বুক জ্বালাপোড়া থেকে বাঁচার উপায় - বুক জ্বালাপোড়া কমানোর ঘরোয়া উপায়
আপনি কি জানেন বুক জ্বালাপোড়া থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে? বর্তমান সময়ের
বিভিন্ন ধরনের খাদ্য গ্রহণের কারণে বুক জ্বালাপোড়ার মতো সমস্যা সৃষ্টি হয়।
আমাদের পাঠকদের রিকোয়েস্টে আজ আমরা আলোচনা করতে চলেছি বুক জ্বালাপোড়া থেকে
বাঁচার উপায় সম্পর্কে। আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকেন তাহলে বুক
জ্বালাপোড়া থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন।
বুক জ্বালাপোড়া হওয়া একটি এসিডিটি জনিত রোগ। স্বাস্থ্য সচেতন প্রতিটি মানুষের
বুক জ্বালাপোড়া থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে যথাযথ ধারণা রাখা উচিত । ইন্টারনেটে
বুক জ্বালাপোড়া থেকে বাঁচার উপায় অনেক রয়েছে তবে সবগুলো বিষয় এনালাইসিস করে
অথেনটিক ও সঠিক তথ্য নিয়ে আজকের আর্টিকেলটি সাজিয়েছি।
পেজ সূচিপত্রঃ বুক জ্বালাপোড়া থেকে বাঁচার উপায় - বুক জ্বালাপোড়া কমানোর ঘরোয়া উপায়
ভূমিকা
প্রিয় পাঠক আজকে আলোচনা করা হবে বুক জ্বালাপোড়া থেকে বাঁচার উপায়
সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে। একজন স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তি হিসেবে বুক
জ্বালাপোড়া থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখা উচিত। বিশেষজ্ঞদের
মতে স্বাস্থ্য সম্পর্কে সঠিক ধারণা দেখে সেই হিসেবে জীবনযাপন করা সর্বোত্তম।
আজকে এই পুরো আর্টিকেলের মাধ্যমে আলোচনা করা হবে বুক জ্বালাপোড়া শ্বাসকষ্ট ,
পেট ও বুক জ্বালাপোড়া, বুক জ্বালাপোড়া থেকে বাঁচার উপায় , বুক জ্বালাপোড়া
কমানোর ঘরোয়া উপায় ইত্যাদি সকল বিষয় এ।
বুক জ্বালাপোড়া থেকে বাঁচার উপায় - বুক জ্বালাপোড়া কমানোর ঘরোয়া উপায়
বুক জ্বালাপোড়া থেকে বাঁচার উপায় গুলোর মধ্য থেকে প্রাকৃতিক নিয়ম গুলো
সম্পর্কে এখন আলোচনা করা হবে। নিচে উল্লেখিত নিয়ম গুলো যথাযথ মানলে খুব সহজে
বুক জ্বালাপোড়ার মতো সমস্যা দূর হবে শরীর থেকে। আমরা সকলেই জানি তুলসী পাতা
কতটা গুণ সম্পন্ন। বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যা থেকে বাঁচতে হলে তিন চারটা তুলসী
পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন।
অপরদিকে দ্রুত বুক জ্বলা যদি কমাতে চান দুই থেকে তিন কাপ পানির মধ্যে ৬-৭ টি
তুলসীপাতা দিয়ে ভালোভাবে গরম করতে হবে এবং পানি যখন এক কাপ পরিমাণ হয়ে যাবে
সেই সময় চুলা থেকে নামিয়ে গরম গরম পান করতে হবে। আমাদের খুবই চেনা পরিচিত
একটি রান্নার উপকরণ হলো আদা।
পানির মধ্যে আদা দিয়ে সে পানি ফুটিয়ে পান করতে পারেন এতে খুব দ্রুত এসিডিটি
সমস্যা দূর হয়। সাধারণত আদা পাকস্থলীতে সৃষ্ট এসিড শোষণ করে এবং
পরবর্তীতে নার্ভ শীতল করে তোলে। যদি প্রতিদিনের রান্নায় বা খাদ্যে আদা রাখতে
পারেন তাহলে তুলনামূলকভাবে এসিডিটির সমস্যা কম হবে।
