এক রাতে কতবার মিলন করা যায় - শারীরিক সম্পর্ক করলে কি হয়

আজ আমরা আলোচনা করতে চলেছি এক রাতে কতবার মিলন করা যায় এ বিষয় নিয়ে। আমাদের পাঠকদের মধ্য থেকে অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন এক রাতে কতবার মিলন করা যায় এ সম্পর্কে। যারা স্বাভাবিক যৌন উত্তেজনার মানুষ তারা ২৪ ঘন্টায় একবার ইন্টিমেট হয়ে থাকেন। আর যাদের যৌন উত্তেজনা একটু বেশি তারা ২৪ ঘন্টায় ২ বার বা তিনবার ইনটিমেট হয়ে থাকেন। চলুন বিস্তারিতভাবে আলোচনা করে আসি এক রাতে কতবার মিলন করা যায় এবং শারীরিক সম্পর্ক করলে কি হয় এ সম্পর্কে।
এক রাতে কতবার মিলন করা যায় - শারীরিক সম্পর্ক করলে কি হয়
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে শারীরিক সম্পর্ক না করলে কি হয় এবং এক রাতে কতবার মিলন করা যায় এ সম্পর্কে জানতে পারবেন।

চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে আসি এক রাতে কতবার মিলন করা যায় এবং শারীরিক সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী করার উপায় সম্পর্কে। এক রাতে কতবার মিলন করা যায় এবং এটি কিভাবে করা সম্ভব এ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে আজকের এই আর্টিকেলের ভিতরে।

পেজ সূচিপত্রঃ এক রাতে কতবার মিলন করা যায় - শারীরিক সম্পর্ক করলে কি হয়

এক রাতে কতবার মিলন করা যায় - শারীরিক সম্পর্ক করলে কি হয়

অনেক নারী পুরুষ উভয়ের মনে প্রশ্ন থাকে এক রাতে কতবার মিলন করা যায় এ সম্পর্কে।সহবাস বা সেক্স নিয়ে প্রথমবার বিভিন্ন মানুষের মনে বিভিন্ন ধরনের অনুভূতি কাজ করে থাকে এবং এর ধারণা ভিন্ন রাখেন বিভিন্ন মানুষ। যাদের শরীরের স্বাভাবিক যৌন উত্তেজনা রয়েছে তারা ২৪ ঘন্টায় একবার মিলন করেন। কিন্তু যাদের শরীরে সেক্স একটু বেশি তারা ২৪ ঘন্টায় দুইবার সেক্স করে থাকে।

যে সকল কাপলদের শরীরে সেক্সুয়াল হরমোন একটু পরিমাণে বেশি থাকে তারা অনেক ক্ষেত্রে দিনে তিন থেকে চারবার ও মিলন করে থাকে তবে এটি অনেকটা রেয়ার। একটি রিসার্চে দেখা গিয়েছে যারা দিনে দুই থেকে তিনবার সেক্স করেন তারা লাইফটাকে একটু অন্যভাবে ইনজয় করার ট্রাই করেন। এছাড়া যে সকল কাপলদের মধ্যে নিয়মিত সেক্স হয় তাদের জীবনে সমস্যা একটু কম ফেস করতে হয়। এর মূল কারণ হলো সেই সকল দম্পতির মধ্যে আন্ডারস্ট্যান্ডিংটা অনেক ভালো হয়।
যারা নিয়মিত দুই থেকে তিনবার মিলন করেন তাদের কিছু বিষয় অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে তার মধ্যে একটি হলো যৌনতা কোন অসুখ নয় এটি কে নিজের আনন্দ এবং সুখ পর্যন্ত রাখাটা আপনার দায়িত্ব ও কর্তব্য। অপরদিকে অতিরিক্ত মিলনের ফলে শরীর নিস্তেজ হয়ে যেতে পারে। একাধিকবার সেক্স করার ফলে লিঙ্গ ব্যথা হয়ে ওঠে যার ফলে সুখ অনুভব করার পরিবর্তে অশান্তি বিরাজ করে শরীরে।

