জিলকদ মাসের ফজিলত - জিলকদ মাসের আমল

জিলকদ মাসের ফজিলত - জিলকদ মাসের আমল সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হলো। জিলকদ মাস আসার পূর্বে মমিন ও মুসলমানগণ রজব মাস থেকে শুরু করে শাওয়াল মাস পর্যন্ত ইবাদত বন্দেগিতে ব্যস্ত থাকে। চলুন জিলকদ মাসের ফজিলত সম্পর্কে জেনে নেই। জিলকদ মাসের পরের মাস হলো হজ পালনের মাস। যারা হজ ও ওমরা করবে তারা কাবা শরীফের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।

জিলকদ মাসের ফজিলত - জিলকদ মাসের আমল
আর যারা রোজা পালন করবে তারা জিলহজ মাসের প্রথম নয় দিন রোজা পালন করবে। আমাদের পাঠকদের মধ্যে থেকে অনেকে প্রশ্ন করে থাকেন জিলকদ মাসের ফজিলত - জিলকদ মাসের আমল সম্পর্কে। চলুন বিস্তারিতভাবে জেনে আসি জিলকদ মাসের ফজিলত - জিলকদ মাসের আমল সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে জিলকদ মাসের ফজিলত - জিলকদ মাসের আমল সম্পর্কে জানতে পারবেন। চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে আসি জিলকদ মাসের ফজিলত - জিলকদ মাসের আমল সম্পর্কে।

পেজ সূচিপত্রঃ জিলকদ মাসের ফজিলত - জিলকদ মাসের আমল

জিলকদ মাসের ফজিলত - জিলকদ মাসের আমল

পাঠকদের রিকোয়েস্টে আজ আমরা জিলকদ মাসের ফজিলত সম্পর্কে আলোচনা করব। দুই ঈদের মধ্যবর্তী মাস জিলকদ মাস কুরআনে ভূষিত চার হাজার মাসের একটি আবার হজের তিন মাসের মধ্যবর্তী মাস ও এটি অবস্থিত হওয়ার কারণ ছাড়াও এ মাসটি ঐতিহাসিকভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ মাস। বাংলাতে জিলকদ নামে পরিচিত এ মাস এর অর্থ হলো বসা। এই যিলকদ মাসের আগের চার মাস যেমন ইবাদত বন্দেগীর মাস তেমনি এর পরের মাসে মুসলিম উম্মাদেরা বিশেষ ইবাদতে মশগুল থাকে। 

রজবকে বলা হয় আল্লাহর মাস এ মাসে ইবাদতের ও ভূমি দর্শনের মাস। বেশি বেশি নফল ইবাদতের মাস সাবান যা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মাস। অনেক আলেমগণ বলে থাকেন এ মাসে ইবাদতের বীজ বপন করা হয়ে থাকে। এ মাসে রয়েছে নিজস্ব মর্যাদা সাবান বা সবে বরাত আর রমজান হলো উম্মতের মাস, ফসল তোলার মাস, ফরজ রোজা, তারাবির নামাজ মাস।
মুমিনেরা শবে কদরের রাতে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য একা একাই ইবাদত করে থাকে। রমজানের কোন এক রাত ফরজ রোজা পালনের শক্তি অর্জনের জন্য যেমন আগে দুই মাসে ১০ টি ও বৃষ্টি নফল রোজা এবং রমজানের ২০ রাকাত তারাবি প্রস্তুতি হিসেবে আগে দুই মাস বেশি বেশি নফল নামাজ পড়তে হয়।

জিলকদ মাসের চাঁদ উঠেছে - জিলকদ মাসের আজ কত তারিখ

জিলকদ মাসের পরে আরবি বছরের 12 নম্বর মাস হল জিলহজ মাস। এই মাসে মুসলমানেরা পবিত্র মক্কায় হজ করতে যান এ মাসের ৮ থেকে ১০ তারিখে হজ অনুষ্ঠিত হয়। জিলহজ্জ মাসের ১০ তারিখে ঈদুল আযহা অনুষ্ঠিত হয় এই দিনে কুরবানী দেন মুসলমানেরা। চাঁদ দেখার উপর ভিত্তি করে আগামী ২৮ জুন বা ২৯ জুন ঈদুল আযহা অনুষ্ঠিত হবে ।
চাঁদ দেখা কমিটির সভায় 1444 হিজরী সালের পবিত্র জিলকদ মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সব জেলা প্রশাসন ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্য বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয় আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা করে এই সিদ্ধান্তে আসা হয়েছে। আপনারা সকলে অবগত যে আরবি মাস চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল সে কারণে এ মাস কে চন্দ্র মাস বলা হয় হিজরী ক্যালেন্ডার মোতাবেক আজকে আরবি মাসের দিন ও তারিখ  হলো ১৪ই জিলকদ ১৪৪৪ হিজরি।

