মাসিকের ব্যাথা কমানোর ১০ টি উপায় - মাসিকের ব্যাথা কমানোর ৫ টি ঔষধের নাম
আপনি কি মাসিকের ব্যাথা কমানোর ১০ টি উপায় সম্পর্কে জানতে চান? বয়সন্ধিকাল থেকে
শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক বা 45 থেকে 50 বছর পর্যন্ত প্রতিমাসে মেয়েদের
যোনিপথ দিয়ে এক ধরনের দূষিত রক্ত বের হয় একেই মাসিক বলে। আমাদের পাঠকের মধ্য থেকে অনেকেই আমাদের প্রশ্ন করে থাকেন মাসিকের ব্যাথা কমানোর ১০ টি উপায় সম্পর্কে। চলুন বিস্তারিতভাবে জেনে আসি মাসিকের ব্যাথা কমানোর ১০ টি উপায় এবং মাসিকের ব্যথা হওয়ার কারণ সম্পর্কে।
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে মাসিকের ব্যাথা কমানোর ১০ টি
উপায় এবং মাসিকের ব্যাথা কমানোর ৫ টি ঔষধের নাম সম্পর্কে জানতে পারবেন। চলুন কথা
না বাড়িয়ে জেনে আসি মাসিকের ব্যাথা কমানোর ১০ টি উপায় এবং মাসিকের ব্যাথা
কমানোর ৫ টি ঔষধের সম্পর্কে।
পেজ সূচিপত্রঃমাসিকের ব্যাথা কমানোর ১০ টি উপায় - মাসিকের ব্যাথা কমানোর ৫ টি ঔষধের নাম
পিরিয়ডের ব্যাথা কমানোর খাবার
পিরিয়ডের বা মাসিকের ব্যাথা কমানোর জন্য খাবার অনেকগুলো রয়েছে তারমধ্যে
উল্লেখযোগ্য কিছু খাবারের নাম এবং কার্যকারিতা তুলে ধরা হলোঃ পিরিয়ডের বা
মাসিকের সময় মেয়েদের তলপেট অনেক ব্যাথা হয় এই ব্যাথা প্রাকৃতিক ভাবে ভালো করা
সম্ভব। আদা চা পিরিয়ডের সময় পান করলে অনেক ভালো উপকার পাওয়া যায় এবং এতে পেটে
ব্যাথা উপশম ক্ষমতা থাকে।
এছাড়া একটু আদা একটু মধু এবং একটু চিনি একসঙ্গে মিশিয়ে গরম পানিতে নিশ্চিত করে
পিরিয়ডের সময় দিনে দুই-তিনবার পান করলে ব্যাথা থেকে অনেকটাই উপশম পাওয়া যায়।
এছাড়া পিরিয়ডের সময় কাঁচা পেঁপে অনেক কার্যকরী একটি মহা ঔষধি পিরিয়ড চলাকালীন
যদি কাঁচা পেঁপে পাওয়া যায় তাহলে কাঁচা পেঁপের ভেতরের ইনগ্রেডিয়েন্ট
ব্যাথা উপশমে অনেক কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
এছাড়া ল্যাভেন্ডার পায়েল এক ধরনের বিশেষ ব্যাথানাশক অয়েল যা পিরিয়ড চলাকালীন
তলপেটে মালিশ করলে 10 থেকে 15 মিনিটের মধ্যে ব্যাথা কমে যায়। এছাড়া অ্যালোভেরার
রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে দিনে দুইবার খেলে এটিও ব্যাথানাশ করে। পিরিয়ডের সময় শরীর
অনেক শুষ্ক হয়ে যায় এ সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে।
যদিও পানি গরম হলে বেশি ভালো হয় পিরিয়ডের সময় গরম পানি এবং গরম চা পান করলে
শরীরের উত্তাপ প্রাথমিক ভাবে বেড়ে যায় এবং একে তলপেটের জমাট বাঁধা রক্ত দ্রুত
দলে যোনিপথ দিয়ে বের হয়ে আসে। এক রিসার্চ এ দেখা গেছে যারা মাসিকের ব্যাথা
