স্ত্রীর মানসিক শান্তির উপায় - মানসিক শান্তি নিয়ে হাদিস

আপনি কি স্ত্রীর মানসিক শান্তির উপায় সম্পর্কে জানতে চান? আজ আমাদের আর্টিকেল এর মাধ্যমে আমরা আলোচনা করতে চলেছি স্ত্রীর মানসিক শান্তির উপায় এবং মানসিক শান্তি নিয়ে হাদিস সম্পর্কে। অনেক আগে থেকেই মানসিক শান্তির জন্য মানুষ মেডিটেশন করে আসছে যা মানসিক শান্তি দেয় বলে অনেকে মনে করেন। আমাদের পাঠকদের মধ্য থেকে অনেকেই প্রশ্ন করেন স্ত্রীর মানসিক শান্তির উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে। 
স্ত্রীর মানসিক শান্তির উপায় - মানসিক শান্তি নিয়ে হাদিস
একটি সংসারকে সম্পূর্ণভাবে পরিচালনার জন্য স্ত্রীর মানসিক শান্তির উপায় জেনে রাখা প্রত্যেক স্বামীর কর্তব্য। আজকের আলোচনার মূল বিষয়বস্তু হলো স্ত্রীর মানসিক শান্তির উপায় এবং সহবাসে স্ত্রীকে খুশি করার উপায় সম্পর্কে। 

পেজ সূচিপত্রঃ স্ত্রীর মানসিক শান্তির উপায় - স্ত্রীর মানসিক শান্তি নিয়ে উক্তি

স্ত্রীর মানসিক শান্তির উপায় - মানসিক শান্তি নিয়ে হাদিস

বিশেষজ্ঞদের মতে মানসিক শান্তি বা মনকে শান্ত করতে হলে সবচেয়ে ভালো উপায় হল মেডিটেশন করা এটি আমাদের শরীরের জন্য এমন এক ধরনের ব্যায়াম যা মনকে ফুরফুরে করে তোলে। মানসিক অবসাদ চাপ দূর করার জন্য প্রত্যেকদিন অন্ততপক্ষে 10 মিনিট করে মেডিটেশন করা যেতে পারে। প্রতিদিন নিয়মিত মেডিটেশন এর ফলে ব্রেন তীক্ষ্ণ হয়ে ওঠে। কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং শরীর এর ক্লান্তি অনেকটা দূর হয়ে যায়। অশান্ত মনকে শান্ত করার কথা বলতে গিয়ে মহান আল্লাহতালা বলেনঃ

 الَّذِينَ آمَنُواْ وَتَطْمَئِنُّ قُلُوبُهُم بِذِكْرِ اللّهِ أَلاَ بِذِكْرِ اللّهِ تَطْمَئِنُّ الْقُلُوبُ 

অর্থঃ যে সকল মুমিন বান্দারা বিশ্বাস করেছে আল্লাহর স্মরণে এলে অন্তরে প্রশান্তি অনুভব করা সম্ভব জেনে রাখো তোমরা আল্লাহর স্মরণে মানুষের অন্তর প্রশান্ত হয়। সুরা রাদ আয়াত ২৮।
কোন ধরনের মানসিক রোগ এর আশঙ্কা দেখা দিলেই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নেওয়া উচিত। ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী মানসিক রোগের চিকিৎসা নেওয়া জায়েজ আছে পাশাপাশি আল্লাহর উপর ভরসা রাখতে হবে। তবে এক কথায় বলা চলে স্ত্রীর মানসিক শান্তির উপায় হলঃ তার সঙ্গে বন্ধুসুলভ আচরণ করা। শারীরিক সম্পর্কে তাকে সম্পূর্ণরূপে স্যাটিসফাই করা বা তৃপ্তি দেওয়া। পরিবারের সকলে যেন তার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করে সেদিকে লক্ষ্য রাখা।

