সহবাসের কত দিন পর বাচ্চা পেটে আসে - মাসিকের কত দিন পর সহবাস করা উচিত

প্রিয় পাঠক আপনি কি সহবাসের কতদিন পর বাচ্চা পেটে আসে এ সম্পর্কে জানতে চান? সহবাসের কত দিন পর বাচ্চা পেটে আসে এবং মাসিকের কত দিন পর সহবাস করা উচিত এ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন কিন্তু সঠিক তথ্য পাচ্ছেন না ? পিরিয়ডের প্রথম দিন থেকে শুরু করে ৯ থেকে ১৯ তম দিনের যে কোন সময় জরায়ুতে শুক্রাণু প্রবেশ করালে পেটে বাচ্চা আসতে পারে। আজ আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আলোচনা করব সহবাসের কত দিন পর বাচ্চা পেটে আসে এই বিষয়ে বিস্তারিতভাবে।
সহবাসের কত দিন পর বাচ্চা পেটে আসে - মাসিকের কত দিন পর সহবাস করা উচিত
আপনারা যারা সহবাসের কত দিন পর বাচ্চা পেটে আসে এ বিষয়ে জানতে চান তারা অবশ্যই আমাদের এই আর্টিকেল শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন। এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়লে বুঝতে পারবেন সহবাসের কত দিন পর বাচ্চা পেটে আসে এ বিষয়ে। তাই চলুন আর কথা না বাড়িয়ে সহবাসের কত দিন পর বাচ্চা পেটে আসে এবং মাসিকের কত দিন পর সাহস করা উচিত এর সম্পর্কে জেনে আসি।

পেজ সূচিপত্রঃ সহবাসের কত দিন পর বাচ্চা পেটে আসে - মাসিকের কত দিন পর সহবাস করা উচিত

ভূমিকা

একজন মেয়ের কাছে মা হওয়ার অনুভূতিটা সবচেয়ে আনন্দময়। কিন্তু সহবাসের কত দিন পর বাচ্চা পেটে আসে সেটা আগে থেকে অনেক মেয়ে জানে না। বিয়ের পরে প্রথম প্রথম একটি মেয়ের অনেক কিছু অজানা থাকে। সহবাসের কত দিন পর বাচ্চা পেটে আসে এবং মাসিকের কত দিন পর সহবাস করা উচিত এ সম্পর্কে আগে জানতে হবে।

এছাড়া কোন সময় সহবাস করলে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, বাচ্চা নেওয়ার জন্য সহবাসের উপযুক্ত সময়, ইসলামিক নিয়মে বাচ্চা নেওয়ার নিয়ম এবং বাচ্চা নেওয়ার আগে পুরুষের করনীয় কি এ সম্পর্কে একজন দম্পতিকে সঠিক ধারণা রাখা উচিত। উপরোক্ত উল্লেখিত বিষয়গুলো সম্পর্কে আজ আমরা আলোচনা করব তাই বিস্তারিত জানতে আমাদের সাথে থাকুন।

সহবাসের কত দিন পর বাচ্চা পেটে আসে - মাসিকের কত দিন পর সহবাস করা উচিত

সহবাসের কত দিন পর বাচ্চা পেটে আসে ? এই প্রশ্নটির সঠিক উত্তর হল পিরিয়ডের প্রথম দিন থেকে শুরু করে ৯ থেকে ১৯ তম দিনের মাঝে মিলনের মাধ্যমে জরায়ুতে শুক্রাণু প্রবেশ করালে পেটে বাচ্চা আসতে পারে। একজন নারীর শরীরের তাপমাত্রা মাসিকের পর কিছুটা কম থাকে এর পরবর্তীতে যখন ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু বের হয় তখন নারীর শরীরে তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়।
অনেকের মনে এখন প্রশ্ন জাগতে পারে কতটুকু তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়? বলে রাখা ভালো এসময় সর্বোচ্চ 0.2 ডিগ্রী সেলসিয়াস থেকে ০. ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ফারেনহাইট পর্যন্ত তাপমাত্রা বাড়তে পারে একজন মহিলার শরীরের। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় সহবাসের দুই থেকে তিন সপ্তাহ পর মহিলাদের পেটে বাচ্চা আসে।

কখন মিলন করলে সন্তান হয় না - কোন সময় সহবাস করলে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি

পিরিয়ড শুরু হওয়ার প্রথম সাতদিন এবং শেষ সাত দিন এ মিলন করলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা অনেক কম থাকে। তবে অবশ্যই মনে রাখতে হবে এই নিয়মটা শুধুমাত্র সেই সকল মহিলাদের ওপর প্রযোজ্য হবে যাদের পিরিয়ড ৩০ দিন বা ৩১ দিন পর পর হয়ে থাকে। মাসিকের দিন থেকে শুরু করে ৯ থেকে ১৯ তম দিনের মাঝে যদি মিলন ঘটানো যায় সে ক্ষেত্রে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। মহিলাদের পেটে বাচ্চা আসলে বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ শরীরে দেখা যায়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু লক্ষণ হলোঃ

  • বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া
  • মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়া
  • স্তনের পরিবর্তন ঘটা
  • খাবারে অরুচি
  • ঘনঘন প্রস্রাব
  • শরীরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি
  • যোনি থেকে নির্গত তরল ঘন হয়ে যাওয়া।

অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় মেয়েদের পেটে বাচ্চা আসলে তলপেটে কিছু সময় ব্যথা করতে পারে। এই ব্যথা শুরু হলে কয়েক মিনিট থেকে শুরু করে কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। তবে সন্তান ধারণের পূর্বে অবশ্যই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে স্বামী স্ত্রী উভয়কেই।

শরীরে যদি কোন সমস্যা থেকে থাকে সেক্ষেত্রে ডক্টরের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবনের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করে বাচ্চা নেওয়া শ্রেয়। বেশিরভাগ সময় দেখা যায় শারীরিক কোন সমস্যার পরেও বাচ্চা নিলে সেই সমস্যার প্রতিক্রিয়াটি বাচ্চার উপর পড়ে।

বাচ্চা নেওয়ার জন্য সহবাসের উপযুক্ত সময় - বাচ্চা নেওয়ার আগে পুরুষের করনীয়

বিশেষজ্ঞদের মতে কোন দম্পতি যদি প্রতিদিন সহবাস করেন সেক্ষেত্রে সন্তান ধারণের সম্ভাবনা থাকে প্রায় ৩৭ থেকে ৪০ শতাংশ। এছাড়া যারা একদিন পরপর সহবাস করে তাদের ক্ষেত্রে সন্তান ধারণের সম্ভাবনা প্রায় 30 থেকে 33 শতাংশ হয়ে থাকে। অপরদিকে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে একটি পরিপূর্ণ তৃপ্তি যুক্ত সহবাস পুরো একদিনের এক্সারসাইজ বা ব্যায়াম এর কাজ করে থাকে।

বিশেষজ্ঞদের মতে বাচ্চা নেওয়ার পূর্বে স্বামী স্ত্রীকে অবশ্যই তাদের শরীর চেকআপ করাতে হবে। কোন রোগ থাকলে তা চিকিৎসার মাধ্যমে ভালো করার পরে বাচ্চা নেওয়া উচিত। পুরুষদের ক্ষেত্রে ওজন রক্তচাপ এবং পুরুষ স্বাস্থ্যবান কিনা এ বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়ে থাকে। আপনার শরীরে যদি এমন কোন রোগ থাকে যা বাচ্চা প্রসবের ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
তাহলে অবশ্যই এই বিষয়টির উপর লক্ষ্য রেখে ডাক্তার বাচ্চা নেওয়ার পরামর্শ দেবে। অনেক সময় দেখা যায় মহিলা বা পুরুষ এর বন্ধ্যা বিভিন্ন কারণে হয়। পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে এ বিষয়টি আইডেন্টিফাই করা যায় এবং সে অনুযায়ী চিকিৎসা নেওয়া যায়। মাসিক শুরু হওয়ার পরে 9 থেকে 19 দিনের মধ্যে বাচ্চা নেওয়ার জন্য সহবাসের উপযুক্ত সময়। বাচ্চা নেওয়ার আগে পুরুষদের করণীয় হলোঃ

  • মানসিকভাবে প্রস্তুতি নেওয়া
  • শারীরিকভাবে সুস্থ থাকা
  • আর্থিক দিক দিয়ে সচ্ছল হওয়া
  • বাচ্চার ভরণপোষণের যেন ঘাটতি না পড়ে সেই দিকে লক্ষ্য রেখে সকল প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গুছিয়ে নেওয়া
  • বাসাতে একটি মনোরম পরিবেশ সৃষ্টি করা
  • ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করা
  • পরিকল্পনা বাস্তবে রূপ দেওয়া

