কুরবানী করা কি - কুরবানী করা কি ফরজ না ওয়াজিব

আজ আমরা জানব কুরবানী করা কি - কুরবানী করা কি ফরজ না ওয়াজিব এ সম্পর্কে। আমাদের পাঠকদের মধ্যে থেকে অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন কুরবানী করা কি - কুরবানী করা কি ফরজ না ওয়াজিব এ বিষয়ে। চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে আসি বিস্তারিতভাবে কুরবানী করা কি - কুরবানী করা কি ফরজ না ওয়াজিব এ সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে কুরবানী করা কি - কুরবানী করা কি ফরজ না ওয়াজিব এ সম্পর্কে জানতে পারবেন। চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে আসি কুরবানী করা কি - কুরবানী করা কি ফরজ না ওয়াজিব এ সম্পর্কে।

পেজ সূচিপত্র :কুরবানী করা কি - কুরবানী করা কি ফরজ না ওয়াজিব

কুরবানীর ইতিহাস ও শিক্ষা - পশু পাখি জবাই করার নিয়ম

ইসলামে হিজরী ক্যালেন্ডারের ১২ তম চন্দ্র ও মাসের জিলহজ মাসের ১০ তারিখ সকাল থেকে ১৩ তারিখ সূর্যাস্ত পর্যন্ত কুরবানী করার সময় হিসাবে নির্ধারিত হয়ে আছে এই দিনে বিশ্ব জুড়ে মুসলমানেরা কোরবানি দেয় যার অর্থ আল্লাহ তালার আর খুশির জন্য নির্দিষ্ট দিনে একটি পশুকে জবাই করে। পুত্রের পরিবর্তে ইব্রাহিম আলাইহিস সালামের একটি দুম্বা ত্যাগের পুনরাবৃত্তি।
এটি যা ইসলাম ধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা এবং ইসলাম বিশ্বাস করে ঘটনাটিকে। পশুপাখি জবাই করার নিয়মের মধ্যে সর্বপ্রথম হলো জবাই করার পূর্বে ছুরি ধারালো করে নিতে হবে ভোতা ছুরি দ্বারা জবাই করলে প্রাণীর অধিক কষ্ট হবে তাই এতে জবাই কারীর গুনাহ বা পাপ হবে এটা মাকরুহে তাকমিরি হবে জবাই করার সময় পশুর মাথা যেন একেবারে পৃথক না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

ঈদুল আযহা নিয়ে কিছু কথা - কোরবানির ঈদ কত তারিখে 2023

ঈদুল আযহা কি ঈদুজ্জোহা বলা হয়ে থাকে ঈদুল আযহা মূলত একটি আরবি শব্দ এর অর্থ হল ট্যাগের উৎসব এই উৎসবের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হলো ট্যাগ করা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। এই দিনে মুসলমানেরা ফজরের নামাজের পর ঈদগাহে গিয়ে দুই রাকাত ঈদুল আযহার নামাজ আদায় করে পুরুষেরা আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী গরু ছাগল ভেড়া মহিষ উট আল্লাহর নামে কুরবানী করে।

এই ঈদুল আযহা ইসলামী পঞ্জিকার দশম তারিখে পড়ে আন্তর্জাতিক পঞ্জিকার হিসেবে প্রতিবছর 10 থেকে 11 দিন আগে এই দিনটি উদযাপিত হয়। ঈদের তারিখ স্থায়ীভাবে জিলহজ মাসের চাঁদ দেখার পর নির্ভর করে এখন পর্যন্ত আশা করা যাচ্ছে যে  ঈদুল আযহা উদযাপনের তারিখটি বুধবার ২৮ শে জুন 2023 এ পড়বে তারিখটি ১৪৪৪ সালের চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করেপরিবর্তিত হতে পারে।