যদিও পুরুষ ২৪ ঘন্টায় ৪ থেকে ৫ বার বীর্য ত্যাগ করতে পারে কিন্তু এ কাজ করলে সারাদিন শরীর নিস্তেজ হয়ে থাকবে এবং প্রচন্ড খিদা লাগবে এবং দুর্বল অনুভব হবে। প্রতিটি সময়ে আমাদের জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। একটি নির্দিষ্ট সময় রয়েছে যে সময় পরে শরীরের চাহিদা পূরণ করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ শারীরিক মিলনের মাধ্যমে। 

সঠিক সময় যদি মিলন করা যায় সে ক্ষেত্রে শরীরের নানা সমস্যা দূর হয় এর মাধ্যমে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সেক্সের মাধ্যমে বৃদ্ধি পায়। অপরদিকে ভালো সেক্স ব্যায়ামের কাজ করে থাকে।

বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্ক করলে কি হয় - হঠাৎ শারীরিক মিলন বন্ধ করলে মেয়েদের কি হয়

অনেক সময় শারীরিক আনন্দ উপভোগ করার জন্য হোক বা এক্সপেরিয়েন্স করার জন্য হোক না কেন বিয়ের আগেই শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন অনেক ছেলে ও মেয়ে। সে সকল ছেলে মেয়ের যখন বিয়ে হয় তখন হয়তোবা তাৎক্ষণিকভাবে কোন কিছু বুঝতে না পারলেও পরবর্তীতে গল্পে গল্পে বা সময়ের পরিবর্তনে এটি একসময় বের হয়ে আসে যা ভবিষ্যতের জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়।

এইজন্য এক্সপেরিয়েন্স করার ইচ্ছা করলেও নিজেকে কন্ট্রোল করে এটি থেকে নিজেকে দূরে রাখা উত্তম। এর মূল কারণ হলো ছোট্ট একটি বিষয় দাম্পত্য জীবনে কলহর সৃষ্টি করতে পারে। এমনকি এটি বিচ্ছেদেরও কারণ হতে পারে। তবে যদি এটি আপনি ভুল ভবিষ্যৎ করে থাকেন হবু শামি বা হবু স্ত্রীর কাছে বিয়ের আগেই এটি কনফারেন্স করা উত্তম।
নতুন মানুষটি যদি এর পরেও আপনাকে মেনে নিতে পারে সেক্ষেত্রে আপনার দাম্পত্য জীবন সুখময় হবে। হঠাৎ করে যদি কোন নারীর সেক্স বন্ধ হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে নারী দুর্বল হয়ে পড়তে পারেন। এমনকি ইউরিন নারীতে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হয়। এছাড়া অনেক ক্ষেত্রে প্রস্রাবে ইনফেকশন শুরু হয়ে যায় এবং প্রস্রাবে জ্বালা শুরু করে।

শারীরিক সম্পর্ক কিভাবে করতে হয় - শারীরিক সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী করার উপায়

সেক্স করার পূর্বে একটি বিষয়ে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে যে আপনার সঙ্গী আপনার সঙ্গে এখন যৌন মিলনে লিপ্ত হতে ইচ্ছুক কি না। এছাড়া অবাঞ্চিত প্রেগনেন্সি এড়ানোর জন্য অবশ্যই প্রটেকশন ব্যবহার করতে হবে। প্রটেকশন ব্যবহার না করলে পরবর্তীতে পিল খেতে হবে জা অনেক সময় মহিলাদের স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে।

অপরদিকে এমনিতে শরীরের জন্য ঔষধ কখনোই ভালো নয়। প্রতিটি ওষুধের কিছু না কিছু সাইড ইফেক্ট হয়েছে। এই জন্য অবশ্যই অবন্তিত প্রেগন্যান্সি এড়ানোর জন্য প্রটেকশন ব্যবহার করতে হবে। যে মানুষের প্রতি আপনি মেন্টালি সংযুক্ত সে মানুষের সঙ্গে মিলন করার চেষ্টা করতে হবে। নিজে এবং সঙ্গীকে দুইজনকেই কম্ফোর্টেবল পজিশনে মিলন করার চেষ্টা করতে হবে। এছাড়া কোন তাড়াহুড়া করা যাবে না এই সময়।
ধীর স্থিরতার সাথে তৃপ্তি সহকারে সেক্স করতে হবে। আপনি নিজে শারীরিক শান্তি অনুভব করুন এবং আপনার পার্টনারকে সম্পূর্ণ শারীরিক শান্তি অনুভব করানোর ট্রাই করুন। শুধুমাত্র আপনার শারীরিক প্রশান্তি অনুভব করাটাই মূর্খ বিষয় নয়। আপনার পার্টনার যেন মিলনের সময় কষ্ট না পায় সেদিকে আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

