বাতের ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায় - বাতের ব্যথার লক্ষণ

আপনি কি জানেন বাতের ব্যথার লক্ষণ সম্পর্কে? আমাদের পাঠকদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা আমাদের প্রশ্ন করে থাকেন বাতের ব্যথার লক্ষণ এবং এর প্রতিকার সম্পর্কে। বাতের ব্যথা সৃষ্টি হলে আইসপ্যাক দিয়ে শেখ দিলে এ ব্যথা কিছুটা উপশম হয়। অনেক সময় বাতের ব্যথার কারণে পিসিতে খিচুনি সৃষ্টি হয় তখন ঠান্ডা সেঁক দেওয়া কার্যক্রম হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে। আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে বাতের ব্যথার লক্ষণ এর প্রতিকার এবং দাঁতের ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। 
বাতের ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায় - বাতের ব্যথার লক্ষণ
বর্তমান সময়ে বাতের ব্যথা হওয়াটা খুব স্বাভাবিক একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমান সময়ে বাতের ব্যথার লক্ষণ বিভিন্ন ধরনের হয়ে গিয়েছে এজন্য রোগ নির্ধারণ করা ও খুব কষ্টকর হয়ে উঠছে।

আপনি যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে বাতের ব্যথার লক্ষণ সম্পর্কে জানতে পারবেন বিস্তারিত ভাবে। চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে আসি বাতের ব্যথার লক্ষণ এবং বাতের ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে।

পেজ সূচিপত্রঃ বাতের ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায় - বাতের ব্যথার লক্ষণ

ভূমিকা

প্রিয় পাঠক আজকে আলোচনা আপনার শরীরে বাতের ব্যথা সৃষ্টি হলে কিভাবে এটি উপশম করা যায় এবং বাতের ব্যথার লক্ষণ গুলো কি কি হতে পারে এ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে। একজন স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তি হিসেবে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য খুবই প্রয়োজন কারণ শরীরে রোগ বাসা বাধার আগেই যদি সে সম্পর্কে সচেতন থাকা যায় তাহলে রোগের সাথে জীবন যাপন করতে হয় না। 

আজকে এই পুরো আর্টিকেলের মাধ্যমে আলোচনা করা হবে বাতের ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায়, কেন বাতেল ব্যথা হয়, বাতের ব্যথার লক্ষণ কি , খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে , বাতের ব্যথা কমানোর ঔষধ , কি করলে বাতের ব্যথা থেকে উপশম পাওয়া যায় ইত্যাদি সকল বিষয়।

বাতের ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা - কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে

সেই প্রাচীনকাল থেকে বাতের ব্যথার মত সমস্যা চলে আসছে। বর্তমানে চিকিৎসা উন্নত হওয়ার কারণে বাতের নানা ধরনের চিকিৎসা বের হয়েছে। বাতের ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে এখন আমরা আলোচনা করব। বাতের ব্যথা থেকে শরীরকে মুক্ত রাখতে হলে প্রতিদিন নিয়ম করে ব্যায়াম করতে হবে।
ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীরের জয়েন্টগুলো মজবুত হবে এবং বাতের সমস্যা দূর হবে। শরীর থেকে দ্রুত বাতের ব্যথা সারিয়ে তুলতে হলে প্রতিদিন যে পরিমাণে বিশ্রাম নিতে হয় তার চাইতে একটু বেশি বিশ্রাম নিতে হবে। শরীরের যে স্থানে ব্যথা অনুভব করা হয় সেখানে ঠান্ডা কিংবা গরম ছেঁক দেওয়া যেতে পারে এতে ব্যথার উপশম হয়।

বিস্তারিতভাবে বলতে গেলে শুধুমাত্র ব্যায়াম শরীরকে সুস্থ রাখে তাই নয় এটি শরীরের মাংসপেশী শক্তিশালী করে তোলে। শরীরের মাংসপেশি শক্তিশালী হলে শরীরের বেশিরভাগ ওজন মাংসপেশি বহন করে যার ফলে সরাসরি শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টের ওপর চাপ পড়ে না এবং ব্যথা অনুভব কম হয়। শরীরে যেকোনো ব্যাথা সৃষ্টি হলে শরীর আপনা আপনি ক্লান্ত হয়ে পড়ে।

এইজন্য বাতের ব্যথা সৃষ্টি হলে অবশ্যই শরীরকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম প্রদান করতে হবে। আইসপ্যাক দিয়ে ঠান্ডা ছেঁক দেওয়ার মাধ্যমে শরীরের ব্যথা উপশম হয় মাংসপেশীর খিচুনি কমাতে এটি সাহায্য করে। বর্তমানে বাজারে প্রক্রিয়াজাত মাংস বা রেডিমেড পাওয়া যায় যাতে এমন কিছু কেমিক্যাল মিশ্রিত থাকে যা শরীরে প্রবেশের পরে বাতের ব্যথার মত সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে।

