সিজোফ্রেনিয়া লক্ষণ - সিজোফ্রেনিয়া কেন হয়
আমাদের আজকের আর্টিকেলের মূল বিষয়বস্তু হলো সিজোফ্রেনিয়া লক্ষণ।
সিজোফ্রেনিয়া লক্ষণ গুলোর মধ্যে অন্যতম লক্ষণ হলো একা একা কথা বলা, কোন কথা
বললে কথার জবাব না দেওয়া যুক্তি অসঙ্গত কথা বলা ইত্যাদি। আমাদের পাঠকদের মধ্যে
অনেকে রয়েছেন যারা সিজোফ্রেনিয়া লক্ষণ সম্পর্কে জানতে চান। আজকের এই
আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করতে চলেছি সিজোফ্রেনিয়া
লক্ষণ এবং সিজোফ্রেনিয়া কেন হয় এ বিষয়ে।
আজকের আলোচনার মূল বিষয় হলো সিজোফ্রেনিয়া লক্ষণ এবং সিজোফ্রেনিয়া কেন হয়।
আমাদের পাঠকদের মধ্যে থেকে অনেকে প্রশ্ন করে থাকেন সিজোফ্রেনিয়া লক্ষণ এবং
সিজোফ্রেনিয়া কেন হয় সম্পর্কে।
পেজ সূচিপত্রঃ সিজোফ্রেনিয়া লক্ষণ - সিজোফ্রেনিয়া কেন হয়
- সিজোফ্রেনিয়া লক্ষণ
- ঔষধ ছাড়া কি সিজোফ্রেনিয়ার চিকিৎসা করা যায়
- সিজোফ্রেনিয়া কি ধরনের রোগ
- সিজোফ্রেনিয়া রোগ কি ভালো হয়
- সিজোফ্রেনিয়ার ঔষধ না খেলে কি হয়
- শেষ কথা
সিজোফ্রেনিয়া লক্ষণ - সিজোফ্রেনিয়া কেন হয়
সিজোফ্রেনিয়া লক্ষণ গুলোর মধ্যে অন্যতম হলোঃ একা একা কথা বলা চুপ থাকার কারো
কথার উত্তর না দেওয়া কোন কিছু জিজ্ঞাসা করলে চুপ করে থাকা প্রতিদিনের কাজ
সঠিকভাবে না করা অতিরিক্ত চিন্তাভাবনা করা কোন বিষয় নিয়ে ইত্যাদি।
সিজোফ্রেনিয়া কেন হয়? কারা এই রোগের জন্য বেশি ঝুঁকিপ্রবণ? ছেলেমেয়ে ভেদে
কোনো তারতম্য রয়েছে কি না?
তিনটি ভাগে সিজোফ্রেনিয়া রোগ কে ভাগ করা যেতে পারে একটি হলো বায়োলজিক্যাল
একটি হলো সাইকোলজিকাল আরেকটি হলো সামাজিক। চিকিৎসকেরা বায়োলজিক্যাল কারণটিকে
বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। কারণ এ বিষয়টি সঙ্গে শরীরের ওতপ্রোত একটি
সম্পর্ক রয়েছে। প্রথমে যদি জিনগত কারণ দেখা যায় সে ক্ষেত্রে বংশ-পরম্পরায়
এ রোগটি চলে আসে।
একটি গণনায় দেখা গেছে প্রায় ১০০ জন মানুষের মধ্যে একজন মানুষ সিজোফ্রেনিয়া
রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। এছাড়া যদি বংশ পরম্পরায় এ রোগ থাকে তাহলে
নবজাতকের সিজোফ্রেনিয়া রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রায় ১০%।
ঔষধ ছাড়া কি সিজোফ্রেনিয়ার চিকিৎসা করা যায় - সিজোফ্রেনিয়া রোগ থেকে মুক্তির উপায়
অনেক রোগী আছেন যাদের শুধুমাত্র সিজোফ্রেনিয়ার একটি লক্ষণ সেটি হল
শব্দ সোনা। সেক্ষেত্রে চিকিৎসার কোন প্রয়োজন নেই। কিন্তু যদি আওয়াজের
কারণে অতিরিক্ত বিরক্ত বোধ হয় বা আনুষাঙ্গিক বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হয়
তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এবং সে অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে
হবে।
সিজোফ্রেনিয়া রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে একটি সমস্যা বেশি সেটি হলো
আত্মহত্যার প্রবণতা আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ে যদি উপসর্গ বেশি হয় বিষণ্নতা
