ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর ঘরোয়া উপায় - এই ১২টি খাবার ত্বকের জন্য যথেষ্ট

আপনি কি জানেন ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনীতে অনেক কেমিক্যাল ব্যবহার হচ্ছে যা আমাদের ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। আমাদের পাঠকদের মধ্য থেকে অনেকেই প্রশ্ন করেন ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে। চলুন বিস্তারিতভাবে জেনে আসি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর ঘরোয়া উপায় নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর ঘরোয়া উপায় - যে ১২টি খাবার ত্বকের জন্য যথেষ্ট
ইন্টারনেটে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর ঘরোয়া উপায় অনেক রয়েছে তার মধ্যে আজকে আমরা সঠিক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব। আজকের আলোচনার মূল বিষয়বস্তু হলো ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর ঘরোয়া উপায়। আমাদের পাঠকদের মধ্যে থেকে অনেকে প্রশ্ন করে থাকেন ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে।

পেজ সূচিপত্রঃ ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর ঘরোয়া উপায় - ত্বক সুন্দর রাখার উপায়

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর ঘরোয়া উপায় - ত্বক সুন্দর রাখার উপায়

হলুদের মধ্যে বিশেষভাবে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর গুণ যা ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি করতে বিশেষভাবে ভূমিকা রাখে। হলুদে এমন কিছু প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে যা শরীরের ফোলা ভাব দূর করতে সহায়তা করে এবং ক্ষতস্থানে লাগালে অ্যান্টিসেপটিক এর কাজ করে থাকে। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর জন্য আপনারা কি হলুদের পেস্ট তৈরি করতে চান ?
ত্বকের জন্য হলুদের পেস্ট তৈরিতে প্রথমে এক কাপ বেসন এর সঙ্গে ছোলার আটা ভালোভাবে মিক্স করতে হবে। এরপরে পেস্ট এর মধ্যে এক চা চামচ হলুদের গুড়া মেশানোর পর পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি ও দুধ দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে এবং তিন থেকে চার ফোঁটা গোলাপজল মিশিয়ে নিন। পেস্ট টি ভালোভাবে মেশানো হয়ে গেলে ত্বকে কিংবা ঘাড়ে লাগিয়ে নিন।

১০ থেকে ১৫ মিনিট রাখার পরে শীতল পানি দিয়ে ত্বক ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। এই পদ্ধতি ব্যবহার করে ফেসপ্যাক তৈরি করে যদি সপ্তাহে দুইদিন ব্যবহার করা যায় ত্বকে তাহল ত্বক দাগ মুক্ত মসৃণ ও উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।

ত্বকের গঠন ও কাজ - এই কয়েকটি খাবার ত্বকের জন্য যথেষ্ট

বর্তমান সময়ে বাইরের পরিবেশ আমাদের ত্বকের জন্য প্রচন্ড পরিমাণে ক্ষতি কর কারণ বাইরের পরিবেশে অনেক রকমের পলিউশন থাকে। যা ধীরে ধীরে ত্বক কে ড্যামেজ করে দেয়। আপনাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা ত্বককে উজ্জ্বল ও চকচকে রাখার জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নামিদামি ব্রান্ডের কেমিক্যাল যুক্ত কসমেটিক ব্যবহার করেন।

যা আমাদের ত্বকের জন্য খুবই ক্ষতিকর এমনকি এটির কারণে স্কিন ক্যান্সারের মতো সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে পরবর্তীতে। কিছু খাবার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে পারলে ত্বক সুন্দর ও চকচকে হয়ে উঠবে। খাবারগুলো হলঃ- গ্রিন টি, টমেটো, গাজর, বাদাম, কলা, ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ মাছ। ত্বক উজ্জ্বল করতে হলে এমন কিছু খাদ্য গ্রহণ করতে হবে যেন ভেতর থেকে ত্বক উজ্জ্বল হয়।