কমানোর জন্য যারা গরম পানি পান করে তাদের মাসে চার থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে পিরিয়ড
ভালো হয়ে যায়।
মাসিকের ব্যাথা কমানোর ১০ টি উপায়
পিরিয়ডের সময় এলেই মেয়েরা অনেক ভয় পেয়ে যায় তলপেটে ব্যাথা নিয়ে। মাসিকের ব্যাথা কমানোর ১০ টি উপায় সম্পর্কে ধারণা দেবো। কারণ এ সময় তলপেট প্রচন্ড পরিমানে ব্যাথা হয়ে যায় এবং এ ব্যাথা 24 ঘন্টা
বা 72 ঘন্টা স্থায়ী হতে পারে। অনেক মেয়েদের পিরিয়ড শুরু হলে কোমর উরু
শিরদাঁড়া প্রচন্ড পরিমানে ব্যাথা করে এবং চলাফেরা করতে প্রচুর কষ্ট হয়ে যায়।
মাসিকের ব্যাথা কমানোর ১০ টি উপায় নিচে উল্লেখ করা হলো এই পদক্ষেপ গুলো ফলো করবে
মাসিকের সময় কম কষ্ট হয়।
-
মাসিক শুরু হলেই প্রতিদিন সর্বনিম্ন সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমাতে হবে।
-
আদা মধু চিনি ইত্যাদির একটি মিশ্রণ তৈরি করে গরম পানির সাথে দিনে তিন থেকে
চারবার খেতে হবে এতে ব্যাথা উপশম ক্ষমতা ভরপুর ভাবে থাকে।
-
মাসিকের ব্যাথা কমানোর জন্য বিভিন্ন প্রকার ফল খেতে হবে এবং বিভিন্ন প্রকার
ফলের জুস খেতে হবে।
-
পিরিয়ডের সময় তলপেটে কয়েক ফোটা ল্যাভেন্ডার তেল মালিশ করলে ব্যাথা দশ থেকে
পনেরো মিনিটের মধ্যে উপশম হয়ে যায়।
-
কাঁচা পেঁপেতে ব্যাথা উপশম ক্ষমতা থাকে এজন্য মাসিকের ব্যাথা কমানোর জন্য কাঁচা
পেঁপে খেতে পারেন।
-
আলোকে বিভিন্ন প্রকার পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান থাকে এবং এতে বিভিন্ন প্রকার
ঔষধি গুণও বিদ্যমান থাকে অ্যালোভেরার সাথে মধু মিশিয়ে জুস করে দিনে দুই থেকে
তিনবার খেতে পারেন।
-
স্বাভাবিকভাবে শরীর চর্চার মাধ্যমে পিরিয়ড চলাকালীন ব্যাথা উপশম করা যেতে
পারে।
- তলপেটে গরম পানির ভাপ দিয়ে ব্যাথা উপশম করা যেতে পারে।
- যেকোনো খাবার গ্রহণের সময় ঠান্ডা জাতীয় খাবার থেকে বিরত থাকা উচিত পিরিয়ড চলাকালীন।মাসিকের ব্যাথা কমানোর জন্য স্বাভাবিক খাদ্য গ্রহণের সময় গরম পানি ঠান্ডা পানির পরিবর্তে খেলে ব্যাথা কম হয় কারণ গরম পানি শরীরের টেম্পারেচার বৃদ্ধি করে।
-
পিরিয়ড চলাকালীন যতটা সম্ভব শরীরকে উষ্ণ রাখার চেষ্টা করতে হবে এতে শরীরের
উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে শরীরের জমাটবাঁধা দূষিত রক্ত দ্রুত বের হবে এবং দ্রুত
ব্যাথা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে আপনি শরীরে মোটা কোন বস্ত্র দিয়ে
রাখতে পারেন অথবা সকালের রোদ উপভোগ করতে পারেন।
পিরিয়ডের কোমর ব্যাথা কমানোর উপায়
আমরা আদাকে রান্নার ইনগ্রিডিয়েন্ট হিসেবে চিনি কিন্তু আদার কিছু ঔষধি গুণ