বেশি সৃষ্টি হয় চিকিৎসকের পরামর্শ না নেওয়া হয় এবং অনেক সময় যত্নের
অভাবে। একটি রিসার্চে দেখা গেছে যত দেরিতে সিজোফ্রেনিয়া রোগের চিকিৎসা
শুরু করা যায় ততো রোগটা অতিরিক্ত মাত্রায় বেড়ে যায়।
এছাড়া খুব অল্প সময়ে এর মধ্যে যদি রোগ প্রকাশ পাওয়ার আগেই চিকিৎসকের
পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করা যায় সে ক্ষেত্রে রোগীর সুস্থ হওয়ার হার
অনেকটা বেড়ে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে মাছের তেল নিয়মিত সেবনের ফলে
সিজোফ্রেনিয়া রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব এবং মাছের তেল সিজোফ্রেনিয়া
রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
একটি গবেষণায় গবেষকরা প্রায় এ রোগে আক্রান্ত ৮১ জন মানুষকে মাছের তেল
দিয়ে পর্যবেক্ষণ করেছেন। মাছের তেলে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসি ড বিদ্যমান থাকে
যার ফলে এটি মস্তিষ্কের জন্য খুবই ভালো। এবং খুব ভালো ফলাফল পেয়েছেন
এরিসার্চে বিজ্ঞানীরা। গবেষকরা প্রায় দুইটি দলে ভাগ করে নেন মানুষগুলোকে
এবং মাছের তেল যুক্ত ঔষধ অর্ধেক মানুষদের দেন এবং বাকি অর্ধেক
মানুষগুলোকে একই কার্যকারিতা যুক্ত অন্য ঔষধ দেন।
রিসার্চে দেখা গেছে এরূপ থেকে সম্পূর্ণ সুস্থ হতে ১২ বছরের অধিক সময়
লাগবে। 7 সপ্তাহ পরে যারা মাছের তেল যুক্ত ওষুধ সেবন করেছিল তাদের মধ্যে দশ
শতাংশ মানুষ এর মধ্যে ঐ রোগ এখনো বিদ্যমান রয়েছে। আর যারা একই গুনাগুন
সম্পূর্ণ মাছের তেল বিহীন ওষুধ সেবন করেছে তাদের মধ্যে ৪০ শতাংশ মানুষ
অসুস্থতায় ভুগছে কিন্তু কম।
সিজোফ্রেনিয়া কি ধরনের রোগ - সিজোফ্রেনিয়া রোগের ওষুধ
সিজোফ্রেনিয়া এমন একটি মানসিক জটিল রোগ যা খুব মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে
এবং সিজোফ্রেনিয়া লক্ষণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো চিন্তা ধারা ও অনুভূতি
প্রকাশের মধ্যে সঙ্গতি না থাকা। পরিবার বা পরিচিত মানুষ সাঁতার ক্ষতি করে
দিচ্ছে বাবারে বিষ মিশিয়ে দিচ্ছে এমন ধরনের উদ্ভট সন্দেহ করে এ রোগে
আক্রান্ত রোগীরা। এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সাধারণত মানসিক ব্যাধিটি
উপসর্গের জন্য Amisant 50 MG Tablet সেবন করানো হয়ে থাকে। যার ফলে মানসিক
চিন্তাধারার উন্নতি ঘটে রোগীর।
সিজোফ্রেনিয়া রোগ কি ভালো হয় - সিজোফ্রেনিয়া প্যারানয়েড থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়
বর্তমান সময়ে সারা বিশ্বের সর্বনিম্ন ২ কোটি ৬০ লাখ লোক সিজোফ্রেনিয়া রোগে
আক্রান্ত হয়ে আছে। বাংলাদেশে এর এমন রোগীর সংখ্যা প্রায় ১৬ লাখেরও বেশি।
মনবিজ্ঞানীদের মতে বাংলাদেশে দিন দিন এ রোগের আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বেড়ে
চলেছে এবং বাংলাদেশের প্রায় 0.24% লোক এ রোগে আক্রান্ত।
বিশেষজ্ঞদের মতে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার মূল কারণ হলো অতিরিক্ত মানসিক চাপ