কুরবানী করা কি - কুরবানী করা কি ফরজ না ওয়াজিব

ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী এ কুরবানী হচ্ছে নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট ব্যক্তির আল্লাহর সন্তুষ্টি ও পুরস্কার লাভের আশায় নির্দিষ্ট পশু জবাই করা মুসলমানদের পবিত্র আল কোরআন এ তিনটি স্থানে কুরবানীর উল্লেখ আছে বলে জানা যায় একটি পশু কুরবানীর ক্ষেত্রে এছাড়া বাকিগুলো সাধারণ ভাবনায় কাজ বোঝাতে যা দ্বারা আল্লাহ নিকটবর্তী হওয়া যায় একটি ফরজ না হয়ে থাকলে অপরটি হয় না এমন ধারণা সঠিক নয় সামর্থ্যবান সকলের কুরবানী দেওয়া উচিত।

এছাড়া শুধুমাত্র যাকাত ফরজ হয় কেবল টাকা পয়সা শোনার উপায় ব্যবসায়িক পণ্যের ওপর আর কারো কাছে কুরবানী দিনগুলোতে টাকা পয়সা সোনা রুপা ব্যবসায় উৎপন্ন ছাড়াও ও সাড়ে ৫২ তোলা রুপার মূল্য পরিমান প্রয়োজনের অতিরিক্ত যে কোন সম্পদ থাকলে তার ওপর কুরবানী করা ওয়াজিব হিসেবে গণ্য হয়।
কুরবানী হিসাবে এর ক্ষেত্রে টাকা পয়সা শোনার উপায় ও ব্যবসায়িক পণ্যের সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনের অতিরিক্ত জমি প্রয়োজনের অতিরিক্ত বাড়ি ও প্রয়োজনের অতিরিক্ত সব আসবাবপত্র হিসাবযোগ্য অথচ যাকাতের ক্ষেত্রে এগুলো হিসাবযোগ্য নয়।

কোরবানি সম্পর্কে হাদিস - সাত ভাগে কুরবানী দেওয়ার হাদিস

মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন যে ব্যাক্তি ঈদের নামাজের পূর্বে কোরবানির পশু জবাই করবে সেটা তার নিজের জন্য সাধারণ জবাই হবে আর যে নামাজ ও খুতবার পর জবাই করবে তার কুরবানী পূর্ণ হবে এবং সেই মুসলমানদের রীতি অনুসরণ করেছে জিলহজ্ব মাসের ১০-১১ দিবাগত রাতে কুরবানী করা জায়েজ রয়েছে।

যাদের ওপর জুম্মা ও ঈদের নামাজ ওয়াজিব তাদের জন্য ঈদের নামাজের আগে কোরবানি করা জায়েজ নয় অবশ্য বৃষ্টি বাদল বা অন্য কোন কারণে যদি প্রথম দিন ঈদের নামাজ না হয় তাহলে ঈদের নামাজ আদায়ের পরিমাণ সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পর ওই দিনে কুরবানী করা যায়। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে ব্যক্তি ঈদের নামাজের পূর্বে কোরবানি পশু জবাই করবে সেটা তার নিজের জন্য সাধারণ জবাই হবে।
আর যে নামাজ ও খুতবার পর জবাই করবে তার কুরবানী পূর্ণ হবে এবং সেই মুসলমানদের রীতি অনুসরণ করেছে। জিলহজ্ব মাসে ১০১১ দিবাগত রাতে কুরবানী করা জায়েজ তবে দিনে কুরবানী করাই ভালো কেউ যদি কোরবানি দিনগুলোতে ওয়াজিব কোরবানি দিতে না পারে তাহলে কুরবানীর পশু ক্রয় না করে থাকলে তার ওপর কুরবানী উপযুক্ত একটি ছাগলের মূল্য সদকা করা ওয়াজিব।

