ত্বকের যত্নে নিম পাতার উপকারিতা - চুলের যত্নে নিম পাতার উপকারিতা
আপনি কি ত্বকের যত্নে নিম পাতার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান? আজকে আমাদের আর্টিকেল এর মূল বিষয়বস্তু হলো ত্বকের যত্নে নিম পাতার উপকারিতা। নিম
কাঠের পোকা বাসা বাঁধতে পারে না। ফলে নিম কাঠে কখনও ঘুণ ধরে না। ঔষধি গুণ এবং
অতিরিক্ত তিতা হওয়ার কারণে এই গাছে কোন ধরনের পোকামাকড় বাসা বাধে না।
আমাদের পাঠকদের মধ্য থেকে অনেকেই আমাদের প্রশ্ন করে থাকেন ত্বকের যত্নে নিম পাতার উপকারিতা সম্পর্কে। তাই
জন্য নিম কাঠ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের আসবাবপত্র তৈরি করা হয়। এছাড়া নিমের ডাল
দিয়ে নিয়মিত দাঁতন করলে দাঁত মজবুত এবং চকচকে থাকে।
আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে ত্বকের যত্নে নিম পাতার উপকারিতা - চুলের যত্নে নিম পাতার উপকারিতা
সম্পর্কে জানতে পারবেন। চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে আসি ত্বকের যত্নে নিম পাতার উপকারিতা - চুলের যত্নে নিম পাতার উপকারিতা সম্পর্কে।
পেজ সূচিপত্রঃত্বকের যত্নে নিম পাতার উপকারিতা - চুলের যত্নে নিম পাতার উপকারিতা
ত্বকের যত্নে নিম পাতার উপকারিতা
আজ আমরা জানবো দশটি নিমপাতার উপকারিতা সম্পর্কে। ত্বকের যত্নে নিম পাতার উপকারিতা অনেক।নিমপাতাকে ঔষধি গাছ বলা হয়।
প্রাচীনকালে মানুষ জ্বর কাশি ইত্যাদি তে আক্রান্ত হলে নিম পাতা চিবিয়ে খেতো এতে
প্রচুর পরিমাণে থাকার কারণে জ্বর ভালো হত। এছাড়া এর ডাল দিয়ে নিয়মিত দাঁতন
করলে দাঁত শক্ত মজবুত এবং ঝকঝকে দেখা যায়। নিম গাছের পাতায় শুধুমাত্র উপকারে
নাই নিমগাছের গৌড়ীয় অনেক উপকারে আসে। নিম গাছের গুড়ি ব্যবহার করে বিভিন্ন
ধরনের আসবাবপত্র তৈরি করা হয়।
মানুষ বেশিরভাগ সময় নিম গাছ দিয়ে বিভিন্ন আসবাবপত্র তৈরি করেন এর একমাত্র কারণ
হল নিমগাছের পুরোপুরি এবং পাতা প্রচুর পরিমাণে তিত হওয়ায় এ গাছে কোন ধরনের
পোকামাকড় বসবাস করতে পারে না লাগতে পারে না। এবং বছরের পর বছর থেকে যায়।
এছাড়া জ্বরের সময় নিম গাছের পাতা পানিতে দিয়ে সিদ্ধ করে পানি দিয়ে গোসল করলে
জ্বর কমে যায় এবং শরীর জীবাণুমুক্ত হয়ে যায়। চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে
আসি নিম পাতা এবং গাছের দশটি গুনাগুনঃ
নিম পাতা মুখে দিলে কি হয়
বিভিন্ন জন্মদাগ বা ব্রণের দাগ দূর করতে নিম পাতার প্যাক কার্যকারী ভূমিকা পালন
করে। এটি মুখের কালচে ভাব কমিয়ে আনতে সাহায্য করে। নিম পাতা পানিতে ভিজিয়ে
রাখার পর কয়েক ঘন্টা পরে পানি ছেকে যুদিশিয়ারি ত্বকে ব্যবহার করা যায় তাহলে
ব্রণের দাগ হালকা হয়ে যায়। এজন্য নিমপাতা সেদ্ধ করে সেই পানি নিংড়ে নিতে
হয়। ঠান্ডা হওয়ার পর পর্যন্ত অপেক্ষা করুন এবং প্রতি রাতে মুখে লাগান।
তৈলাক্ত ত্বক হলে এর সঙ্গে গোলাপ জল মেশাতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ
অ্যালোভেরা দশটি উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন।
আপনার ত্বক যদি তৈলাক্ত হয় তাহলে এই পানির সাথে একটু গোলাপজল মিশিয়ে নিলে এটা
