আশুরার দিনে বর্জনীয় কাজ - মহরম মাসে কত তারিখে আশুরা পালিত হয়

আপনি কি আশুরার দিনে বর্জনীয় কাজ সম্পর্কে জানতে চান? আশুরার দিনে রোজা রাখা উত্তম। মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ আশুরার দিনে রোজা রাখতেন। আমাদের পাঠকদের মধ্যে থেকে অনেকেই রয়েছেন যারা আশুরার দিনে বর্জনীয় কাজ সম্পর্কে প্রশ্ন করে থাকেন। চলুন বিস্তারিতভাবে জেনে আসি আশুরার দিনে বর্জনীয় কাজ সম্পর্কে।
আশুরার দিনে বর্জনীয় কাজ - মহরম মাসে কত তারিখে আশুরা পালিত হয়
আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আশুরার দিনে বর্জনীয় কাজ সম্পর্কে আলোচনা করার চেষ্টা করব। আজকের আলোচনার মূল বিষয়বস্তু হলো আশুরার দিনে বর্জনীয় কাজ । এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়লে আপনি যথাযথ ধারণা পাবেন আশুরার দিনে বর্জনীয় কাজ সম্পর্কে।

পেজ সূচিপত্রঃ আশুরার দিনে বর্জনীয় কাজ - মহরম মাসে কত তারিখে আশুরা পালিত হয়

আশুরার দিনে বর্জনীয় কাজ - মহরম মাসে কত তারিখে আশুরা পালিত হয়

আশুরার দিনে ইবাদত কবুল হওয়ার একটি শর্ত হলো মহান আল্লাহতালার সন্তুষ্টির জন্য ইবাদত করতে হবে এবং মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নির্দেশনা অনুযায়ী ইবাদত করতে হবে। ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী আশুরার দিনে শুধুমাত্র রোজা রাখতে হবে এবং নফল নামাজ আদায় করতে হবে এছাড়া অন্য কোন সংস্কৃতি বা রীতি ইসলাম অনুমোদন দেয় না।
আশুরা এমন একটি দিন যে দিনে বাতিলের সঙ্গে সত্যের লড়াই হয়েছিল এবং ইসলামী চন্দ্র ক্যালেন্ডার অনুযায়ী মহরম মাসের ১০ তারিখ এই দিনটি পালিত হয়ে আসছে।

আশুরা দিনের সংগটিত বাইশটি এইতিহাসিক ঘটনা - আশুরা দিনের ফজিলত

ইসলামিক পঞ্জিকার প্রথম মাসের ১০ তারিখ অনুষ্ঠিত হয় আশুরা। এই আশুরা সেই কারবালার যুদ্ধে হোসাইন ইবনে আলীর পরিবারের সদস্যদের শাহাদাতের কথা মনে করিয়ে দেয়। বিশ্বের সকল মুসলিমরা এই দিনে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নাতি ও তার পরিবারের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনার স্মরণ করে রোজা রাখে ও ইবাদত করে।

হযরত নূহ আলাইহিস সালাম সাড়ে ৯০০ বছর তাওহীদের দাওয়াত দেওয়ার পরেও যখন পথভ্রষ্ট জাতিরা মহান আল্লাহকে মানতে অস্বীকৃতি জানাই তখন তাদের ওপর আল্লাহর গজব মহা প্লাবন নেমে এসেছিল। ওই মহা প্লাবনের কারণে ধ্বংস হয়েছিল সেই সকল মানুষ যারা মহান আল্লাহর প্রতি ঈমান আনেনি।
কিন্তু তারা বেঁচে গিয়েছিল যারা মহান আল্লাহর উপর ঈমান এনে নবীকে বিশ্বাস করে সেই নৌকায় আরোহন করেছিল। পুরো 40 দিন পর জুদ পাহাড়ের পাদদেশে মাটির স্পর্শ করেছিল সেই পবিত্র নৌকা  এই দিনেই।

আশুরা রোজার ফজিলত - আশুরার রোজা রাখার গুরুত্ব

আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু হতে বর্ণিত মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনায় এসে দেখতে পেলেন ইহুদীরা আশুরার দিনে রোজা পালন করছে। এ দেখে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন জিজ্ঞাসা করলেন যে এটি কিসের দিন? তখন তারা উত্তরে বলল এটি একটি ভালো দিন এই দিনে আল্লাহতালা বনি ইসরাইলকে তাদের শত্রু কবল থেকে রক্ষা করেছিলেন।

