ভিটামিন ই এর ১০টি উপকারিতা - ভিটামিন ই এর অভাবে কি হয়

আজ আমরা জানবো ভিটামিন ই এর ১০টি উপকারিতা - ভিটামিন ই এর অভাবে কি হয় এ সম্পর্কে। ভিটামিন ই হল চর্বিযুক্ত দ্রবণীয় তাই ডাইরেক্টরি পরিপূরক পণ্যগুলি সাধারণত ভিটামিনের আকারে থাকে ক্যাপসুলে উদ্ভিজ্জ তেলে দ্রবীভূত করা হয়। খুবই অল্প পরিমাণে মাল্টিভিটামিন খনিজ ট্যাবলেট গুলিতে থাকে। আমাদের অনেকে প্রশ্ন করে থাকেন ভিটামিন ই এর ১০টি উপকারিতা - ভিটামিন ই এর অভাবে কি হয় এ সম্পর্কে। চলুন বিস্তারিতভাবে জেনে আসি ভিটামিন ই এর ১০টি উপকারিতা - ভিটামিন ই এর অভাবে কি হয় এ বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
ভিটামিন ই এর ১০টি উপকারিতা - ভিটামিন ই এর অভাবে কি হয়
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে ভিটামিন ই এর ১০টি উপকারিতা - ভিটামিন ই এর অভাবে কি হয় এ সম্পর্কে জানতে পারবেন। চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে আসি ভিটামিন ই এর ১০টি উপকারিতা - ভিটামিন ই এর অভাবে কি হয় এ সম্পর্কে।

পেজ সূচিপত্রঃ ভিটামিন ই এর ১০টি উপকারিতা - ভিটামিন ই এর অভাবে কি হয়

ভিটামিন ই এর ১০টি উপকারিতা - ভিটামিন ই এর অভাবে কি হয়

বিভিন্ন ধরনের দূষণ এবং ধূমপান থেকে শরীরে মুক্ত মৌল তৈরি হয় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যেমন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে ভিটামিন ই তে ভরপুর খাবার আর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এই ইউনিয়নশীল বা রোগ প্রতিরোধকারী কোষ তৈরি করতে সহায়তা করে থাকে শরীরকে তৈরি করে ব্যাকটেরিয়া নামক অ্যান্টিবডি যা আমাদের শরীরকে জীবাণুর সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে।

ক্ষত সারাতে বাজারে ভিটামিন ই যুক্ত বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিসেপটিক পাওয়া যায় এছাড়া ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে হাটের ধমনীতে জমাট বাঁধতে দেয় না রক্তে ভিটামিন ই এর অভাবে এর কারণে পেশি দুর্বলতা হার্টের অসুবিধা হাত - পা অসার হয়ে পড়া দৃষ্টি জনিত সমস্যা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হওয়ার মত উপসর্গ দেখা দেয়।
ভিটামিন ই এর প্রধান কাজ হল অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করা এটি জীবাণুযুক্ত কোষ কে মেরে ফেলে এবং ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে হার্টের এর ধমনীতে রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না। ভিটামিন ই এর অভাব স্নায়ু এবং পেশির ক্ষতিকর কারণ হতে পারে যার ফলে হাতের আষাঢ় হয়ে পড়া ক্লান্তি বেশি দুর্বলতা চোখের সমস্যা এছাড়া সবচেয়ে বড় কথা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে পারে। ভিটামিন ই এর ১০টি উপকারিতা তুলে ধরা হলোঃ
  • শরীরের ইমিউন সিস্টেম করে তোলে।
  • শরীরে অ্যান্টি বডি তৈরি করে। ভুলে যাওয়া রোগ হতে রক্ষা করে।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
  • শরীরের ক্লান্তি ভাব দূর করে। ক্যান্সারে জীবাণু শরীরে প্রবেশ করলে তা ধ্বংস করে।
  • হাত -পা অসার হয়ে যাওয়া থেকে শরীরকে রক্ষা করে।
  • রোগাক্রান্ত কোষগুলোকে মেরে ফেলতে সাহায্য করে ইন্টার্নাল ভাবে।
  • শরীরকে চাঙ্গা করে তোলে।
  • ধমনী বা হার্টে রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না।
  • স্ট্রোকের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়।
  • পেসিকে মজবুত করে তোলে।

