অ্যালোভেরার ১০ টি উপকারিতা - চুলে অ্যালোভেরার উপকারিতা

আপনি কি অ্যালোভেরার ১০ টি উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান? অ্যালোভেরা জুস রক্তে অক্সিজেনের ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে এবং প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখে। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা অ্যালোভেরার ১০ টি উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবো। এছাড়া চুলে অ্যালোভেরার উপকারিতা তুলনাহীন। আমাদের পাঠকদের মধ্য থেকে অনেকে রয়েছেন যারা অ্যালোভেরার ১০ টি উপকারিতা এবং চুলে অ্যালোভেরার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান।
অ্যালোভেরার ১০ উপকারিতা - চুলে অ্যালোভেরার উপকারিতা
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে অ্যালোভেরার ১০ টি উপকারিতা - চুলে অ্যালোভেরার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারবেন। চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে আসি অ্যালোভেরার ১০ টি উপকারিতা - চুলে অ্যালোভেরার উপকারিতা সম্পর্কে।

পেজ সূচিপত্রঃঅ্যালোভেরার ১০ টি উপকারিতা - চুলে অ্যালোভেরার উপকারিতা

অ্যালোভেরার ১০ টি উপকারিতা

  • হার্ট সুস্থ রাখে।
  • মাংসপেশী ও জয়েন্টের ব্যথা প্রতিরোধ করে।
  • ওজন হ্রাস করে।
  • ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
  • রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
  • চুল সুন্দর করে বা চুলে অ্যালোভেরার উপকারিতা অনেক ।
  • ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকারী ভূমিকা রাখে।
  • রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
  • শরীরের ক্ষতিকারক পদার্থ অপসারণ করে।
  • কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করে।

১. হার্ট সুস্থ রাখেঃঅ্যালোভেরার ১০ টি উপকারিতার মধ্যে প্রথম টি হল অ্যালোভেরার জুস হার্টকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। বর্তমান সময়ে অনেক মানুষ কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভোগেন।এ জুস খেলে কোলেস্টেরল কমে যায়। এটি রক্তের অক্সিজেন সঞ্চালন ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়, রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে এবং ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়া বিভিন্ন মাধ্যমে দূষিত রক্ত শরীর থেকে অপসারণ করে রক্তের কণিকা বৃদ্ধি করে এবং এন্টি বডি বৃদ্ধি করে। ফলে দীর্ঘদিন আপনার হৃদযন্ত্র বা হার্ট সুস্থ এবং সক্রিয় থাকে।
২.মাংসপেশী ও জয়েন্টের ব্যথা প্রতিরোধ করেঃঅ্যালোভেরার ১০ টি উপকারিতার মধ্যে দ্বিতীয় টি হল নিয়মিত অ্যালোভেরা খেলে মাংসপেশির ব্যথা কমে যায়। অপরদিকে এলোভেরা জেল তৈরি করে ব্যথা স্থানে লাগালে ব্যথা হতে হতে উপশম পাওয়া যায়। নিয়মিত অ্যালোভেরা জুস সেবন করলে লিগামেন্টের পিচ্ছিলতা বাড়ে এবং যোনির বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

৩.ওজন হ্রাস করেঃঅ্যালোভেরার ১০ টি উপকারিতা মধ্যে তৃতীয় টি হল বর্তমান সময়ে অতিরিক্ত ওজনের জন্য বিভিন্ন সমস্যায় ভোগেন পুরুষ এবং মহিলারা নিয়মিত অ্যালোভেরা জুস পান করলে ওজন কমাতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে আলোভেরা। একটি রিসার্চ থেকে জানা গেছে কণিক প্রদাহের কারণে শরীরে চর্বি বা মেদ জমে। অ্যালোভেরার জুস নিয়মিত পান করলে অ্যান্টি ইনফ্লামেনটরি প্রদাহ রোধ করে এবং ওজন হ্রাস করে থাকে। এই জন্য পুষ্টি বিজ্ঞান বলেন যারা ডায়াবেটিকস রোগে আক্রান্ত তারা তাদের প্রতিদিনের খাবারের মধ্যে যেন অ্যালোভেরা জুস রাখেন।