এছাড়া পারস্পারিক পছন্দকে অবশ্যই সম্মান জানাতে হবে এবং সেক্স করার পূর্বে আপনাকে এটি শিওর হতে হবে যে আপনার পার্টনার এখন সেক্স করার জন্য প্রস্তুত কি না বা তিনি এখন সেক্স করতে চাচ্ছেন কি না। অনেকেই আছেন যারা উচ্চ প্রত্যাশা করে ফেলেন সেক্স নিয়ে এটি শরীরের জন্য বিপদজনক হতে পারে এবং আপনাকে নিরাশ করে দিতে পারে।
সেক্স করার সময় অবশ্যই পজিশন সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখতে হবে। কারণটির কারণে অনেক ক্ষেত্রে সঙ্গী ব্যথা অনুভব করেন। আপনি যদি একজন মহিলা হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে গর্ভনিয়ন্ত্রণ এর ওপর নির্ভর না করে সঙ্গীকে প্রটেকশন ব্যবহার করতে উৎসাহিত করুন। এতে আপনি সুস্থ থাকবেন এবং অল্প সময়ের জন্য হলেও যে সমস্যাটা সৃষ্টি হয় গর্ভনিযন্ত্র সেবনের মাধ্যমে সেটি হবে না।

অবশ্যই একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে ঋতুস্রাবের সময় সঙ্গম থেকে দূরে রাখতে হবে নিজেকে এবং পার্টনার কে। কারণ অনেক সময় ঋতুস্রাব চলাকালীন সেক্স করলে এটি সংক্রমনের সৃষ্টি করতে পারে। বেশিক্ষণ ধরে সেক্স করার প্রক্রিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত এবং প্রাচীন একটি প্রক্রিয়ার নাম হল বিরাম।

এ প্রক্রিয়ায় যখন বীর্য বের হওয়ার উপক্রম হবে তখন আপনার কার্য স্টপ করে দিন কিছুক্ষণের জন্য। এ সময় আপনি লিঙ্গ যোনি থেকে বের করে নিতে পারেন অথবা যোনিতে রেখেই কার্যক্রম স্থির রেখে অন্যমনস্ক হয়ে যেতে হবে। যখন বীর্যের চাপটা কমে যাবে তখন পুনরায় সেক্স শুরু করতে পারেন। এক্ষেত্রে বীর্য পাতের সময় বৃদ্ধি পায়।

শারীরিক সম্পর্ক না করলে কি হয় - প্রথমবার শারীরিক সম্পর্ক করার নিয়ম

সম্পর্কের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে শারীরিক মিলন। এছাড়া শারীরিক মিলন এর ফলে দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং দুর্বল হয়ে যাওয়া শরীরেও তন্দুরস্ত হয়ে উঠতে শুরু করে। নিয়মিত সেক্স না করলে মহিলাদের যৌনাঙ্গের অবনতি এবং যৌন ক্ষমতা অনেকটা কমে যেতে পারে। এছাড়া প্রথম বার সঙ্গমের ক্ষেত্রে ব্যথা মুক্ত যৌন মিলন হবে এর কোন নিশ্চয়তা নেই। তবে কিছু নিয়ম মানার ফলে এ ব্যথা কিছুটা কমানো যেতে পারে।

