এইডস কিভাবে হয় - এইডস হলে করনীয়

আজ আমাদের আলোচনার বিষয়বস্তু হলো এইডস কিভাবে হয় এ সম্পর্কে। এই রোগে আক্রান্ত নারী বা পুরুষের সঙ্গে যৌন মিলনের সময় যদি কনডম ব্যবহার করা না হয় সেক্ষেত্রে একজন ব্যক্তি এই  ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। একজন সচেতন মানুষ হিসাবে এইডস কিভাবে হয় এবং এটি প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত। চলুন বিস্তারিতভাবে জেনে আসি এইডস কিভাবে হয় এ বিষয়ে।
এইডস কিভাবে হয় - এইডস হলে করনীয়
আজকের আলোচনার মূল বিষয়বস্তু হলো এইডস কিভাবে হয়। সচেতনতার জন্য হলেও এইডস কিভাবে হয় এবং এইডস হলে করনীয় কি এ সম্পর্কে জানা উচিত।

পেজ সূচিপত্রঃ এইডস কিভাবে হয় - এইডস হলে করনীয়

এইডস এর প্রতিরোধ - এইডস এর কারণ

আজ এই পোস্টটি থেকে আপনারা এইডস কিভাবে হয় এবং এইডস হলে করনীয় এ বিষয় গুলো বিস্তারিত জেনে নিতে পারবেন। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের মাধ্যমে এইডস এর ঝুঁকি বাড়তে পারে। জন সম্পর্কের ক্ষেত্রে কনডম ব্যবহার করা উত্তম কারণ এর মাধ্যমে এর যৌনবাহিত বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ হয়।

শারীরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক আচরণ বজায় রাখতে হবে এবং এর পাশাপাশি সঠিক পদক্ষেপ অনুসরণ করে শারীরিক সম্পর্ক করতে হবে। অনেকেই আছেন যারা জানার কারণে অনেক সময় সঙ্গীর পায়ুপথেও সঙ্গম করা শুরু করেন। এর ফলে যৌন রোগ ব্যাধি সৃষ্টি হতে পারে। বিভিন্ন কারণে এইডস হতে পারে তার মধ্যে থেকে একটি কারণ হলো একজনের ব্যবহৃত শিরিন্স বা নিডেল অন্যজনের ব্যবহার করার কারণে।
বর্তমান সময়ে আমরা যেমন পরিবেশের মধ্য দিয়ে বড় হচ্ছে সেই অনুযায়ী এইডস সম্পর্কে সকলকে সচেতন থাকা উচিত। এইডস একটি সংক্রমক রোগ এতে আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে থাকলে রোগীর ব্যবহৃত থালাবাসনে খাবার খেলে এর রোগ হতে পারে। এইডস কিভাবে হয়? সাধারণত এর আগে আক্রান্ত রোগীর শরীর থেকে নির্গত তরল , রক্ত , সিমেন , বুকের দুধ এর কারনে এ রোগ ছড়াতে পারে।

যৌন মিলনের ক্ষেত্রে যদি কনডম ব্যবহার করা না হয় সেক্ষেত্রে যৌনপাটনারের থেকে আরেকজনের শরীরে প্রবেশ করতে পারে এর রোগের জীবাণু।

এইডস কিভাবে হয় - এইডস হলে করনীয়

যেভাবে এইডস রোগে আক্রান্ত হয় মানুষ তা হলঃ আক্রান্ত নারী বা পুরুষের সঙ্গে খন্ড ব্যবহার না করে যৌন মিলন করলে এইডস রোগে আক্রান্ত হতে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তির কাছ থেকে রক্ত নিলে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার পরিমাণ ১০০% থাকে। এছাড়া আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত শিরিনস ব্যবহার করলে এ রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।

এইচআইভি বা এইডস এ আক্রান্ত হওয়ার সবচেয়ে বড় কারণগুলোর মধ্যে এগুলোই উল্লেখযোগ্য। এই রোগ হলে নির্ধারিত কেন্দ্র থেকে নিয়মিত ওষুধ সরবরাহ করতে হয় রোগীকে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হয়। বড়দের ক্ষেত্রে ট্যাবলেট সেবন করতে হয় এবং ছোটদের ক্ষেত্রে সিরাপ সেবন করতে হয়।
রোগীর যদি এ রোগের পাশাপাশি অন্য কোন রোগ থেকে থাকে সেক্ষেত্রে তাকে অবশ্যই হসপিটালে ভর্তি হয়ে সেই রোগের চিকিৎসা করাতে হবে।