৪.ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করেঃ অ্যালোভেরার ১০ টি উপকারিতা এর মধ্যে চতুর্থ টি হল অ্যালোভেরার জুস রক্তের সুগারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে এবং দেহের রক্ত সঞ্চালন ক্ষমতা নিয়ন্ত্রনে রাখে।ডায়াবেটিকস কে প্রতিটি রোগের মা বলা হয়। ডায়াবেটিকস হলে নিয়মিত যদি অ্যালোভেরা জুস পান করা যায় তাহলে এটি কন্ট্রোলে রাখা সম্ভব। সুতরাং যাদের ডায়াবেটিকস শক্তি রয়েছে তারা নিয়মিত খাবার আগে এ জুটি পান করতে পারেন তাহলে আপনি ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রনে রাখতে পারবেন।
এছাড়া দেহের দুর্বলতা দূর করতে অ্যালোভেরা জুস বিশেষ ভূমিকা রাখে শরীরে ল্যাকটিক এসিডের পরিমাণ কমিয়ে দিয়ে শরীর সবল রাখতে সাহায্য করে। আপনি যদি নিয়মিতভাবে অ্যালোভেরার জুস পান করার অভ্যাস করতে পারেন তাহলে দেহের ক্লান্তি তো দূর হবেই দেহ সতেজ এবং ত্বক সুন্দর থাকবে কারণ আলভেরাতে এক বিশেষ ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য রয়েছে যা আমাদের শরীরকে সবল রাখতে সাহায্য করে।

৫.রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করেঃঅ্যালোভেরার ১০ টি উপকারিতা এর মধ্যে পঞ্চম টি হল আলোভেরা তে রয়েছে অ্যান্টি ম্যাইকোবিয়াল এবং অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদান। অ্যালোভেরার জুস প্রতিদিন পান করলে শরীরের বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।এছাড়া দেহের টক্সিক উপাদানসমূহ দূর করে দেহকে সতেজ ও সুন্দর রাখতে অ্যালোভেরা সাহায্য করে।

৬.চুল সুন্দর করেঃ অ্যালোভেরার ১০ টি উপকারিতা এর মধ্যে ষষ্ঠ টি হল চুলে অ্যালোভেরার উপকারিতা অনেক।অ্যালোভেরার গুনাগুন অনেক যা বলে শেষ করা যাবে না। মাথার খুশকি দূর করতে এটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে। ঝলমলে লম্বা চুলের জন্য এলোভেরা খুবই উপকারী এটি চুলের পুষ্টিহীনতা থেকে চুলকে রক্ষা করে এবং চুলের শেখর কে মজবুত করে। বর্তমান সময়ে বিভিন্নভাবে অ্যালোভেরার তেল তৈরি করা যায় । যা চুলকে ঘন মজবুত এবং লম্বা করে তোলে। সুতরাং বলা যেতে পারে যারা চুলের যত্নে বিভিন্ন তেল ব্যবহার করে তাদের একবার হলেও অ্যালোভেরা জেল বা তেল চুলে ব্যবহার করে দেখা উচিত।
৭.ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকারী ভূমিকা রাখেঃঅ্যালোভেরার ১০ টি উপকারিতা এর মধ্যে সপ্তম টি হল ক্যান্সার গবেষকরা গবেষণায় দেখেছেন অ্যালোভেরা তে রয়েছে অ্যালো ইমোডিন যা স্তন ক্যান্সার হতে দেয় না। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার বা টিউমারের রোগ এর সাথে মোকাবেলা করে এ সকল রোগ থেকে দেহকে সুস্থ রাখে।

