পহেলা বৈশাখের ইতিহাস - নববর্ষের বক্তব্য

আজ আমরা জানবো পহেলা বৈশাখের ইতিহাস - নববর্ষের বক্তব্য সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। দিনটি বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নববর্ষ হিসেবে উৎসবের সঙ্গে পালিত হয়ে আসে বহুকাল থেকে ত্রিপুরায় বসবাসরত বাঙালিরাও এই উৎসবে অংশ নিয়ে থাকে। আমাদের অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন পহেলা বৈশাখের ইতিহাস - নববর্ষের বক্তব্য সম্পর্কে। তাহলে চলুন বিস্তারিত জেনে আসি পহেলা বৈশাখের ইতিহাস - নববর্ষের বক্তব্য সম্পর্কে।
পহেলা বৈশাখের ইতিহাস - পহেলা বৈশাখ সম্পর্কে ১০টি বাক্য
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে পহেলা বৈশাখের ইতিহাস - নববর্ষের বক্তব্য সম্পর্কে জানতে পারবেন। চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে আসি পহেলা বৈশাখের ইতিহাস - নববর্ষের বক্তব্য সম্পর্কে। 

পেজ সূচিপত্রঃ পহেলা বৈশাখের ইতিহাস - পহেলা বৈশাখ সম্পর্কে ১০টি বাক্য

পহেলা বৈশাখ কত তারিখ বাংলাদেশ - পহেলা বৈশাখ চালু করেন কে

আমাদের আলোচনার বিষয়বস্তু হলো পহেলা বৈশাখের ইতিহাস - নববর্ষের বক্তব্য। আমাদের বাঙালির ঐতিহ্য পহেলা বৈশাখের ইতিহাস - নববর্ষের বক্তব্য সম্পর্কে সকলের অবগত থাকা উচিত। তাই কথা না বলে জেনে আসি পহেলা বৈশাখের ইতিহাস - নববর্ষের বক্তব্য সম্পর্কে। পহেলা বৈশাখ ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসের ১৪ তারিখ শুক্রবার বাংলাদেশে হবে। ১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দের দশই মার্চ ৯৯২ হিজরীতে বাংলা সন গণনা শুরু হয়েছিল তবে এই গণনা পদ্ধতি কার্যকর করা হয় আকবরের সিংহাসন আরোহণের সময় ৫ই নভেম্বর ১৫৫৬ থেকে। প্রথমে এই সনের নাম ছিল ফসলি সন পরে বঙ্গাব্দ বা বাংলা নববর্ষ নামে পরিচিত হয়।
এই বাংলা নববর্ষ আকবরের সময়কাল থেকে পহেলা বৈশাখ নামে উদযাপিত হয়ে আসছে তখন প্রত্যেকে বাংলা চৈত্র মাসের শেষ দিনের মধ্যে সকল খাজনা মাশুল ও শুল্ক পরিষদ করতে বাধ্য থাকতো এরপর দিন হঠাৎ পহেলা বৈশাখের ভূমির  মালিকরা নিজ নিজ অঞ্চলের অধিবাসীদের মিষ্টান্ন দ্বারা আপ্যায়ন করতেন।

পহেলা বৈশাখের ইতিহাস - পহেলা বৈশাখ সম্পর্কে ১০টি বাক্য

১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দের দশই মার্চ ৯৯২ হিজরিতে বাংলা সন গণনা শুরু হয় তবে এই গণনা পদ্ধতি কার্যকর করা হয় আকবরের সিংহাসন আরোহণের সময় প্রথমে এই সনের নাম ছিল ফসলি সন পর এবং বাংলা নববর্ষ নামে পরিচিতি পাই এই বাংলা নববর্ষ। সম্রাট আকবরের সময়কাল থেকে পহেলা বৈশাখ উদযাপন শুরু হয়েছিল বলে জানা যায়।

