শিশুর জ্বর হলে করণীয় - শিশুর দ্রুত জ্বর কমানোর উপায়

আপনি কি শিশুর জ্বর হলে করণীয় কি এ সম্পর্কে জানতে চান বিস্তারিতভাবে? আমাদের আর্টিকেলের মূল বিষয়বস্তু হলো শিশুর জ্বর হলে করণীয় কি। শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি হওয়ার অর্থই হলো শরীর সিগন্যাল পাঠাচ্ছে যে কোন রোগ হতে চলেছে ৬ মাসের কম বয়সী শিশুদের জ্বর সর্দি কাশি বেশি হয়ে থাকে। শিশুর জ্বর হলে করণীয় কি এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের সঙ্গেই থাকুন।
শিশুর জ্বর হলে করণীয় - শিশুর দ্রুত জ্বর কমানোর উপায়
শরীরের টেম্পারেচার বৃদ্ধির মাধ্যমে জ্বর হতে পারে। আজ আমরা শিশুর জ্বর হলে করণীয় কি এবং শিশুর দ্রুত জ্বর কমানোর উপায় সম্পর্কে আলোচনা করতে চলেছি। আমাদের পাঠকদের মধ্য থেকে অনেকেই প্রশ্ন করেন শিশুর জ্বর হলে করণীয় কি এবং শিশুর দ্রুত জ্বর কমানোর উপায় সম্পর্কে ।

পেজ সূচিপত্রঃ  শিশুর জ্বর হলে করণীয় - শিশুর দ্রুত জ্বর কমানোর উপায়

শিশুর জ্বর হলে কি খাবার খাওয়ানো উচিত - শিশুর জ্বর হলে কি ঔষধ খাওয়া উচিত

শিশুর প্রতিদিনের খাবারে পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার অর্থাৎ ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার একটু বেশি দিতে হবে এছাড়া আক্রান্ত শিশুর খাবারের তরল পানি, ফলের রস , ডাব , জুস ইত্যাদি বেশি খাওয়াতে হবে। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত শিশুর খাবারের সঙ্গে খাবার স্যালাইন খাওয়ানো অত্যন্ত জরুরী। এছাড়া আন্দাজে কোন অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ানো যাবে না এতে শিশুর ক্ষতি হতে পারে।
জ্বর ও শরীরের ব্যথা কমাতে প্যারাসিটামল খাওয়ানো যেতে পারে শিশুকে। বর্তমানে প্যারাসিটামল , পাইরিনল , নাপা , এইচ প্লাস সহ বিভিন্ন ধরনের ঔষধ রয়েছে জ্বর কমানোর জন্য। শিশুর জ্বরের মাত্রা যদি ১০২° ফারেনহাইট এর কাছাকাছি চলে যায় সে ক্ষেত্রে মলদার দিয়ে প্যারাসিটামল সাপোজিটার ব্যবহার করতে হতে পারেন। এটি খুব দ্রুত জ্বর কমিয়ে দেয়। তবে স্বাভাবিক জ্বরে সাপোজিটার ব্যবহার করা উচিত নয়।

জ্বরে আক্রান্ত শিশুদের পর্যাপ্ত পরিমাণে তরল খাবার দিতে হবে এর মধ্যে ফলের রস , শরবত , স্যালাইন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণ খাবার গুলো যেমন চলছে তেমনভাবেই খাওয়াতে হবে কারণ জ্বর এ আক্রান্ত শিশুর শরীরকে এনার্জি যুক্ত রাখতে খাবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। জ্বর অবস্থায় কোন কিছুই খেতে ইচ্ছা করে না যদিও তারপরেও টক জাতীয় ফল খাওয়ানো উচিত তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল বাতাবি লেবু , কামরাঙ্গা , জলপাই ইত্যাদি।

নবজাতকের জ্বর হলে করণীয় - শিশুর জ্বর না কমলে করণীয়

জ্বরে আক্রান্ত শিশুর বয়স যদি ছয় মাসের কম হয় সেক্ষেত্রে বুকের দুধ খাওয়াতে হবে বারবার আর যদি ছয় মাসের বেশি হয় সে ক্ষেত্রে তরল এবং বিভিন্ন ধরনের খাদ্য অল্প অল্প করে খাওয়াতে হবে। নবজাতক শিশুদের বুকের কফ সর্দি বের করতে লেগুনাইজার ব্যবহার করা যেতে পার। হাতের নাগালে যদি লেবুনাইজানা না থাকে সে ক্ষেত্রে শিশুকে কুসুম গরম পানিতে গোসল দিতে পারেন ।

অথবা গরম পানির মধ্যে কাপড় ভিজিয়ে তা দিয়ে শিশুর শরীর মুছে দিতে পারেন। জ্বর এক ধরনের জীবাণু যা শরীরের ভেতরে শরীরের বাইরে সব জায়গাতেই থাকতে পারে জ্বরে আক্রান্ত রোগীর তাই গোসলের সময় হোক বা শরীর মুছে দেওয়ার সময় হোক জলের মধ্যে অ্যান্টিসেপটিক মিশিয়ে গোসল করানো ভালো। এ ভাবে কয়েকবার যদি করা যায় সে ক্ষেত্রে খুব দ্রুত জ্বর সেরে যায়। রোগীকে অবশ্যই বাতাসের সংস্পর্শে রাখতে হবে।
জর হলে খাবার খাওয়া মাত্রই অনেক সময় বমি হতে পারে তবে বমি হবার ভয়ে খাবার খাওয়া বাদ দেওয়া যাবে না। বমি হলে জ্বর অনেকটা কমে যায় এজন্য খাবার যথারীতি খেতে হবে যার ফলে জ্বর অনেকটা কমে আসবে যদি বমি হয়। জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার অর্থ হল শরীরে ভিটামিনের অভাব রয়েছে এজন্য ফল বেশি খেতে হবে এ সময়।