৮.রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করেঃঅ্যালোভেরার ১০ টি উপকারিতা এর মধ্যে অষ্টম টি হল অ্যালোভেরার বিভিন্ন ধরনের গুণ রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ বা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া নিয়মিত অ্যালোভেরা জুস পান করলে ভালো ভেড়ার ওষধিগুণ রক্তচাপ কমিয়ে দেয়। এছাড়া অ্যালোভেরা নিয়মিত পান করলে কোলেস্টরেল এবং চিনির মাত্রা শরীরে স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।

৯.শরীরের ক্ষতিকারক পদার্থ অপসারণ করেঃ অ্যালোভেরার ১০ টি উপকারিতা এর মধ্যে নবম টি হল ক্ষতিকর বিভিন্ন জীবাণু দেহের মধ্যে প্রবেশ করে বিভিন্ন ধরনের রোগ সৃষ্টি করতে পারে যা দেহের জন্য কুফল বয়ে আনে। এসকল ক্ষতিকর পদার্থ দেহ থেকে থেকে অপসারণ করে অ্যালোভেরা। যদি অ্যালোভেরার জুস নিয়মিত খাওয়া যায় তাহলে ক্ষতিকর জীবাণু শরীরে প্রবেশ করলে তা দমনে এটি কার্যকারী ভূমিকা প্রদান করে এবং শরীরের এন্টি বডি বৃদ্ধি করে দেয়। এছাড়া অ্যালোভেরার জুস নিয়মিত সেবন করলে প্রাকৃতিক ভাবে শরীরে যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি করে।

১০.কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করেঃ অ্যালোভেরার ১০ টি উপকারিতা এর মধ্যে দশম টি হল অ্যালোভেরার মধ্যে এক ধরনের বিশেষ জেল থাকে এই জেলের গুণগতমান অনেক। এইযেল নিয়মিত পান করলে পেটের পীড়াসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। সুষম খাদ্যের পাশাপাশি যদি নিয়মিত আলোভেরা রস বা শরবত খাওয়া যায় তাহলে কোষ্ঠকাঠিন্য পেটের পীড়া থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
এছাড়া অ্যালোভেরাতে রয়েছে ২০ রকম অ্যামিনো অ্যাসিড যা ইনফ্লামেশন এবং ব্যাকটেরিয়া ব্যাকটেরিয়া রোধ করে কিরমি হতে দেয় না এবং বুকের জ্বালাপোড়া সমস্যা দূর করে। এছাড়া যারা অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভোগেন তাদের জন্য এটি একটি প্রাকৃতিক রেডি হতে পারে।

চুলে অ্যালোভেরার উপকারিতা

চুলে অ্যালোভেরার উপকারিতা অনেক। অ্যালোভেরা নিয়মিত চুলে ব্যাবহার করলে চুল ঘন ও শক্ত ও মজবুত হয়ে থাকে। এছাড়া অ্যালোভেরা চুলের খুশকি দূর করতে কার্যকারী ভূমিকা রাখে। চুল রুক্ষ শুষ্ক ভাব অ্যালোভেরা দূর করে থাকে। মাথার স্কাল্পে পুষ্টি ধারণক্ষমতা নিয়মিত আলোভেরা ব্যবহারে বৃদ্ধি পায়। অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করলে মাথার চুলকানি বা ত্বকের চুলকানি কমে যায়। এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান চুল পড়া বন্ধ করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

চুলের গোড়া মজবুত রাখে। এছাড়া অ্যালোভেরার রস এর সাথে আমলকির রস মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করলে চুল ঘন কালো হয় এবং চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। এছাড়া সাপ্তাহে তিনদিন অ্যালোভেরা তেল ইউজ করলে ত্বক টানটান এবং উজ্জ্বল মসৃণ হয়। এছাড়া অ্যালোভেরা তেল চুলে ইউজ করলে চুলের ড্যামেজ কমে গিয়ে চুল সতেজ হয়ে উঠে।

