ঈদুল আযহার নামাজের নিয়ত - ঈদুল ফিতরের দিন কয়টি কাজ ওয়াজিব

আজ আমরা জানবো ঈদুল আযহার নামাজের নিয়ত - ঈদুল আযহার নামাজের নিয়ত আরবিতে এ সম্পর্কে। আমাদের অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন। ঈদুল আযহার নামাজের নিয়ত - ঈদুল আযহার নামাজের নিয়ত আরবিতে এ সম্পর্কে। চলুন বিস্তারিতভাবে জেনে নেই ঈদুল আযহার নামাজের নিয়ত - ঈদুল আযহার নামাজের নিয়ত আরবিতে এ সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
ঈদুল আযহার নামাজের নিয়ত - ঈদুল ফিতরের দিন কয়টি কাজ ওয়াজিব
মহান আল্লাহর নির্দেশে যখন ইব্রাহিম আরাফাত পর্বতের ওপর তাঁর পুত্রকে কোরবানি দেওয়ার জন্য গলায় ছুরি চালানোর চেষ্টা করেন তখন তিনি দেখেন যে তার পুত্রের পরিবর্তে একটি দুম্বা কুরবানী হয়েছে এবং তার পুত্রের কোনো ক্ষতি হয় নাই। হযরত ইব্রাহিম আলাইহিস সাল্লাম আল্লাহতালার এই কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এটি ছিল 6 সংখ্যক পরীক্ষায় এতে সন্তুষ্ট হয়ে আল্লাহ ইব্রাহিমকে তার খলিল বা বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। 

আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে ঈদুল আযহার নামাজের নিয়ত - ঈদুল আযহার নামাজের নিয়ত আরবিতে এ সম্পর্কে জানতে পারবেন। চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে ঈদুল আযহার নামাজের নিয়ত - ঈদুল আযহার নামাজের নিয়ত আরবিতে এ সম্পর্কে।

পেজ সূচিপত্রঃ ঈদুল আযহার নামাজের নিয়ত - ঈদুল আযহার নামাজের নিয়ত আরবিতে

ঈদুল ফিতরের বয়ান - ঈদের নামাজ কি ওয়াজিব

ইসলামের ইতিহাস পাক থেকে জানা যায় মদিনা বাসি জাহিলি যুগকে থেকে শরতের পূর্ণিমায় নওরোজ এ ছাড়া বসন্তের পূর্ণিমায় মেহের জান নামে দুটো উৎসব পালন করতো যা ছিল ইসলামের বিরুদ্ধে এটি এমন এক ধরনের উৎসব যাতে ইসলামবিরোধী বিভিন্ন কর্মকান্ড সংগঠিত হতো। এ বিষয়ে হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,
বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ৬২২ খ্রিস্টাব্দে পবিত্র মক্কা নগরী থেকে হিজরত করে মদিনা মনোয়ারায় তা শরীফ আনলেন তখন তাদেরকে দুইদিন উৎসব পালন করতে দেখে জিজ্ঞাসা করলেন, এই দুইদিন কিসের উৎসব পালন করো তোমরা? সাহাবাগণ বলেন জাহিলি যুগে আমরা এই দুইদিন দুই  খেলাধুলা বা আনন্দ প্রকাশ করতাম।

অতঃপর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করলেন মহান আল্লাহতালা এই দুইটি দ্বীনের পরিবর্তে মহিমান্বিত দুইটি দিন তোমাদের প্রদান করেছেন তার মধ্যে একটি হচ্ছে ঈদুল আযহা অপরটি হচ্ছে ঈদুল ফিতর। তখন থেকেই ইসলামিক শরীয়তে দুইটি দিন ঈদ অনুষ্ঠান পালিত হয়ে আসছে আনুষ্ঠানিকভাবে ঈদের নামাজের গুরুত্ব বেপারে ইসলামী চিন্তাবিদগণ বিভিন্ন মতবাদ প্রকাশ করেছেন।
হানাফী মাযহাব অনুসারে ঈদের নামাজ ওয়াজিব মালিকি ও সাফারি মাযহাব অনুসারে সুন্নতে মুয়াক্কাদা এবং হাম্বলী মাযহাব অনুসারে ঈদের নামাজ ফরজ কোন কোন ইসলামী পন্ডিতের মতে ঈদের নামাজ ফরজে আইন এবং কোন কোন ইসলামী পন্ডিতের মতে ঈদের নামাজ ফরজে কেফায়া। এছাড়া কোন কোন আলেমগণের মতে ঈদের দুই রাকাত নামাজ নফল হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।
তবে বাস্তব চিত্র অনুযায়ী প্রতি বছর মুসলিম উম্মাতেরা ঈদের নামাজ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবছর উদযাপন করে থাকেন এটি একটি উৎসবের মতো পালন করা হয় দুই ঈদে ই।

