যিনা থেকে বাচার দোয়া - যেনা করলে তা থেকে মাফ পাওয়ার কোন উপায় আছে

আজ আমরা জানব যিনা থেকে বাচার দোয়া - যেনা করলে তা থেকে মাফ পাওয়ার কোন উপায় আছে এ সম্পর্কে। আমাদের অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন যিনা থেকে বাচার দোয়া - যেনা করলে তা থেকে মাফ পাওয়ার কোন উপায় আছে এ সম্পর্কে। চলুন জেনে আসি যিনা থেকে বাচার দোয়া - যেনা করলে তা থেকে মাফ পাওয়ার কোন উপায় আছে এ সম্পর্কে।
যিনা থেকে বাচার দোয়া - যেনা করলে তা থেকে মাফ পাওয়ার কোন উপায় আছে
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে যিনা থেকে বাচার দোয়া - যেনা করলে তা থেকে মাফ পাওয়ার কোন উপায় আছে এ সম্পর্কে জানতে পারবেন। চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে আসি যিনা থেকে বাচার দোয়া - যেনা করলে তা থেকে মাফ পাওয়ার কোন উপায় আছে এ সম্পর্কে।

পেজ সূচিপত্রঃ যিনা থেকে বাচার দোয়া - যেনা করলে তা থেকে মাফ পাওয়ার কোন উপায় আছে

জিনার গুনাহ কি মাফ হয় - জিনা করলে কি হয়

আজ আমরা আলোচনা করব যিনা থেকে বাচার দোয়া - যেনা করলে তা থেকে মাফ পাওয়ার কোন উপায় আছে এ সম্পর্কে। আমাদের অনেক মুসলমান ভাই ও বোনেরা প্রশ্ন করে থাকেনযিনা থেকে বাচার দোয়া - যেনা করলে তা থেকে মাফ পাওয়ার কোন উপায় আছে এ সম্পর্কে। তাহলে বিস্তারিত আলোচনা করে আসি যিনা থেকে বাচার দোয়া - যেনা করলে তা থেকে মাফ পাওয়ার কোন উপায় আছে  এই বিষয় নিয়ে। এটা হলো অবিবাহিত দুইজন মানুষের মধ্যে জনপ্রিয়া পুঁথিগতভাবে বলা যেতে পারে যে না হলেও ইসলামী বৈবাহিক নিয়ম অনুযায়ী পরস্পর অবিবাহিত একাধিক মুসলিমের মাঝে অবৈধ যৌন সম্পর্ক বিষয়ক একটি ইসলামি নিষেধাজ্ঞা।
বিবাহ হত্বর যৌনতা এবং বিবাহ পূর্ব ও যৌনতা যেমন পরকীয়া পারস্পরিক সম্মতিতে বিবাহিতদের অবিবাহিক যৌন সম্পর্ক, ব্যভিচার দুজন অবিবাহিতদের পারস্পারিক সম্মতিতে যৌন চাহিদা পূরণ।

এছাড়া বিভিন্ন ধরনের যৌন কার্যকলাপের নীতিমালা বের হয়েছে যেমন পতিতাবৃত্তি অর্থের বিনিময়ে জনসঙ্গমিতা এর সম লিঙ্গের ব্যক্তিদের পারস্পরিক সম্মতিতে যৌন সম্পর্ক, এছাড়া রয়েছে সুডোম পায়ু সঙ্গম ও মুখোসঙ্গম। এছাড়াও রয়েছে অজাচার পরিবারের সদস্য বা অবিবাহ যোগ্য রক্তের সম্পর্কের ব্যক্তির সঙ্গে যৌন সম্পর্ক, পশু কামিতা পশুর সঙ্গে যৌনসঙ্গম এবং ধর্ষণ জোরপূর্বক অবিবাহিত কাউকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে যৌন সঙ্গম করা।

এটি জিনার চাইতেও মারাত্মক পাপের। জিনা কবিরা গুনাহ যা ক্ষমা চা ব্যথিত মাফ করা হয় না এছাড়া কুরআন শরীফে উল্লেখ আছে তোমরা জিনার কাছেও যেও না এটি তোমার এবং তোমার জাতির জন্য খুবই ভয়াবহ। যখন একজন অবিবাহিত পুরুষ একজন অবিবাহিত নারীর সাথে ব্যভিচার করে তাদেরকে একশত বেতাঘাত এবং এক বৎসরের জন্য নির্বাচন পেতে হবে আর বিবাহিত পুরুষের সাথে বিবাহিত নারীর ব্যভিচারের ক্ষেত্রে তাদেরকে একশত বেত আঘাত ও পাথর নিক্ষেপ করে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করতে হবে।