রয়েছে। মাসিকের ব্যাথা কমানোর জন্য আদা কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। যখন মেয়েদের
মাসিক শুরু হয় তখন মেয়েদের শরীর এক ধরনের বিশেষ হরমোন নিঃসরণ করে।যার ফলে
মেয়েদের শিরদাঁড়া কোমর উরু প্রচন্ড পরিমাণে ব্যাথা হয়ে যায়।
আদা গরম পানির সাথে মধুর সাথে মিশিয়ে সেবন করলে এই হরমোনকে আদা নিঃসরণ হতে দেয়
না এবং আস্তে আস্তে ব্যাথার উপশম হয়ে যায়। এছাড়া পিরিয়ড চলাকালীন গ্রিন টি
শরীরের জন্য অনেক উপকারী।কারণ ক্রিম্পিয়ে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক ভিটামিন থাকে
যা আমাদের শরীরের অ্যান্টি বডি বৃদ্ধি করে এবং এন্টি বডি ব্যাথাযুক্ত স্থানের
ব্যাথা নাস করতে অতি কার্যকরী।
মাসিকের ব্যাথা কমানোর জন্য মাসিকের সময় গরম খাবার খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। এ
সময় ফাস্টফুড খাওয়া থেকে বিরত মাসিকের সময় শরীর অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যায় এর
জন্য বেশি বেশি ফলের রস এবং পানি পান করুন। মাসিকের ব্যাথা কমানোর জন্য
আরেকটি কাজ করতে পারেন সেটি হল অলিভ অয়েল দিয়ে পুরো শরীর মাসাজ করে নেওয়া
এতে অনেকটা ব্যাথা উপশম হয়।
মাসিকের ব্যাথা হওয়ার কারণ
কিছু মেয়ে আছে যাদের মাসিক শেষে তীব্র ব্যাথা সৃষ্টি হয়। এই ব্যাথা টি হল
এন্ডোমেট্রিওসিসের ব্যাথা। বিভিন্ন কারণে জরায়ু বা ডিম্বাশয়ের বিভিন্ন রোগ
সৃষ্টি হয় এবং এর ওপর থেকেই ব্যাথার সৃষ্টি। কোন মেয়ে এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে
কিনা এটা বুঝার একমাত্র উপায় হলো মাসিকের সময় মাত্রা অতিরিক্ত তলপেট ব্যাথা করা।
আমরা অধিকাংশ সময় দেখে থাকে ঋতুস্রাব বা মাসিকের সময় তলপেটে প্রচন্ড পরিমাণে
ব্যাথা হয় মেয়েদের। কিন্তু এ ব্যাথার একটি লিমিট রয়েছে এর অতিরিক্ত ব্যাথা করলে
মনে করতে হবে আপনি এন্ডোমেট্রিওসিসের এ ভুগছেন। চলুন জেনে আসি কতটুকু ব্যাথা হলে
মনে করতে হবে আপনি সুস্থ। যখন পিরিয়ড শুরু হয় তখন জরায়ু সংকোচনের শুরু হয়।
যার কারণে তলপেটে ব্যাথা অনুভব হয়। পিরিয়ড শুরু হওয়ার আগের দিন তলপেট ব্যাথা
হওয়া এটাই কি স্বাভাবিক বিষয়। মেয়েদের শরীরে একটি হরমোন রয়েছে যার
নাম প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন এই হরমোনটি মাসিকের সময় জরায়ুতে সংকোচন করতে বাধ্য করে
যার কারণে ব্যাথা অনুভব হয়। যাদের প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন হরমোন বেশি নিঃসরিত হয় তাদের তলপেট অতিরিক্ত ব্যাথা হয়।
এছাড়া মাসিকের ব্যাথা হওয়ার কারণ হলো বিভিন্ন ধরনের রোগ আসলে করা হলোঃ