ঈদের নামাজ কয় তাকবীর - ১২ তাকবীরে ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম

ঈদের নামাজে অতিরিক্ত ৬ কিংবা ১২ তাকবীর রয়েছে ৬ তাকবীরের ক্ষেত্রে প্রথম রাকাতে শুরুতে অতিরিক্ত তিনটি তাকবীর এবং দ্বিতীয় রাকাতে অতিরিক্ত তিনটি তাকবির দিতে হয় প্রথম রাকাতে ছানা পাঠের পর কানের লতি পর্যন্ত হাত তুলে তারপর তিন তাকবীর দিতে হয়। দ্বিতীয় রাকাতে সূরা পাঠের এরপর রুকুতে যাওয়ার আগে অতিরিক্ত তিন তাকবীর দিতে হয়।
অতিরিক্ত তাকবীর বলার পর কানের লতি হতে হাত নামিয়ে আনতে হয় এছাড়া খোলা জায়গায় ঈদের নামাজ পড়া সুন্নত। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উন্মুক্ত স্থানে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন বলে অনেক পাঠ্যপুস্তক এবং ইসলামী বই থেকে জানা যায় তবে যদি ঈদের নামাজ পড়ার জন্য খোলা স্থান না থাকে তবে মসজিদ কিংবা ছাউনি বিশিষ্ট স্থানে নামাজ পড়া যাবে এতে কোন গুনাহ হবে না আবার প্রাকৃতিক দুর্যোগেও বৃষ্টি প্রতিরোধক ছাউনিযুক্ত স্থানে ঈদের নামাজ পড়া যাবে এটি করা জায়েজ।

ঈদের নামাজে ছয় তাকবীর কেন - ঈদের নামাজ কি ফরজ

আরবিঃ خبرنا محمد بن أبان، عن أبي إسحاق، عن أبي الأحوص، عن عبد الله بن مسعود رضي الله عنه أنه كان يكبر في العيدين تسعاً تسعاً : كان يبتدئ بالتكبيرة التي يفتتح بها الصلاة، ثم يكبر ثلاثاً ثم يقرأ، ثم يكبر الخامسة فيركع بها، ثم يسجد، ثم يقوم فيقرأ، ثم يكبر ثلاثاً، ثم يكبر الرابعة فيركع بها.

বাংলা অর্থঃ ইমাম মোঃ ইবনে হাসান রাদিয়াল্লাহু তায়ালা, মোহাম্মদ ইবনে আবান, আমার ইবনে আব্দুল্লাহ থেকে, তিনি আবুল আহওয়াছ থেকে এবং আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদ রাদিয়াল্লাহু তা'আলা থেকে বর্ণিত হয়েছে দুই ঈদের নামাজে নয়টি করে তাকবীর দিতে। যে তাকবীর দ্বারা নামাজ শুরু করতেন সেই থাকবে দ্বারা নয় তাকবীরের প্রথম তাকবীর দিতেন অপরদিকে তিন তাকবীর দিয়ে কুরআন পড়তেন।
পঞ্চম তাকবীর দ্বারা রুকু করতেন তারপর সেজদা করতেন। দ্বিতীয় রাকাতের জন্য দাঁড়িয়ে কোরআন তেলাওয়াত করতেন অতঃপর তৃতীয় তাকবীর দিতেন চতুর্থ তাকবীর দ্বারা রুকু করতেন ঈদের নামাজের গুরুত্ব ব্যাপারে ইসলামী চিন্তাবিদগণ বিভিন্ন মতবাদ প্রকাশ করে থাকেন। হানাফী মাহজাব অনুসারে ঈদের নামাজ ওয়াজির মালিকি সাফারি মাযহাব অনুসারে সুন্নত ও মুয়াক্কাদা হিসেবে বিবেচিত এছাড়া বিভিন্ন ধরনের ইসলামিক পন্ডিতগণের মতে ঈদের নামাজ ফরজে কেফায়া এবং কিছু কিছু আলিমগণের মতে এটি ফরজ।