এসিডিটির কারণে যদি শরীরে খুব অস্বস্তি সৃষ্টি হয় সে ক্ষেত্রে একটা চামচ
বেকিং সোডা নিয়ে তা পানির সঙ্গে মিশিয়ে পান করতে পারেন এতে দ্রুত এসিডিটি
কমে যাবে। বেকিং সোডার পিএইচ মান ৭ এর বেশি হাওয়াই এটি দ্রুত গ্যাস্ট্রিক এর
সমস্যা প্রশমিত করে।
গলা বুক জ্বালাপোড়া ঘরোয়া সমাধান - বুক জ্বালাপোড়া কমানোর ঔষধ
প্রতিদিনের খাবারে এমন কিছু খাবার রাখা উচিত যে সকল খাবারের মাধ্যমে গলা বুক
জ্বালাপোড়ার মত সমস্যা খুব সহজেই দূর হয়ে যায়। কলা এমন একটি ফল যা নিয়মিত
খেলে এসিডিটির মতো সমস্যা দূর হয় পাশাপাশি কলা ফাইবারযুক্ত একটি ফল যা পেট
শীতল রাখে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করে।অনেকেই মনে করেন দুধ খেলে এসিডিটি
সৃষ্টি হয়।
কিন্তু এসিডিটির সমস্যা বা গ্যাসের সমস্যা সৃষ্টি হলে ঠান্ডা দুধ খেতে
পারেন এটি পেটে গিয়ে গ্যাস সৃষ্টিকারী সকল এনজাইমকে শোষণ করে ফেলে এতে
পেটের যন্ত্রণা বা বুকের জ্বালা অনেকটা কমে যায়। আমরা সকলেই দারচিনি ও
জিরা খাদ্য তৈরিতে ইনগ্রেডিয়েন্ট হিসেবে ব্যবহার করে থাকি। যাদের হজম
শক্তি প্রখর তাদের এসিডিটির সমস্যা অনেকটাই কম হয়।
আপনি যদি আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে চান সেক্ষেত্রে প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার
এক কাপ পানির মধ্যে হাফ চামচ দারচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে ফুটিয়ে সেই পানি
সেবন করতে পারেন। এক কাপ পানিতে দুই চা চামচ জিরা দিয়ে যদি ভালোভাবে ফুটিয়ে
পান করা যায় সেক্ষেত্রে এই পানীয় শরীরে গ্যাসের সৃষ্টি হতে দেয় না। সেই
প্রাচীনকাল থেকেই এসিডিটির সমস্যা নিরাময়ের জন্য দারচিনি ব্যবহার হয়ে আসছে।
বুক জ্বালাপোড়া করে কেন - বুক জ্বালাপোড়া করার কারণ
বিভিন্ন কারণে গলা ও বুক জ্বালাপোড়া করে থাকে সে কারণগুলো নিচে দেওয়া হলঃ
- বাসি তেলে তৈরি কৃত ফাস্টফুড বা ভাজাপোড়া খাবার।
- অতিরিক্ত ধূমপান করার কারণে ও বুক জ্বালাপোড়ার মতো সমস্যা সৃষ্টি হয়।
- অ্যালকোহল বা মদ্যপানের কারণে গলা ও বুকে জ্বালাপোড়া হয়।
- স্বাভাবিক এর চেয়ে বেশি মাত্রায় চা ও কফি পান করলে এসিডিটি সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
- মাত্রা অতিরিক্ত মানসিক চাপ দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকার কারণে এ সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বুকের মধ্যবর্তী স্থান থেকে গলা পর্যন্ত এসিডিটির কারণে
প্রচন্ড পরিমাণে জ্বালাপোড়া করে থাকে। বুক ও গলাতে প্রচন্ড পরিমাণে যদি ঝাজ
উঠে এছাড়া টক বা লবণাক্ত কোন তরলের অস্তিত্ব অনুভব হয় সে ক্ষেত্রে এসিডিটি
সমস্যা ধরে নেওয়া হয়। এসিডিটির সমস্যা হলে লোসেক্টিল ওষুধ সেবন করতে
পারেন। এছাড়া এসিডিটির জন্য আরেকটি ভালো ঔষধ হলো ফিনিক্স টুয়েন্টি।
বুকের ডান পাশে জ্বালাপোড়া - বুক জ্বালাপোড়া শ্বাসকষ্ট
