রহমতের ১০ দিনের দোয়া - নাজাত পাওয়ার আমল

আজ আমরা জানবো রহমতের ১০ দিনের দোয়া - নাজাত পাওয়ার আমল সম্পর্কে। দ্বিতীয় দশদিন মহান আল্লাহ তা'আলা তাঁর বান্দাদের ক্ষমা করে দেন যদি সেই বান্দা মহান আল্লাহর কাছে পানা চায়। আমাদের অনেক মুসলিম ভাই ও বোনেরা আমাদের কাছে প্রশ্ন করে থাকেন রহমতের ১০ দিনের দোয়া নাজাত পাওয়ার আমল সম্পর্কে। চলুন বিস্তারিত কিছু জেনে আসি রহমতের ১০ দিনের দোয়া - নাজাত পাওয়ার আমল সম্পর্কে।
রহমতের ১০ দিনের দোয়া - নাজাত পাওয়ার আমল
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে রহমতের ১০ দিনের দোয়া - নাজাত পাওয়ার আমল সম্পর্কে জানতে পারবেন। চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে আসি রহমতের ১০ দিনের দোয়া - নাজাত পাওয়ার আমল সম্পর্কে।

পেজ সূচিপত্রঃ রহমতের ১০ দিনের দোয়া - নাজাত পাওয়ার আমল

মাগফিরাতের দশকের রোজাদারের করণীয় - রমজানের রহমত মাগফিরাত নাজাত

আজ আমরা জানব রহমতের ১০ দিনের দোয়া সম্পর্কে। আমাদের অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন বিশেষ করে মহিলারা রহমতের ১০ দিনের দোয়া সম্পর্কে। আজকের আর্টিকেলটি মূলত রহমতের ১০ দিনের দোয়া সম্পর্কে লিখা হয়েছে। রমজান মাসের মধ্যে দশক যেহেতু মাগফিরাত বা ক্ষমার সুতরাং এই দশ দিন আমাদের করণীয় হবে আল্লাহ পাকের ক্ষমা সংক্রান্ত নাম গুলো জব করা। মহান আল্লাহ তাআলা বলেন হে মুমিনগণ এবং হে মুসলিম জাতি আমি মাহে রমজান পালনের আদেশ দিলাম এবং আমি এর পুরস্কার দেব মহান আল্লাহতালা আরো বলেন নিশ্চয়ই আমি কথার বরখেলাপ করি না।
মহান আল্লাহতালা আরো বলেন যারা এই মাহে রমজান মাসে আমার কাছে পানা চাইবে আমার কাছে ক্ষমা চাইবে তারা ক্ষমা পাবে ভুল করে ভুল স্বীকার করা ব্যক্তি নিষ্পাপ ব্যক্তির সমান।বুখারি, মুসলিম ও তিরমিজি। ক্ষমা লাভ করার সুবর্ণ সুযোগ এবং সুবর্ণ মাস হলো পবিত্র মাহে রমজান এর দ্বারা বোঝানো হয়েছে যে রমজান মাসের দ্বিতীয় দশক অর্থাৎ মাগফিরাতের ১০ দিন সর্বোচ্চ ক্ষমা বা প্রার্থনা করার মাস এর অন্যতম দিন মুমিন জীবনের শ্রেষ্ঠ উপহার রমজান।

আত্মশুদ্ধি ও আর্ত সংযমের মাধ্যমে আত্মউন্নয়নের চেতনায় জীবনের কাঙ্খিত পরিবর্তনের জন্য করুণাময় আল্লাহর পক্ষ থেকে রহমতের অফুরন্ত ভান্ডার নিয়ে আসে মাহে রমজান বিশ্ব নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই রমজান মাস কে শাহারুন আজিম  অর্থ হল মহান সম্মানিত মাস শাহরুম মোবারক অর্থ হল বরকতময় মাস। 

ইসলামের পাঁচটি স্তরের মধ্যে অন্যতম হলো পবিত্র মাহে রমজান ঈমান নামাজ যাকাত আর পরই রোজার স্থান আরবি ভাষায় রোজাকে সাউম বলা হয়ে থাকে। যার আভিধানিক অর্থ হলো বিরত থাকা শরীয়তের পরিভাষায় সাউম বলা হয় সবে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত রোজার নিয়তে সকল পানাহার স্ত্রী সহবাস রোজা ভঙ্গকারী কাছ থেকে বিরত থাকা।

