ক্রিপটো কারেন্সি কি - ক্রিপ্টোকারেন্সি বাংলাদেশ

আজ আমরা আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব ক্রিপটো কারেন্সি কি এবং ক্রিপটো কারেন্সি বাংলাদেশ সম্পর্কে। ক্রিপটো কারেন্সি হলো একটি ডিজিটাল মুদ্রা যার নিরাপত্তা জন্য ক্রিপ্টোগ্রাফি ব্যবহার করে থাকে। আমাদের পাঠকদের মধ্য থেকে অনেকে প্রশ্ন করেন ক্রিপটো কারেন্সি কি এ সম্পর্কে। চলুন বিস্তারিতভাবে আলোচনা করে আসি ক্রিপটো কারেন্সি কি এ বিষয়ে।
ক্রিপটো কারেন্সি কি - ক্রিপ্টোকারেন্সি বাংলাদেশ
অনেকেই আছেন যারা ক্রিপটো কারেন্সি কি এবং এটি কিভাবে কাজ করে এ সম্পর্কে জানতে চান তাদের জন্য আর্টিকেলটি লিখা হয়েছে । কিছু পদক্ষেপ ফলো করার মাধ্যমে ক্রিপটো কারেন্সি নিয়ে কিভাবে কাজ করে এবং ক্রিপটো কারেন্সি কি এ সম্পর্কে সকল তথ্য জানতে পারবেন। চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে আসি ক্রিপটো কারেন্সি কি এ সম্পর্কে।

পেজ সূচিপত্রঃক্রিপটো কারেন্সি কি - ক্রিপ্টোকারেন্সি বাংলাদেশ

ক্রিপটো কারেন্সি কি - ক্রিপ্টোকারেন্সি বাংলাদেশ

ভার্চুয়াল জগতে ক্রিপটো কারেন্সি কে আমরা গোপনঅর্থ বলে থাকি । ভার্চুয়াল বা অনলাইন জগতে ক্রিপটো কারেন্সি হল এমন একটি মুদ্রা যার লেনদেন সম্পূর্ণ গোপন থাকে এবং লেনদেন কারি ছাড়া তৃতীয় কোন ব্যক্তি এ সম্পর্কে অবগত থাকে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের মতে ক্রিপটো কারেন্সির মালিকানা সংরক্ষণ লেনদেন সহ যাবতীয় কাজ কোন ধরনের ক্রাইম এর মধ্যে পড়ে না। কিছুদিন আগে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে পাঠানোর চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ এ মতামত পোষণ করেন।

ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে আয় - ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসা কি হালাল

ক্রিপটো কারেন্সি সম্পর্কে জানতে হলে সর্বপ্রথম জানতে হবে ট্রেডিং কি এ বিষয়ে। ট্রেডিং হলো এমন একটি জনপ্রিয় মাধ্যম যেখান থেকে ক্রিপটো কারেন্সি ব্যবহার করে অর্থ উপার্জন করা যায়। ভার্চুয়াল জগতের এমন এক ধরনের ব্যবসা এটি যার মাধ্যমে কিছু প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। এ ব্যবসার নিয়ম হলো ট্রেডাররা ট্রেডিং এর সময় বিভিন্ন প্যাটার্নস ও প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে তা সনাক্ত করে ।

সে অনুযায়ী নিজের অর্থ ট্রেডিংয়ে লাগায় যার ফলে প্যাটার্ন যদি সঠিক দিক প্রদর্শন করে সেক্ষেত্রে ট্রেডারের লভ্যাংশ উঠে আসে। ক্রিপটো কারেন্সি ব্যবসায় আরেকটি পদ্ধতি হলো মাইনিং। ব্লকচেন নেটওয়ার্কে লেনদেন যাচাই করতে এবং ক্রিপটো কারেন্সি আকারে পুরস্কার অর্জন করতে মাইনিং ব্যবহার করা হয়। এই পদ্ধতিতে অর্থ উপার্জন করতে হলে হার্ডওয়্যার ও বিদ্যুতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে প্রযুক্তি জ্ঞান থাকা ও বিনিয়োগ করা প্রয়োজন।
যে ব্যবসায় লাভ ক্ষতি দুইটাই বিদ্যমান থাকে এবং হালাল অর্থ এবং সততার সাথে ব্যবসা করা হয় সেটা হল হালাল ব্যবসা। যেহেতু তৃপ্ত কারেন্সি ব্যবসায় লাভ ক্ষতি দুটোই রয়েছে সে ক্ষেত্রেটি হালাল হিসাবে গণ্য করা যাবে।

