কাঁঠাল পাতার উপকারিতা - কাঁঠাল পাতার অপকারিতা
আজ আমরা বিশদ আলোচনা করব কাঁঠাল পাতার উপকারিতা ও কাঁঠাল পাতার
অপকারিতা বিষয় এ। আমাদের পাঠকদের মধ্যে থেকে অনেকেই প্রশ্ন করেন আমাদের কাঁঠাল পাতার উপকারিতা ও কাঁঠাল পাতার অপকারিতা সম্পর্কে। চলুন বিস্তারিতভাবে জেনে আসি কাঁঠাল পাতার উপকারিতা ও কাঁঠাল পাতার অপকারিতা কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
বাংলাদেশের জাতীয় ফল কাঁঠাল স্বাদ গন্ধ ও পুষ্টিগুণে ভরপুর থাকে কাঁঠাল আমাদের
শরীরের জন্য খুবই উপকারী কাঁঠাল। অপরিশোধিত কাটাযুক্ত কাঠালের খোসা সর্বপ্রথম ছাড়ে নিতে হবে এরপরে সেই খোসার ভেতরের অংশগুলোকে ছোট ছোট করে কেটে মসলা দিয়ে রান্না করলে খুব সুস্বাদু একটি খাবার তৈরি এছাড়া কাঁঠাল পাকলে সুমিষ্ট ও খুবই পুষ্টিকর একটি ফল।
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে কাঁঠাল পাতার উপকারিতা ও কাঁঠাল পাতার অপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারবেন। চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে আসি
কাঁঠাল পাতার উপকারিতা ও কাঁঠাল পাতার অপকারিতা সম্পর্কে।
পেজ সূচিপত্রঃ কাঁঠাল পাতার উপকারিতা - কাঁঠাল পাতার অপকারিতা
কাঁচা কাঁঠালের উপকারিতা - পাকা কাঁঠালের উপকারিতা ও অপকারিতা
হার্টের রোগ শরীর থেকে দূরে রাখতে হলে কাঁচা কাঁঠালের তরকারি খেতে হবে কারণ এই
রোগ প্রতিরোধ কাজ করে। কাঁচা কাঁঠালের তরকারি রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল দূর
করতে সাহায্য করে। ফাইবার সমৃদ্ধ ফল হওয়ার ফলে কাঁচা কাঁঠাল হজম
শক্তি প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এছাড়া পেট পরিষ্কার রাখে।
এটি বিশেষভাবে কাজ করে থাকে আগেই বলেছিলাম কাঁঠালের বিভিন্ন খনিজ উপাদান দিয়ে
ভরপুর যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী কাঁঠাল প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম
রয়েছে। ১০০ গ্রাম কাঁঠাল খেলে তার অর্থ 300 মিলিগ্রাম পটাশিয়াম শরীরে প্রবেশ
করল পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ কমাতে বিশেষভাবে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।
এজন্য কাঁঠালের উত্তর উচ্চ রক্তচাপে উপশম হয় এছাড়া কাঁঠালের ক্ষতিকারক
ফ্যাটের পরিমাণ কম তাই কাঁঠাল খেলে ওজন বাড়ার খুব একটা আশঙ্কা থাকে না। কাঁঠাল
থেকে ম্যাগনেসিয়াম ক্যালসিয়াম এর মত উপাদান পাওয়া যায় যার ফলে আমাদের হাড়
মজবুত হয়। কাঁঠাল একটি ফাইবার যুক্ত খাবার এই আঁশ বা ফাইবার যুক্ত খাবার শরীরে
প্রবেশ করাতে পারলে এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে থাকে। কাঁঠালের রয়েছে
খনিজ উপাদান আয়রন যা দেহের রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে।
কাঁঠাল খেলে কি ক্ষতি হয় - কাঁঠালের পুষ্টিগুণ
বিশেষজ্ঞদের মতে কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণে বিদ্যমান রয়েছে ভিটামিন এ ভিটামিন সি
ম্যাগনেসিয়াম পটাশিয়াম কপার ম্যাঙ্গানিজ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর মত উপকারী
উপাদান যার স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী হিসেবে বিবেচিত। এছাড়া এই বিষয়টি
একটি রিসার্চে প্রমাণিত হয়েছে। কাঁচা কাঁঠাল বা এঁচোড়ে সামান্য পরিমাণে শর্করার মাত্রা থাকলেও কাঠালে একেবারে ক্ষতিকর কোনো উপাদান নেই বললেই চলে।
কাঁঠাল পুষ্টি সমৃদ্ধ একটি ফল ও তরকারি বলা চলে এতে রয়েছে থায়ামিন
ক্যালসিয়াম পটাশিয়াম আয়রন সোডিয়াম ও নয়াসিনসহ বিভিন্ন প্রকার অন্যদিকে
কাঁঠালের প্রচুর পরিমাণে আমি শর্করা ও ভিটামিন থাকায় তা মানব দেহের জন্য খুব
উপকারী। এছাড়া কাঁঠালে চর্বির পরিমাণ খুবই কম থাকায় এটি ওজন বাড়তে দেয় না।
কাঁঠাল কোন মাটিতে ভালো হয় - কাঁঠাল গাছে ফল ধরানোর উপায়
পাঠকদের মধ্যে থেকে অনেকেই এই প্রশ্ন থাকে কাঁঠাল কোন মাটিতে ভালো হয়
তবে বলে রাখা ভালো দোআঁশ ও পলি মাটিতে কাঁঠালের চাষ ভালো হয়। কাঁঠাল