এইডস এর উৎপত্তি

এইচআইভি ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত এইডস রোগের উৎপত্তি ঘটেছিল মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার প্রাইমেটদের মধ্যে। তবে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে এই ভাইরাসের মতোই অন্যান্য ভাইরাস গুলো বিভিন্ন সময় মানুষকে আক্রমণ করেছে বিভিন্ন সময়ে এবং এর কারণে প্রচুর মানুষ মৃত্যুবরণও করেছে। তবে এইচআইভি ভাইরাস এর প্রজাতির মধ্যে এইডস এমন এক ধরনের ভাইরাস যা খুবই মারাত্মক ও বিপদজনক।

এইডস বা এইচআইভি  কঙ্গোর কিনশাসায় ১৯২০ সালে মহামারীর আকার ধারণ করে। যার কারণে অনেক মানুষ মৃত্যুবরণ করেন। আক্রান্ত নারী বা পুরুষের সঙ্গে যৌন সঙ্গমের সময় যদি কনডম ব্যবহার করা না হয় সেক্ষেত্রে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হবেন একজন ব্যক্তি।

এইডস রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায় কত মাসে - এইডস রোগী কতদিন বাঁচে

বিশেষ করে এইচআইভি বা এইড সংক্রমনের দুই থেকে তিন মাসের মধ্যেই বিশেষ কিছু প্রাথমিক লক্ষণ ধরা পড়া শুরু হয়ে যায় তবে ব্যক্তি ভেদে লক্ষণগুলো বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। সংক্রমনের ছয় থেকে সাত মাস পরে যদি ওয়েস্টার্ন ব্লট টেস্ট করানো যায় সে ক্ষেত্রে রিপোর্ট সঠিক আসে। এই মহামারী কঙ্গোর রাজধানী কিনসাসাতে ১৯২০ সালের সর্বপ্রথম আক্রমণ করে। সেই সময় প্রায় প্রতি বছর 10 লক্ষ লোক যৌনপল্লীতে যাতায়াত করত। যার ফলে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন ও যৌন মিলনের ফলে এ রোগ সেই জায়গাতে মহামারির আকার ধারণ করে।

এইডস কিভাবে প্রতিরোধ করা যায় - এইডস এর ঔষধ

এইডস রোগের প্রতিকারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু হলো সঙ্গির প্রতি বিশ্বাস রাখতে হবে এছাড়া বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে এ এইডস রোগের ঝুঁকি বাড়ায় যার ফলে এমন সম্পর্ক তৈরি করা যাবে না। কনডম ব্যবহার করার অভ্যাস করতে হবে যৌন মিলনের ক্ষেত্রে যার ফলে যৌনবাহিত বিভিন্ন রোগ ও এইডস থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। শারীরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক আচরণ বজায় রাখতে হবে। একসিডেন্ট একাধিক বার ব্যবহার করা যাবে না।
অনেকেই জানেন না এইডস কিভাবে হয় এইচ হলে করণীয় কি এ সকল বিষয় নিয়ে। এইচআইভি ভাইরাস এর নাম অনেকেই শুনেছেন কিন্তু অনেকেই এ বিষয়ে নিয়ে সম্পূর্ণ জানেন না। ২০২০ সালের শেষের পরিসংখ্যান থেকে জানা যায় এই ৩৭৭ কোটি মানুষ এইচআইভি এতে আক্রান্ত রয়েছে ফলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ বিষয়টিকে একটি চ্যালেঞ্জ হিসাবে ধরেছে এবং জনগণকে সতর্ক করেছেন। চলতি বছরে এর ১৭ই জুলাই প্রায়  ৩৬৩ কোটিরও বেশি মানুষ বিশ্বজুড়ে এইডস রোগের কারণে প্রাণ হারিয়েছে। 

শেষ কথাঃ এইডস কিভাবে হয় - এইডস হলে করনীয়

আশা করি এইডস কিভাবে হয় এবং এইডস হলে করনীয় কি এ সম্পর্কে যথাযথ ধারণা প্রদর্শন করতে পেরেছি। আপনারা যারা এইডস কিভাবে হয় এবং এইডস হলে করনীয় কি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তাদের জন্য উপরের পোস্ট টি লেখা হয়েছে। এছাড়া এইডস কিভাবে হয় এবং এইডস হলে করনীয় কি এ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পোষ্ট টি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

এইডস কিভাবে হয় এবং এইডস হলে করনীয় কি এ সম্পর্কে কারো কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে সেই প্রশ্ন করতে পারেন।আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন এবং নতুন আপডেট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Rajrafi.com এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url