ভিটামিন সি যুক্ত যেকোনো খাদ্য যেমন লেবু আমড়া নিয়মিত খেতে পারেন। এছাড়া কলা আঙ্গুর আমলকি ত্বক সুস্থ ও উজ্জ্বল করতে বিশেষভাবে ভূমিকা রাখে। হলুদে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিদ্যমান থাকে যা মানুষের বয়সের ছাপ কমাতে বিশেষভাবে কার্যকারী ভূমিকা পালন করে। অপরদিকে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে যদি হলুদ এক গ্লাস পানির মধ্যে মিশিয়ে সেবন করা যায় তাহলে এটি ত্বকের জন্য এবং স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো উপকার দেয়।
হলুদের বিদ্যমান রয়েছে ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি। যা আমাদের ত্বকে প্রকৃত পুষ্টি যোগান দেয়। ত্বক ভালো ও সুস্থ রাখতে হলে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সবজি, পরিষ্কার পানি, টক জাতীয় খাবার, প্রোটিন রাখতে হবে। এ সকল পুষ্টি উপাদান শরীরে প্রবেশ করাতে না পারলে বিভিন্ন ধরনের রোগব্যাধিক সৃষ্টি হতে পারে।

সুন্দর ত্বক পেতে ৯ টি টিপস - কী খেলে ত্বক উজ্জ্বল হয়

সুন্দর ত্বক পেতে হলে ৯টি টিপস প্রয়োজন এবং কি খেলে ত্বক উজ্জ্বল হয় এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

ফেসওয়াশ

নিয়মিত ত্বকে ফেসওয়াশ ব্যবহার করেন তাহলে ত্বক হয়ে উঠবে সুন্দর ও লাবণ্যময়। অনেক ক্ষেত্রে কেমিক্যাল যুক্ত ফেসওয়াশ ত্বকের ক্ষতিও করতে পারে। ত্বকে ব্যবহৃত ফেসওয়াশ যদি স্কিন এর সঙ্গে মানিয়ে নিতে না পারে তাহলে ত্বকে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।

লেবুর রস

স্কিন পরিষ্কার করার জন্য বিশেষ ভূমিকা রাখে লেবুর রস। যদি লেবুর রস ত্বকে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে না ধুয়ে ফেলা হয় তাহলে লেবুর রস ত্বকের রং কালো করে দেয় কারণ লেবুর রসে কিছু পরিমাণ এসিড বিদ্যমান থাকে। লেবুর রস পাখি ব্যবহার করতে হলে এর সঙ্গে কিছু পরিমাণ চিনি ও মধু মিশিয়ে ব্যবহার করতে হবে সর্বোচ্চ ত্বকে পাঁচ মিনিট রাখার পরে পানি দিয়ে ধুয়ে ত্বকে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিতে হবে।

টক দই 

টক দইয়ে এমন কয়েকটি উপাদান রয়েছে যা ত্বক  উজ্জ্বল করতে সহায়তা করে। টক দই ত্বকের কালো ছোপ বা অন্যান্য সমস্যা দূর করে এবং ত্বকের উজ্জল ভাব ফুটিয়ে তোলে।

দুধ

ত্বকে কাঁচা দুধ মাখলে ত্বক হয়ে উঠবে দাগহীন ধবধবে সাদা। তাই ত্বকে কাঁচা দুধ মাখুন। ত্বকে কাঁচা দুধ মাখার পর ভালোভাবে ম্যাসাজ করতে হবে। এরপরে ধীরে ধীরে নমরম কাপড় দিয়ে ত্বক ভালোভাবে মুছে নিতে হবে।

ডিমের সাদা অংশ

ডিমের সাদা অংশ ত্বককে সুস্থতা দান করে। ডিমের সাদা অংশ একটি বাটিতে নিয়ে পেস্ট করে নিন। ত্বকের উপরে পেস্টটি লাগিয়ে টিস্যু পেপার দিয়ে রাখুন। পেস্টটি কিছুক্ষণ পরে শুকিয়ে গেলে টিস্যু পেপারটি টেনে তুলুন। ডিমের সাদা অংশ সপ্তাহে অন্তত একবার মুখে লাগালে ব্ল্যাক হেড এবং হোয়াইট হেডের মত সমস্যা দূর হবে।

ত্বককে গরম ভাপ নেওয়া

ত্বকে থাকা ছোট ছোট ছিদ্র ও কালো ছাপগুলি গরম পানির ভাপ দিলে খুলে যাই। কারণ ত্বককে গরম ভাপ দিলে সেখানে জমে থাকা ধুলো ময়লা বের হয়ে আসে যার ফলে ত্বক হয় লাবণ্যময়।