ভিটামিন ই এর কাজ - ভিটামিন ই এর সবচেয়ে ভালো উৎস কি

ভিটামিন ই মানব শরীরের কোষ গুলোকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে এটি তাদের বিভিন্ন ধরনের শারীরিক হুমকি এবং ঝুঁকি থেকে রক্ষা করে ভিটামিন ই ক্যান্সার আর ভুলে যাওয়ার রোগ হার্ট সম্পর্কিত রোগ এবং অন্যান্য রোগের প্রতিরোধ করে থাকে। ভিটামিন এ আমাদের চোখের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় একটি মহা ঔষধি ভিটামিন ই এর সুবিধার কারণে আমরা ছত্রাকের মতো বিষাক্ত রোগ প্রতিরোধ করতে পারি।
প্রোস্টাগাল্যান্ডিন নিয়ন্ত্রণ প্রজনন পেশি সংকোচন পেশি মেরামত কাজ লিভারে পাথর এবং পাচন ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ সবকিছুই ভিটামিন ই দেখাশোনা করে এছাড়া সব মানুষের শরীরকে সুস্থ রাখতে এবং বিভিন্ন রোগ থেকে দূরে রাখার জন্য আমাদের অনেক খাদ্যের মধ্যে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ই পেতে পারি ভিটামিন ই অনেক খাবারের বিদ্যমান থাকে। বিভিন্ন ধরনের খাদ্যের মধ্যে এই ভিটামিন ই পেতে পারে যেমন চিনা বাদাম আখরোট উদ্ভিদ্য তেল গম সয়াবিন সূর্যমুখী আদি ইত্যাদিতে।

এর পাশাপাশি ভিটামিন ই প্রচুর পরিমাণে সূর্যমুখীর বীজ এবং সবুজ শাকসবজির মধ্যে পাওয়া যায। ভিটামিন ই আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে কাজ করে থাকে এটি তাদের বিভিন্ন ধরনের শারীরিক হুমকি এবং ঝুঁকি থেকে রক্ষা করে থাকে ভিটামিন ই ক্যান্সার ভুলে যাওয়া রোগাট সম্পর্কিত রোগ এবং অন্যান্য বিভিন্ন জটিল রোগ প্রতিরোধ করে থাকে ।
ভিটামিন ই আমাদের চোখের জন্য খুবই দরকারী যেমন ছোট মাছ এবং বিভিন্ন ধরনের কচুর সাগে ভিটামিন ই প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় ভিটামিন ই এর সুবিধা কারণে আমাদের শরীরে ছত্রাক ও বিষাক্ত বিভিন্ন ধরনের রোগ জন্মাতে পারেনা ভিটামিন ই ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের পেশি সংকোচন প্রসারণ এবং মেরামত ইত্যাদি করে থাকে এই ভিটামিন ই।
ভিটামিন ই এর সর্ব উৎকৃষ্ট একটি উৎস হলো ভোজ্য তেল দুধ আদর্শ খাদ্য আর ডাবের প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে এর শস্য দানার থাকে খনিজ লবণ।

ভিটামিন ই জাতীয় খাবার - ভিটামিন যুক্ত খাবারের তালিকা

ভিটামিন ই  জাতীয় খাবার গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো চিনা বাদাম আর্ট বাদাম উদ্ভিজ্জ তেল কুসুম গম সয়াবিন সূর্যমুখী সবুজ শাকসবজি পালং এবং সাগ বাঁধাকপি ব্রকলি কাঁচা আর শালগম বিভিন্ন ধরনের ছোট মাছ সহ আরো অনেক কিছু তবে সবুজ সবজির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই বিদ্যমান থাকে।
বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন বি রয়েছে যেগুলোকে একসঙ্গে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স বলা হয়ে থাকে সাধারণত এ সকল ভিটামিনের মধ্যে সকল ধরনের ভিটামিন বিদ্যমান থাকে এবং সকল ধরনের ভিটামিনের মিশ্রণে তৈরি হয় ভিটামিন বি কমপ্লেক্স যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী।

ভিটামিন ই মুখে মাখলে কি হয় - ভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