সহবাসে স্ত্রীকে খুশি করার উপায় - বেশিক্ষণ সহবাস করার উপায়

স্ত্রীকে খুশি রাখতে হলে সব সময় স্ত্রীর ভুল ধরা যাবেনা। পারোতো পক্ষে চেষ্টা করতে হবে বিভিন্ন বিষয়ে তার প্রশংসা করার। স্ত্রী যদি কোন ভুল করে তাহলে সবার সামনে বকাবকি না করে একান্তে তাকে তার ভুল ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। সাংসারিক বা পারিবারিক কোনো সিদ্ধান্ত করতে হলে পরিবারের সকল সদস্যদের পাশাপাশি নিজের স্ত্রীর সিদ্ধান্ত কেউও প্রাধান্য দিতে হবে।

বিয়ের পরে একজন মেয়ে তার পরিবার ছেড়ে অপরিচিত একটি পরিবারের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায়। এই জন্য তার ইচ্ছা আনন্দ কে পরিবারের আর পাঁচটা মানুষের আনন্দের মতো পূরণ করার চেষ্টা করতে হবে। সহবাসে স্ত্রীকে খুশি করার উপায় গুলো জানতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে কিছু বিষয় এর ওপর লক্ষ্য রাখতে হবে।
সহবাসের জন্য আপনার ইচ্ছা বা কামশক্তি জাগ্রত হলে স্ত্রীর এখন ইচ্ছা করছে কিনা সে বিষয়টাও আপনাকে জানতে হবে। এছাড়া সহবাস করার ক্ষেত্রে সব সময় চেষ্টা করতে হবে স্ত্রীকে পূর্ণ তৃপ্তি দেওয়ার। যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ তৃপ্তি না পাচ্ছে তক্ষণ পর্যন্ত সময় নিয়ে সঙ্গম চালিয়ে যেতে হবে। অপরদিকে স্ত্রী ব্যথা পাচ্ছে কিনা বা পূর্ণ তৃপ্তি পাচ্ছে কিনা এদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সঙ্গম এর শুরুতে স্ত্রীর কাম শক্তি জাগিয়ে তুলতে হবে আদর দেওয়ার মাধ্যমে।

সরাসরি সঙ্গমে গেলে হবে না সর্বপ্রথম স্ত্রীর শরীরের সেনসিটিভ জায়গাগুলোতে স্পর্শের মাধ্যমে স্ত্রীকে উত্তেজিত করে তুলতে হবে। যারা বেশিক্ষণ সহবাস করতে পারে না তারা প্রাকৃতিকভাবে বিভিন্ন ফল বিভিন্ন গাছের শিকড় যেমন শিমুল গাছ খেজুর খেয়ে যৌন সমস্যা দূর করতে পারেন। যদি এ সমস্যা দূর না হয় সে ক্ষেত্রে গাইনী বিভাগের ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করতে পারেন।

তবে অবশ্যই মনে রাখতে হবে শারীরিক মিলন এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একজন স্ত্রী যদি তৃপ্তি না পায় তাহলে সেই সংসারে শান্তি বিরাজ করে না। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ধরনের ঔষধ এবং স্প্রে পাওয়া যায়। যা ব্যবহারের ফলে দীর্ঘক্ষণ ধরে সহবাস করা সম্ভব হয়। বেশিক্ষণ ধরে সহবাস করার ক্ষেত্রে নাইট কিং বা নাইটকিং গোল্ড ব্যবহার করতে পারেন। এটি নারী পুরুষ উভয় সেবন করতে পারেন।
এটি সেক্স বৃদ্ধি করে যৌন দুর্বলতা কমায় এবং কাম বাসনা দ্বিগুণ করে। তোলে দীর্ঘক্ষণ সহবাস করার জন্য এটি ব্যবহার করতে পারেন। বাহ্যিক ব্যবহারের জন্য কিছু স্প্রে আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। যা পেনিসের মাথায় সেক্স শুরুর ২০ মিনিট আগে দুইবার ব্যবহার করে সেক্স করলে প্রায় এক ঘন্টা সেক্স করা সম্ভব হয়। এটি মূলত সেনসিটিভিটি কমিয়ে দেয় এবং লিঙ্গকে স্ট্রং রাখতে সাহায্য করে। এই স্প্রে ২০০ বার ইউজ করা যাবে এক বোতল কিনলে।