রহমতের ১০ দিনের দোয়া - নাজাত পাওয়ার আমল

পবিত্র মাহে রমজানের প্রথম ১০ দিন রহমত নাযিল হয়ে থাকে আর এই দিনগুলোতে পাঠ করা উচিত লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ এটি এমন একটি দোয়া যা এই রহমতের মাসে একবার পড়লে 70 গুণ সওয়াব পাওয়া যাবে। বিশিষ্ট আলেম ও কারিগর বলে থাকেন রহমতের দশ দিনে প্রতিদিন এই দোয়া 1000 বার পড়া সুন্নত।
পবিত্র মাহে রমজান মাসের দ্বিতীয় ইফতার হলো মাগফিরাতের ১০ দিন রমজানের দ্বিতীয় স্তরের মাগফিরাতের ১০ দিনে আসতাগফিরুল্লাহা রাব্বি হিমিন কুল্লি জাম্বিউ ওয়াতুবু ইলাইহি লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিউল আজিম। দোয়াটি পাঠ করতে হয় এটি ক্ষমাপ্রার্থনা করার দোয়া হিসেবে বিবেচিত হয় বা ভুল করলে মহান আল্লাহর কাছে এই দোয়াটি পাঠ করতে হয়।

এ দোয়াটিও ১০০০ বার দিনে পড়তে হয়। পবিত্র মাহে রমজানের শেষের ১০ দিন হল নাজাতের ১০ দিন এই দিনের দোয়া হল: আল্লাহুম্মা আজিরনি মিনান্নার এর অর্থ হল হে মহান রব্বুল আলামীন হে পালনকর্তা হে আমাদের সৃষ্টিকর্তা তুমি আমাকে জাহান্নামের সেই দাও দাও করার আগুন থেকে হেফাজত করো। এই দোয়াটি পাঠ করার নিয়ম হলো প্রতিদিন এক হাজার বার করে।

হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহা হতে বর্ণনা এসেছে একবার আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কে জিজ্ঞাসা করলাম হে আল্লাহর রাসূল আপনি বলে দিন আমি যদি লাইলাতুল কদর কোন রাতে হবে তা জানতে পারি তাতে আমি কি দোয়া পড়ব রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করলেন তুমি বলবেঃ-

اللَّهُمَّ إِنَّكَ عُفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي  উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুয়্যুন তুহিব্বুল আফওয়া ফাফু আন্নি , এর অর্থ হল হে আল্লাহ আপনি ক্ষমাশীল ক্ষমা করতে ভালোবাসেন অতএব আমাকে ক্ষমা করে দিন। মুসনাদে আহমাদ তিরমিজি মিশকাত শরীফ। এ ছাড়া মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ আরো বলেন যে ক্ষমা লাভের দোয়া গুলো বেশি বেশি পড়তে হবে এই সময়ঃ-
رَبَّنَا اكْشِفْ عَنَّا الْعَذَابَ إِنَّا مُؤْمِنُونَ এর অর্থ হল হে আমাদের প্রতিপালক হে আমাদের রব আমাদের উপর থেকে আপনার শান্তি প্রত্যাহার করবেন না আমরা বিশ্বাস স্থাপন করছি এবং আমাদের বরকত দিয়ে ভরিয়ে তুলুন।সুরা দুখান : আয়াত ১২।

রহমতের ১০ দিনের আমল - রোজার বিনিময় কি

মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন রমজান মাসে প্রথম ১০ দিন হল রহমত দ্বিতীয় দশ দিন হল মাগফিরাত এবং শেষ দশ দিন হল নাজাতের দিন সাধারণভাবে বলা হয়ে থাকে প্রথম দশ দিনে মহান আল্লাহতালা বান্দাদের রহমত ও দয়া বন্টন করে থাকেন দ্বিতীয় দশদিনে আল্লাহতালা বান্দাদের ক্ষমা করতে থাকেন এবং তৃতীয় দশদিনে মহান আল্লাহতালা জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়ে থাকেন।

এখানে অনুধাবনের একটি বিষয় রয়েছে সেটি হল মহান আল্লাহতালা তো সর্বশক্তিমান ক্ষমার শীল তিনি যখন যাকে ইচ্ছা নাজাত রহমত এবং বরকত দিয়ে ভরিয়ে তুলতে পারেন তাহলে রমজান মাসের ১০ দিন ১০ দিন সময় কেন লাগবে?আসলে রমজান হল প্রশ্ন শিখনের মাস আল্লাহ চান তার বান্দা তার গুণাবলী অর্জন করে সেই গুণে গুণান্বিত হোক হাদিস শরীফে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন তোমরা আল্লাহর গুণে গুণান্বিত হও আল্লাহর রং বা গুণ কি ?