নেওয়া, দুশ্চিন্তা করা। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে এ রোগে আক্রান্ত
মানুষগুলোর মধ্যে 97 শতাংশ মানুষ বিবাহিত। সাংসারিক কলহ এর কারণে অতিরিক্ত
মানসিক ও স্নায়ুর চাপের কারণে এ রোগের সৃষ্টি হতে পারে শরীরে।
বর্তমান সময়ে এ রোগের বিস্তার আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে বাংলাদেশে তবে
সিজোফ্রেনিয়া রোগের লক্ষণ গুলোর মধ্যে অন্যতম কিছু লক্ষণ হল ডিলিউশন
হ্যালুসিনেশন ভুল ধারণা ইত্যাদি। সিজোফ্রেনিয়া রোগে আক্রান্ত সকল রোগীর
মানসিক চিন্তাভাবনা ও উপসর্গ একই হয় না যার ফলে বিভিন্ন মানুষের ক্ষেত্রে
বিভিন্ন রকম উপসর্গ হতে পারে।
সিজোফ্রেনিয়ার ঔষধ না খেলে কি হয় - সিজোফ্রেনিয়া কি ঔষধ ছাড়া বাঁচে
একা একা কথা বলা চুপ থাকা কারো কথার উত্তর না দেওয়া কোন কিছু জিজ্ঞেস করলে
উত্তর না দেওয়া এবং অযুক্তিসংগত কথা বলা প্রতিদিনের কাজ সঠিকভাবে না করা
অহেতুক সন্দেহ প্রবণ হয়ে পড়া ইত্যাদি সিজোফ্রেনিয়ার লক্ষণ। এ রোগে
আক্রান্ত রোগীরা অনেক ধরনের অবাস্তব কথা বলে এর মধ্যে অন্যতম কিছু হল
মানুষের ওপর ওর ভুল ধারণা করা।
এছাড়া রোগী অবাস্তব দৃশ্য দেখতে পায় চামড়ার ভেতরে পোকামাকড় এর হাঁটাচলা
করা সর্বশেষ মাথার মধ্যে ও শরীরের মধ্যে পোকামাকড় হেটে বেড়ানোর বিষয়টি।
এমন উপসর্গ কোন মানুষের মধ্যে দেখতে পেলে অবশ্যই তাকে চিকিৎসকের পরামর্শ
নিতে হবে এছাড়া এ রোগে আক্রান্ত মানুষের মস্তিষ্ক সাধারণ মানুষের
মস্তিষ্কের চেয়ে অনেকটা বিকৃত হয়ে পড়ে।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে এ রোগে আক্রান্ত রোগীদের মস্তিষ্কের এর গঠন ঠিকভাবে হয়
না এর কারণ হলো জন্মের সময় বিভিন্ন ধরনের অসুবিধার কারণে মস্তিষ্কের
সঠিকভাবে অক্সিজেন পৌছায় না যার কারণে এই সমস্যা সৃষ্টি হয় অথবা শিশু
মাতৃ গর্ভে থাকার সময় ভাইরাসে আক্রমণ করেছিল গর্ভবতী মহিলাকে সে কারণে এই
সমস্যা সৃষ্টি হয় শিশুর।
শেষ কথাঃ সিজোফ্রেনিয়া লক্ষণ - সিজোফ্রেনিয়া কেন হয়
আশা করি আর্টিকেলের মাধ্যমে সিজোফ্রেনিয়া লক্ষণ এবং সিজোফ্রেনিয়া কেন হয় এ
সম্পর্কে যথাযথ ধারণা প্রদর্শন করতে পেরেছি। আপনারা যারা সিজোফ্রেনিয়া লক্ষণ
এবং সিজোফ্রেনিয়া কেন হয় এ সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তাদের জন্য উপরের
পোস্ট টি লেখা হয়েছে। এছাড়া মসিজোফ্রেনিয়া লক্ষণ এবং সিজোফ্রেনিয়া
কেন হয় এ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পোষ্ট টি আপনার জন্য খুবই
গুরুত্বপূর্ণ।
সিজোফ্রেনিয়া লক্ষণ এবং সিজোফ্রেনিয়া কেন হয় এ সম্পর্কে কারো কোন প্রশ্ন
থাকলে আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে সেই প্রশ্ন করতে পারেন।আমাদের ওয়েবসাইট ফলো
করুন এবং নতুন আপডেট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।
Rajrafi.com এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url