কি খেলে স্ত্রীকে সহবাস করা যায় - স্ত্রীকে সহবাস করার নিয়ম

ইসলাম শান্তির ধর্ম ইসলাম ধর্মকে মুমিনদের জন্য অনেকটা সহজ করেছে। রোজা রত অবস্থায় কোন ব্যক্তি সহবাস করতে পারবে না। অপরদিকে রোজার মাসে রাতে সহবাস করতে পারবে স্ত্রীর সাথে। মহাগ্রন্থ আল-কুরআনে মহান আল্লাহতালা এরশাদ করেন হে মুমিনগণ তোমাদের জন্য ধর্মকে সহজ করা হয়েছে।

রমজান মাসের রাতে তোমরা স্ত্রীর সাথে সহবাস করতে পারো এতে তোমাদের কোন পাপ হবে না। অনেকেই স্ত্রী কে সহবাস করার নিয়ম জানতে চেয়েছেন আপনি দাঁড়িয়ে বসে শুয়ে কাত হয়ে সামনে থেকে পেছন থেকে যেকোনো ভাবে সহবাস করতে পারেন। অপরদিকে খেয়াল রাখতে হবে আপনার স্ত্রীর যেন এতে কষ্ট না হয় এমন কমফোর্ট পজিশনে সহবাস করতে পারেন।

তবে অবশ্যই বায়ু পথে সহবাস করা যাবে না ইসলাম এটি স্বীকৃতি দেয় না। সহবাসের ক্ষেত্রে স্বামী স্ত্রী দুইজনার সম্মতি থাকতে হবে জোরপূর্বক কোনো কিছু করা যাবে না। অনেক সহবাস করার নিয়মের মধ্যে স্বামী উপরে এবং স্ত্রী নিচে থাকার কথা বলা হয়েছে এটি সুবিধা জনক আরামদায়ক ও বটে। তবে স্বামী উপরে এবং স্ত্রী নিচে এটি স্বাভাবিক পন্থা।
সহবাসের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতিতে স্বামীকে অধিক পরিশ্রম করতে হয়।স্বামী যদি সহবাস করতে করতে ক্লান্ত হয়ে যায় সেক্ষেত্রে স্ত্রী উপরে উঠতে পারে স্বামীর।

বউকে কিভাবে আদর করতে হবে - স্বামী স্ত্রীর আদর ও ভালোবাসার উপায়

আগে থেকে যদি নির্দিষ্ট সময় সাবাসের জন্য নির্ধারণ করে থাকেন সেক্ষেত্রে চেষ্টা করতে হবে বিছানায় দীর্ঘক্ষণ থাকার এবং অবশ্যই অবশ্যই স্ত্রীকে পূর্ণ তৃপ্তি প্রদান করতে হবে। বউকে কিভাবে আদর করতে হবে অনেকে প্রশ্ন করেন। এক্ষেত্রে স্ত্রীর পুরো শরীরে আদর সোহাগ চুম্বন লেহন করতে হবে এবং এটি শরীরের প্রতিটা অংশে যেগুলো সেনসিটিভ জায়গা। সেনসিটিভ জায়গার মধ্যে সবচেয়ে বেশি যেগুলো সেনসিটিভ সেগুলো হল ঠোট গলা কানের লতি পিঠ নাভি স্তন তলপেট উরু এমনকি পায়ের তালু।

স্বামী স্ত্রীর আদর ও ভালোবাসার উপায় গুলোর মধ্যে কিছু উল্লেখ করা হলো। সব সময় স্বামীকে সন্দেহের চোখে দেখা যাবে না বিশ্বস্ততা অর্জন করতে হবে এবং বিশ্বস্ততা অর্জন করতে দিতে হবে। সারাদিন অক্লান্ত পরিশ্রম শেষে স্বামী যেন বাসায় ফিরে আপনার মুখের একরাশ হাসি দেখতে পায়। সব সময় স্বামীকে বাইন্ডিং পজিশনে রাখা যাবে না। হাসিখুশি রাখতে হবে পুরো পরিবারকে ও স্বামীকে। 