তৈলাক্ততা দূর করতেও সাহায্য করে। এছাড়া পরের দিন সকালবেলা উঠে মুখ ধুয়ে
ফেলুন দেখবেন মুখের উজ্জ্বলতা বেড়ে গেছে।ত্বকের যত্নে নিম পাতা কার্যকারী
ভূমিকা পালন করে।নিম পাতা মুখে ব্যবহারের ফলে এটি ত্বককে নরম এবং কোমল করে তোলে
এবং তাকে সুস্থ রাখে। একটু নিমপাতার গুঁড়ো নিয়ে এর সাথে জলপাই তেল যোগ করুন।
এরপরের এমএলডিটি পুরো মুখে ভালোভাবে লাগান এবং এক থেকে দেড় ঘন্টা পর ঠাণ্ডা
পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একবার বা দুইবার এভাবে মুখে লাগানোর ফলে মুখের
উজ্জলতা বৃদ্ধি পাবে তত কমে যাবে বিভিন্ন ধরনের দাগ থেকে মুক্ত হবে মু।।নিয়মিত
নিমপাতা ব্যবহারের ফলে দাগ এবং ব্ল্যাকহেড কমাতে সাহায্য করে।মুখে বিভিন্ন
ধরনের চাপ ও হোয়াইটহেডস দেখা গেলে নিয়মিত নিম পাতা ব্যবহারে সমস্যা থেকে
রক্ষা পাওয়া যায়।
এই ফেসপ্যাকটি তৈরি করার জন্য সর্বপ্রথম নিম পাতা শুকিয়ে গুড়ো করে এবং তার
সাথে কমলা লেবুর খোসা গুঁড়ো করে একসাথে মিশিয়ে ফেসপ্যাক হিসেবে ব্যবহার করতে
হবে। কমলালেবুর খোসা এবং ডিমের খোসা একসঙ্গে মিশিয়ে তার সঙ্গে মধু মিশিয়ে
মুখে লাগানো যায়। তাহলে ত্বকের উজ্জলতা দিনদিন বৃদ্ধি পাবে। এটি সপ্তাহে
দুইদিন ব্যবহারের সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায় এবং বড় বড় গর্ত মন হয়ে
যায়।
ত্বকের যত্নে নিম পাতার উপকারিতা - তৈলাক্ত ত্বকে নিম পাতার ব্যবহার
নিম পাতা দিয়ে তৈলাক্ত তা দূর করার প্যাক তৈরীর জন্য দুই চা-চামচ নিম পাতা গুড়া
এর পুরো দুই থেকে তিন চামচ হলুদ এর পুরো এক চা চামচ মধু ব্যবহার করতে হবে।
প্রয়োজনে কয়েক ফোঁটা পানিও এর সঙ্গে মিশিয়ে সব মিশনগুলোকে ভালোভাবে সংযুক্ত
করতে হবে। এরপরে তৈরিকৃত পেজটি আপনার পুরো মুখে সুন্দরভাবে লাগিয়ে 10 থেকে 20
মিনিট রেখে দিন। এরপর শীতল পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন দেখবেন মুখের তৈলাক্ততা
কেটে গেছে এবং সুন্দর উজ্জ্বল একটা আভা সৃষ্টি হয়েছে মুখে।
এটি সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহারে আপনার মুখ থাকবে তৈলাক্ততা ফ্রী।যারা মুখে
ব্যবহারের জন্য নিম তুলসি প্যাক তৈরী করতে চান তাদের জন্য বলে রাখা ভাল নিম তুলসি
মুখে নিয়মিত ব্যবহার হয় দাগমুক্ত উজ্জ্বল এবং সুন্দর। চলুন কথা না
বাড়িয়ে জেনে নি কিভাবে নিম পাতা এবং তুলসী পাতা ব্যবহার করে মুখের জন্য একটি
পারফেক্ট প্যাক তৈরি করা যায়।নিম পাতা এবং তুলসী পাতা প্যাক ব্রণের জন্য বিশেষ কার্যকরী ভূমিকা পালন
করে। একটি রিসার্চে দেখা গেছে চুলের যত্নে নিম পাতার উপকারিতা অনেক।
একটি রিসার্চে দেখা গেছে নিন এবং তুলসির পাতা তে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর মাত্রা
খুব বেশি থাকে যা ত্বকের জন্য খুব উপকারী হিসেবে গণ্য করা হয়। এছাড়া কালো দাগ
ব্রন ও বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।এই প্যাক তৈরির জন্য সর্বপ্রথম নিয়ম এবং তুলসী পাতার গুঁড়োর সঙ্গে এক চামচ