যৌন সম্পর্কের আগে বা যৌন মিলনের আগে অবশ্যই পার্টনারের সঙ্গে কথা বলে কিছু বিষয়ে শিওর হতে হবে। যখন দুজনার আলোচনা শেষ হয় তখন একদিকে যেমন দুজনার মনের উদ্বেগ শেষ হয়। অপরদিকে একজন অপরজনকে ভালোভাবে চিনতে পারে৷ জনিতে লিঙ্গ প্রবেশ করানোর পূর্বে অবশ্যই যোনিকে পিচ্ছিল হতে হবে না হলে মিলন যন্ত্রণাদায়ক হতে পারে।
জনি পিচ্ছিল করার জন্য সর্বপ্রথমে আপনার যতটুকু অভিজ্ঞতা রয়েছে তার মাধ্যমে আপনার পার্টনারকে উত্তেজিত করার চেষ্টা করুন ৷ যখন জনি পিচ্ছিল হয়ে যাবে বা পানি চলে আসবে বা ভিজে যাবে তখন লিঙ্গ প্রবেশ করাতে পারেন। এটি পার্টনারের জন্য কম যন্ত্রণাদায়ক হয়ে থাকে। তবে জনি পিচ্ছিল করার জন্য আপনি পিচ্ছিল যে কোন সাইড ইফেক্ট বিহীন তেল ইউজ করতে পারেন।

অবশ্যই এটা মাথায় রাখতে হবে যেহেতু জনি একটি সেনসিটিভ জায়গা সেহেতু যেটাই ইউজ করুন না কেন জীবাণু মুক্ত এবং রাসায়নিক মুক্ত যেন হয়। বাড়তি সাপোর্টের জন্য সঙ্গমের সময় মহিলা পার্টনারের কোমরের নিচে বালিশ দিতে পারেন।

প্রথম সহবাসে রক্তক্ষরণ হলে করণীয় - কি খেলে ১ ঘন্টা সহবাস করা যায়

সব ক্ষেত্রে প্রথম মিলনে রক্তপাত হয় না। নারীদের যৌনাঙ্গে সতিচ্ছেদ পর্দা নামে একটি পর্দা বিদ্যমান রয়েছে যা সাঁতার কাটা সাইকেলিং করা বা অন্যান্য খেলাধুলার মাধ্যমে ফেটে যেতে পারে। তাই রক্ত বের হবার সাথে একজন নারীর সতীত্ব জড়িত নয় বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। অনেকে এ মতামত ব্যক্ত করেন যে প্রথম রাতে যদি কান্নাকাটি চিলাপাল্লা না করে নারী সেক্ষেত্রে সে  ভার্জিন নয়।

নারীর যৌনাঙ্গ কিছুটা রাবারের মত এখানে মোটা চিকন লম্বা যেকোনো ধরনের লিঙ্গ প্রবেশ করানো সম্ভব এবং একটি প্রাপ্তবয়স্ক নারী এই কাজটি অনায়াসে করে নিতে পারবে। একজন পুরুষ যদি মিলনের পূর্বে নারীকে ঠিকমতো উত্তেজিত করতে পারে সে ক্ষেত্রে নারীর জনি থেকে এক ধরনের রস বের হয় যেটা কিছুটা পিচ্ছিল ধরনের যা ব্যাথা মুক্ত মিলন সৃষ্টি করে থাকে।
বিশেষজ্ঞদের মতে এমন কিছু প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে যা খাবার হিসেবে সেবনের মাধ্যমে শরীরের কর্মক্ষমতা এতটা বৃদ্ধি পাবে যে সুস্থ যৌন জীবন উপভোগ করা সম্ভব। আপনি নিয়মিত খাবারে যে সকল খাদ্য খাওয়ার মাধ্যমে শরীরকে পারফেক্ট করতে পারেন সেক্সের জন্য উপযোগী সে সকল খাবার হলোঃ আদা , রসুন , পেঁয়াজ , বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর ফলমূল , হীং ইত্যাদি। অপরদিকে ওষুধের মধ্যে নাইটকিং এবং নাইটকিং গল্ড ব্যবহার করতে পারেন। বাহ্যিক ব্যবহারের জন্য ব্যবহার করতে পারেন সেক্স ডিলে স্প্রে।

শেষ কথাঃ এক রাতে কতবার মিলন করা যায় - শারীরিক সম্পর্ক করলে কি হয়

উপরে লিখিত আর্টিকেল এর মাধ্যমে আশা করি এক রাতে কতবার মিলন করা যায় এ সম্পর্কে যথাযথ ধারণা দিতে পেরেছি। আপনারা যারাএক রাতে কতবার মিলন করা যায় এবং মিলন না করলে কি হয় এ সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তাদের জন্য উপরের আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে।এছাড়া আপনার যদি এক রাতে কতবার মিলন করা যায় এ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন এবং নতুন আপডেট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Rajrafi.com এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url