আল্লাহ তাআলার ৯৯ টি গুণবাচক নাম। এ প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন নিশ্চয়ই আল্লাহতালা ৯৯ টি নাম আছে যে সকল বান্দা এই নামগুলোর অর্থ তার জীবনে ফুটিয়ে তুলতে পারবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।মুসলিম ও তিরমিজি মহান আল্লাহ তায়ালা রোজা সম্পর্কে এরশাদ করেন রোজা আমার জন্য এবং আমি এর প্রতিদান দেব।
প্রতিটা ভালো কর্মের সওয়াব আল্লাহর কাছে নির্ধারিত তবে রমজান মাসে যদি কোন ব্যক্তি ভালো কাজ করে সে ক্ষেত্রে সেই সোয়াব 70 গুণ বৃদ্ধি পেয়ে যায় এটি মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে এক বিশেষ রহমত তার বান্দাদের জন্য এই জন্য এই রমজান মাসে বিশিষ্ট আলেমগণ এবং মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ নিজে স্বয়ং বেশি বেশি নফল নামাজ আদায় করা এবং কোরআন তেলাওয়াত করার তাগিদ দিয়েছেন।

মহান আল্লাহ তা'আলা রোজার প্রতিদান কি দিবেন তা ধরা বাধা কোন পরিমান উল্লেখ করেননি কিন্তু তা রেখেছেন অস্পষ্ট ও মানুষের কল্পনার বাইরে আবার রোজাদারকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন আমি তার প্রতিদান দেব। জগতের কোন রাজা-বাদশাহো যদি কেউ বলে আমার এ কাজটি করে দিন প্রতিদান আমি দেবো তাহলে স্বাভাবিকভাবে আমরা ধরে নিব যে বাদশা আমাদের অসাধারণ এমন কোন বিনিময় দিবেন যা সচরাচর কেউ দেয় না। 

কিন্তু মহান আল্লাহতালা রোজার প্রতিদান সম্পর্কে বলেছেন যে মানুষ যা কল্পনা করে তার চেয়েও খুব বেশি কিছু তারা রোজার প্রতিদান হিসেবে পাবে।

রোজা সম্পর্কে কুরআনের আয়াত - রমজানের প্রস্তুতি সম্পর্কে হাদিস

মহান আল্লাহতালা বলেন হে মুভিনগণ তোমাদের জন্য ও সিয়ামের বিধান দেওয়া হল এমন বিধান তোমাদের পুরো গন্ধের দেওয়া হয়েছে যাতে তোমরা তাকওয়া বা আল্লাহ ভীরুতা অবলম্বন করতে পারো এছাড়া সিয়াম নির্দিষ্ট কয়েকদিনে তোমাদের মধ্যে কেউ অসুস্থ হলে বা সফরে থাকলে অন্য সময় এই সংখ্যা পূরণ করতে পারবে সূরা বাকারা 183।
যাদের জন্য অতিশয় কষ্টদায়ক হয় তাদের কর্তব্য এর পরিবর্তে ফিদিয়া একজন অভাবগ্রস্তকে খাদ্য দান করা যদি কেউ শর্তস্ফূর্তভাবে সৎ কাজ করে তবে তা তার পক্ষে অধিক কল্যাণকর আর সিয়াম পালন করাই তোমাদের জন্য অধিক কল্যাণকর যদি তোমরা তা জানতে সুরা বাকারার 184 তিন। রমজান মাস এই এমন একটি মাস মানুষের জন্য আলোর দিশা বয়ে নিয়ে আসে।