গাছের ফল ধরানোর উপায় গুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হলো। গাছের শারীরিক অবস্থা
দুর্বল হয়ে পড়লে মানুষের চলাফেরা বা গাছের গোড়াতে গরু মহিষ বাধলে গাছের
গোড়ার মাটি শক্ত হয়ে যায় যার ফলে পরিমিত ভাবে খাদ্য পায় না। গাছ এছাড়া
কাঁঠাল গাছে অনেক সময় দ্রুত বৃদ্ধি হলে ফুল ফল ধরে না।
আরো পড়ুনঃ
আমের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
ছোট গাছে ফল ধরার প্রথম পর্যায়ে কাঁঠাল গাছের সাধারণত পুরুষ ফুল উৎপাদন করে
থাকে এজন্য প্রথম এক দুই বছর ফল হয় না বা সমস্যা হয় এছাড়া পুরুষ ও স্ত্রী
ফুলের বয়সের এর পার্থক্য বেশি হলে ফল ঝরে পড়ে যায় অতিরিক্ত করা হলে ফল আসে
না এজন্য নিয়মিত পানি দেওয়া প্রয়োজন। গাছের গোড়া কুপিয়ে দেওয়া
নাইট্রোজেনের সমৃদ্ধ সার প্রয়োগ এছাড়া নিয়মিত পরিচর্যার মাধ্যমে অত্যাধিক
ফলন আনা সম্ভব কাঁঠালের।
কাঠাল বেশি ধরার পদ্ধতি - কাঁঠাল গাছের ডাল ছাঁটাই
সাধারণত কাঁঠালের বীজ থেকে চারা তৈরি করা হয় ভালো পাকা কাঁঠাল থেকে কুষ্ঠ
বড় বীজ বের করে বাছাই করে দুই থেকে তিন দিন ছায়ায় শুকিয়ে বীজতলায় বপন
করে ২০ থেকে ২৫ দিনে চারা গজাবে। এছাড়া চারা সর্তকতা সাথে তুলে মূল জমিতে
রোপণ করতে হবে। গুটি কলম আর ডাল কলম চোখ কলম চারা কলম এর মাধ্যমেও চারা তৈরি
করা সম্ভব।
ষড়ভুজই পদ্ধতিতে সুস্থ সবল ও রোগমুক্ত চারা বা কলমের মধ্যে জ্যৈষ্ঠ থেকে
মধ্যস্রাবণ মাসে রোপণ করতে হয়। গাছ ও লাইনের দূরত্ব ১২ মিটার রাখতে হবে এটা
অবশ্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গাছ লাগানোর ক্ষেত্রে। পানি জমতে পারে না এমন
উঁচু এবং শুষ্ক উর্বর মাটি কাঁঠাল চাষের জন্য জরুরী এছাড়া জুলাই আগস্ট মাসে
কাঁঠাল সংগ্রহের পর কাঁঠাল গাছের দুর্বল মরা রোগ ও পোকা আক্রান্ত ক্ষতিগ্রস্ত
শাখা প্রশাখা ছাটাই করা উচিত।
এতে অযথা কাঠালের গাছের পুষ্টি খরচ কমে যায় এবং গাছ বৃদ্ধি হতে ভালো পারে
এছাড়া নতুন পাতা গজায়। সেই সঙ্গে ফলের বোটা এবং কাণ্ড গোরা থেকে বের হওয়া
নতুন শাখা ছাটাই করতে হয়। অনেকেই এই ছাগলের খাদ্য হিসেবেও বছরের যেকোনো সময়
কাঁঠাল পাতার জন্য ছোট ছোট ডাল সহ ছাঁটাই করে থাকে তবে কাঁঠাল গাছের জন্য এটি
ক্ষতিকর ছোট ছোট ডাল ছাঁটাই করা।
কাঁঠাল কোন মাটিতে ভালো হয় - কাঁঠাল কোন পরিবেশে ভালো হয়
দোআশ ও পলি মাটি কাঁটা চাষের জন্য খুবই ভালো কাঁঠাল ক্রান্তীয় ও উপকারীও একটি
ফল। এছাড়া এটি আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও
মিনারেল থাকায় এটি আমাদের শরীরের বিভিন্ন পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে থাকে। গুটি
কলম ডাল কলম চোখা কলম চারা কলম এর মাধ্যমেও চারা তৈরি করা সম্ভব।
এছাড়া বীজের থেকে চারা তৈরি করা যায় কাঁঠালের তবে এটি একটি বৃহৎ প্রক্রিয়া।
ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশে সাধারণত কাঁঠাল সব পরিবেশেই জন্মাতে পারে তবে জন্মানোর
প্রথম দুই বছর ভালো ফলের না হলেও পরবর্তীতে ভালো ফলন হয় এক্ষেত্রে কাঁঠাল
গাছের পরিচর্যা কথা অত্যাবশ্যকীয়।
শেষ কথাঃ কাঁঠাল পাতার উপকারিতা - কাঁঠাল পাতার অপকারিতা
আপনারা যারা কাঁঠাল পাতার উপকারিতা - কাঁঠাল পাতার অপকারিতা সম্পর্কে
জানতে চেয়েছেন তাদের জন্য উপরের পোস্ট টি লেখা হয়েছে। এছাড়া কাঁঠাল পাতার
উপকারিতা - কাঁঠাল পাতার অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পোষ্ট
টি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কাঁঠাল পাতার উপকারিতা - কাঁঠাল
পাতার অপকারিতা সম্পর্কে কারো কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমেন্ট এর মাধ্যমে সেই
প্রশ্ন করতে পারেন আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন এবং নতুন আপডেট পেতে আমাদের
সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।
Rajrafi.com এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url