সকল রেডি মিটে বিদ্যমান থাকে ইন্টারলিউকিন, সি-রিয়্যাক্টিভ প্রোটিন যা বাতের ব্যথার মত সমস্যা অনেক গুনে বাড়িয়ে দিতে পারে।

কেন বাত হয় - বাতের ব্যথার লক্ষণ

বাতের ব্যথা উপশম করতে হলে সর্বপ্রথম আমাদের জানতে হবে বাত কি? এ বিষয়ে। বাত এমন একটি রোগ যা সিস্টেমেটিক ডিজিজ নামে পরিচিত। এটি পুরো শরীরে এমন কিছু উপসর্গ তৈরি করে যার কারণে শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথা অনুভব হয়।

এছাড়া বিভিন্ন কারণে বাদ হয়ে থাকে এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টে ক্ষয় ধরা এবং প্যাথলজিক্যাল বিভিন্ন সমস্যা কারণে।বাতের ব্যথার লক্ষণ গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো পায়ের আঙ্গুল প্রচন্ড আকারে ব্যথা করা। এছাড়া মাংসপেশি দুর্বল হয়ে পড়লে শরীরে বাতের সৃষ্টি হয়।
অল্প বয়সে চলাফেরা করতে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের আঘাত লাগতে পারে এই আঘাতগুলো অস্থিসন্ধি পরবর্তীতে বয়স হলে এমন একটি পর্যায়ে নিয়ে যায় যার ফলে সেই অস্থিসন্ধিক সঠিকভাবে কার্যকলাপ করতে পারে না এবং এই প্রক্রিয়াকেই বাত বলা হয়। বাতজনিত রোগের কারণে অস্থিস ফুলে যাওয়ার মত সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে শরীরে।

শরীরে বাত রোগ প্রবেশ করলে শরীরের বিভিন্ন অংশ ব্যথা করতে পারে প্রচন্ড আকারে। শরীরের যে কোন অস্থিতে ব্যথার সৃষ্টি হতে পারে এ রোগের কারণে।

বাতের ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায় - কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে

শরীরের যে সকল স্থানে বাতের কারণে অতিরিক্ত ব্যথা সৃষ্টি হয় এবং খিচুনির সৃষ্টি হয় সে সকল স্থানে বরফের সেক দিলে খুব দ্রুত ব্যথা কমতে পারে। যদি সাময়িকভাবে মাংসপেশির ব্যথা কমাতে হয় এবং হাত-পা শক্ত হয়ে যাওয়ার মত সমস্যা যদি শরীরে সৃষ্টি হয় সেক্ষেত্রে গরম পানির ছেঁক অথবা গরম পানি দিয়ে গোসল করতে পারেন।

এটি সাময়িকভাবে শরীরকে স্বাভাবিক করে তোলে এবং অসহ্য যন্ত্রণা থেকে রেহাই দেক।  অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে? বর্তমান সময়ে বিভিন্ন স্থানে প্রক্রিয়াজাত মাংস ও রেডিমিট পাওয়া যায় এ সকল মাংসে এমন কিছু কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর এবং এই মাংসগুলো শরীরে প্রবেশ করার পরে বাতের ব্যথা বাড়িয়ে দিতে পারে অনেকগুলি।

এ ধরনের রেডিমিটে ইন্টারলিউকিন, সি-রিয়্যাক্টিভ প্রোটিন ও হোমোসিস্টেইনের নামক কিছু কেমিক্যাল বিদ্যমান থাকে যা এই মাংসগুলোর সেল টাইম বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এই কেমিক্যাল গুলো শরীরে প্রবেশ করার পরে শরীরের মাংসপেশীর প্রদাহ বাড়িয়ে তোলে। বিশেষজ্ঞদের মতে শস্যতে প্রচুর পরিমাণে গ্লুটেন নামক এক বিশেষ ধরনের প্রোটিন পাওয়া যায় যা বাতের ব্যথা বাড়িয়ে তোলে। 
অতিরিক্ত হারে মদ্যপান করলে শরীরে অস্টিওআর্থারইটিসের ও বাতের সৃষ্টি হয়। যে সকল খাদ্য বাতের ব্যথা বাড়িয়ে দেয় সেগুলো হল লবণ টমেটো লেবু আমলকি আটা দিয়ে তৈরি রুটি ইত্যাদি। 