মধু এক চামচ চন্দন কাঠের গুঁড়ো এবং মুলতানি মাটি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন
ভালোভাবে।
এরপরে এই প্যাকটি আপনার মুখে সুন্দরভাবে লাগাতে হবে এবং 10 থেকে 15 মিনিট অথবা
20 মিনিট পরে সুন্দরভাবে স্ক্রাব করে আপনার মুখটি শীতল পানি দিয়ে ধুয়ে নিন
দেখবেন মুখের উজ্জ্বলতা বেড়ে গেছে এবং এই প্যাকটি প্রতি সপ্তাহে 1 থেকে 2 বার
ব্যবহারে মুখ উজ্জ্বল দাগ মুক্ত এবং কোমল। চুলের যত্নে নিম পাতার উপকারিতা বোঝার জন্য নিম পাতার সাথে দই মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করতে হবে।
চর্মরোগে নিম পাতার ব্যবহার - চুলের যত্নে নিম পাতার উপকারিতা
চুলের যত্নে নিম পাতার উপকারিতা অনেক।একটি রিসার্চে দেখা গেছে নিমপাতা তে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ' এবং ফ্যাটি এসিড
বিদ্যমান থাকে যা আমাদের চুল এবং ত্বকের জন্য খুবই উপকারী একটি ভিটামিন। এছাড়া
নিমপাতা ব্যাকটেরিয়া ছত্রাক জনিত বিভিন্ন সমস্যার কার্যকর ভূমিকা রাখে। তাই
ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে সপ্তাহে একবার নিম পাতা দিয়ে পানি গরম
করে সেই পানি দিয়ে গোসল করা উত্তম।
এছাড়া যাদের অতিরিক্ত মুখে ব্রণ হয় তারা যদি নিয়মিত সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার
নিমপাতা বাটা মুখে ব্যবহার করে তাহলে ব্রনের সমস্যা থেকে নিস্তার পাবে। চুলের
জন্য নিমের তেল খুবই কার্যকর ভূমিকা রাখে কারণ এটি চুলকে মজবুত করে তোলে। চুলের
জন্য নিমের তেল তৈরির নিয়ম জেনে নিনঃ 250 মিলি নারিকেল তেল একটি পাত্রে নিয়ে
সর্বপ্রথম গরম করতে হবে।
চুলের যত্নে নিম পাতার উপকারিতা অনেক বলে অনেক বিউটিশিয়ান নিম পাতার তেল ব্যবহার করার পরামর্শ দেন।এরপরে তেল যখন ফুটতে শুরু করবে বা প্রচুর গরম হয়ে যাবে তখন চলে টি বন্ধ করে তার
মধ্যে বেশকিছু নিমপাতা দিয়ে দিতে হবে। এরপর সেই পাতা মিশ্রিত তেল চার থেকে পাঁচ
ঘন্টা রেখে দিন একটি পরিষ্কার জায়গাতে। এরপর পাতা গুলো ওইভাবেই তেলের মধ্যে রেখে
দিয়ে একটি বোতল বা পাত্রে সংরক্ষণ করতে পারেন।প্রতি রাতে মাথায় তেল মালিশ করুন। চুলের যত্নে নিম পাতার উপকারিতা এত বেশী যে অন্য সকল তেলের থেকে এর কার্যকারিতা ও অনেক বেশি।
পরের দিন চুল ধুয়ে ফেলুন দেখবেন কিছু দিন এভাবে ব্যবহার করতে থাকলে চুল মজবুত
এবং ঘন হওয়া শুরু করবে। চিকেন পক্স থেকে বাচার উপায় সম্পর্কে আমরা আজ জানব
কিভাবে নিমপাতা ব্যবহারের থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।সর্বপ্রথম নিমপাতা সিদ্ধ করে
নিতে হবে। সেই পানি ঠান্ডা করে নিয়মিত গোসল করতে হবে। এছাড়া সকাল-বিকাল তুলা
দিয়ে নিমপাতা সিদ্ধ পানি ক্ষতস্থানে লাগাতে হবে। দুই থেকে তিনদিনের মধ্যেই
পরিবর্তন লক্ষ করতে পারবেন। চুলের যত্নে নিম পাতা উপকারিতা বোঝার জন্য নিম পাতার প্যাক চুলে লাগাতে হবে বা তেল ব্যবহার করতে হবে চলে।
এখন আমরা শিখব নিম পাতা ব্যবহার করে কিভাবে একটি ভাল চুলের প্যাক তৈরি
করা যায়। এক চা চামচ নিম পাউডার এর সঙ্গে দুই চা চামচ টক দই সর্বপ্রথম
মেশাতে হবে।এই মিশ্রণটি কে ভালোভাবে চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত মাখাতে হবে।