ঈদুল ফিতরের দিন কয়টি কাজ ওয়াজিব - ঈদের দিনের সুন্নত কাজ গুলো কি কি

ঈদুল আযহা এর নামাজের নিয়ত বাংলায় হলো ইমামের পিছনে কেবলামুখী হয়ে ঈদুল ফিতরে দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ ছয় তাকবীরের সঙ্গে আদায় করিতেছি এরূপ নিয়ত করে আল্লাহু আকবার বলে হাত তুলে তাহারিমা বাঁধতে হবে অতঃপর ছানা পড়তে হবে। এরপর আউযুবিল্লাহ এবং বিসমিল্লাহ আগে তিনবার আল্লাহু আকবার বলে তাকবীর বলতে হবে প্রথম দুইবার কান পর্যন্ত হাত উঠিয়ে ছেড়ে দেবেন তৃতীয় বারে হাত বেঁধে নিবেন প্রত্যেক তাকবীরের পর তিনবার সুবহানাল্লাহ বলা যায় এমন পরিমাণ সময় থাকতে হবে।
এরপরে আউযুবিল্লাহ এবং বিসমিল্লাহ পড়ে সূরা ফাতেহা পড়ার পরে সূরা মিলাতে হবে অতঃপর রুকুর সিজদা করে দ্বিতীয় রাকাতের জন্য দাঁড়াতে হবে এবার অন্যান্য নামাজের মত বিসমিল্লাহর পরে সূরা ফাতেহা পড়ে আরেকটা সূরা মিলাতে হবে। অতঃপর তিনবার আল্লাহু আকবার বলার মাধ্যমে তিনটা আর তাকবীর সম্পন্ন করতে হবে এখানে প্রতি এই তাকবীরের পর হাত ছেড়ে দেবেন এবং চতুর্থ বার আল্লাহু আকবার বলে হাত না বেঁধে রুকুতে চলে যাবেন অতঃপর সেজদা এবং আখেরি বৈঠক করে যথারীতি সালাম ফিরিয়ে নামাজ সম্পূর্ণ করতে হবে।
ধর্মীয় ও গম্ভীর্যতায় ও যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি উদযাপনের জন্য রয়েছে এই দিবসে বিশেষ কিছু সুন্নত অন্য দিনের চেয়ে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠা এই দিনের বিশেষ সুন্নত দেহের এর অবাঞ্চিত পশম পরিষ্কার করে দাঁত মেসওয়াক করে ভালোভাবে গোসল করা এই দিনের প্রস্তুতির বিশেষ অংশ সাধ্যের মধ্যে উত্তম পোশাক পরিধান এই দিনের অন্যতম সুন্নত।

ঈদুল আযহার নামাজের নিয়ত - ঈদুল আজহা ২০২৩ কত তারিখে

ঈদুল আযহার এর নামাজের নিয়ত আরবিতে দেওয়া হলঃ নাওয়াইতুয়ান উসারলিয়া লিল্লাহি তা'আলা রাকাতাই সালাতিল ঈদুল আজহা মাআ ছিত্তাতি তাকবীরাতি ওয়াজিবুল লাহি তাআলা ইক্বতাদাইতু বিহাজাল ইমামি মুতাওয়াজ জিহান ইলাজিহাতিল কা বাতিস সারি ফাতি আল্লাহু আকবার। যদিও সম্পূর্ণটা চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করবে যদি ২৮ জুন চাঁদ দেখা যায় তাহলে ২৯ জুন কোরবানির ঈদ পালিত হবে পুরো বাংলাদেশ সহ প্রতিবেশী কিছু দেশে।

শেষ কথা

আপনারা ঈদুল আযহার নামাজের নিয়ত - ঈদুল আযহার নামাজের নিয়ত আরবিতে এ সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তাদের জন্য উপরের পোস্ট টি লেখা হয়েছে। এছাড়া ঈদুল আযহার নামাজের নিয়ত ঈদুল আযহার নামাজের নিয়ত আরবিতে এ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পোষ্ট টি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঈদুল আযহার নামাজের নিয়ত - ঈদুল আযহার নামাজের নিয়ত আরবিতে এ সম্পর্কে কারো কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমিটির মাধ্যমে সেই প্রশ্ন করতে পারেন আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন এবং নতুন আপডেট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Rajrafi.com এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url