বাতের ব্যথা হলে কি করা উচিত - বাতের ঔষধের নাম

বর্তমান সময়ে বাতের ব্যথা অনেকেরই শরীরে বিদ্যমান রয়েছে। কিন্তু আমাদের সঠিক ধারণা নেই যে বাতের ব্যথা হলে কি করা উচিত। এখন আমরা জানবো বাতের ব্যথা হলে আমাদের করণীয় কাজগুলো সম্পর্কে। বাতের ব্যথা একটি অদৃশ্য রোগ এই জন্য রোগীকে নিজের শরীরের সমস্যাগুলি খুঁজে বের করতে হবে। বর্তমানে সব বয়সের মানুষের শরীরে কম বেশি বাতের ব্যথা রয়েছে।

এক এক বয়সের মানুষের কাছে এক এক রকম সিম্পটোম দেখা দেয় বাতের। বাতের ব্যথা ঘরোয়া উপায়ে কমাতে হলে নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে এতে পেশী মজবুত হবে এবং সম্পূর্ণ শরীরের ভার শরীরের জয়েন্টের উপর পড়বে না। শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথা হলে শরীর একা একাই ক্লান্ত হয়ে পড়ে এর জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম প্রয়োজন।

আমাদের পুরো শরীর নিয়ন্ত্রণ করে মস্তিষ্ক এই জন্য বাতের ব্যথা কমাতে হলে সর্বপ্রথম আমাদের কমাতে হবে মানসিক চাপ। এছাড়া শরীরের ওজন সবসময় স্বাভাবিক রাখতে হবে এতে শরীরের জয়েন্টের ওপর খুব বেশি প্রভাব পড়বে না। বাতে আক্রান্ত রোগীদের বেশিরভাগ হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বেশি থাকে।

এজন্য অতিরিক্ত মানসিক চাপের মধ্যে নিজেকে রাখা যাবে না। শরীর থেকে পুরোপুরি বাতকে অপসারণ করা সম্ভব এর জন্য সঠিক শনাক্ত এবং সঠিক চিকিৎসা প্রয়োজঁট বাতের ব্যথা একটু কমে আবার কিছু সময় পর পুনরায় বৃদ্ধি পায় এই জন্য আমাদের জীবনের অনেকটা সময় ব্যাহত হয়। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী জীবনযাপন ও ওষুধ সেবন করতে হবে।
ডিক্লোমল ট্যাবলেট রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের সাথে সংযুক্ত জয়েন্ট গুলির ফোলা ভাব ব্যথা ও শক্ত হয়ে যাওয়ার মত ও সমস্যা দূর করতে এর কার্যকারী ভূমিকা রাখে। ডিক্লোমল ট্যাবলেট অস্টিওআর্থ্রা‌ইটিসের সঙ্গে সংযুক্ত কোমর এবং বেদনাদায়ক গাঁটের ব্যথা উপসর্গের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

কি খেলে বাতের ব্যথা কমে - বাতের ব্যথা কোথায় কোথায় হয়

কি খেলে বাতের ব্যথা কমে কী খাবেন? এ ধরনের প্রশ্ন অনেকের মনে ঘুরপাক খায়। আমাদের প্রতিদিনের রান্নাতে ব্যবহৃত আদা দারচিনি পৌরসুনে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা শরীরের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে অপরদিকে সবজির মধ্যে ব্রকলিতে শরীরের প্রদাহ কমানোর ক্ষমতা বিদ্যমান রয়েছে।

অপরদিকে আমাদের শরীরের মাংসপেশীকে মজবুত করতে হলে আখরোট ও পালং শাক খাওয়া প্রয়োজন। কারণ আখরোটে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড এবং পালং শাকে প্রচুর পরিমাণ এন্টি অক্সিডেন্ট। শরীরের মাংসপেশী সঠিকভাবে মজবুত হলে শরীরের সম্পূর্ণ ভার বিভিন্ন জয়েন্ট এর উপর না পড়ে কিছুটা মাংসপেশীর ওপর পড়ে।

সামুদ্রিক মাছের মধ্যে স্যালমন ফিস ম্যাকেরেল ও সার ডিনের তে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা বাতের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এক কথায় বলতে গেলে যেসব খাবারে মাংসপেশি শোধ করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে ও ব্যথা নাশোক ক্ষমতা রয়েছে সে সকল খাবার খেতে হবে। অপরদিকে জয়েন্টে ইউরিক অ্যাসিড জমা হওয়ার কারণে এ ব্যথার উৎপত্তি হয়ে থাকে।

শেষ কথাঃ বাতের ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায় - বাতের ব্যথার লক্ষণ

আপনারা যদি বাতের ব্যথার লক্ষণ এবং বাতের ব্যথার ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তাদের জন্য উপরের পোস্ট টি লেখা হয়েছে। এছাড়া আপনার যদি বাতের ব্যথার লক্ষণ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পোষ্ট টি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।বাতের ব্যথার লক্ষণ সম্পর্কে কোন ধরনের প্রশ্ন থাকলে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদের জানাতে পারেন। আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন এবং নতুন আপডেট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Rajrafi.com এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url