যিনা থেকে বাচার দোয়া - যেনা করলে তা থেকে মাফ পাওয়ার কোন উপায় আছে

বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার এক সাহাবীকে খারাপ আসক্তি থেকে বেঁচে থাকতে আল্লাহর কাছে সাহায্য পাওয়ার একটি দোয়া শিখিয়ে দিয়েছেন হাদীসটি এভাবে উঠে এসেছে যেঃহযরত আবু আহমাদ সাকাল ইবনু হুমাইদ রাদিআল্লাহু তা'আলা আনহু বর্ণনা করেন আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বললাম আমাকে একটি দোয়া শিখিয়ে দিন যা আমাকে পাপ কাজ থেকে রক্ষা করবে।

সেই সময় মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন তুমি বলোঃ- اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ سَمْعِي وَمِنْ شَرِّ بَصَرِي وَمِنْ شَرِّ لِسَانِي وَمِنْ شَرِّ قَلْبِي وَمِنْ شَرِّ مَنِيِّي উচ্চারণঃআল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন সাররি সামিয়ি ওয়া মিন বাসারি ওয়া মিন সাররি লিসানি ওয়া মিন সাররি কালবি ওয়া মিন সাররি মানিয়্যি।মমিন মুসলমানদের উচিত হাদিসে শেখানো এই দোয়াটির মাধ্যমে আল্লাহর কাছে দুনিয়ার যাবতীয় অশ্লীলতা ও পণ্য আসক্তি থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করা কেউ যদি এ ধরনের কোন অপরাধে লিপ্ত হন তখন তিনি সঙ্গে সঙ্গে তওবা করে নেবেন।

এটা যেহেতু খুব বড় অন্যায় তাহলে অবশ্যই তিনি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবেন আল্লাহর কাছে প্রত্যাবর্তন করবেন যদি সত্যিকার অর্থে আন্তরিকতার সঙ্গে এ ক্লাসের সঙ্গে একবারে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন তাহলে আল্লাহ সেই বান্দাকে ক্ষমা করে দিবেন নিশ্চয় আল্লাহ পরম দয়ালু ও ক্ষমাশীল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি হাদিসে বলেছেন সত্যিকারের দোয়া করলে আল্লাহ সব গুনাহ মাফ করে দেবেন তাই কোন ব্যক্তি সত্যিকার অর্থে আন্তরিকতা নিয়ে ক্ষমা চান তাহলে অবশ্যই তিনি মাফ পাবেন।
তবে এর মধ্যে একটি শর্ত রয়েছে সেটি হলো মনে একটা রেখে মুখে আরেকটা বললে তওবা হবে না তওবা শুধুমাত্র মুখে বলার কাজ নয় আপনাকে কাজের মধ্য দিয়ে প্রমাণ করতে হবে যে আপনি সত্যিই আপনার পাপের জন্য অনুতপ্ত। এক কথায় বলতে গেলে একেবারেই মন থেকে সংকল্প করতে হবে অপরাধ থেকে বেরিয়ে আসার জন্য তাহলে আল্লাহ ক্ষমা করে দেবেন আল্লাহ বান্দাদের তওবা যে কবুল করেন যদি সে মন থেকে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায়।

ইসলামে জেনার শাস্তি - যেনা করলে কি দোয়া কবুল হয়

যখন একজন অবিবাহিত পুরুষ এবং একজন অবিবাহিত নারীর সাথে ব্যভিচার করে তাদেরকে একশত বেতাঘাত এবং এক বছরের জন্য নির্বাসন পেতে হবে আর বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে বিবাহিত নারীর ব্যভিচারের ক্ষেত্রে তাদেরকে একশত বেদ আঘাত এবং পাথর নিক্ষেপ করে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করতে হবে এটি মানুষের তৈরি কীর্তন কোন নিয়ম নয়। এটি মহান আল্লাহতালার নির্দেশ।

মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এরশাদ করেন আমি এ রাতে ঘুমিয়ে ছিলাম তখন জিব্রাইল আমার ডান হাত ধরে মিকাইল আর বাম হাত ধরলেন ধরে আমাকে নিয়ে চলে যাচ্ছেন যেতে যেতে দেখি অনেক মানুষ অনেক অনেক মানুষ ফুলেঁপে এ বিশাল বিশাল আকার ধারণ করে আছে। ৫০ হাত ১০০ হাত উঁচু উঠে আছে দুর্গন্ধের টাকা যাচ্ছে না এত এত পরিমাণে গন্ধ মনে হচ্ছে গ্রামের টয়লেট।
মনে হচ্ছে তারা যেন গণশৌচাগার মনে হচ্ছে তারা যেন গ্রামের শৌচাগার যেই শৌচাগার পরিষ্কার করা হয় না যেই সু চাকার গন্ধে টেকা যায় না এমত অবস্থায় তারা বিশাল বিশাল রুপ ধারণ করে আছে।