ইসলামিক নিয়মে বাচ্চা নেওয়ার নিয়ম - কোন মাসে বাচ্চা নেওয়া ভালো

চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে নিয়ম মেনে মিলন করতে হবে বাচ্চা নিতে হলে। যখন স্বামী স্ত্রীর উত্তেজনা চরম মুহূর্তে থাকবে সেই সময় মিলন করলে গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে মহিলাদের। যদি স্ত্রী ডিম্বানু নিষিদ্ধ হওয়ার সময় মিলন না ঘটে সেক্ষেত্রে গর্ভবতী হওয়া যায় না মহিলারা। অবশ্যই এই বিষয়টির উপর লক্ষ্য রাখতে হবে যে গর্ভবতী হওয়ার পূর্বে অবশ্যই দম্পতিকে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে হবে।

নিজেরা নিজেরা চেষ্টা করাতে কোন ক্ষতি নেই তবে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মিলনের কিছু ত্রুটির কারণে মহিলারা গর্ভবতী হয় না। একটি বিষয়ে মাথায় রাখতে হবে মে মাসে যে সকল শিশু জন্মায় তারা অত্যান্ত বুদ্ধিমান ও আবেগপ্রবণ হয়ে থাকে। এ সকল শিশুরা উচ্চাকাঙ্ক্ষী হয়। 
পিতা-মাতা হিসাবে এ সকল শিশুদের যদি একটু ভালোভাবে উদ্বুদ্ধ করা যায় এবং তাদের স্বপ্ন পূরণে পাশে থাকা যায় তাহলে দিনশেষে অনেক ভালো কিছু করে এ সকল শিশু।

পুত্র সন্তান লাভের কৌশল - ইসলামের দৃষ্টিতে ছেলে সন্তান লাভের উপায়

বিশেষজ্ঞদের মতে পুত্র সন্তান লাভ বা কন্যা সন্তান লাভের জন্য নির্দিষ্টভাবে কোন পদ্ধতি বা টিপস নেই। এটি সম্পূর্ণ নির্ভর করে পুরুষের ক্রোমোজোমের ওপর। তবে বিশেষজ্ঞরা বলেন পেটে বাচ্চা এলে প্রচুর পরিমাণ খাদ্য গ্রহণ করতে হবে শিশুর বিকাশের জন্য। গ্রহণ কৃত খাদ্য অবশ্যই পুষ্টিকর হতে হবে। পুরুষের শুক্রাণুতে থাকা ক্রোমোজোম নির্ধারণ করে সন্তান পুরুষ হবে না মহিলা।
এই পুরো ব্রহ্মাণ্ডের মালিক মহান আল্লাহতালার কাছে যখন হযরত ইব্রাহিম আলাই সাল্লাম পুত্র সন্তান লাভের জন্য দোয়া করেছিলেন তখন মহান আল্লাহতালা বলেন হে ইব্রাহীম পড়ো ''রাব্বি হাবলি মিনাস সালিহীন''(সুরা সাফফাত : আয়াত ১০০) এই দোয়ার মাধ্যমে মহান আল্লাহতালার কাছে কামনা করতে পারে বান্দারা।

শেষ কথাঃ সহবাসের কত দিন পর বাচ্চা পেটে আসে - মাসিকের কত দিন পর সহবাস করা উচিত

প্রিয় পাঠক আপনি নিশ্চয়ই সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়েছেন হয়তো সঠিকভাবে ধারণা দিতে পেরেছি সহবাসের কত দিন পর বাচ্চা পেটে আসে এ বিষয়ে। সহবাসের কত দিন পর বাচ্চা পেটে আসে ও মাসিকের কত দিন পর সহবাস করা উচিত এই সকল বিষয়ে আপনার কোন মতামত বা প্রশ্ন থাকলে আমাদেরকে কমেন্ট এর মাধ্যমে সেই প্রশ্ন করতে পারেন।

সহবাসের কত দিন পর বাচ্চা পেটে আসে এ সম্পর্কে লিখিত আর্টিকেলটি পড়ে আশা করি আপনি সঠিক তথ্য পেয়েছেন। আমাদের আর্টিকেল ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই শেয়ার করবেন। নিয়মিত আপডেট পেতে ওয়েবসাইট ফলো করুন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Rajrafi.com এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url