স্বামীর সব ইচ্ছা আনন্দকে নিজের ইচ্ছা আনন্দ করে নিতে হবে। অপরদিকে স্ত্রীর ইচ্ছাকে নিজের ইচ্ছা করে তা পূরণ করার চেষ্টা করতে হবে। ছোট ছোট বিষয় নিয়ে হাসি ঠাট্টা করার মানসিকতা রাখতে হবে যেন সবসময় মুখরিত একটি পরিবেশ বিরাজ করে করে বাসার মধ্যে। স্ত্রীকে ঘুরতে নিয়ে যেতে হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকারী বিষয় হলো বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করতে হবে।

স্ত্রীকে খুশি করার উপায় - স্ত্রীকে খুশি রাখার ১২ কৌশল

স্ত্রীকে খুশি করার উপায় বা স্ত্রীকে খুশি করার 12 টি কৌশল হলঃ
  • স্ত্রীর রান্নার, স্ত্রীর রূপের , স্ত্রীর ব্যবহারের প্রশংসা করুন। মেয়েরা প্রশংসা শুনতে অনেকটা পছন্দ করে।

  • সব বিষয়ে স্ত্রীর ভুল ধরা যাবে না।

  • কোন কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হলে স্ত্রীর সিদ্ধান্ত কেউ প্রাধান্য দিন।

  • স্ত্রীকে বেশি প্রায়োরিটি দিতে হবে কিছু কিছু বিষয়।

  • হাসি ঠাট্টার একটু দুষ্টুমি মাধ্যমে সময় অতিবাহিত করুন।

  • ছুটির দিনে কোথাও ঘুরতে নিয়ে যান।

  • স্ত্রীকে তার প্রাপ্য সম্মান পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করুন এবং নিজেও সম্মান করুন।

  • সম্পর্কের মধ্যে কোন তৃতীয় পারসনকে ঢুকতে না দিন।

  • যেকোনো বিষয়ে স্ত্রীকে জিতিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করুন।

  • যে কোন বিষয়ে স্ত্রীকে ছাড় দেওয়া ও প্রশংসা করুন অনেকটা উদার ও সহনশীল হয়ে উঠুন।

  • জোর জবরদস্তি থেকে বিরত থাকুন।

  • স্ত্রীকে সহবাসে পূর্ণ তৃপ্তি প্রদান করা
উপরোক্ত নির্দেশনা গুলো মেনে চললে আশা করি স্ত্রীর মানসিক শান্তির উপায় এর মধ্যে রয়েছে।মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন একজন মেয়েকে বিয়ে করার পর সে তার নিজের পরিবারকে ছেড়ে স্বামীর ঘরে চলে আসে তাকে খুশি রাখার দায়িত্ব একজন স্বামী।

শেষ কথাঃ স্ত্রীর মানসিক শান্তির উপায় - স্ত্রীর মানসিক শান্তি নিয়ে উক্তি

ওপরে লিখিত আর্টিকেলের মাধ্যমে আশা করি স্ত্রীর মানসিক শান্তির উপায় সম্পর্কে যথাযথ ধারণা দিতে পেরেছি। আপনারা যারা স্ত্রীর মানসিক শান্তির উপায় এবং মানসিক শান্তি নিয়ে হাদিস  সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তাদের জন্য উপরের পোস্ট টি মূলত লেখা হয়েছে। 

এছাড়া  স্ত্রীর মানসিক শান্তির উপায় এবং সহবাসী স্ত্রীকে খুশি করার উপায় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পোষ্ট টি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্ত্রী মানসিক শান্তির উপায় সম্পর্কে কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে সে প্রশ্ন করতে পারেন।আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন এবং নতুন আপডেট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Rajrafi.com এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url