তখন প্রত্যেকে বাংলা চৈত্র মাসের শেষ দিনের মধ্যে সকল খাজনা মাসল ও শুল্ক পরিশোধ করতে বাধ্য থাকতো এরপর দিন হঠাৎ পহেলা বৈশাখের ভূমির মালিকরা নিজ নিজ অঞ্চলের অধিবাসীদের মিষ্টান্ন দ্বারা আপ্যায়ন করতেন। এ উপলক্ষে বিভিন্ন উৎসবে আয়োজন করা হতো এই উৎসবটি একটি সামাজিক অনুষ্ঠানের পরিণত হয় যা রূপ পরিবর্তন হয়ে বর্তমানের এ পর্যায়ে এসেছে তখনকার সময় এই দিন প্রধান ঘটনা ছিল একটি হালখাতা তৈরি করা।

পহেলা বৈশাখ পঞ্জিকার প্রথম মাসের প্রথম তারিখ বঙ্গাব্দের প্রথম দিন। দিনটি সফল বাঙালি জাতির ঐতিহ্যবাহী বর্ষবরণের দিন দিনটি বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ নববর্ষ হিসাবে উৎসবের সাথে পালিত হয়ে আসে। অপরদিকে ত্রিপুরায় বসবাসরত ভাঙ্গেলে যাও এই উৎসবে অংশ নিয়ে থাকে পহেলা বৈশাখ বাংলাদেশের জাতীয় উৎসব হিসেবে পালিত হয়ে থাকে সে হিসাবে বাঙ্গালীদের একটি সার্বজনীন লোকো উৎসব হিসেবে বিবেচিত এই দিনটি।

বাংলা নববর্ষ ১৪২৯ - বাংলা নববর্ষ প্রতিবেদন সম্পর্কে ধারণা

চৈত্র মাসের শেষ দিন পালিত হয় এই দিবসটি আজ বাংলা নববর্ষের শেষ দিন আগামীকাল শুক্রবার শুরু হচ্ছে পহেলা বৈশাখ নতুন বাংলা নববর্ষ যার মধ্যে বর্ষপুন্দিতে যুক্ত হবে নতুন সন 1430। পহেলা বৈশাখ বাঙ্গালীর কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যবহুল একটি দিন প্রতিবছরে এই দিনটি অত্যন্ত উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে পালিত হয়ে আসছে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাই একযোগে পালন করে থাকে বাংলা নববর্ষ বা পহেলা বৈশাখ।
পুরনো বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে সাদরে বরণ করে নেওয়া হয় বাংলা নববর্ষ উদযাপনের মাধ্যমে। এবারও তার ব্যাতিক্রম হলো না নববর্ষের দিন সকালে বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণের উদ্যোগে ছাত্র ও ছাত্রীরা নববর্ষের রেলি নিয়ে বের হয় এই রেলিটি বিদ্যালয় এর আশেপাশের এলাকা প্রদক্ষিণ করে এরপর রেলি নিয়ে সবাই বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উপস্থিত হয় এবং নববর্ষের ঐতিহ্যবাহী খাবার পান্তা ইলিশ খেয়ে থাকে।

এছাড়া বিদ্যালয়ের সৌজন্যে বিভিন্ন ধরনের মুখরোচক বাঙালি খাবারের আয়োজন হয়ে থাকে এরপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পর্ব শুরু হয়ে যায়।

বাংলা নববর্ষ নিয়ে কিছু কথা - নববর্ষের বক্তব্য

পহেলা বৈশাখ বঙ্গাব্দের প্রথম দিন হিসেবে বহুদিন আগ থেকে বিবেচিত হয়ে আসে দিনটি সকল বাঙালি জাতির ঐতিহাসিক একটি দিন বলে ধন্য করেন দিনটি বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ নববর্ষ হিসাবে পালন করে আসছে বহুকাল ধরে বাঙালিরা। পৃথিবী নতুন না হলেও আমাদের কাছে এটি চির নতুন কারণ যুগ যুগ ধরে বিভিন্ন ধরনের কর্মকাণ্ড চলে আসছে।

