জিলকদ মাসের রোজা - জিলকদ মাসের ১৫ টি ফজিলত ও আমল
আজ আমরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব জিলকদ মাসের রোজা সম্পর্কে। প্রতিমাসে যেমন
আমরা কিছু আমল করে থাকি তেমনি জিলকদ মাসেরও একটি আমল হল প্রথম দশম ২০ তম ২৯ তম
এবং 30 তম তারিখের নফল রোজা পালন করা। আমাদের পাঠকদের মধ্য থেকে অনেকে প্রশ্ন
করে থাকেন জিলকদ মাসের রোজা মাসে রোজা সম্পর্কে। চলুন বিস্তারিতভাবে জেনে আসি
জিলকদ মাসের রোজা সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে জিলকদ মাসের রোজা এবং জিলকদ
মাসের ১৫ টি ফজিলত ও আমল সম্পর্কে জানতে পারবেন। চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে আসি
জিলকদ মাসের রোজা এবং জিলকদ মাসের খুতবা সম্পর্কে।
পেজ সূচিপত্রঃ জিলকদ মাসের রোজা - জিলকদ মাসের ১৫ টি ফজিলত ও আমল
- জিলকদ মাসের রোজা
- জিলকদ মাসের ফজিলত ও আমল
- জিলকদ মাসের করণীয়
- জিলকদ মাসের হাদিস
- জিলকদ মাসের রোজা কয়টি
- শেষ কথা
জিলকদ মাসের রোজা - জিলকদ মাসের ১৫ টি ফজিলত ও আমল
জিলকদ মাসের আমল গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি আমল হল রোজা পালন করা জিলকদ মাসের ১
তারিখ ১০ তারিখ ২০ তারিখ ২৯ তারিখ ও 30 তারিখে এবং নফল রোজা হিসেবে বিবেচিত
হবে। তবে অপরদিকে চাঁদ উঠার পরে ১৩ তারিখ ১৪ তারিখ ও ১৫ তারিখে রোজা রাখা
সুন্নত। প্রতি সপ্তাহের সোমবার ও বৃহস্পতিবার সুন্নতে নববী রোজা পালন করতে
হবে।
এছাড়া প্রতি শুক্রবার নফল রোজার পাশাপাশি সালাতুত তসবি এবং প্রতি পাঁচ
ওয়াক্ত নামাজে নফল নামাজ আদায় করা উত্তম। এছাড়া এই মাসের কিছু অন্যতম
উত্তম কাজের মধ্যে একটি হল কোরআন তেলাওয়াত করা বেশি বেশি করে। দান
করা। জিলকদ মাসে নয়টি সুন্নত রোজা এবং মহরম মাসের দশটি রোজার প্রস্তুতি
হিসেবে এই মাসটিতে রোজা করা এবং প্রস্তুতি গ্রহণ করা কোরবানির।
জিলকদ মাসের ফজিলত ও আমল - জিলকদ মাসের খুতবা
ইসলামিক শরীয়ত অনুযায়ী প্রতি সপ্তাহের সোমবার ও বৃহস্পতিবার সুন্নত
রোজা পালন করা উত্তম। তবে প্রতি শুক্রবার নফল রোজা রাখা যাবে। সালাতুত তসবি
এবং প্রতি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে হবে শুক্রবারে এটি উত্তম হিসেবে বিবেচিত
হয়। মহান আল্লাহতালা বলেন বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াতের মধ্যে অবশ্যই শান্তি
নিহিত রয়েছে।
যারা বিভিন্নভাবে মানসিক অশান্তিতে ভুগছেন তারা যেন কোরআন তেলাওয়াত করেন
বেশি বেশি । কোরআন তেলাওয়াত করা এবং বেশি বেশি নফল নামাজ পড়া সুন্নত। হিজরী
সালের ১১ তম মাসের নাম হল জিলকদ মাস এ ছাড়া ইসলামে নিষিদ্ধ যে চারটি মাস
রয়েছে তার মধ্যে একটি হল জিলকদ মাস। ইসলামের ইতিহাসে বিভিন্ন কারণে এ জিলকদ
মাসকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং পবিত্র মাস হিসেবে বিবেচিত করা হয়েছে।
আরো পড়ুনঃ
মহিলাদের হরমোন সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জীবনের যে কয়টি
ওমরা করেছেন তার সব কয়টি করেছেন জিলকত মাসে , এ মাসে সংঘটিত হয়েছে
