গরুর মাংসের উপকারিতা - গরুর মাংসের অপকারিতা
স্বাস্থ্য সচেতন মানুষদের জন্য আমরা নিয়ে এসেছি আজকের আর্টিকেলের বিষয়বস্তু
গরুর মাংসের উপকারিতা এবং অপকারিতা। আর্টিকেলের মধ্যে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা
করব গরুর মাংসের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। গরুর মাংস তে ভিটামিন বি থ্রি
বি সিক্স এবং বি টুয়েলভ রয়েছে যা শরীরে প্রোটিনের যোগান দেয়। আমাদের পাঠকের
মধ্যে থেকে অনেকেই আমাদের প্রশ্ন করেন গরুর
গরুর মাংসের উপকারিতা যেমন রয়েছে তেমনি অপকারিতাও রয়েছে। আপনি যদি শেষ পর্যন্ত
আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে গরুর মাংসের উপকারিতা এবং গরুর মাংস খেলে আমাদের শরীরে
কি কি প্রভাব পড়তে পারে এ সম্পর্কে জানতে পারবেন। চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে আসি
গরুর মাংসের উপকারিতা সম্পর্কে।
পেজ সূচিপত্রঃ গরুর মাংসের উপকারিতা - গরুর মাংসের অপকারিতা
- গরুর মাংসের উপকারিতা
- গরুর মাংস খেলে কি হয়
- গরুর মাংস খেলে কি ওজন বাড়ে
- গরুর মাংসে কি এলার্জি আছে
- গরুর মাংসে প্রোটিনের পরিমাণ
- শেষ কথা
গরুর মাংসের উপকারিতা - গরুর মাংসের অপকারিতা
গরুর মাংসের প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি ৩ বি সিক্স বি টুয়েলভ টেবিল রয়েছে
এছাড়া গরুর মাংস প্রোটিনের একটি ভালো উৎস হিসেবে বিবেচিত। শুধু গরুর মাংসই নয়
গরুর কলিজা মগজ ইত্যাদিতেও মেলে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন। গরুর মাংসের প্রোটিন
থেকে প্রচুর পরিমাণে এমাইনো এসিড পাওয়া যায় যা আমাদের শরীরের হাড় ও পিসি মজবুত
করতে সাহায্য করে।
তবে এমাইনো এসিডের কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যর ঝুঁকি বাড়তে পারে। এই কোষ্ঠকাঠিন্য
পরবর্তীতে আরও বড় কোন রোগের সৃষ্টি করতে পারে। এজন্য গরুর মাংস অতিরিক্ত খাওয়া
কখনোই ঠিক নয় , তবে গরুর মাংসের সঙ্গে কিছু পরিমাণ সবজি খেলে এটি শরীরের
কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে কারণ সবজিতে ফাইবার বিদ্যমান থাকে।
অনেকে আছেন যারা অতিরিক্ত গরুর মাংস এক সঙ্গে খেয়ে ফেলেন এটি শরীরের জন্য খুবই
ক্ষতিকর। অতিরিক্ত গরুর মাংস খাওয়াটা শরীরের জন্য সঠিক নয় কারণ এটি শরীরের
তাপমাত্রা অনেকটা বৃদ্ধি করে যার ফলে হার্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে প্রেশার হতে
পারে। এমনকি স্ট্রোকের মতো জটিল রোগের সৃষ্টি হতে পারে।
গরুর মাংস খেলে কি হয় - গরুর মাংস খেলে কি উপকার হয়
খনিজ লবণের খুব ভালো উৎস হলো গরুর মাংস। এছাড়া গরুর মাংসে পাওয়া যায় জিংক
ফসফরাস সোডিয়াম এবং প্রচুর পরিমাণে লৌহ যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী
হিসাবে বিবেচিত। গরুর মাংস পাওয়া যায় প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন যায়। যা আমাদের
শরীরের জন্য খুবই ভালো এবং এই প্রোটিন থেকে এমাইনো এসিড পাওয়া যায় আমাদের
হাড় ও মাংস পেশি মজবুত করতে ও ভালো রাখতে সহায়তা করে থাকে।
২২.৬ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায় ১০০ গ্রাম গরুর মাংস থেকে। গরুর মাংস যেমন
সুস্বাদু ও পুষ্টিকর তেমনি এটি আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকারও হতে পারে যদি
অতিরিক্ত গরুর মাংস খাওয়া যায় । এজন্য পরিমিত ভাবে এটি গ্রহণ করা উত্তম।
বিশেষজ্ঞদের মতে সপ্তাহে যদি পাঁচ বেলা গরু খাসি কিংবা ভেড়ার মাংস খাওয়া যায়
তাহলে এটি ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
আরো পড়ুনঃ
শিশুর জ্বর হলে করণীয় কি এ সম্পর্কে জেনে নিন
লাল মাংস মৃত্যু ঝুঁকি অনেকটা বাড়িয়ে দেয়। গরুর মাংস উচ্চ রক্তচাপ ডায়াবেটিস
এবং হার্টের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে এতে থাকা অতিরিক্ত সোডিয়াম শরীরের জন্য
খুবই ক্ষতিকর হিসেবে বিবেচিত। সোডিয়াম উচ্চ রক্তচাপ সৃষ্টিতে কাজে আসে গরুর মাংস
উচ্চ রক্তচাপ সৃষ্টি করে এজন্য এটি হৃদরোগ বা স্ট্রোকের মতো সমস্যা অনেক সময়
সৃষ্টি করে। এ জন্য বিশেষজ্ঞরা পরিমিতভাবে এবং খুব অল্প পরিমাণ গরুর মাংস খাওয়ার
পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
গরুর মাংস খেলে কি ওজন বাড়ে - গরুর মাংসের পুষ্টিগুণ
গরুর মাংস বা লাল মাংসে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি বিদ্যমান থাকে। যা আমাদের শরীরের
চাহিদার চেয়ে অনেক বেশি প্রোটিন সরবরাহ করে আমাদের শরীরকে। এই জন্য যারা ওজন
কমানোর চিন্তা করছেন তাদের গরুর মাংস টা এড়িয়ে চলুন। যারা ওজন কমানোর চিন্তা
করছেন তারা আজ থেকে গরুর মাংস বা লাল মাংস খাওয়া বাদ দিন।
গরুর মাংসের অ্যাসিটিক লোডের সৃষ্টি করে যা শরীরের ওজন কমতে দেয় না এবং বডি
ফ্যাট এর সমঞ্জস্যতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। গরুর লিভার আমিষ আয়রন ফলিক
এসিড জিংক নায়াসিন ও ভিটামিনের উত্তম উৎস হিসেবে বিবেচিত হয়। প্রতিদিনের
ভিটামিন বি টুয়েলভ এর চাহিদা ১০০ গ্রাম গরুর মাংস পূরণ করতে সক্ষম। যাদের
অতিরিক্ত ওজন কম তারা পরিমিতভাবে প্রতিদিন অল্প অল্প করে গরুর মাংস খেতে পারেন
এতে আপনার ওজন বৃদ্ধি পাবে।
গরুর মাংসে কি এলার্জি আছে - গরুর মাংসে কত ক্যালরি
অনেকেই আছেন যারা গরুর মাংস বেগুন ইলিশ এলার্জির কারণে খেতে পারেনা । কিন্তু
বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন খাবারে অ্যালার্জি হতে পারে। মাংস খেলে যদি আপনার ত্বকে
চুলকানি হয় বা নাক বন্ধ হয়ে পানি পড়ে তাহলে বুঝতে হবে মাংসে আপনার অ্যালার্জি
রয়েছে। অনেকেরই মাংস খেলে, বিশেষ করে গরুর মাংস খেলে অ্যালার্জি হয়ে থাকে। কোন
নির্দিষ্ট খাবার খাওয়ার পরে যদি ত্বকে বিভিন্ন ধরনের চুলকানি হয়ে যায়
এক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উত্তম।
মাংসের যাদের এলার্জি রয়েছে তারা মাংস খেলে শরীরের ইমিউন সিস্টেম এটিকে শরীরের
জন্য ক্ষতিকর ধরে নেয় এবং এর বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি করা শুরু
করে। প্রতি ১০০ গ্রাম গরুর মাংসে ৭০ শতাংশ পানি বিদ্যমান থাকে এতে 121 গ্রাম
ক্যালোরি বিশ গ্রাম প্রোটিন চার গ্রাম চর্বি০ .১৪ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম ৭
মিলিগ্রাম লৌহ এক মিলিগ্রাম ভিটামিন বি ১ ০.১৬ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি টু থাকে।
গরুর মাংসে প্রোটিনের পরিমাণ - গরুর মাংস খেলে কি উপকার হয়
যাদের ওজন 50 কেজি তারা ১০০ গ্রাম পর্যন্ত প্রোটিন খেতে পারে। তবে গর্ভবতী
মায়েদের ক্ষেত্রে 200 গ্রাম প্রোটিন গ্রহণ করতে হয় কারণ তার ভেতরে আরেকটি জীবন
তৈরি হচ্ছে। এছাড়া যাদের ওজন কম তাদের বেশি বেশি প্রোটিন খাওয়া প্রয়োজন।
বিশেষজ্ঞরা বলেন ৭০ গ্রামের বেশি এবং সপ্তাহে 500 গ্রামের বেশি গরুর মাংস খাওয়া
উচিত নয় কারণ এটি স্বাস্থ্যর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
প্রতিদিন ১০০ গ্রাম গরুর মাংসের ২৬ গ্রাম প্রোটিন থাকে এবংদুই গ্রাম ফ্যাট থাকে ।
আমরা প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়ে থাকি যাতে একটু একটু প্রতিদিন থাকে এবং
এই সকল প্রোটিন এর সংমিশ্রণে একটি বড় প্রোটিনের সৃষ্টি হয়। তাই যে কোন খাবার
থেকে সকল প্রোটিন না নিয়ে সকল খাবার থেকে অল্প অল্প প্রোটিন নেওয়া আমাদের
শরীরের জন্য খুবই ভালো।
শেষ কথাঃ গরুর মাংসের উপকারিতা - গরুর মাংসের অপকারিতা
আশা করি আপনাকে গরুর মাংসের উপকারিতা সম্পর্কে ধারনা দিতে পেরেছি। আপনারা গরুর
মাংসের উপকারিতা এবং গরুর মাংসের অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তাদের জন্য
উপরের পোস্ট টি লেখা হয়েছে। এছাড়া গরুর মাংসের উপকারিতা এবং গরুর মাংসের
প্রোটিনের পরিমাণ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পোষ্ট টি আপনার জন্য খুবই
গুরুত্বপূর্ণ।
গরুর মাংসের উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে কারো কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদের
কমেন্টের মাধ্যমে সেই প্রশ্ন করতে পারেন। আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন এবং নতুন
আপডেট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।
Rajrafi.com এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url