আমাদের এই পৃথিবীতে তার মধ্যে একটি হলো নববর্ষ এটি মানব জীবনের সঙ্গে জড়িত হয়ে আছে বললেও ভুল হবেনা কারণ এটি বাঙালি জাতির এক ঐতিহ্যবাহী এবং খুবই গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস যা আমাদের পুরনো সকল কথা ভুলিয়ে নতুন বছরে সবাই মিলে মিশে বাঁচতে শেখায়।
হাহপৃথিবীর একদিকে যেমন বিনা সৈন্যদিকে সৃষ্টি একদিকে অবসান অন্যদিকে আরম্ভ মানুষের জীবন থেকে চিরতরে হারিয়ে গেল সুখ-দুঃখের গড়া একটি বছর তবে আমরা সকলে প্রার্থনা করতে পারি প্রভুর কাছে যেন বিগত দিনের সকল ভুল ত্রুটি মাফ করে সকলে যেন আমরা একসঙ্গে চলতে পারি একসঙ্গে বাঁচতে পারি।

বাংলা নববর্ষ কিভাবে পালন করা হয় - নববর্ষ পালন সম্পর্কে ইসলাম কি বলে

বিভিন্ন পর্যায়ে ব্যবসায়ীরা দিনটি নতুন ভাবে ব্যবসা শুরু করার উপলক্ষে বরণ করে নেন বাংলাদেশে এই উৎসবটি শোভাযাত্রা মেলা পান্তা ভাত খাওয়া হালখাতা খেলা ইত্যাদি বিভিন্ন কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে উদযাপন করা হয়ে থাকে বাংলা নববর্ষের ঐতিহ্যবাহী শুভেচ্ছা ব্যাখ্যা হলো শুভ নববর্ষ। অপরদিকে মুসলিম ধর্ম থেকে এসেছে আনাস ইবনে মালিক রাঃ হতে বর্ণিত,

রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আসলেন তখন তাদের দুটো উৎসবের দিন ছিল তিনি বললেন এই দিনের তাৎপর্য কি? তখন কিছু লোক তার কথার উত্তরে বললেন জাহিলিয়াতের যুগে আমরা এই দুটো দিনে উৎসব করতাম। তখন মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন আল্লাহ তোমাদেরকে এদের পরিবর্তে উত্তম কিছু দিয়েছেন ইয়ামুদ দাহা ইয়াওমুল ফিতর। [সূনান আবু দাউদ]

এই হাদীস থেকে দেখা যাচ্ছে যে ইসলাম আগমনের পর ইসলাম বহির্ভূত সকল উৎসবকে বাতিল করে দেওয়া হয়েছে এবং নতুন ভাবে উৎসবের জন্য দুটো দিন কে নির্ধারণ করা হয়েছে সেই সাথে অমুসলিম দের অনুসরণের যাবতীয় উৎসব পালনের পথকে বন্ধ করা হয়েছে। ইসলামের এই যে উৎসব ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা এগুলো থেকে মুসলিম ও অমুসলিম দের উৎসবের মূলনীতিগত একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য স্পষ্ট হয় এবং এ বিষয়টি আমাদের খুব গুরুত্ব সহকারে লক্ষ্য করা উচিত।
যা হচ্ছে অমুসলিম কাফির কিংবা মুশরিকদের উৎসবের দিনগুলো হচ্ছে তাদের অন্য ও উশৃংখল আচরণের দিন এই দিনে তারা নৈতিকতার সফল বাধা ভেঙে দিয়ে অশ্লীল কর্মকাণ্ড লিপ্ত হয় আর এই কর্মকাণ্ডের অবধারিত হচ্ছে মদ্যপান ও ব্যভিচার। এমনকি খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ে বহু লোক তাদের পবিত্র বড়দিনেও ধর্মীয় গম্ভীর্যকে জলাঞ্জলি দিয়ে মধ্যপ্রাণ নিয়ে মগ্ন হয়ে ওঠেন এবং পশ্চিমা বিশ্বে এই রাতে কিছু লোক নিহত হয় মদ্য ফল অবস্থায় গাড়ি চালানোর কারণে।

শেষ কথা

আপনারা যদি পহেলা বৈশাখের ইতিহাস - নববর্ষের বক্তব্য সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তাদের জন্য উপরের পোস্ট টি লেখা হয়েছে। এছাড়া পহেলা বৈশাখের ইতিহাস - নববর্ষের বক্তব্য সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পোষ্ট টি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পহেলা বৈশাখের ইতিহাস - নববর্ষের বক্তব্য সম্পর্কে কারো কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমিটির মাধ্যমে সেই প্রশ্ন করতে পারেন আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন এবং নতুন আপডেট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Rajrafi.com এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url