এরপর 15 থেকে 20 মিনিট অপেক্ষা করার পর সুন্দর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে
এভাবে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ব্যবহারে আপনার চুল ঘন এবং মজবুত। চুলের যত্নে নিম পাতার উপকারিতা এর জুড়ি নেই।
এছাড়া নিমপাতা ফাঙ্গাস ও ব্যাকটেরিয়া রোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করে এটি চুলে
ব্যবহারে চুলের খুশকি দূর হয়। এছাড়া ত্বকের বিভিন্ন এবং সুরক্ষায় এর জুড়ি
নেই। ব্রণের সংক্রমণ হলে নিম পাতা থেঁতো করে লাগালে খুব অল্পসময়ের মধ্যে এটি
ভালো হয়ে যায়। নিম পাতার রস মাথায় নিয়মিত লাগালে চুলকানি কমে যায় খুশকি কমে
যায় চুল শক্ত ও মজবুত হয় এবং নতুন চুল গজায় চুল ঘন করতে সাহায্য করে। এছাড়া
ত্বকের চুলকানি কেউ নিমপাতা বেটে লাগানো যাবে।
এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার
নিম পাতা বা নিম গাছের কথা শুনলেই আমাদের মাথায় প্রথমে যে কথাটি আসে সেটি হল
বিভিন্ন ঔষধি গুণাগুণ সম্পন্ন নিম গাছের কথা। যা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ নষ্ট
করতে এবং এলার্জি নিষ্কাশন করতে ব্যবহৃত হয়। এলার্জি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য
নিম পাতা দিয়ে তৈরি রিমিডি কিভাবে তৈরি করতে হয় সে সম্পর্কে আজকে জানাবোঃ
নিমের পাতা সর্বপ্রথম জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে সারারাত জলে ভিজে অবস্থাতেই পাতা
দেখে নিতে হবে এবং পরেরদিন সকালে সে পাতা বেটে একটি পেস্ট তৈরি করতে হবে। শুধু এলার্জিতে নয় চুলের যত্নে নিম পাতার উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না।
তা শরীরের বিভিন্ন অংশে যেসকল অংশে এলার্জি সমস্যা হয় সে সকল অংশে লাগাতে হবে
দেখবেন খুব ভালো ফলাফল আসবে।এছাড়া কাশির সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে পানযোগ্য
পানির মধ্যে তাজা আদা পুদিনা পাতা এবং নিমপাতা দিতে হবে এরপর সে পানি ফুটিয়ে
ঠাণ্ডা করে সে পানি যদি পান করা যায় তাহলে কাশির সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া
যায়। এটি যদি প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার পান করা যায় তাহলে বিভিন্ন রোগ থেকে
শরীর সুস্থ থাকে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হয় এছাড়া কাশি তো ভালো হবেই।
শেষ কথা
আপনারা যদি ত্বকের যত্নে নিম পাতার উপকারিতা - চুলের যত্নে নিম পাতার উপকারিতা
সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তাদের জন্য উপরের পোস্ট টি লেখা হয়েছে।এছাড়া আপনার
যদি ত্বকের যত্নে নিম পাতার উপকারিতা - চুলের যত্নে নিম পাতার উপকারিতা
সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পোষ্ট টি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের
ওয়েবসাইট ফলো করুন এবং নতুন আপডেট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।
Rajrafi.com এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url