ফজরের নামাজের ফজিলত ও গুরুত্ব - ফজরের নামাজের উপকারিতা

আজ আমরা জানবো ফজরের নামাজের ফজিলত ও গুরুত্ব সম্পর্কে। আমাদের পাঠকদের মধ্যে থেকে অনেকে প্রশ্ন করেন ফজরের নামাজের ফজিলত ও গুরুত্ব সম্পর্কে। চলুন বিস্তারিতভাবে জেনে আসি ফজরের নামাজের ফজিলত ও গুরুত্ব সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
ফজরের নামাজের ফজিলত ও গুরুত্ব - ফজরের নামাজের উপকারিতা
প্রত্যেক ওয়াক্ত নামাজেরই আল্লাহ তায়ালা বিশেষ কিছু ফজিলত দিয়েছেন এর মধ্যে অন্যতম ফজরের সালাত নামাজ। ফজরের সালাত আদায়ের মাধ্যমে শরীরের সুস্থতা দান করেন এছাড়া শরীর সকালের মুক্ত শীতল বাতাস অনুভব করে। 

আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে ফজরের নামাজের ফজিলত ও গুরুত্ব সম্পর্কে জানতে পারবেন। চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে আসি ফজরের নামাজের ফজিলত ও গুরুত্ব সম্পর্কে।

পেজ সূচিপত্রঃ ফজরের নামাজের ফজিলত ও গুরুত্ব - ফজরের নামাজের উপকারিতা

ফজরের নামাজের ফজিলত ও গুরুত্ব - ফজরের নামাজের উপকারিতা

আজ আমরা আলোচনা করব ফজরের নামাজের ফজিলত ও গুরুত্ব - ফজরের নামাজের উপকারিতা সম্পর্কে। চলুন তাহলে ফজরের নামাজের ফজিলত ও গুরুত্ব - ফজরের নামাজের উপকারিতা সম্পর্কে আজকে আর্টিকেল লেখা হবে। প্রত্যেক ওয়াক্ত নামাজের জন্য মহান আল্লাহতালা বেশ কিছু ফজিলত দিয়েছেন এর মধ্যে অন্যতম হলো ফজরের নামাজ। নামাজ কায়েম কর সূর্য ঢলে পড়ার পর থেকে রাতের অন্ধকার পর্যন্ত এবং কায়েম করা ফজরের নামাজ নিশ্চয়ই ফজরের নামাজ উপস্থিত সময়। (সূরা: বনি ইসরাঈল আয়াত ৭৮। সকল নামাজের মধ্যে যেমন রয়েছে ফজরের নামাজের বেশ কিছু গুরুত্ব।
তেমনি সময়ের মধ্যে ফজরের সময় রয়েছে বিশেষ গুরুত্ব পবিত্র কুরআনের ফজর নামাজের একটি সূরাও রয়েছে ওই সূরা শুরুতে মহান আল্লাহতালা এরশাদ করেছেন শপথ ফজরের। সূরা ফজর আয়াত নম্বর এক। হাদিস শরীফে ফজরের নামাজের বিশেষভাবে তাগিদ দেওয়া হয়েছে ইবনে আব্দুল্লাহ রাযিআল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ পড়বে সে আল্লাহর জিম্মায় থাকবে। মুসলিম হাদিস নম্বর 657।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে ফজরের নামাজ অধিক গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত জাহান্নাম থেকে মুক্তির বিখ্যাত ও তাবেঈ আবু বক্কর বিন ও ওমর তার পিতা থেকে বর্ণিত এমন কোন ব্যক্তি জাহান্নামে যাবে না যে ব্যাক্তি ফজরে সূর্য উদয়ের আগে এবং সূর্য অস্তের পর পর্যন্ত নামাজ আদায় করবে।

ফজরের নামাজ কয় রাকাত ও নিয়ত - ফজরের নামাজের শেষ সময়

ফজরের নামাজ দুই রাকাত সুন্নত ও দুই রাকাত ফরজ নামাজ নিয়ে গঠিত ফরজ অংশ ইমামের নেতৃত্বে জামাতের সাথে আদায় করতে হয় সুবহে সাদিক থেকে সূর্যোদয়ের আগ পর্যন্ত ফজরের নামাজের সময় ফজরের দুই রাকাত সুন্নত নামাজের পর ফজরের নামাজ পড়তে হয়। ফজরের নামাজের সময় শুরু হয় সুবহে সাদিক হওয়ার সাথে সাথে এবং সূর্য উদয়ের পূর্ব পর্যন্ত এর সময় থাকে।
হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহা হতে বর্ণিত তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন ফজরের পূর্বে দুই রাকাত সালাত পৃথিবী ও পৃথিবীর মধ্যে যা কিছু আছে সব কিছু অপেক্ষা উত্তম।