- এন্ডোমেট্রিওসিস
- পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম
- ফাইব্রয়েড
- পেলভিক ইনফ্লামেটরি ডিজিজ
- সার্ভাইকাল স্টেনোসিস
- জন্মনিয়ন্ত্রন পদ্ধতি
- অ্যাডেনোমায়োসিস
মাসিকের ব্যাথা কমানোর ৫ টি ঔষধের নাম
মাসিকের ব্যাথা কমানোর বিভিন্ন ধরনের ঔষধ পাওয়া যায়। কিন্তু সবগুলো সমান
কার্যকারী না। মাসিকের ব্যাথা কার্যকারী পাঁচটি ঔষধ এর কথা উল্লেখ করা হলোঃ
- মাসিকের ব্যাথা কমানোর ঔষধ - মাসিকের ব্যাথা কমানোর এলাপতি ঔষধ ডিক্লোমলঃ
মাসিকের সময় মেয়েদের শরীরে এক ধরনের বিশেষ হরমোন নিঃসৃত হয়। জরায়ুতে সংকোচন
করে দেয় এবং এই জ্বরের সংগঠনের কারণে মেয়েদের শরীরে ব্যাথা সৃষ্টি হয় বিশেষ
করে তলপেটের।ডিক্লোমল এই হরমোন কে নিঃসরিত হওয়া থেকে বিরত রাখে এবং মাসিকের
ব্যাথা অনেকাংশে কমিয়ে দেয়।
-
মাসিকের ব্যাথা কমানোর ঔষধ - মাসিকের ব্যাথা কমানোর হোমিও
ঔষধ ক্যামোমিলা
মাসিকের সময় মেয়ে যদি অতিরিক্ত ব্যাথায় ভুগে এবং ব্যাথা পেতে তৎপর হতে থাকে
তাহলে ক্যামোমিলা ঔষধটি সেবনের ফলে ব্যাথা অনেকাংশে নাশ হয়। এটির কার্যক্ষমতা
প্রতি তীব্র এবং এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।
- মাসিকের ব্যাথা কমানোর ঔষধ - মাসিকের ব্যাথা কমানোর হোমিও ঔষধ একটিয়া রেসিমোসোঃ
- মাসিকের ব্যাথা কমানোর ঔষধ - মাসিকের ব্যাথা কমানোর হোমিও ঔষধ কলোফাইলামঃ
স্বাভাবিকভাবে যে মাসিকের ব্যাথা টি হয় প্রতিটি মেয়ের সে ব্যাথা উপশমে কলোফাইলাম
কার্যকর ভূমিকা রাখে।
- মাসিকের ব্যাথা কমানোর ঔষধ - মাসিকের ব্যাথা কমানোর হোমিও ঔষধ ম্যাগ্নেসিয়া ফসঃ
অনেক ঔষধ আছে যেগুলো সেবনের ফলে ব্যাথা উপশম হয় কিন্তু তাও অনেক দেরিতে
কিন্তু ম্যাগ্নেসিয়া ফস সেবনের ফলে খুব দ্রুত মাসিকের ব্যাথা উপশম হয়ে
যায়।এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।
শেষ কথাঃ মাসিকের ব্যাথা কমানোর ১০ টি উপায় - মাসিকের ব্যাথা কমানোর ৫ টি ঔষধের নাম
আশা করি মাসিকের ব্যাথা কমানোর ১০ টি উপায় সম্পর্কে যথাযথ ধারণা দিতে পেরেছি। আপনারা যদি মাসিকের ব্যাথা কমানোর ১০ টি উপায় - মাসিকের ব্যাথা কমানোর ৫ টি
ঔষধের নাম সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তাদের জন্য উপরের পোস্ট টি লেখা
হয়েছে।এছাড়া আপনার যদি মাসিকের ব্যাথা কমানোর ১০ টি উপায় - মাসিকের ব্যাথা
কমানোর ৫ টি ঔষধের নাম জানতে চান তাহলে এই পোষ্ট টি আপনার জন্য খুবই
গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন এবং নতুন আপডেট পেতে আমাদের সাথেই
থাকুন ধন্যবাদ।
Rajrafi.com এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url