বিভিন্ন কারণে যদি হার্ড বার্ন হয়ে যায় সেক্ষেত্রে গলা বুকে জ্বালাপোড়া
করে এবং বুকে ব্যথার মতো সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। হার্ট বার্ন এর উপসর্গ এর
মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল শুকনো কাশি কণ্ঠস্বর পরিবর্তন হয়ে যাওয়া মুখে টক পানি
আসা ইত্যাদি। এ সমস্যার সমাধান দ্রুত না করলে খাদ্যনালী ও পাকস্থলী
সংযোগস্থলে ঘা এর সৃষ্টি হতে পারে।
এটি যদি মারাত্মক আকার ধারণ করে সেক্ষেত্রে রক্তশূন্যতার মতো সমস্যা হতে পারে
অপরদিকে খাদ্যনালীর নিচের অংশে দীর্ঘদিন ঘা থাকলে দীর্ঘমেয়াদি রক্তপাতের
কারণ হয়ে উঠতে পারে। বিভিন্ন কারণে গলা ও বুক জ্বালাপোড়া করে থাকে।
কারণগুলো হলোঃ
- ভাজাপোড়া বা তৈলাক্ত জাতীয় খাদ্য অতিরিক্ত খাওয়া।
- ধূমপান করা।
- মদ্যপান করা।
- অতিরিক্ত চা কফি পান করা।
- প্রয়োজনের অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করা।
পেট ও বুক জ্বালাপোড়া
পেট ও বুকে জ্বালা পোড়ার মতো সমস্যা সৃষ্টি হলে সঠিক সময় অবশ্যই ডাক্তারের
পরামর্শ নিতে হবে না হলে এর জটিলতা আরো বৃদ্ধি পেতে পারে। জটিলতা গুলো হল
খাদ্যনালির প্রদাহ , শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা হওয়া দাঁতের ক্ষয় ঘুমের
সমস্যা এর মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক সমস্যা হল আলসার হওয়া এবং ক্যান্সার
সৃষ্টি হওয়া খাদ্যনালীত।।
বিশেষজ্ঞদের মতে তৈলাক্ত যুক্ত ভাজাপোড়া খাদ্য কোমল পানীয় অতিরিক্ত চা কফি
পান করা ধূমপান করা অ্যালকোহল সেবন করা বুকে জ্বালা পড়ার ঝুঁকি অনেকটা
বাড়িয়ে তোলে। স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হলে ফলমূল পান করুন পর্যাপ্ত পরিমাণে
পানি পান করুন শরীর চর্চা করুন এবং পরিমিতভাবে সঠিক পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ
করুন।
শেষ কথাঃবুক জ্বালাপোড়া থেকে বাঁচার উপায় - বুক জ্বালাপোড়া কমানোর ঘরোয়া উপায়
আশা করি বুক জ্বালাপোড়া থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে যথাযথ ধারণা প্রদর্শন
করতে পেরেছি। আপনারা যারা বুক জ্বালাপোড়া থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে
জানতে চেয়েছেন তাদের জন্য উপরের পোস্ট টি লেখা হয়েছে। এছাড়া বুক
জ্বালাপোড়া থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পোষ্ট টি আপনার
জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বুক জ্বালাপোড়া থেকে বাঁচার উপায় ,পেট ও বুক জ্বালাপোড়া , বুক জ্বালাপোড়া
শ্বাসকষ্ট সম্পর্কে কারো কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে সেই প্রশ্ন
করতে পারেন।আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন এবং নতুন আপডেট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন
ধন্যবাদ।
Rajrafi.com এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url