সৎপথে স্পষ্ট নির্দেশনা ও সত্তা স্বদের পার্থক্য কারীদেরকে কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে সুতরাং তোমাদের মধ্যে যারা এ মাস পাবে তারা যেন এই মাসে সিয়াম পালন করে এবং কেউ অসুস্থ থাকলে কিংবা সফরে থাকলে অন্য সময় যেন তা পূরণ করে। 

রমজান মাসে কি কি করা উচিত - ত্রিশ রোজার ত্রিশ ফজিলত

রমজান মাস আল্লাহর বিশেষ নেয়ামত ইবাদতের বসন্তকাল রহমত মাগফিরাত নাজাতের বার্তা নিয়ে রমজান মাসের আগমন ঘটে এ যাতে রয়েছে আল্লাহর বরকত দয়া ও অনুগ্রহের সমাহার এই মাস সিয়ামের মাস রোজা ও তারাবি বার্তা নিয়ে রমজান মাসের আগমন ঘটে। রোজার একটি লক্ষ্য রয়েছে রোজার মূল লক্ষ্য হলো তাকওয়া অর্জন এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহতালা বলেনঃ

হে মুমিনরা তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে যা ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী এই মানুষদের উপরে যাতে তোমরা তাকওয়া অবলম্বনকারী হতে পারো।সুরা বাকারা ১৮৩। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে রোজা পালন করা ইসলামের পাঁচটি স্তরের মধ্যে একটি হলো রোজা রমজান মাসে রোজা পালন করা ফরজ।

এ প্রসঙ্গে কুরআনের কারীমে এরশাদ হয়েছে তোমাদের মধ্যে এ যে মাসটিকে উপস্থিত হবে সে যেন রোজা পালন করে।সুরা বাকারা ১৮৫ । اللّهُمَّ اجْعَلْ صِيامي فيهِ صِيامَ الصّائِمينَ وَ قِيامي فيِهِ قِيامَ القائِمينَ ، وَ نَبِّهْني فيهِ عَن نَوْمَةِ الغافِلينَ ، وَهَبْ لي جُرمي فيهِ يا اِلهَ العالمين، وَاعْفُ عَنّي يا عافِياً عَنِ المُجرِمينَ. এর অর্থ হল আল্লাহ হে আল্লাহ আজ আমাকে রোজাকে প্রকৃত রোজাদারের রোজা হিসেবে গ্রহণ করো আমার নামাজকে কবুল করুক প্রকৃত নামাজীদের নামাজ হিসেবে আমাকে জাগিয়ে তোলো গাফিলতির ঘুম থেকে।
হে জগত সমূহের প্রতিপালক এই দিনে আমার সব গুনাহ মাফ করে দাও ক্ষমা করে দাও আমার যাবতীয় অপরাধ হে অপরাধীদের অপরাধ ক্ষমা করে। রমজানের দোয়া গুলোর মধ্যে দ্বিতীয় দোয়া হলঃ اَللّـهُمَّ قَرِّبْني فيهِ اِلى مَرْضاتِكَ، وَجَنِّبْني فيهِ مِنْ سَخَطِكَ وَنَقِماتِكَ، وَوَفِّقْني فيهِ لِقِرآءَةِ ايـاتِكَ بِرَحْمَتِكَ يا اَرْحَمَ الرّاحِمينَ.এর অর্থ হল হে মহান আল্লাহতালা তোমার রহমতের উসিলায় আজ আমাকে তোমার সন্তুষ্টির কাছাকাছি নিয়ে যাও দূরে সরিয়ে দাও তোমার ক্রোধ আর গজব থেকে আমাকে তৌফিক দাও তোমার পবিত্র কোরআনের এর আয়াত তেলাওয়াত করার হে দয়াবানদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দয়াময়।

শেষ কথা

আপনারা যদি রহমতের ১০ দিনের দোয়া - নাজাত পাওয়ার আমল সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তাদের জন্য উপরের পোস্ট টি লেখা হয়েছে। এছাড়া রহমতের ১০ দিনের দোয়া - নাজাত পাওয়ার আমল সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পোষ্ট টি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রহমতের ১০ দিনের দোয়া - নাজাত পাওয়ার আমল সম্পর্কে কারো কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমিটির মাধ্যমে সেই প্রশ্ন করতে পারেন আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন এবং নতুন আপডেট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Rajrafi.com এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url