অর্জুন গাছের উপকারিতা - অর্জুন গাছের বৈশিষ্ট্য

আপনি কি জানেন অর্জুন গাছের উপকারিতা সম্পর্কে? আজ আমরা আলোচনা করতে চলেছি অর্জুন গাছের উপকারিতা সম্পর্কে। মিহি করে অর্জুন গাছের ছাল গুড়ো করার পর প্রতিদিন যদি চিনির সঙ্গে গরুর দুধের সঙ্গে মিশে খাওয়া যায় তাহলে এটি এ হৃদরোগ এবং বুক ধরফর করা অনেকটা কমিয়ে দেয়। আমাদের পাঠকদের মধ্য থেকে অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন অর্জুন গাছের উপকারিতা সম্পর্কে। 
অর্জুন গাছের উপকারিতা - অর্জুন গাছের বৈশিষ্ট্য
অর্জুন গাছের উপকারিতা অনেক শারীরিক বিভিন্ন ধরনের সমস্যা নিরাময় এটি বিশেষভাবে কাজ করে। আজকের আলোচনার মূল বিষয়বস্তু হলো অর্জুন গাছের উপকারিতা সম্পর্কে। আমাদের পাঠকদের মধ্যে থেকে অনেকে প্রশ্ন করে থাকেন অর্জুন গাছের উপকারিতা সম্পর্কে ।

পেজ সূচিপত্রঃ অর্জুন গাছের উপকারিতা - অর্জুন গাছের বৈশিষ্ট্য

অর্জুন গাছের উপকারিতা - হৃদরোগের মহৌষধ 'অর্জুন গাছের' যত গুণ

হৃদরোগ ও বুক ধরফর করা কমাতে হলে নিয়মিত অর্জুন গাছের ছাল গুঁড়ো করে তার সঙ্গে চিনি মিশিয়ে দুধের সঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে প্রতিদিন সেবন করতে হবে সকালে। যাদের লো প্রেসার রয়েছে তারা নিয়মিতভাবে অর্জুন গাছের ছাল সেবন করতে পারেন এটি রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। যাদের শরীরে কোন স্থানে কেটে গেলে সহজে কাটা ভালো হয় না এবং প্রচন্ড পরিমাণে রক্তক্ষরণ হয়।

এই সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য অর্জুন গাছের ছাল রাতে পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে সেই পানি খেতে পারেন। অর্জুন গাছ একটি প্রাপ্তবয়স কে 10 থেকে 15 মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। অর্জুন গাছের গোড়াতে প্রচুর পরিমাণে শিকড় থাকে। এছাড়া গাছের কান্ড একাধিক ভাজ ও স্তরযুক্ত হয়ে থাকে বাকোল পাতলা স্থলে বিভক্ত।

অর্জুনের ছাল যেসব রোগ থেকে মুক্তি দেবে - চর্ম ও যৌনরোগসহ বহু রোগের ওষুধ অর্জুন গাছ

একদল গবেষক এর মতে অর্জুন গাছের ছালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ক্যান্সারের মতো মরণ ব্যাধি থেকে মানুষের শরীরকে রক্ষা করে থাকে। শরীরের চর্বি কমাতে এবং ডায়াবেটিস এর মত মারাত্মক রোগ থেকে শরীরকে মুক্ত রাখতে সেই প্রাচীনকাল থেকেই ঔষধি হিসাবে এই গাছের ছাল ব্যবহার হয়ে আসছে।
এছাড়া শরীরের বল ফিরিয়ে আনতে শরীরকে চাঙ্গা করতে প্রাচীনকাল থেকেই এই অর্জুন গাছের বাকোল সেবন করে আসছে মানুষ। অর্জুন গাছের উপকারী দিকগুলো হলোঃ অর্জুন গাছের ছাল ফুল পাতা তিনটি বিভিন্ন ধরনের ঔষধি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে সেই অনেকদিন থেকেই। তবে সবচেয়ে বেশি ভেষজ ঔষধি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে অর্জুন গাছের ছাল।

হৃদপিন্ডের পেশী শক্তিশালী করতে এবং ভিড় যন্ত্রের কার্যকারিতা বাড়াতে অর্জুন গাছের ছাল বেটে খেতে পারেন। অর্জুন গাছের এর সালে রয়েছে এমন কিছু উপাদান যা রক্ত পরিশোধন করতে সহায়তা করে এছাড়া পথ্য হিসেবে অর্জুন গাছের ছাল হামেশা ব্যবহৃত হয়ে আসছে। যারা হজম করতে পারেন না খাদ্য তারা নিয়মিত অর্জুন গাছের ছাল সেবন করতে পারেন এটি হজম শক্তি বৃদ্ধি করে এবং পাচন ক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে সাহায্য করে।

অর্জুন গাছের ছাল খাওয়ার নিয়ম - অর্জুন গাছের ছাল কিভাবে খেলে তা হার্টের পক্ষে উপকারী

অর্জুন গাছের ছালের রস অথবা শুকনো অর্জুন গাছের বাকলের গুঁড়ো দুধের সঙ্গে ১২ চামচ মিশিয়ে যদি নিয়মিত খাওয়া যায় তাহলে এটি রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে , পাচন ক্রিয়া ঠিক রাখতে সাহায্য করে , দুর্বল হার্ট জনিত সমস্যা সমাধান করে। অর্জুন গাছের ছালে বিদ্যমান রয়েছে এইকো এনজাইম কিউ -১০ জা হার্টের বিভিন্ন সমস্যা থেকে শরীরকে রক্ষা করে।র