কোরবানির মাংস বন্টনের হাদিস - কুরবানি না করার শাস্তি

যে সকল মুসলমানের ওপর জুম্মা ও ঈদের নামাজর ওয়াজিব তাদের জন্য ঈদের নামাজের আগে কোরবানি করা জায়েজ নয় অবশ্যই বৃষ্টিপাত অন্য কোন কারণে যদি প্রথম দিনে ঈদের নামাজ না হয় তাহলে ঈদের নামাজ আদায়ের পরিপূর্ণ সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পর ওই দিনে কোরবানি করা জায়েজ আছে।

বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন যে ব্যক্তি ঈদের নামাজের পূর্বে কোরবানির পশু জবাই করে সেটা তার নিজের জন্য সাধারণ জবাই বা মাংস খাওয়ার জন্য করলো আর যে নামাজ ও খুতবার পর জবাই করবে তার কোরবানি পরিপূর্ণ হবে এবং সে মুসলমানদের রীতি অনুসরণ করেছে বলে গণ্য হবে।

জিলহজের ১০ ও ১১ দিবাগত রাতে কুরবানী করা জায়েজ তবে দিনে কুরবানী করাই ভালো কেউ যদি কোরবানির এই দিনগুলোতে ওয়াজিব কোরবানি দিতে না পারে তবে কুরবানীর পশু ক্রয় না করা থাকলে তার ওপর কুরবানীর উপযুক্ত একটি ছাগলের মূল্য সদকা করা ওয়াজিব এছাড়া জিলহজ মাসের ১০ তারিখ শুভেচ্ছা দিক থেকে ১৩ তারিখ সূর্যাস্ত পর্যন্ত কোন ব্যক্তির নিকট যদি নিশাব পরিমাণ অর্থ ধন সম্পদ বা সমমূল্যের দ্রব্যাদি থাকে তাহলে তার জন্য কুরবানী দেওয়া ওয়াজিব হিসাবে নির্ধারণ হবে।
নিশাবের পরিমাণ হলো সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ বা সাড়ে ৫২ ভরি রুপা বা এর মূল্য পরিমান টাকা বা প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদ জায়গা জমি ঘর বাড়ি ইত্যাদি এই বর্তমানে সাড়ে ৫২ ভরি রুপা বা এর মূল্য পরিমান টাকা প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদই নিসাব হিসাবে ধার্য হয় যে ব্যাক্তি মনে করে ঈদুল আযহার দিনগুলোতে তার কাছে কুরবানী ওয়াজিব হয় পরিমাণ সম্পদ থাকতে পারে সে ব্যক্তি আগে থেকে কুরবানীর পশু কিনে রাখতে পারে।

তবে পশু কিনে রাখলে ওই পশুই কুরবানী করতে হবে এমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই কুরবানির দিনগুলোতে যেকোনো একটি পশু কোরবানি দিলে ওয়াজিব আদায় হয়ে যাবে এর পক্ষান্তরে কোন ব্যক্তি যদি কোরবানির দিনগুলোতে নিশা পরিমাণ সম্পদের মালিক না হয়ে থাকে তাহলে তার ওপর কুরবানী ওয়াজিব হবে না এমত অবস্থায় যদি সে ব্যক্তি কোন ভাবে কুরবানী দেওয়ার জন্য পশু কিনে থাকে বা কোন পশু কোরবানির জন্য নির্দিষ্ট করে থাকে তাহলে অবশ্যই ওই পশুটি কোরবানি দিতে হবে।

শেষ কথাঃ কুরবানী করা কি - কুরবানী করা কি ফরজ না ওয়াজিব

আপনারা কুরবানী করা কি - কুরবানী করা কি ফরজ না ওয়াজিব এ সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তাদের জন্য উপরের পোস্ট টি লেখা হয়েছে। এছাড়া কুরবানী করা কি - কুরবানী করা কি ফরজ না ওয়াজিব এ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পোষ্ট টি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কুরবানী করা কি - কুরবানী করা কি ফরজ না ওয়াজিব এ সম্পর্কে কারো কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমিটির মাধ্যমে সেই প্রশ্ন করতে পারেন আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন এবং নতুন আপডেট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Rajrafi.com এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url