হাইড্রেটেড

আপনারা যদি হাইড্রেটেড থাকেন তাহলে ত্বকের উজ্জ্বল ভাব ধীরে ধীরে কমতে থাকবে। হাইড্রেটেড যেন না হয় এই জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করলে এটি ত্বকের কোষগুলোকে প্রাণবন্ত রাখে এবং ত্বক কুঁচকে যাওয়ার সমস্যা দূর করে।

পরিমিত ঘুম

ত্বককে ভালো রাখতে হলে পরিমিত ঘুম অবশ্যই প্রয়োজন। কারণ পরিমিত ঘুম না হলে শরীর ও ত্বকে ক্ষতি হয়। এইজন্য শরীরকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম প্রদান করতে হবে।

পানি খেলে কি ত্বক ফর্সা হয় - ত্বক কেন ধীরে ধীরে কালো হয়ে যায়

আমাদের পাঠকদের মধ্যে অনেকেই প্রশ্ন করে থাকে যে পানি খেলে কি ত্বক ফর্সা হয়? তকে যদি অতিরিক্ত হারে পানির পরিমাণ কমে যায় সেক্ষেত্রে ব্রণ ব্ল্যাকহেডসহ বিভিন্ন ধরনের ত্বকে সমস্যার সৃষ্টি হয়। তাই ত্বকের সুস্থতার জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে ২ লিটার পানি পান করতে হবে। আবার গ্রিনটি আমাদের ত্বকের উজ্জ্বল ভাব ধরে রাখে।

বিভিন্ন কারণে ত্বক ধীরে ধীরে কালো হয়ে যেতে শুরু করে। প্রতিদিন বিভিন্ন জায়গায় আমরা ঘোরাফেরা করি সেই সময় বাইরের ডাস্ট আমাদের ত্বকে লেগে যায় যা আমাদের জন্য খুবই ক্ষতিকর হিসেবে প্রমাণিত। প্রাকৃতিক উপাদান সমৃদ্ধ ফেসওয়াস ব্যবহার করে এই সমস্যাগুলা দূর করা যেতে পারে তার থেকে।

যেসব কারণে ত্বক কালো হয়ে যায় - ত্বকে কালো দাগ হওয়ার কারণ কী

সূর্যের ক্ষতিকর বেগুনি রশির জন্য ত্বক কালো হয়ে যায়। আবার ক্ষতিকর ইউভি রশ্মি আশা মাত্রই ত্বকের মেলানিন এর মাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। ওই মেলানিন এর মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ত্বকে কালচে ভাব চলে আসে। ফলে অত্যধিক সূর্যের সংস্পর্শে থাকলে ত্বকের লাবণ্যতা নষ্ট হয়ে যায়।

সূর্যের ক্ষতিকর বেগুনি রশ্মির সংস্পর্শে ত্বক অতিরিক্ত মাথায় থাকলে প্রথমত ত্বক জলে যেতে শুরু করে এবং ত্বকের রং কালো হতে শুরু করে। আমাদের শরীরে অ্যান্টিবডি থাকায় এটি শরীর পুনরায় সারিয়ে তোলে কিন্তু শরীর পুরোপুরি এই কালো দাগ সারাতে পারেনা। এই জন্য সূর্যের আলোতে কোথাও যেতে হলে অবশ্যই সানক্রিম ব্যবহার করতে হবে। এটি তত্ত্বের সূর্যের আলো থেকে বাঁচাতে সহায়তা করে থাকে।

শেষ কথাঃ ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর ঘরোয়া উপায় - এই ১২টি খাবার ত্বকের জন্য যথেষ্ট

আশা করি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে যথাযথ ধারণা প্রদর্শন করতে পেরেছি। আপনারা যারা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তাদের জন্য উপরের পোস্ট টি লেখা হয়েছে। এছাড়া ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পোষ্ট টি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে কারো কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদের কমেন্টের মাধ্যমে সেই প্রশ্ন করতে পারেন। আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন এবং নতুন আপডেট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

Rajrafi.com এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url