ক্রিপ্টোকারেন্সি বিনিয়োগ - ক্রিপ্টোকারেন্সি কিভাবে কাজ করে

ক্রিপটো  কারেন্সি এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে ক্রিপটো কারেন্সি ট্রেডিং। আমাদের পাঠকদের মধ্যে থেকে অনেকেই আছেন যারা ক্রিপটো কারেন্স ট্রেডিং এর সঙ্গে জড়িত। তাদের এ সম্পর্কে নতুন কিছু বলার নেই। ট্রেডিং কে অনলাইনের ভাষ্যমতে স্বল্প মেয়াদী বিনিয়োগ বলা হয়ে থাকে। বিভিন্ন সময় আমরা অর্থ বিনিয়োগ করে থাকি পাঁচ বছর বা ১০ বছরের জন্য।

ভার্চুয়াল জগতে একই পদ্ধতিতে কিছু ব্র্যান্ড বা প্রতিষ্ঠানের উপর স্বল্প সময়ের জন্য অর্থ বিনিয়োগ করাকেই ট্রেডিং বলা হয়ে থাকে। ক্রিপটো কারেন্সি হল এক ধরনের ডিলার কারেন্সি যা কোন সরকার বা প্রতিষ্ঠান উৎপাদন করে না। এটি বিভিন্ন হার্ডওয়ারের মাধ্যমে মাইনিং করতে হয়। মাইনিং প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন জটিল এলগরিদম ব্লগ এবং ক্রিপ্টোগ্রাফি যার মাধ্যমে এক একটি কয়েন বা ক্রিপটো কারেন্সি তৈরি হয়।

ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে কিভাবে অর্থ উপার্জন করা যায় 

ক্রিপটো কারেন্সি ব্লগ চেন আকারে কাজ করে থাকে। ক্রিপটো কারেন্সি লেনদেনের ডিজিটাল লেজার নিশ্চিত করে এবং একই মুদ্রা দ্বিতীয়বার ব্যবহার করা হয় না এই প্রক্রিয়ায়। অসংখ্য মেশিনের সমন্বয়ে ব্লক চেন তৈরি করা হয়। যা নেটওয়ার্কের লেনদেন প্রক্রিয়া গঠন করতে সহায়তা করে। এছাড়া এই মেশিনগুলোর সংমিশ্রণে বিনিময় মালিকরা কারেন্সি উপার্জন করে।

ক্রিপ্টোকারেন্সি কত প্রকার - ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রথম আলো

ক্রিপটো কারেন্সির মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি কয়েন হলো বিটকয়েন। তবে অধিকাংশ ক্রিপটো কারেন্সি এর মতোই এটিও ব্লক চেন ব্যবহার করে থাকে। বর্তমানে অনলাইন মার্কেটে অ্যাভেলেবল সকল ভার্চুয়াল কয়েন এর মধ্যে বিটকয়েন সবচেয়ে সুরক্ষিত ও নিরাপদ কয়েন হিসেবে বিবেচিত। পাঁচ বছর আগে একটি বিটকয়েনের দাম ৫০০ ডলার ছিল। 
বর্তমানে বৃদ্ধি পেয়ে ৪৫ হাজার মার্কিন ডলার হয়েছে। ইথেরিয়াম এমন এক ভার্চুয়াল কারেন্সি যা ব্লকচেন এর মাধ্যমে ক্রিপটো কারেন্সি আকারে লেনদেন করা হয়। ঠিক তেমনি আরেকটি ক্রিপ্টোকারেন্সি ইথেরিয়াম। পাঁচ বছর পূর্বে  ইথেরিয়াম বাজার মূল্য ছিল ১১ মার্কিন ডলার কিন্তু তা বৃদ্ধি পেয়ে তিন হাজার মার্কিন ডলার হয়েছে বর্তমান সময়ে , নতুন বছরের শুরুতে আবারও এর দাম বাড়বে বলে আশা করা যাচ্ছে।

শেষ কথাঃ ক্রিপটো কারেন্সি কি - ক্রিপ্টোকারেন্সি বাংলাদেশ

আশা করি ক্রিপটো কারেন্সি কি এ সম্পর্কে যথাযথ ধারণা প্রদর্শন করতে পেরেছি। আপনারা যারা ক্রিপটো কারেন্সি কি এবং ভার্চুয়াল কয়েন কিভাবে কাজ করে  সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তাদের জন্য উপরের পোস্ট টি লেখা হয়েছে। এছাড়া  ক্রিপটো কারেন্সি কি এবং ক্রিপটো কারেন্সি বিনিয়োগ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পোষ্ট টি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

ক্রিপটো কারেন্সি কি এবং এর ব্যবহার সম্পর্কে কারো কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে সেই প্রশ্ন করতে পারেন। আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন এবং নতুন আপডেট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Rajrafi.com এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url