শিশুদের ভাইরাস জ্বর হলে কি করবেন - শিশুর ঘন ঘন জ্বর হলে কি করা উচিত

জ্বর হলে শরীরে খাবার এর ঘাটতি দেওয়া যাবে না আগের মতই খাবার স্বাভাবিক মাত্রায় খেতে হবে। জ্বর হলে সাধারণত প্যারাসিটামল পাইরিনল সহ বিভিন্ন ধরনের ঔষধ খাওয়া যেতে পারে যা জ্বর কমাতে সাহায্য করে। জ্বর অতিরিক্ত হলে সাপোজিটার ব্যবহার করা যেতে পারে। যদি সাত দিনের বেশি জ্বর থাকে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। এমনকি এন্টিবায়োটিক ওষুধ খাওয়া শুরু করতে হতে পারে। জ্বর হলে শিশুকে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম দিতে হবে।

খেলাধুলা বা স্কুলে যাওয়ার আপাতত কোন প্রয়োজন নেই। ভিটামিন সমৃদ্ধ বিভিন্ন ধরনের ফল ও খাবার খাওয়াতে হবে শিশুকে। বিভিন্ন ধরনের পানীয় যেমন ডাবের পানি, ফলের রস , স্যালাইন খাওয়াতে হবে এ সময় তবে ড্রিংস বা বোতল জাত শরবত খাওয়ানোর কোন প্রয়োজন নেই , এতে বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল বিদ্যমান থাকে যা শিশুর শরীরের ক্ষতি করতে পারে।

শিশুর জ্বর হলে করণীয় - শিশুর জ্বর হলে সাপোজিটরি

জ্বর হলে শিশুর সাধারণত প্যারাসিটামল খাওয়াতে হবে এছাড়া অতিরিক্ত জ্বর হলে অবশ্যই সাপোজিটর ইউজ করা যেতে পারে। তবে এ সময় প্রচুর পরিমাণে পানি এবং খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। জ্বরে আক্রান্ত শিশু কে কুসুম গরম পানিতে গোসল করানো যেতে পারে তবে পানিতে জীবানু নাশক ডেটল মিশিয়ে গোসল করালে ভালো হয়।
যদি জ্বর কোনভাবে না কমে সেক্ষেত্রে প্যারাসিটামল ট্যাবলেট এর পরিবর্তে সিরাপ খাওয়ানো যেতে পারে বর্তমানে বাজারে বেশ কিছু প্যারাসিটামল সিরাপ পাওয়া যায় তার মধ্যে একটি হলো রেনোভা। অতিরিক্ত যদি জ্বর হয় সে ক্ষেত্রে বড়দের ডাই ক্লোফেন সাপোজিটার একটি এবং শিশুদের এ পি এ সাপোজিটা ২৫০ মিলিগ্রাম বয়স অনুযায়ী মলদ্বার দিয়ে প্রবেশ করানো যেতে পারে।

শিশুর দ্রুত জ্বর কমানোর উপায় - ৮ মাসের শিশুর জ্বর হলে করণীয়

শিশুর জ্বর যদি সাত দিনের বেশি থাকে সেক্ষেত্রে অবশ্যই ডক্টরের পরামর্শ নিতে হবে। শুধুমাত্র ওষুধের ওপর সম্পূর্ণটা নির্ভর করে না রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শরীরে থাকলে খুব দ্রুত জ্বর ভালো হয়ে যায়। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য অবশ্যই বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। এছাড়া পুষ্টিকর খাদ্য ফল খাওয়ানো উত্তম এ সময়। তবে টক জাতীয় যেকোনো খাদ্য জড় অবস্থায় খাওয়ানো ভালো কারণ ত্বক জাতীয় খাবারে ভিটামিন সি বিদ্যমান থাকে যা জ্বর এর সঙ্গে লড়তে সাহায্য করে শরীরকে।

শেষ কথাঃ শিশুর জ্বর হলে করণীয় - শিশুর দ্রুত জ্বর কমানোর উপায়

শিশুর জ্বর হলে করণীয় কি এ সম্পর্কে ধারণা দিতে পেরেছি আশা করছি। আমাদের পাঠকদের মধ্য থেকে যারা শিশুর জ্বর হলে করণীয় কি এবং শিশুর দ্রুত জ্বর কমানোর উপায় সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তাদের জন্য এই আর্টিকেলটি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। শিশুর খেয়াল রাখার জন্য শিশুর জ্বর হলে করণীয় কি এবং শিশুর দ্রুত জ্বর কমানোর উপায় বা নবজাতকের জ্বর কমানোর উপায় সম্পর্কে জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

শিশুর জ্বর হলে করণীয় এবং শিশুর দ্রুত জ্বর কমানোর উপায় সম্পর্কে কারো কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে সেই প্রশ্ন করতে পারেন।আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন এবং নতুন আপডেট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Rajrafi.com এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url