ফজরের নামাজের ফজিলত হাদিস - এশা ও ফজর নামাজের ফজিলত

নামাজ কায়েম কর সূর্য ঢলে পড়ার পর থেকে রাতের অন্ধকার পর্যন্ত এবং কায়েম করো ফজরের নামাজ নিশ্চয়ই ফজরের নামাজ উপস্থিতির সময়। এছাড়া নামাজের মধ্যে যে এমন ফজরের রয়েছে বিশেষ গুরুত্ব ও তাৎপর্য তেমনি সময়ের মধ্যে ফজরের সময়ের রয়েছে বিশেষ গুরুত্ব। পবিত্র কুরআনের ফজর নামাজের নামে একটি সূরাও বিদ্যমান রয়েছে এই সূরার শুরুর প্রথমে মহান আল্লাহতালা বলেছেন কসম ফজরের।
সূরা ফাজর আয়াত নম্বর এক। হাদিসে ফজরের নামাজের বিশেষ তাগিদ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ইবনে আব্দুল্লাহ রাজিআল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন। যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ পড়বে সে আল্লাহর জিম্মায় থাকবে এছাড়া মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেন মুনাফিকদের জন্য ফজর ও এশার নামাজের চেয়ে অধিক ভারী কোন নামাজ নেই।

এই নামাজের ফজিলত যদি মুনাফিকরা জানতো তাহলে তারা হামাগুড়ি দিয়ে হলেও এই দুই নামাজে উপস্থিত হত (বুখারি হাদিস৬৫৭)। উবা ইবনে কাপ রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু হতে বর্ণিত মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম একদিন নামাজ পড়াচ্ছিলেন নামাজ শেষে সালাম ফিরিয়ে তিনি জিজ্ঞাসা করলেন অমুক কি আছে?
লোকেরা বললো না তারপরে আরেকজন নামাজ শেষে জিজ্ঞাসা করলেন অমুক কি আছে লোকেরা বলল নেই, তখন তিনি বললেন মুনাফিকদের জন্য এই দুই নামাজ খুবই কঠিন কিন্তু তারা যদি এই নামাজের তাৎপর্য সম্পর্কে জানত তাহলে তারা হামাগুড়ি দিয়ে হলেও নামাজ পড়তে আসতো।

ফজরের নামাজ জামাতে পড়ার ফজিলত - ফজরের নামাজ না পড়ার শাস্তি

প্রত্যেক ওয়াক্ত নামাজে মহান আল্লাহতালা বিশেষ কিছু ফজিলত ও গুনাগুন দিয়েছেন এর মধ্যে অন্যতম হলো ফজরের সালাত নামাজ কায়েম কর সূর্য ঢলে পড়ার পূর্বে থেকে রাতের অন্ধকার পর্যন্ত এবং কায়েম করো ফজরের নামাজ। নিশ্চয়ই ফজরের নামাজ উপস্থিতির সময় মহান আল্লাহতালা এরশাদ করেন নবী ও হেদায়াত প্রাপ্তদের পর এলো এমন এক ও অপদার্থ বংশধর।
যারা নামাজ বিনষ্ট করলো এবং বৃত্তির ও পুজি হল সুতরাং তারা গাই নামক জাহান্নামের শাস্তির প্রত্যক্ষ করবে। তবে যারা এর পর তওবা করে নিয়েছে ঈমান এনেছে এবং নেক আমল করেছে তারাই তো জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং তাদের প্রতি কোন ধরনের জুলুম করা হবে না। সূরা মরিয়মের আয়াত নম্বর 59 69।

ইচ্ছাকৃত নামাজ না পড়ার শাস্তি কি - মৃত্যুর পর নামাজ না পড়ার শাস্তি

মুসলমান মাত্রই তার জন্য নামাজ পড়া ফরজ হবে দাঁড়িয়ে, বসে, শুয়ে, ইশারায় যে কোন অবস্থায় সম্ভব নামাজ ছাড়া যাবে না। একজন মুমিন ঘরে বাইরে পথে-ঘাটে দেশ-বিদেশে সাগরে মহাসাগরে যেখানেই যে অবস্থায় থাকুক না কেন তাকে নামাজ পড়তেই হবে। কবরের সুখ শান্তি সুখ শান্তির ব্যাপারে কোরআন ও সুন্নাহতে অসংখ্যবার প্রমাণ পাওয়া যায়।
মহাবিশ্বের মালিক মহান আল্লাহ তা'আলা ঘোষণা করেছেন পবিত্র আল কুরআনে আল্লাহ মুমিনদের দুনিয়ায় জীবন ও পরকালে সুদীর্ঘ বাক্য দ্বারা শক্তিশালী করবে অপরদিকে আল্লাহতালা জালিমদের পথভ্রষ্ট করবে এবং তা তার যা ইচ্ছা তিনি তাই করবেন। কিন্তু জালেমরা পরকালে কঠিন সাজা ভোগ করবে (সূরা ইব্রাহীম আয়াত নাম্বার ২৭)।

শেষ কথাঃ ফজরের নামাজের ফজিলত ও গুরুত্ব - ফজরের নামাজের উপকারিতা

আপনারা যারা ফজরের নামাজের ফজিলত ও গুরুত্ব - ফজরের নামাজের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তাদের জন্য উপরের পোস্ট টি লেখা হয়েছে। এছাড়া ফজরের নামাজের ফজিলত ও গুরুত্ব - ফজরের নামাজের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে এই পোষ্ট টি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ফজরের নামাজের ফজিলত ও গুরুত্ব - ফজরের নামাজের উপকারিতা সম্পর্কে কারো কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমেন্ট এর মাধ্যমে সেই প্রশ্ন করতে পারেন। আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন এবং নতুন আপডেট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Rajrafi.com এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url