গোপনে যেনা করলে তিনটি বিপদ আসবেই - যেনাকারীর ক্ষমা

মহান আল্লাহ তা'আলা দুনিয়াতে জেনার শাস্তি পেতাঘাত ও পাথর নিক্ষেপ হত্যা নির্ধারণ করে দিয়েছেন এছাড়া গুনাহর সাথে বেশ কিছু বিধান আরোপ করেছে যেমন জেনাকারী তওবা না করা পর্যন্ত তাকে বিয়ে করতে দেওয়া হবে না এবং এ গুনাহ হওয়ার কারণে আখিরাতে যন্ত্রনা দেয় কঠিন শাস্তি পেতে হবে সেই ব্যক্তিকে।বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সে শাস্তির কিছু বর্ণনা উল্লেখ করে গেছেন।

আমাদের জন্য আল্লাহ তাআলা জাহান্নামের একটি চুল্লিতে ব্যভিচারী নর ও নারীকে উলঙ্গ অবস্থায় একত্র করবেন যেখানে জাহান্নামের আগুনে তাদেরকে পুরানো হবে তাদের বিকট শব্দ শোনা যাবে। অতএব যে ব্যক্তি যেনা করতে চায় আমাদের কাছে তার জন্য ও অনুমতি নেই আমাদের কাছে যেনার বৈধ মর্মে কোন ফতোয়া নেই আর যারা আল্লাহ ব্যতীত অপর কোন ইলাইয়ের ইবাদত করে না।

আল্লাহর নিষেধকৃত প্রাণী যথার্থ জবাইকরা ব্যতীত হত্যা করে না এবং ব্যভিচার করে না। আর যে ব্যক্তি এসব কাজ করে সে শাস্তি ভোগ করবে কিয়ামতের দিন তার শাস্তি দ্বিগুণ করা হবে এবং সেখানে সে বস্ত্র হীন অবস্থায় থাকবে। তবে সে সকল ব্যক্তি কে আল্লাহ মাফ করবেন যারা আল্লাহর কাছে মাথা নত করবে আল্লাহর কথা মত চলবে এবং এ সকল পাপ করার পরে অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর নিকট ক্ষমাপ্রার্থনা করবে মন থেকে এবং মুখ থেকেও।সূরা আল-ফুরকান ৬৮–৬৯

যেনা থেকে তওবা - কিভাবে দোয়া করলে কবুল হয়

আপনি আল্লাহর রহমত হতে নিরাশ হবেন না আল্লাহ তাআলা এই বাণীটি অধ্যয়ন করুন কবুল হে আমার বান্দাগণ যারা নিজের ওপর জুলুম করেছ তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না নিশ্চয়ই আল্লাহর সমস্ত গুনাহ মাফ করেন তিনি ক্ষমাশীল ও পরম দয়াল।[সূরা যুমার আয়াতঃ  ৫৩]

আপনি অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর কাছে তওবা করুন এবং পানাহ চান আল্লাহর এবাদত করুন এবং হারামের সকল পথ বন্ধ করে দিন এই পাপে পুনরায় পতিত হওয়ার সকল উপায়-উপকরণ কর্তন করুন। এছাড়া বেশি বেশি নেক কাজ করুন কারণ নেককার বদ কাজকে দূরীভূত করে দিয়ে থাকে নিরাশ হওয়া যাবে না আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা রেখে বিশ্বাস রেখে এবং আল্লাহর পূর্ণ ঈমান বজায় রাখার পরে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতে হবে।
অপরদিকে সকল হারাম কাজ বন্ধ করতে হবে এবং আল্লাহর রাস্তাতে পূর্ণরূপে ফিরে আসতে হবে।

শেষ কথা

আপনারা যদি  যিনা থেকে বাচার দোয়া - যেনা করলে তা থেকে মাফ পাওয়ার কোন উপায় আছে এ সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তাদের জন্য উপরের পোস্ট টি লেখা হয়েছে। এছাড়া  যিনা থেকে বাচার দোয়া - যেনা করলে তা থেকে মাফ পাওয়ার কোন উপায় আছে এ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পোষ্ট টি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।  যিনা থেকে বাচার দোয়া - যেনা করলে তা থেকে মাফ পাওয়ার কোন উপায় আছে এ সম্পর্কে কারো কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমিটির মাধ্যমে সেই প্রশ্ন করতে পারেন আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন এবং নতুন আপডেট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Rajrafi.com এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url