অ্যালোভেরা মুখে মাখলে কি হয় - রূপচর্চায় অ্যালোভেরার ব্যবহার

অ্যালোভেরা জেল ত্বকের যত্নে খুবই উপকারী। কিন্তু বাজারে বিভিন্ন ধরনের অ্যালোভেরা জেল পাওয়া যায় যা তর্কের উপকারের চেয়ে অপকার বেশি করে কারণ এটি বিভিন্ন কেমিক্যাল এর মিশ্রণে তৈরি করা হয়। তাই ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায় এলোভেরা জেল তৈরি করে ত্বকে ব্যবহার করলে ফলাফল বেশি ভালো পাওয়া যাবে। ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরা খুবই উপকারী একটি প্রাকৃতিক উপাদান।

রোদে পোড়া ভাব, বিভিন্ন ধরনের দাগ দূর করতে, অতিরিক্ত ব্রণের উপদ্রব কমাতে আলোভেরা কার্যকারী ভূমিকা প্রদান করে। যাদের ত্বক খুবই সংবেদনশীল তারা কোন প্রকার কেমিক্যাল জাতীয় ক্রিম ব্যবহার করবেন না। সর্বোচ্চ নাইট ক্রিম হিসাবে ঘরোয়া উপায়ে বানানো অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন। যদি আপনি নিয়মিত অ্যালোভেরা ব্যবহার করে থাকেন।
তাহলে বাড়িতে কিছু গাছ লাগাতে পারেন এতে যেমন বাড়ির সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে। তেমনি প্রতিদিন তরুতাজা অ্যালোভেরা পাতা আপনি পাবেন। অ্যালোভেরা মুখে লাগানোর পূর্বে পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে ধৌত করে নিন। এরপরে অ্যালোভেরা পাতা থেকে জেল সংগ্রহ করে তুলোর সাহায্যে পুরো মুখে লাগিয়ে নিন। সম্পূর্ণভাবে অ্যালোভেরা জেল আপনার মুখমন্ডলের ত্বকে শোষণ করে নিলে পুনরায় ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

এভাবে নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বক হবে দাগ মুক্ত এবং দিন দিন উজ্জলতা ভাবে বৃদ্ধি। তুলো বা সুতি কাপড় ছাড়া অন্য কিছু দিয়ে এলোভেরা জেল মুখে লাগানো ঠিক নয়। পুরো শরীরের যেকোনো স্থানে ক্ষত হলে এক ধরনের দাগ হয় এবং অমসৃণ হয়ে থাকে ত্বক । ক্ষতস্থানে নিয়মিত অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করলে ক্ষত স্থানে দাগ দূর হয় এবং ক্ষতস্থান মসৃন হয়ে যায়। রুপচর্চায় অ্যালোভেরার ব্যবহার করে থাকে বেশিরভাগ মেয়েরা।

অ্যালোভেরা জেল বানানোর পদ্ধতি

অ্যালোভেরা জেল বানানোর পদ্ধতি খুব সহজ। প্রথমে একটি বড় বাটি ছুরি-চামচ কাচের বয়াম এবং কিছু অ্যালোভেরা পাতা প্রয়োজন হবে। সর্বপ্রথমে হাত ব্যবহার্য বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে যেন তাতে জীবাণু না থাকে। এরপরে আমাদের কাজ শুরু হবে প্রথমে অ্যালোভেরা টুকরো টুকরো করে নিতে হবে। তবে আলোভেরার গোড়ার দিকে পরিপক্ক থাকে এবং সেখানে জেল বেশি থাকে সেই জায়গাটুকু নিলে বেশি ভালো হয়।