জিলকদ মাসের এবাদত - জিলকদ মাসের গুরুত্ব

ফরজ ওয়াজিব সুন্নতি ইবাদত ও আমল না থাকলেও আল্লাহ তা'আলা কর্তৃক নির্ধারিত মর্যাদার চার মাসের একটি মাস হল জিলকদ মাস। আল্লাহ তা'আলা এ মাসে যে কোন রক্তপাত যুদ্ধবিগ্রহ বা তা অনুবাদকে হারাম করেছেন মুসলিম ইবাদত বন্দেগীতে অতিবাহিত করে থাকে। 
হজ কোরবানি ও জিলহজের রোজার প্রস্তুতিতে বিশ্রাম নেবে এ মাসে। বিভিন্ন কারনে এ মাস অনেক গুরুত্বপূর্ণ নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবনে যে কয়টি ওমরা করেছেন। তার সব কয়টি জিলকদ মাসে পালন করেছেন এই মাসে সংঘটিত হয়েছিল ঐতিহাসিক হুদার সন্ধি ও বায়াতে রিদওয়ান।

জিলকদ মাসের তাৎপর্য - জিলকদ মাসের খুতবা

রজব ও সাবান মাসের নফল রোজা, রমজান জুড়ে ফরজ রোজা সন্ধ্যা ও ভোররাতে তারাবি তাহাজ্জুদ ও সেহেরী গ্রহণ এছাড়া শাওয়াল মাসের ছয় রোজা রাখার পর কিছুটা বিশ্রাম নিয়ে পরবর্তী জিলহজ মাসে রোজা ও হজ কোরবানির প্রস্তুতি গ্রহণের মাস হল জিলকদ মাস। এই মাসে আরবের লোকজন বাণিজ্য থেকে ফিরে আসত যুদ্ধ থেকে ফিরে আসত তাই এই মাস বিশ্রামের মাস হিসেবে বিবেচিত।
ঋতুর পরিবর্তনে এই মাসে স্থায়ী আরবের লোকজনের হাতে তেমন কোন কাজ থাকতো না। আরবের সংস্কৃতি অনুযায়ী তারা এই মাসে যুদ্ধ বিগ্রহ থেকে বিরত থাকতো এবং অন্যায় অপরাধ থেকে নিবৃত থাকত এর এসব কারণে এই মাসের নাম জিলকদ মাস।

জিলকদ মাসের রোজা - জিলকদ মাসের হাদিস

মহান আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে রমজান মাসে রোজা ব্যতীত বেশ কিছু রোজা পালন করার জন্য ইসলামের ধর্মে নির্দেশ দেওয়া রয়েছে আর এই রোজা গুলো একজন মুসলমানের জন্য ঐতিহ্য ইবাদত পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ আর রমজান মাসে রোজা ছাড়াও প্রত্যেকটি মুসলমানকে আরো বেশ কিছু ইবাদত করতে হয়।

এই ইবাদত গুলোর মধ্যে জিলকদ মাসের রোজা অন্যতম। আরবি 12 টি মাসের মধ্যে ইবাদতের মধ্যে সর্বোত্তম মাস হলো রমজান এছাড়াও আরও তিনটি মাস রয়েছে যে মাসগুলোর ইবাদত মহান আল্লাহতালার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ আর তিনটি মাসের মধ্যে জিলকদ মাস হলো একটি এবং এর পবিত্রতা ও অসীম।

ইবাদতের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত হলো নামাজ অনুরূপভাবে যিলকদ মাসের পর রয়েছে অতি গুরুত্বপূর্ণ জিলহজ মাস এটি হজ ও কুরবানীর মাস হিসেবে বিবেচিত হাজী সাহেবদের এ মাসে হজ কেন্দ্রিক। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে থেকে কোরবানি ও আবার যারা হজ করতে পারেনা তাদেরও রয়েছে কুরবানীর আমল মহান আল্লাহতালা সাধ্য অনুযায়ী সকল মুসলমানের উপর কুরবানী খরচ করেছেন।
পাশাপাশি এ মাসে শুরুর ১০ দিনে ফজিলত ও গুরুত্ব অসামান্য হিসেবে বিবেচিত পবিত্র হাদীস শরীফে জিলহজ মাসের এই ১০ টি দিনের ফজিলত বর্ণনা হয়েছে। এমন ভাবে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন এমন কোন দিন নেই যে দিনের নেক আমল আল্লাহর কাছে জিলহজ্জ মাসের এই দশ দিনের নেক আমলের চেয়ে বেশি প্রিয় তিরমিজি ৭৫৭।

শেষ কথাঃ জিলকদ মাসের ফজিলত - জিলকদ মাসের আমল

আপনারা যারা জিলকদ মাসের ফজিলত - জিলকদ মাসের আমল সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তাদের জন্য উপরের পোস্ট টি লেখা হয়েছে। এছাড়া জিলকদ মাসের ফজিলত - জিলকদ মাসের আমল সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পোষ্ট টি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জিলকদ মাসের ফজিলত - জিলকদ মাসের আমল সম্পর্কে কারো কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমেন্ট এর মাধ্যমে সেই প্রশ্ন করতে পারেন আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন এবং নতুন আপডেট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Rajrafi.com এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url