হুদাইবিয়ার সন্ধি বা বাইয়াতে রিদওয়ান।
জিলকদ মাসের করণীয় - জিলক্বদ মাসের ঘটনা
মুসলমানদের দুইটি উৎসব ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার মধ্যবর্তী মাস হলো জিলকদ মাস।
আল্লাহ নির্ধারিত এবং মর্যাদাময় একটি মাস যা হজের মাস হিসাবে বিবেচিত।
অবস্থানগত কারণ ছাড়াও এ মাসের রয়েছে অত্যাধিক তাৎপর্য এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ
ও ঐতিহাসিক মাস হিসেবে এটি বিবেচিত। মহানবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
তার জীবনে যে কয়টি ওমরা করেছেন সব করেছেন এই মাসে।
প্রাচীন আরবের অনেক পুথি থেকে জানা যায় এ মাসে লোকেরা বাণিজ্য থেকে ফিরে আসত
যুদ্ধ থেকে ফিরে আসত তাই এই মাসকে বিশ্রামের মাস হিসেবে অভিহিত করা হয়ে
থাকে। ঋতু পরিবর্তনের কারণে এই মাসে আরবের লোকেদের কাছে তেমন কোন কাজ থাকে না
।অপরদিকে সংস্কৃতির কারণে এ মাসে যুদ্ধ বিগ্রহ এবং অন্যায় অপরাধ কাছ থেকে
বিরত থাকতে হয় আরবের লোকদের। এই জন্য এই মাসকে জিলকদ মাস বলা হয়ে থাকে।
জিলকদ মাসের হাদিস - জিলকদ মাসের নফল রোজা
প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শাবান মাসের
সবচেয়ে বেশি নফল রোজা করতেন বলে বিভিন্ন হাদিস থেকে জানা যায়। এরপরের মাস
হল রমজান যা আত্মা শুদ্ধির মাস হিসেবে অভিহিত এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভের একটি
মাস। এই মাসে আল্লাহর মুমিন বান্দারা দিন রাতের সিংহভাগ অংশের এবাদতে মগ্ন
থাকেন। এছাড়া সুবে সাদিক দিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল পানাহার থেকে বিরত
থাকেন আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে। এছাড়া রাতে এশার নামাজ আদায় করেন
তারাবির নামাজ এর সাথে যা ২০ রাকাত হয়ে থাকে।
জিলকদ মাসের রোজা কয়টি
মহান আল্লাহতালার শ্রেষ্ঠ নেয়ামতের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সময় ও বায়ু
রোজ কিয়ামতে হাশরের ময়দানে এই নেয়ামত সম্পর্কে প্রশ্ন করা হবে। (সুরাঃ
তাকাসুর , আয়াতঃ ৭)।জিলকদ মাসে সাধারণত কিছু রোজা পালন করতে হয় এ যা নফল
রোজা হিসেবে বিবেচিত তা হলো ১ তারিখ ১০ তারিখ ২০ তারিখ ২৯ তারিখ ও ৩০
তারিখ।
শেষ কথাঃ জিলকদ মাসের রোজা - জিলকদ মাসের ১৫ টি ফজিলত ও আমল
আপনারা যারা জিলকদ মাসের রোজা এবং জিলকদ মাসের ১৫ টি ফজিলত ও আমল সম্পর্কে জানতে
চেয়েছেন তাদের জন্য উপরের পোস্ট টি লেখা হয়েছে। আশা করি জিলকদ মাসে রোজা
সম্পর্কে ধারণা দিতে পেরেছি। এছাড়া আপনার জিলকদ মাসের রোজা - জিলকদ মাসের খুতবা
সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পোষ্ট টি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই পোস্টটির
মাধ্যমে আমরা জিলকদ মাসের রোজা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আমাদের
ওয়েবসাইট ফলো করুন এবং নতুন আপডেট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।
Rajrafi.com এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url