পাতা টুকরো টুকরো করে নেওয়ার পরে দেখা যাবে পাতা থেকে এক ধরনের হলুদ রস বের হচ্ছে। কালচে হলুদ রঙের রস বের হওয়ার জন্য 10 থেকে 15 বা মিনিট 20 মিনিট সময় রেখে দিতে হবে যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর।বিশেষজ্ঞদের মতে এই রসে  লেটেক্স থাকে যা ত্বকে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করতে পারে। রস বের হয়ে গেলে দ্বিতীয়বারের মতো ভালোভাবে অ্যালোভেরা ধুয়ে নিতে হবে এবং একটি চামচ বা ছুরি দিয়ে পাতার সবুজ অংশ থেকে জেল বের করে নিতে হবে।
পরিষ্কার কাচের পাত্রে রাখতে হবে। এবার জেল যেন নষ্ট হয়ে না যায় সে জন্য প্রাকৃতিক সংরক্ষক হিসেবে ভিটামিন সি পাউডার ব্যবহার করতে হবে বা মিশাতে হবে। মিশ্র না হওয়া পর্যন্ত মেশানো কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে। এরপর মিশ্রণটি সংরক্ষণ করে দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যেতে পারে। 

অ্যালোভেরা তেল তৈরির  নিয়ম বা পদ্ধতি

অ্যালোভেরা তেল তৈরি করতে সর্বপ্রথম আমাদের কিছু উপকরণ প্রয়োজন হবে যা হলো পেঁয়াজ কুচি বাসাতে তৈরিকৃত অ্যালোভেরা জেল ও আধা কেজির মতো বিশুদ্ধ নারিকেল তেল। যদি আপনার কাছে আলোভেরা জেল না থাকে তাহলে অ্যালোভেরা পাতা থেকে সর্বপ্রথম আপনাকে জেল সংগ্রহ করতে হবে। এরপর একটি পাত্র  গরম করতে দিন।

সেই পাত্রে নারিকেল তেল গুলো দিয়ে দিন। মনে রাখতে হবে সোলার আগুন মাঝারি অবস্থায় রাখতে হবে।এরপর পেঁয়াজকুচি গুলো পাটা বা ব্লেন্ডারের মাধ্যমে মিহি গুঁড়ো করে নিতে হবে এবং একটি পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ছেঁকে নিতে হবে। গরম তেলের মধ্যে পেঁয়াজের রস এবং অ্যালোভেরা জেল গুলো দিয়ে দিতে হবে।যদি আপনার কাছে অ্যালোভেরা জেল না থাকে সে ক্ষেত্রে অ্যালোভেরা পাতা কিউব করে কেটে তেলের মধ্যে দিতে হবে।
এরপর 10 থেকে 15 মিনিট ঊর্ধ্বে 20 মিনিট জ্বাল করতে হবে ।যখন অ্যালোভেরা নিঃসৃত তেল বা অ্যালোভেরার পাতা লালচে হয়ে যাবে তখন মিশ্রনটিকে চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করে নিন এরপরে সেই মিশ্রণকে পরিষ্কার বোতলে সংরক্ষণ করে দীর্ঘদিন ব্যবহার করতে পারেন। চুলের যত্নে এই তেলটি খুবই উপকারী।

সপ্তাহে তিন থেকে চারদিন এই তেল ব্যবহার করলে চুল ঘন ও মজবুত এবং সুন্দর হয়ে উঠবে। চুলে এলোভেরার উপকারিতা অনেক কারণ অ্যালোভেরা ইনগ্রেডিয়েন্ট চুলকে ঘন ও মজবুত এবং খুশকি মুক্ত রাখে। এছাড়া চুলে অ্যালোভেরার উপকারিতা এর মধ্যে অন্যতম হলো এটি চুলের গোড়ায় পুষ্টি যোগায় ফলে চুল হয় এবং মজবুত। এছাড়া চুলে অ্যালোভেরার উপকারিতা এর মধ্যে দ্বিতীয় নাম্বারে যেটি আছে সেটি চুলের ডগা ফাটার সমস্যা দূর করে।

শেষ কথাঃ অ্যালোভেরার ১০ টি উপকারিতা

আপনারা যদি অ্যালোভেরার ১০ টি উপকারিতা - চুলে অ্যালোভেরার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তাদের জন্য উপরের পোস্ট টি লেখা হয়েছে।এছাড়া আপনার যদি অ্যালোভেরার ১০ টি উপকারিতা - চুলে অ্যালোভেরার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পোষ্ট টি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন এবং নতুন আপডেট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Rajrafi.com এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url