপান বর্জন করতে হবে কারণ এটি আমাদের শরীরের জন্য অতি ক্ষতিকর রক্তে গ্লুকোজ লিপিড রক্তচাপ ওজন অবশ্যই লক্ষ্যমাত্রায় রাখতে হবে নিয়মিত ডায়াবেটিকস পরীক্ষা করতে হবে ডায়াবেটিসের রোগীরা ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করুন ওষধ ব্যায়াম খাদ্য গ্রহণ বা অন্যান্য ধরনের বিভিন্ন ধরনের কাজ করার পূর্বে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে চলুন।

মনে রাখতে হবে ডায়াবেটিক চিকিৎসা চেয়ে প্রতিরোধ করায় কষ্টকর।লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স হওয়ার কারণে রক্তে অতিরিক্ত ভাবে গ্লুকোজের মাত্রা কমতে সাহায্য করে এই স্ট্রবেরি। স্ট্রবেরি খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অত্যাধিক হারে বৃদ্ধি পায় হজম শক্তি বাড়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে এছাড়া স্ট্রবেরি শুধুমাত্র আমাদের শরীরকে পুষ্টি প্রদান করে তাই না।

এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে আরেকটি ফল রয়েছে যেটি হলো পেয়ারা এটি আমাদের শরীরে ফাইবার বৃদ্ধি করে যার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা হয় না। এছাড়া তরমুজের থাকা প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম রক্তে ইউরিক এসিড নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে ফলে ডায়াবেটিসের প্রভাব হওয়ার এই কিডনির ক্ষতি করতে এটি বিশেষ কার্যকারী ভূমিকা পালন করে এ এর মধ্যে থাকা লাইক অপেন নার্ভের সমস্যা দূর করে থাকে।

ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা - কি কি খাবার খেলে ডায়াবেটিস বাড়ে

আজ আমরা আলোচনা করব ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা সম্পর্কে। ভুসিযুক্ত আটার রুটি লাল চাল ভুট্টার খই খেজুরের সহ ও বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি জটিল সরকার যদি কারো শরীরে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি করার প্রয়োজন পড়ে তবে এগুলো খেয়ে শর্করার পরিমাণ বাড়াতে পারেন এতে ডায়াবেটিস তেমন বৃদ্ধি পায় না এটিকে দ্রুত শোষিত হয় এমন শর্করা হলো আজ বিহীন মিষ্টি ফল দুধ ও তারপরে আতপ চাল ময়দা ডায়াবেটিস হলে শরীরের ইনসুলিন হরমোন নিঃসরণ কমে যায় ফলে দেহের কোষের গ্লুকোজ পৌছাতে পারে না।
তাই রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায় অতিরিক্ত শর্করাযুক্ত খাবার ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এজন্য এটি নিয়ন্ত্রণ মাফিক খাওয়া উচিত।  শারীরিক বৃদ্ধির জন্য প্রোটিন খুবই উপকারী তবে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য গরুর মাংস বেশ ভেড়া সহ উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার ক্ষতিকর হতে পারে এসব না খেয়ে সিম বাদাম থেকে প্রোটিন গ্রহণ করা উচিত।

ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা - ডায়াবেটিস কেন হয়

ডায়াবেটিকস হলে খাওয়া বারণ এমন কোন খাদ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো চিনি মধুবুর মিষ্টি জ্যাম জেলি মিষ্টি পানিও মদ মধ্যে দুধের সর আইসক্রিম কেক পেজটি মিষ্টি বিস্কুট ইত্যাদি এগুলো শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর হতে পারে ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের জন্য।  তবে ডায়াবেটিকস হলে খাওয়া যাবে চাল গম চিরা রুটি নুডুলস নোনতা বিস্কুট ডাল বাদাম সিমের বিচি উদ্ভিজ্জ তেল আলু গাজর শাকসবজি চর্বিহীন মাংস মাছ ফল নারীকেল এছাড়া পানি ছানা ও ডিম।

ইনসুলিন এর কাজ হল যে খাবার খাচ্ছি সেটার অতিরিক্ত গ্লুকোজ কমিয়ে দেয় যখন শরীর ইনসুলিন উৎপাদন করতে পারে না তখন শরীরে উৎপন্ন অতিরিক্ত গ্লুকোজ শরীরে বাড়তি গ্লুকোজের কাজ করে যার ফলে ডাইবেটিসের মতো মরণব্যাধি হয়ে থাকে। সে অবস্থাকে আমরা ডায়াবেটিস বলে থাকি খালি পেটে যদি গ্লুকোজের মাত্রা ৭ এর বেশি থাকে আর খাওয়ার পর যদি 11 বেশি থাকে তখন সেই অবস্থা কে ডায়াবেটিস বলা হয়।
ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে সব সময় বুঝতে হবে যে আমাদের এমন কোন খাদ্য গ্রহণ করা যাবে না যে খাদ্য গ্রহণের ফলে শরীরে অতিরিক্ত গ্লুকোজ সৃষ্টি হয়।

শেষ কথা

আপনারা যদি ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা - ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তাদের জন্য উপরের পোস্ট টি লেখা হয়েছে। এছাড়া ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা - ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পোষ্ট টি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা - ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা সম্পর্কে কারো কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমিটির মাধ্যমে সেই প্রশ্ন করতে পারেন আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন এবং নতুন আপডেট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Rajrafi.com এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url