এই কারণে মূসা আলাইহিস সালাম রোজা পালন করেছিলেন বলে অনেক গ্রন্থ থেকে জানা যায়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন মুসা আলাই সালাম কে অনুসরণের বিষয়ে আমি তোমাদের চেয়ে বেশি হকদার। আর এরপরে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ রোজা রাখেন এবং রোজা রাখার নির্দেশনা দান করেন।
মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন আমি মহান আল্লাহতালার নিকট প্রতিদান প্রত্যাশা করেছি যে আরাফার রোজা অর্থাৎ আশুরার রোজা বিগত বছর ও আগত বছরের গুনাহ হো মার্জনা করবে। মহান আল্লাহতালার অশেষ কৃপা যে তিনি একদিনের রোজার কারণে বিগত বছর ও আগত বছরের সকল গুনাহ মাফ করেন। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহতালা অধিক শক্তিশালী ও জ্ঞানী।

আশুরা কি এবং কেন পালন করা হয় - আশুরার দিনের নামাজ

ইসলামিক চিন্তাবিদ ও আলেমদের মতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সময় থেকে আশুরা বা মহরম মাসের ১০ তারিখ পালন হয়ে আসছে এবং এর পেছনে অনেক ধার্মিক ও ধর্মীয় বিশ্বাস নিহিত রয়েছে। মুসলিমরা এটা বিশ্বাস করেন এই আশুরার 10 তারিখে পৃথিবীর সৃষ্টি হয়েছে এবং সেই একই দিনে পৃথিবীর ধ্বংস হবে বা কিয়ামত হবে।

প্রতিটি মুসলমানের জন্য আশুরার দিন অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং মর্যাদাপূর্ণ হয়ে থাকে। মধ্যপ্রাচ্যের বেশিরভাগ দেশগুলোতে মুসলিমরা এই দিনটি রোজা পালন নফল নামাজ আদায় এর মধ্য দিয়ে অতিবাহিত করেন। অনেক বর্ণনায় এসেছে অনেক নবী রয়েছে যাদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে এই আশুরার দিনেই।

মুসলমানরা আশুরার রোজা রাখে কেন - আশুরার ইতিহাস সম্পর্কে বিস্তারিত

মুসলমানদের মধ্যে সুন্নি সম্প্রদায় এর মানুষ মনে করেন এই আশুরা বা মহরমের ১০ তারিখ এই দিনে লোহিত সাগরে পথ তৈরি করে মুসা আলাই সাল্লাম ও তার অনুসারীরা ফেরাউনের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিল এই জন্য এই দিনটিতে রোজা রাখা উত্তম। মহরমের ১০ তারিখ মদিনার ইহুদি সম্প্রদায়েরাও রোজা পালন করতো।
মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণিত মহান আল্লাহতালা এই আশুরা রোজা পালনের জন্য বিগত এক বছরের গুনাহ মাফ করে দিবেন এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেন রমজান মাসে রোজার পরে শ্রেষ্ঠ রোজা হলো মহরম মাসের ১০ তারিখের রোজা।তিরমিজি ও মুসনাদে আহমাদ।

শেষ কথাঃ আশুরার দিনে বর্জনীয় কাজ - মহরম মাসে কত তারিখে আশুরা পালিত হয়

আশা করি আশুরার দিনে বর্জনীয় কাজ এবং মহরম মাসে কত তারিখে আশুরা পালিত হয় সম্পর্কে যথাযথ ধারণা প্রদর্শন করতে পেরেছি। আপনারা যারা আশুরার দিনে বর্জনীয় কাজ সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তাদের জন্য উপরের পোস্ট টি লেখা হয়েছে। এছাড়া  আশুরার দিনে বর্জনীয় কাজ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পোষ্ট টি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

আশুরার দিনে বর্জনীয় কাজ এবং মহরম মাসে কত তারিখে আশুরা পালিত হয় সম্পর্কে কারো কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে সেই প্রশ্ন করতে পারেন।আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন এবং নতুন আপডেট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Rajrafi.com এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url