নিয়মিত ভিটামিন ই ব্যবহার করলে দারুন ফলাফল পাওয়া যায় এটা যেমন ত্বকের নানা সমস্যা ব্রণ পুস করি দাগ সব দূর করে তেমনি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এই ঝকঝকে তথ্যকে তৈরিতে এটি বিশেষভাবে কার্যকারী ভূমিকা পালন করে থাকে এটা আমাদের ত্বকে রক্ষা করার জন্য পুষ্টি যোগায় তাই মুখের যে কোন সমস্যায় একমাত্র সল্যুশন হল ভিটামিন ই।
ভিটামিন ই এর একটি প্যাক তৈরির নিয়ম নিচে দেওয়া হল একটি বাটিতে দুই চাচামোস লেবুর রস নিতে হবে এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর তেল বের করে নিয়ে ওর সঙ্গে মিশিয়ে মুখে ভালোভাবে মাসাজ করতে হবে ২০ মিনিট পরে পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে নিয়মিত সপ্তাহে দুইদিন ব্যবহারে আপনার ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দাগ ছুপ সম্পূর্ণরূপে দূর হয়ে যাবে।
ব্রণ হওয়ার কারণে মুখে দাগ হয়ে গিয়েছে আপনার কিছুতেই কমাতে পারছেন না তাহলে রোজ রাতে ঘুমানোর আগে ভিটামিন ই ক্যাপসুল থেকে তেল বের করে সোজাসুজি ব্রণের দাগের ওপর লাগান যদি না এই দাগ মিলে যাচ্ছে আপনার মুখ থেকে ততদিন ব্যবহার করতে থাকবেন এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিজেন থাকে সেটা আমাদের ত্বকের করতে সাহায্য করে এবং কোষ মেরামত করে থাকে।

চুলের ভিটামিন ই ক্যাপসুল - ই ক্যাপসুল খাওয়ার উপকারিতা

চুলের পরিচর্যার জন্য খুবই উপকারী হল ভিটামিন ই এই ক্যাপসুল থেকে তেল বের করে নিয়ে যেকোনো মাথায় আর তেলের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন ভালো করে মেসেজ করে দুই থেকে তিন ঘন্টা পর উষ্ণ গরম জলের সঙ্গে শ্যাম্পু মিশিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে। সপ্তাহে দুইবার এই তেল ব্যবহার করা যেতে পারে উষ্ণ গরম জলের সঙ্গে শ্যাম্পু মিশিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে।
সপ্তাহে দুইবার এই তেল ব্যবহার করে যেতে পারেন ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি হয় ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে আপনার শরীরের ত্বক চুলের জন্য উপকার হয় এটি ত্বককে সুন্দর সজীব করে তোলে এবং চুলকে শক্ত ও ঘন করে তোলে। ভিটামিন ই ক্যাপসুল শরীরের ত্বক উজ্জ্বল করে ও সেই সাথে সতেজ রাখে আর অন্যদিকে যদি চুলের গোড়া শক্ত ও মজবুত করতে হয় তাহলে এর জুড়ি মেলা ভার।

তারা চুলকে করে তোলে ঝলমলে কালো ও সজীব তাছাড়া ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার ফলে আপনার ত্বক কুঁচকে যাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখের দাগ দূর করতে সহায়তা করে আপনার মুখে অতিরিক্ত ও বয়সের ছাপ পড়ে যাওয়া দূর করতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর ভেতরে জেলি জাতীয় পদার্থ থাকে তা আপনার চুলে ভালো করে মেসেজ করে নিতে হবে।
দেখতে হবে ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর জেলি জাতীয় পদার্থ যেন চুলের গোড়ায় পৌঁছায় এরপর তা আপনাকে ভিটামিন 40 মিনিট রাখতে হবে যখন দেখবেন তা চুলের মধ্যে শুকিয়ে গেছে এরপর শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে নিতে হবে। যারা চুল উঠায় সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য এই রেমিডিটি খুব কার্যকারী ভূমিকা রাখতে পারে কারণ এটি চুল শক্ত মজবুত এবং চুলের ড্যামেজ পূরণ করে চুলকে ঝলমলে কালো করে তোলে।

শেষ কথাঃ ভিটামিন ই এর ১০টি উপকারিতা - ভিটামিন ই এর অভাবে কি হয়

আপনারা ভিটামিন ই এর ১০টি উপকারিতা - ভিটামিন ই এর অভাবে কি হয় এ  সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তাদের জন্য উপরের পোস্ট টি লেখা হয়েছে। এছাড়া ভিটামিন ই এর ১০টি উপকারিতা - ভিটামিন ই এর অভাবে কি হয় এ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পোষ্ট টি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন ই এর ১০টি উপকারিতা - ভিটামিন ই এর অভাবে কি হয় এ সম্পর্কে কারো কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমিটির মাধ্যমে সেই প্রশ্ন করতে পারেন আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন এবং নতুন আপডেট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Rajrafi.com এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url