যারা ব্লাড প্রেসার এবং কোলেস্টেরলজনিত সমস্যায় ভুগছেন তারা নিয়মিত অর্জুন গাছের ছালের রস অথবা অর্জুন গাছের ছালের গুড় সেবন করতে পারেন। অর্জুন গাছের ছালের রস দুধের সঙ্গে মিশিয়ে নিয়মিত খেলে হৃতপিন্ডের পেশিগুলো মজবুত হয়।

অর্জুন যেসব রোগ থেকে মুক্তি দেবে - অর্জুন গাছের ছাল ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা

শরীর থেকে হৃদরোগ দূরে রাখতে হলে নিয়মিত অর্জুন গাছের ছাল সেবন করতে পারেন এটি কার্ডিয়াক মাসল শক্তিশালী করে। হাটের মধ্যে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে এছাড়া করো নারী হাটের রোগ হতে দেয় না এই অর্জুন গাছের ছাল। যারা হৃদরোগে ভুগছেন সেই দীর্ঘদিন আট থেকেই এটি তাদের এর রোগ উপশমের জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। অর্জুন গাছের ছাল কোলেস্টেরল লেভেল ঠিক রাখে এবং হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা অনেকটা কমে দেয়।

অর্জুন গাছের ১০টি ভেষজ গুণ - অর্জুন গাছের কী কী উপকারি গুন আাছে

অর্জুন গাছ একটি ঔষধি গাছ হিসাবে বিবেচিত। অর্জুন গাছের দশটি ভেষজ গুনাগুন সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলোঃ

  • যাদের বুক ধরফর করে উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে তারা নিয়মিত এক গ্লাস দুধের সঙ্গে দুই চামচ ছাল মিশিয়ে সেবন করতে পারেন এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন।
  • অনেকেই আছেন যারা লো ব্লাড প্রেসার এ ভুগছেন বা যাদের রক্তচাপ কম তারা নিয়মিত দুধের সঙ্গে অর্জুন গাছের ছাল খেলে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হবে বা ব্লাড প্রেসার স্বাভাবিক হবে।
  • শ্বেতপ্রদর বা রক্তপ্রদর সারানোর জন্য রাতে কিছু পরিমাণ অর্জুন গাছের ছাল পানিতে ভিজিয়ে রেখে নিয়মিত প্রতিদিন সেই পানি খেতে পারেন।
  • অর্জুন গাছের ছালের গুলোর সঙ্গে বাসক পাতার রসে ভিজিয়ে সেটা শুকিয়ে যদি বোতল বন্দি করে রাখা যায় শুকনো কাশি হলে এটির সঙ্গে মধু কিংবা ঘি মিশিয়ে সেবন করলে এ রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
  • রক্ত আমাশয় দূর করতে ছাগলের দুধের সঙ্গে অর্জুন গাছের ছালের গুঁড় বা অর্জুন গাছের ছাল পিষে একসঙ্গে মিশিয়ে খেলে এর সমস্যা দূর হয়।
  • অর্জুন গাছের ছাল ও রসুন বেটে যদি মচকা লাগা স্থানে লাগিয়ে রাখলে এটি সেরে যায়।
  • অনেকেই আছেন যারা ত্বক নিয়ে খুবই চিন্তা করেন এবং বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করে থাকেন ত্বক ভালো রাখার জন্য। তবে প্রাকৃতিক উপায় ত্বকের মেস্তা দূর করতে অর্জুন গাছের ছালের সঙ্গে মধু মিশিয়ে মুখে ব্যবহার করতে পারেন।

  • শরীরের যেকোনো স্থানে যদি ফোঁড়ার সৃষ্টি হয় অর্জুন গাছের পাতা দিয়ে সেই ফোঁড়া ঢেকে রাখলে দ্রুত ফোঁড়া ফেটে যায় এবং অর্জুন গাছের পাতার রস ফোঁড়ার হাঁটার পর সেখানে দিলে দ্রুত ঘা শুকিয়ে যায়।
  • যেকোনো গভীর ক্ষতকে দ্রুত সারিয়ে তুলতে অর্জুন গাছের ছাল বাটা ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই কাঁচা অর্জুন গাছের ছাল ব্যবহার করতে হবে শুকনো গুড়ো ব্যবহার করা যাবে না।
  • হাঁপানি টান থেকে রক্ষা পেতে হলে অর্জুন গাছের গুঁড়ো কলকের মতো টানলে এর থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
হৃদরোগ সারিয়ে তুলতে অর্জুন গাছের জুড়ি মেলা ভার। এটি শুধুমাত্র হৃদরোগ শাড়ি তুলে তাই নয় ডায়াবেটিস রক্ত আমাশয় দুর্বল হার্ট সবল করতে ব্যবহৃত হয়

শেষ কথাঃ অর্জুন গাছের উপকারিতা - অর্জুন গাছের বৈশিষ্ট্য

আশা করি অর্জুন গাছের উপকারিতা এবং অর্জুন গাছের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে যথাযথ ধারণা প্রদর্শন করতে পেরেছি। আপনারা যারা অর্জুন গাছের উপকারিতা এবং অর্জুন গাছের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তাদের জন্য উপরের পোস্ট টি লেখা হয়েছে। এছাড়া  অর্জুন গাছের উপকারিতা এবং অর্জুন গাছের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পোষ্ট টি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

অর্জুন গাছের উপকারিতা এবং অর্জুন গাছের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে কারো কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে সেই প্রশ্ন করতে পারেন।আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন এবং নতুন আপডেট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Rajrafi.com এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url